সেরা ১০ টি অল্প পুঁজির ব্যবসা যার লাভাংশ পরিমাণ বেশি - M.A IT FIRM

সেরা ১০ টি অল্প পুঁজির ব্যবসা যার লাভাংশ পরিমাণ বেশি

 সেরা ১০ টি অল্প পুঁজির ব্যবসা যার লাভাংশ পরিমাণ বেশি

বর্তমানে বাংলাদেশে খুব কম সংখ্যক মানুষ রয়েছেন অশিক্ষিত। অধিকাংশ ব্যক্তি শিক্ষিত কিন্তু বর্তমানে এই শিক্ষিত বেকারের হার অনেক গুণ বেশি। শিক্ষিত ব্যক্তিগুলো প্রতিনিয়তই কোনো না কোনো চাকরির জন্য ছুটছেন। এর মাঝে কেউ কেউ চাকরি পাচ্ছেন কেউ কেউ হারাচ্ছেন আবার কেউ কেউ খুঁজে যাচ্ছেনা। প্রতিনিয়ত এই চাকরির বাজারে চাকরি পাওয়া খুবই দুষ্কর। 

সেরা ১০ টি অল্প পুঁজির ব্যবসা যার লাভাংশ পরিমাণ বেশি

যে পরিমাণ শিক্ষিত ব্যক্তি তৈরি হচ্ছে প্রতি বছর সে পরিমাণ চাকরি দেওয়ার স্থান তৈরি হচ্ছে না। বা যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরি পাওয়া যাচ্ছে না এ কারণেও অনেক শিক্ষিত ব্যক্তি বেকার রয়েছে। অনেকেই মনে করেন পড়াশোনা করেছি শিক্ষিত হয়েছি চাকরি করব। এই ধারণা থেকে আমাদের বাইরে আসতে হবে। শিক্ষিত হলেই শুধু চাকরি করতে হবে এমনটি নয় শিক্ষিত ব্যক্তি যে কোন ব্যবসা ও করতে পারে যা তার জীবন বদলে দিতে পারে।

পোস্ট সূচিপত্র:  সেরা ১০ টি অল্প পুঁজির ব্যবসা যার লাভাংশ পরিমাণ বেশি

ভূমিকা

পড়াশোনা শেষ করে চাকরি করতে হবে এমনটি নয়। পড়াশোনা শেষ করে যে কোন ব্যবসা করা যায়। এবং এর জন্য খুব বেশি পুঁজি প্রয়োজন নেই। আপনার যদি অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো না থাকে আপনি অল্প পুঁজিতে বিভিন্ন রকমের ব্যবসা শুরু করতে পারেন। যে সকল ব্যবসা করে আপনি মাসিক ভালো টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আপনি যদি দীর্ঘদিন ধরে রাখতে পারেন এবং সততার সঙ্গে ব্যবসা করতে পারেন তাহলে একসময় আপনার এই ব্যবসার প্রসার ঘটবে। এবং ব্যবসা বড় হবে আপনি ভালো একটি অবস্থানে পৌঁছাতে পারবো না।

 বিভিন্ন রকম ব্যবসা রয়েছে যে সকল ব্যবসা গুলো অল্প পুঁজিতে করা সম্ভব। তবে আপনি যদি মনে করেন আমি একজন শিক্ষিত মানুষ হয়ে ব্যবসা করতে যাব কেন বা এই ছোট ব্যবসা গুলা কেন করব তাহলে আপনার দ্বারা কোন কিছুই সম্ভব নয়। আপনি একটি ভাল প্রতিষ্ঠানে চাকরিও করতে পারবেন না। এজন্য আগে নিজে মন মানসিকতা সঠিক রেখে ভালো চাকরি বা ব্যবসা যেটাই হোক করার জন্য  সিদ্ধান্তে অটুট থাকে

আরো পড়ুন: অনলাইন থেকে ইনকাম করার উপায় কি

শিক্ষিত বেকারের হার বর্তমান দেশে

বাংলাদেশের শিক্ষিত বেকারের হার বর্তমানে স্নাতক কমপ্লিট করা শিক্ষিত বেকারের হার প্রায় ৬৬% এটা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের রিপোর্ট অনুযায়ী এসেছে। যে পরিমাণ শিক্ষার্থী প্রতিবছর গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করছেন তার প্রায় ৬৬ % বেকার থাকছেন। তার কারণ হলো যে পরিমাণ শিক্ষার্থী গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করছেন বর্তমানে দেশে সে পরিমাণ চাকরির দেওয়ার স্থান নেই।

শিক্ষিত বেকারের হার বর্তমান দেশে


 এই দিক বিবেচনা করে আমরা চাকুরি ছেড়ে ব্যবসা শুরু করতে পারি। অনেকেই বলতে পারেন যে ব্যবসা করতে প্রচুর অর্থের প্রয়োজন হয়। এটা সঠিক অর্থের প্রয়োজন হয় তবে প্রচুর অর্থ নয় অল্প পুঁজি দিয়েও দেশে অনেক ব্যবসা করা যায় যে ব্যবসা থেকে ভাল মুনাফা অর্জন করা যায়। যেহেতু দেশে চাকরি দেওয়ার স্থান খুবই কম সেক্ষেত্রে আমাদের অবশ্যই চাকরি ছেড়ে ব্যবসা করার চিন্তাভাবনা তৈরি করতে হবে। দেশে যে পরিমাণ বেকার রয়েছে এটা শুধুমাত্র তার ব্যক্তিগত ক্ষতি নয় এটি রাষ্ট্রেরও একটি ক্ষতি।

অল্প পুঁজির দশটি ব্যবসা

ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করার জন্য অধিক অর্থের প্রয়োজন নেই। আপনি কি ব্যবসা করছেন সেটার উপরে ভিত্তি করে আপনার পুঁজি প্রয়োজন। এখন যদি আপনি মনে করেন যে আপনি দেশে একটি ইন্ডাস্ট্রিয়াল কোম্পানি তৈরি করবেন আপনার কাছে অর্থ আছে সামান্য। তাহলে এটা বোকামি ছাড়া কিছুই নয়। আপনার পুজির উপর ভিত্তি করে ব্যবসা পরিচালনা করার সিদ্ধান্ত নিতে হবে আজকে আলোচনা করব এরকম দশটি ব্যবসা যা অল্প পুঁজিতেই করা যায়।

অনলাইনে মার্কেটিং এর ব্যবসা: অনলাইন মার্কেটিং এর ব্যবসা বলতে অনেক বড় একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে সেখানে হাজার হাজার পণ্য রেখে সেই পণ্য বেচাকেনা করাকেই শুধু অনলাইন ব্যবসা বা অনলাইন মার্কেটিং বলে না। ছোট আকারেও অনলাইনের অনেক ব্যবসা রয়েছে যে ব্যবসা গুলো করা যায়। যেমন অনলাইনের মাধ্যমে জামাকাপড় বিক্রি করা যায় অনলাইনের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রকারের প্রোডাক্ট সেল করা যায় যেমন, ফেসিয়াল প্রোডাক্ট, ভেষজ প্রোডাক্ট, জামাকাপড়ের ব্যবসা, আরো এরকম ছোটখাটো অনেক ব্যবসা রয়েছে যেগুলো অনলাইনের মাধ্যমে অল্প পুঁজিতে করা যায়। এ সকল ব্যবসাগুলো যদি আমরা করি তাহলে আমাদের চাকরি করার চিন্তা থেকে মুক্ত এবং সফল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দাঁড় করাতে সক্ষম হতে পারি।

চায়ের ব্যবসা: চায়ের ব্যবসা অনেকেই ছোট মনে করতে পারেন যে আমি একজন শিক্ষিত মানুষ হয়ে আমি কেন চা বিক্রি করব। আপনি বেকার বসে থাকার চাইতে আপনার মনে হয় না চা বিক্রি করা আপনার জন্য ভালো। ব্যবসা করা মানে হলো নিজেকে নিজের মধ্যে আবদ্ধ রাখা আর চাকরি করা আপনি যেই ব্যবসায়ী করেন না কেন সেই ব্যবসার প্রতিষ্ঠানের মালিক আপনি নিজেই সে ক্ষেত্রে চায়ের ব্যবসাও যদি হয় তাও মালিক আপনি নিজেই। 

আমরা প্রতিদিন চা খাই বা খেতেই হবে এমনটাই বাঙালির অবস্থা এই দিক থেকে চিন্তা করলে আপনি যদি চায়ের দোকান দেন তাহলে ভালো একটা পজিশন দেখে একটা চায়ের দোকান দিলে অল্প পুজিতে প্রতিদিন ভালো একটা মুনাফা অর্জন করতে পারবেন। আপনি ভাবতে পারেন যে আপনি শিক্ষিত মানুষ আপনি গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করছেন আপনি কেন চা বিক্রি করবেন।

 গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করা অনেক ব্যক্তি রাস্তায় বাদাম বিক্রি করছে আমি বলব চাকরি না করে চাকরির কিছু সময় নষ্ট না করে আপনি চায়ের দোকান দেন তবুও ভালো আমি আমার ব্যক্তিগত জীবন থেকে যদি বলতে যাই তাহলে আমি নিজেই একজন গ্র্যাজুয়েশন কমপ্লিট করা কিন্তু চায়ের দোকান চালাই। যদিও এর পাশাপাশি আমার অন্য আরও ব্যবসা রয়েছে কিন্তু এই চায়ের ব্যবস্থাটা আমার পূর্বের বা আমার বাবার তৈরি একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ছিল তাই আমি সেটাকে ধরে রাখার জন্য অন্যান্য ব্যবসার পাশাপাশি চায়ের দোকানটা চালাই। আমি গর্ব বোধ করি যে আমি একজন চায়ের দোকানদার।

অল্প পুঁজির দশটি ব্যবসা


ট্রান্সপোর্ট এজেন্সির ব্যবসা: একদমই অল্প পুজিতে ট্রান্সপোর্ট এজেন্সির ব্যবসা শুরু করা যেতে পারে। এজন্য আপনাকে কিছু জায়গায় যোগাযোগ করতে হবে বা যোগাযোগ রাখতে হবে যেখান থেকে মালামাল ডেলিভারি হয় সে সকল জায়গাগুলোর সঙ্গে আপনার যোগাযোগ ও ভালো একটি সুসম্পর্ক তৈরি করতে হবে। এবং বিভিন্ন প্রকার গাড়ি বাস ট্রাক পিক আপ বা অন্যান্য মাল বহনকারী যে গাড়িগুলো রয়েছে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে আপনি এই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটি শুরু করতে পারেন। এখানে আপনার খুব বেশি পুজির প্রয়োজন নেই। অল্প পুজিতেই এই ব্যবসাটা পরিচালনা করা সম্ভব এবং ভালো মুনাফা অর্জন করা সম্ভব।

ফলের ব্যবসা: আপনি যদি কোন ছোট শহরে বাস করেন তাহলে এই ব্যবসাটি ও আপনি করতে পারেন। এর জন্য আপনার নির্দিষ্ট কোন দোকান ঘর নেওয়ার প্রয়োজন নেই আপনার এলাকার বাজারে আপনি এই ব্যবসাটা চালু করতে পারেন। বিভিন্ন বাগান থেকে সংগ্রহ করা ফলগুলো আপনি বাজারে নিয়ে এসে খুচরো হিসেবে বিক্রি করতে পারবেন। যেমন ডাব, কলা, আম, পেয়ারা, ডালিম, বেদেনা এছাড়াও যদি আপনি বাহির থেকে ফল আমদানি করে বিক্রি করার চিন্তাভাবনা করেন তাহলে আপেল, কমলা, সহ অন্যান্য যাবতীয় ফলের ব্যবসা চালু করতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনি যদি এলাকা থেকে ফলগুলো কিনে বিক্রি করেন তাহলে খুবই অল্প পরিমাণ পুঁজি দরকার হয়। আর যদি বাহির থেকে ফল আমদানি করেন তাহলে পুজিটা একটু বেশি লাগতে পারে এক্ষেত্রে আপনার পুঁজির উপরে নির্ভর করবে আপনি কেমন ব্যবসাটা করবেন।

আরো পড়ুন: আনারস খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা কি

সবজির ব্যবসা: ধরুন আপনি শহরে বাস করেন তাহলে আপনি খুবই অল্প পুজিতে এই ব্যবসাটি পরিচালনা করতে পারেন। প্রতিদিন সকালে পাইকারি বাজার হতে আপনি যদি সবজি ক্রয় করে নিয়ে আসেন এবং এগুলো আপনার এলাকায় বা বাজারে খুচরো  বিক্রি করেন তাহলে এখান থেকে ভালো একটি মুনাফা অর্জন করতে পারবেন এবং এই ব্যবসায় খুব বেশি পুঁজির প্রয়োজন নাই। এখন আপনি যদি চিন্তা করেন আপনি একজন গ্যাজুয়েশন পরিপূর্ণ ব্যক্তি আপনি কেন এ সামান্য সবজির ব্যবসা করতে যাবেন তাহলে এ ব্যবসা বা কোন ব্যবসায় আপনার জন্য নয়। এটা অবশ্যই ছোট হলেও ব্যবসায় বা লাভাংশ পরিমাণ খুবই বেশি।

স্যান্ডেল বা জুতার ব্যবসা: মিডিয়াম কোয়ালিটির পুঁজিবাজার যদি আপনার থাকে তাহলে আপনি এই ব্যবসাটি পরিচালনা করতে পারেন। সরাসরি উৎপাদন কেন্দ্র হতে আপনি এই স্যান্ডেল বা জুতা গুলো নিয়ে আসতে পারেন। এতে করে আপনার অল্প পুজিতে ব্যবসা পরিচালনা করতে পারবেন এবং যেহেতু আপনি উৎপাদন কেন্দ্র হতে পণ্যগুলো ক্রয় করবেন সেই ক্ষেত্রে আপনার লাভাংশ এর পরিমাণও বেশি করতে পারবেন। এক্ষেত্রে এই ব্যবসাটি একটি মার্জিত ও স্মার্ট ব্যবসার মধ্যে পড়ে। আনুমানিক ৫০ থেকে ১ লক্ষ টাকা থাকলেই আপনি এই ব্যবসাটা চালু করতে বা পরিচালনা করতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনি মাসে একটা ভালো মুনাফা অর্জন করতে পারবেন।

ফাস্টফুড এর ব্যবসা: সবচাইতে বেশি লাভজনক ব্যবসা হলো ফাস্টফুড এর ব্যবসা। এই ব্যবসার লাভাংশের পরিমাণ খুবই বেশি। এবং এটি একটি মুখরোচক খাবার যা সকলেরই খুবই পছন্দ। আপনার যদি পুঁজি কম থাকে তাহলে আপনি প্রথমে এটি ফুটপাতে শুরু করতে পারেন। তাহলে আপনার কোন দোকান ভাড়া বা প্রতিষ্ঠান ভাড়ার প্রয়োজন হচ্ছে না। ফুটপাতেই ব্যবসা পরিচালনা করে আপনি ভালো টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তার জন্য আপনাকে একটি স্থান নির্ধারণ করতে হবে যেখানে প্রতিনিয়ত জনসমাগম থাকে। এরূপ একটি স্থান নির্ধারণ করে সেখানে আপনি এই ফাস্টফুডের ব্যবসা পরিচালনা শুরু করতে পারেন। এই ফাস্টফুর আইটেমে আপনি রাখতে পারেন, ফুচকা, হালিম, পেঁয়াজু, সিঙ্গারা, সমচা, বেগুনি, আলুর চপ, মাংসের চপ, কিমা, ডালপুরি সহ এরকম আরো অনেক আইটেমের ফাস্টফুড রয়েছে যে সকল ফাস্টফুড আমরা প্রতিদিন খেয়ে থাকি। এ সকল ফাস্টফুডের দোকান করতে খুব বেশি পুজির প্রয়োজন হয় না। এ সকল ফাস্টফুড এর দোকান দিয়ে ভালো মুনাফা অর্জন করতে পারেন এবং খুবই অল্প পুজিতে এই ব্যবসাগুলো পরিচালনা করতে পারবেন।

কম্পিউটার ট্রেনিং এর ব্যবসা: আপনার যদি কম্পিউটারের উপরে ভালো দক্ষতা অর্জন করতে পারেন বা ভাল দক্ষতা থাকে তাহলে আপনি একটি কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার চালু করতে পারেন। এটি বর্তমানে একটি স্মার্ট এবং উন্নতি সাধন ব্যবসা। বর্তমানে সকলেই কম্পিউটার শিক্ষা বা দক্ষতা অর্জন করতে আগ্রহী। তবে এটি খুবই অল্প পুজিতে এই ব্যবসা সম্পূর্ণ করা যায় না। মোটামুটি এক থেকে দুই লক্ষ টাকার মত পুঁজি থাকলে আপনি এই ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন। এই ব্যবসা থেকে আপনি ভালো টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এবং আপনি আপনার নিজের দক্ষতা ও বৃদ্ধি করতে পারবেন।

আরো পড়ুন: ডিজিটাল মার্কেটিং করে মাসে লাখ টাকা আয় করার উপায়

ফটোকপি বা ছবি প্রিন্টিং এর ব্যবসা: বর্তমানে এই ব্যবসাটি খুব একটা ব্যয়বহুল নয় তবে এই ব্যবসাটি পরিচালনা করার জন্য মোটামুটি একটু দক্ষতার প্রয়োজন রয়েছে। এই দক্ষতা গুলো থাকলে আপনি মোটামুটি অল্প পুজিতে এই ব্যবসা গুলো করতে পারবেন ফটোকপি বা ছবি প্রিন্টিং এর ব্যবসায় মোটামুটি ভালো একটি অর্থ উপার্জন করা সম্ভব। যেমন কোনো স্কুল অথবা কলেজের পাশে যদি কোন ফটোকপি দোকান দেন তাহলে সেখানে প্রতিনিয়তই ফটোকপির কাজ চলতেই থাকবে। কোন সরকারি রেজিস্ট্রেশন অফিস এর সামনে এই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো ভালো চলে। কেননা প্রতিনিয়তই ফটোকপি অথবা ছবি প্রিন্টিং করাতে হয় বা প্রয়োজন হয়। সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো তে এগুলো চাহিদা অনেকটা বেশি বলেই এই দোকানগুলো এই সকল প্রতিষ্ঠানের সামনে করলে ভালো উপার্জন করার যেতে পারে।

মোবাইল মেরামতের ব্যবসা: খুবই অল্প পুজিতে এই ব্যবসাটি পরিচালনা করতে পারেন। তার জন্য আপনাকে আগে কোন মোবাইল রিপেয়ার সেন্টার হতে নিজেকে দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে। তারপরে আপনি কোন ছোট দোকান রুম নিয়ে এই ব্যবসা শুরু করতে পারেন। এই ব্যবসা পরিচালনা করার জন্য খুব একটা বেশি পুজির প্রয়োজন নেই বেশি অন্য সামগ্রীর দরকার হয় না যে কারণে বেশি পুজি লাগে না। লাগে শুধু যথেষ্ট পরিমান জ্ঞান ও দক্ষতা। এই ব্যবসা পরিচালনা করার জন্য আপনাকে আগে এই ব্যবসার উপরে দক্ষতা অর্জন করতে হবে তারপরে আপনি যদি এই ব্যবসা শুরু করেন এই ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হতে আপনি ভালো মুনাফা অর্জন করতে পারবেন

চাকরি থেকে ব্যবসা করা ভালো কেন

চাকরি হতে ব্যবসা কেন ভালো যদি এই প্রশ্ন করে থাকেন তাহলে আমি বলব চাকুরি করা মানে অন্যের অন্যের অধীনে নিজেকে আবদ্ধ করে রাখা। এবং নির্দিষ্ট একটি বেতনভুক্ত হয়ে থাকা। আপনি ইচ্ছা করলেও অনেক সময় অনেক কাজ বা অনেক জায়গায় বা অনেক প্রয়োজনীয় কর্মকাণ্ড করতে পারবেন না যদি আপনি চাকরিজীবী হয়ে থাকেন। হ্যাঁ ব্যবসায়ী হলেও আপনার অনেক সময় অনেক প্রয়োজনীয় কাজ আটকে থাকতে পারে সময়ের অভাবে তবে এতে করে আপনার ক্ষতি হবে না আপনার ব্যক্তিগত ব্যবসা উন্নতি হবে। 

আরো পড়ুন: দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভূমিকা কি

ব্যবসা প্রথমে ছোট থাকলেও এটা আপনি আপনার সততা সঙ্গে চালিয়ে গেলে এক সময় ব্যবসা বড় হবে প্রতিষ্ঠান বড় হবে আপনার আয় বাড়বে। কিন্তু চাকরি একই স্থানে আপনাকে আটকে থাকতে হবে হয়তোবা আপনি আপনার বেতন বৃদ্ধি পাবে পদোন্নতি হবে কিন্তু আপনি সেই স্বাধীনতাটা কখনোই পাবেন না যেটা আপনি ব্যবসা করে পাবেন। এরকম আরো অনেক দিক চিন্তা করে আমার মনে হয় চাকরি করার থেকে ব্যবসা করা অনেক গুণ ভালো। যেটা হবে আপনার নিজেরই হবে

চাকরি থেকে ব্যবসা করা ভালো কেন



উপসংহার

উপরোক্ত বিষয়ে আমরা জানলাম সেরা ১০ টি অল্প পুঁজির ব্যবসা যা মানুষের পরিমাণ অনেক গুণ বেশি। এই ব্যবসা গুলো পরিচালনা করে আমরা আমাদের যেমন জীবিকা নির্বাহ করতে পারি তেমনি জীবনে একটি ভালো পর্যায় বা অবস্থানে পৌঁছাতে পারি, যদি আমরা আমাদের সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে ব্যবসা পরিচালনা করতে পারি। বর্তমানে আমাদের দেশে যে পরিমাণ বেকারত্বের হার বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে করে ভবিষ্যতে চাকরি পাওয়া খুবই দুষ্কর হয়ে দাঁড়াবে। এ কারণে নিজেকেই উদ্যোক্তা হতে হবে বা নিজেই ব্যবসা প্রতিষ্ঠান তৈরি করতে হবে যেখানে আরও ১০ জন শিক্ষিত যুবকের চাকরির ব্যবস্থা করা যেতে পারে। বা আরো দশটা যুবকের আয়ের উৎস তৈরি করা যেতে পারে। সর্বাধিক বিবেচনা করে আমার মনে হয় চাকুরী ছেড়ে ব্যবসায়ী হওয়া উচিত এবং নিজে উদ্যোক্ত হওয়া উচিত।


No comments:

Post a Comment