ব্যবসায় দীর্ঘমেয়াদি মূলধন বিনিয়োগের সঠিক সিদ্ধান্ত ও নিয়মাবলী
পেজ সূচিপত্র: ব্যবসায় দীর্ঘমেয়াদি মূলধন বিনিয়োগের সঠিক সিদ্ধান্ত ও
নিয়মাবলী
ভূমিকা
দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত প্রতিষ্ঠান এর জন্য কতটুকু লাভজন ক হবে বা আদলে হবে কি না, সেজন্য ফিন্যান্স এর একটি মূল্যায়ন প্রক্রিয়া প্রয়োজন। মূলধন বাজেটিং এরূপ একটি মূল্যায়ন প্রক্রিয়া। এক্ষেত্রে প্রত্যেকটি বিনিয়োগ সিদ্ধান্তের বা প্রকল্পের আয় ব্যয় পাক্কোলন করতে হবে। আয় ব্যয়পাক কলম শেষে এসব সিদ্ধান্তের বা প্রকল্পের নিট নগদ প্রবাহ বা নির্ধারণ করা হয়। এখানে আয় ব্যয় বলতে বিক্রয় থেকে অর্জিত অর্থ এবং ব্যয় বলতে, কাঁচামাল খরচ বিক্রয় খরচ এবং অবচয় সহ অন্যান্য খরচকে বুঝায়। আয় থেকে ব্যয় বাদ দিলে মোট মুনাফা এবং মোট মুনাফা থেকে কর বাদ দিলে নীট মুনাফা পাওয়া যায়।আবার নিট মুনাফার সাথে অবচয় যোগ করলে নগদ অন্তপ্রবাহ পাওয়া যায়। এই অন্তত প্রবাহের সাথে প্রারম্ভিক বিনিয়োগ বা নগদ বহিঃপ্রভাই এর সাথে তুলনা করে যদি অন্ত প্রবাহ বহিঃপ্রুভয় থেকে বেশি হয় তাহলে বিনিয়োগটি লাভজনক প্রতিমান হয় এবং গ্রহণযোগ্যতা বিবেচিত হয়।
আরো পড়ুন:ব্যবসা প্রতিষ্ঠান শুরু ঝুঁকি ও অনিশ্চয়তা কি
মূলধন বাজেটিং এর গুরুত্ব ও ভূমিকা
মূলধন বাজেটিং অর্থায়নের সাফল্যের চাবিকাঠি। মূলধন বাজেটিং বাস্তব সম্মত ও
সঠিক হলে কারবার সরাসরি উপকৃত হয়। মূলধন বাজেটিং ব্যর্থ হলে কারবারটি
সাধারণত ব্যর্থ হয়। ব্যর্থতার দায়িত্ব অর্থ ব্যবস্থাপককে নিতে
হয় মূলধন বাজেটিং এর গুরুত্বপূর্ণ হবার কয়েকটি কারণ রয়েছে।
মুনাফা সংক্রান্ত: একটি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের মূল লক্ষ্য মুনাফা অর্জন। মুনাফা অর্জনে মূলধন বাজেটিং গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কোম্পানি সাধারণত নগদ প্রবাহ পাবার আশায় তার দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগযোগ্য তহবিল উপার্জনকারী সম্পত্তি বিনিয়োগ করে। ফলে প্রতিষ্ঠানের মুনাফা অনেকটা নির্ভর করে মূলধন বাজেটিং সিদ্ধান্তের উপর। মুদির দোকানেই ফ্রি স্ক্যানার ফলে স্বাভাবিকভাবে ঠান্ডা পানি ও আইসক্রিম বিক্রয় বৃদ্ধি পাবে। কিন্তু দোকানের আশেপাশের লোকজন যদি ঠান্ডা পানি ও আইসক্রিম খেতে অভ্যস্ত না হয় সে ক্ষেত্রে ফ্রিজ কেনার সিদ্ধান্ত প্রতিষ্ঠানের জন্য কোন সুবিধা আনবে না সুতরাং, ভালো বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত যেমন কারবারটি জন্য পর্যাপ্ত আয় নিশ্চিত করতে পারে, অন্যদিকে ত্রুটিপূর্ণ বিনিয়োগ সিদ্ধান্তেরে কারণে কারবারটি লোকসানের সম্মুখীন হতে পারে।
বিনিয়োগের বিশালা আকার: স্থায়ী সম্পত্তি কয়, সংযোজন,
আধুনিকায়ন এবং প্রতিস্থাপনের প্রভুতি মূলধন বাজেটিং সিদ্ধান্তের জন্য
সাধারণত বড় অংকের তহবিল প্রয়োজন হয়। ফলে কোন কারণে সিদ্ধান্ত ভুল হলে সেটি
সংশোধন করার সাধারণ সুযোগ থাকে না এবং এর সংশোধনের সুযোগ থাকলেও বড় অঙ্কের
মাশুল দিতে হয়। উদাহরণস্বরূপ একটি কোম্পানি ঢাকার অদূরে একটি জায়গায় তাদের
কারখানা স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয় এই ভেবে যে সেখানে সময়মতো বিদ্যুৎ এবং
গ্যাস সরবরাহ পাবে। কিন্তু কারখানা স্থাপনের পর দেখা গেল সরকার নতুন বিদ্যুৎ
এবং গ্যাস সংযোগ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এমত অবস্থায় কারবারটি
কারখানার উৎপাদন আরম্ভ করতে পারবে না। কিন্তু এ কারণে ব্যাংক থেকে বড় অংকের
ঋণ নিতে হয়েছে, যার ব্যাংকে নিয়মিত পরিশোধ করতে হবে। এরকম একটি ভুল
সিদ্ধান্ত কারবারটিকে ব্যর্থ করে দিতে পারে।
আরো পড়ুন: শেয়ার মার্কেটে বিনিয়োগের সুবিধা অসুবিধা কি
ঝুঁকির ভিত্তিতে: মূলধন বাজেটিং এর অধিকাংশ অনুমানই ভবিষ্যতের
উপর নির্ভরশীল। একটি স্থায়ী সম্পত্তি যেমন: মেশিনটিতে বিনিয়োগ করা উচিত
কিনা এই সিদ্ধান্তটি নির্ভর করে ওই মেশিনটিতে উৎপাদিত পণ্য ভবিষ্যতে কত টাকা
করে এবং কি পরিমানে বিক্রয় হবে, কত টাকায় পণ্যটি উৎপাদন হবে ইত্যাদির ওপর।
ভবিষ্যতের এই তথ্য উপাত্ত অনুমাননির্ভর, যা বাস্তবসম্মত নাও হতে পারে।
সুতরাং, মূলধন বাজেটিং সর্বদাই ঝুঁকিযুক্ত সিদ্ধান্ত। যেমন: বর্ষাকালে
অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা করে ছাতা প্রস্তুতকারী তার ব্যবসার সম্প্রসারণ
করে ও উৎপাদন ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য নতুন মেশিন কিনে অধিক ছাতা উৎপাদন করে।
ফলে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে। এজন্য দীর্ঘমেয়াদী
বিনিয়োগে ঝুঁকি নিরূপণ ও ঝুঁকির গ্রহণ যোগ্যতা যাচাই প্রয়োজন
হয়। এক্ষেত্রে মূলধন বাজেটিং গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে
মূলধন বাজেটিং এর সঠিক প্রয়োগের নিয়মাবলী
দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগের সবক্ষেত্রে মূলধন বাজেটিং প্রয়োগ করা হয়। ভাই সম্পত্তি ক্রয় থেকে শুরু করে ব্যবসা-প্রসার, ব্যবসার আধুনিকায়ন, স্থায়ী সম্পত্তির প্রতিস্থাপন এবং নতুন পণ্য বাজারে ছাড়া সংক্রান্ত সকল প্রকার বিনিয়োগ পর্যন্ত সকল ক্ষেত্রে মূলধন বাজেটিং এর প্রয়োগ রয়েছে।
স্থায়ী সম্পত্তি কয়: যে কোন কোম্পানি নতুন ব্যবসা শুরু করতে গেলে স্থায়ী সম্পত্তি যেমন
জমি দালানকোঠা যন্ত্রপাতি আজোর পত্র ইত্যাদি ক্রয় করতে হবে।
উদাহরণস্বরূপ মুদির দোকানে কে তার ব্যবসা শুরু করার সময় ফ্রিজ,
তাকিয়া, ওজন মাপার স্কেল ক্রয়ের সিদ্ধান্ত নিতে হয়। রেস্টুরেন্ট
মালিককে তার ব্যবসা শুরু হয় চেয়ার টেবিল হাড়ি পাতিল রান্নার
অন্যান্য সরঞ্জাম কয়েল সিদ্ধান্ত নিতে হয়। এরূপভাবে বড় ব্যবসার
প্রতিষ্ঠানের জন্য জমি দালানকোঠা কারখানা নির্মাণ ব্যয় মেশিনারি
ইত্যাদি সিদ্ধান্ত নিতে হয়। যেকোনো ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান এসব
সম্পত্তি ক্রয়ের সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে মূলধন বাজেটিং প্রয়োগ
করা হয়।
ব্যবসায় পণ্য উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি কল্পে সম্প্রসারণ: চলমান কোন
প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে তার ব্যবসায় শুরু করার পর উৎপাদন ক্ষমতা বাড়ানোর
প্রয়োজন হতে পারে। উৎপাদন ক্ষমতা বাড়ানোর ক্ষেত্রে কোম্পানির নতুন
মেশিন ক্রয়ের প্রয়োজন হয়। উদাহরণস্বরূপ দর্জির দোকানই তার বর্তমান
ব্যবসায় একটি সেলাই মেশিন থাকা সত্ত্বেও ভোক্তাদের ঈদের চাহিদার কথা
চিন্তা করে নতুন একটি সেলাই মেশিন কেনার চিন্তা করতে পারে। মুদির দোকানেই
তার দোকানে ফিশ থাকা সত্ত্বেও আরেকটি ফ্রিজ কেনার সিদ্ধান্ত নিতে পারে। এ
জন্য দোকানীকে নতুন মেশিন ক্রয় বাবদ কত ব্যয় হবে, কারবারের আয় তাতে
করে কত বাড়বে ইত্যাদি প্রাক্কলন করে মূলধন বাজেটিং প্রয়োগ করে
সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে।
আরো পড়ুন: মোবাইল ফোনের মৌলিক ধারণা ও কার্যপ্রণালী কি কি
পণ্য বৈচিত্র্যায়ন: কোম্পানি তার ব্যবসার সম্পর্শনের জন্য চলমান পণ্যের পাশাপাশি
নতুন পণ্য বাজারে ছাড়ার প্রয়োজন হতে পারে। উদাহরণ স্বরূপ কোন
কোম্পানি পণ্য বৈচিত্র্যায়নের জন্য আমের জুসের পাশাপাশি কমলার জুস বা
আপেলের জুস বাজারে ছাড়ার চিন্তা করতে পারে। নতুন পণ্য বাজারে ছাড়ার
ক্ষেত্রে নতুন পণ্যের আয়ু-কাল, পন্যের উৎপাদন খরচ, বাজার চাহিদা,
পরিচালনা এবং সম্ভাব্য আয় প্রাক্কলন করে সিদ্ধান্ত নিতে হয়।
এক্ষেত্রে মূলধন বাজেটিং- এর প্রয়োগ লক্ষ্য করা যায়।
প্রতিস্থাপন ও আধুনিকায়ন: ব্যবসার উৎপাদন পদ্ধতির প্রতিস্থাপন ও আধুনিকায়নের প্রয়োজন
হয়। উদাহরণস্বরূপ, দর্জির দোকানি পা চালিত সেলাই মেশিনের
পরিবর্তে বিদ্যুৎ চালিত সেলাই মেশিন কেনার সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
অন্যদিকে চুল কাটার সেলুনের মালিক তার দোকানে ভেতরে সাজসজ্জা পরিবর্তন
করে এসি সেলুন বানানো সিদ্ধান্ত নিতে পারে। এক্ষেত্রে প্রধান উদ্দেশ্য
হচ্ছে উৎপাদন খরচ কমানো এবং এর মাধ্যমে ব্যবসার লাভ বৃদ্ধি করা।
এক্ষেত্রে কোম্পানির পুরাতন উৎপাদন পদ্ধতির সাথে নতুন পদ্ধতির তুলনা
প্রয়োজন হয়। উভয় পদ্ধতিতে কোম্পানি আয়, পরিচালনা ব্যয়,
আয়ুকাল ইত্যাদি হিসাব করে নির্ধারণ করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে
হয়। উৎপাদন পদ্ধতির প্রতিস্থাপন ও আধুনিকায়নে মূলধন বাজেটিং এর
প্রয়োগ লক্ষ্য করা যায়।
মূলধন বাজেটিং-এর প্রক্রিয়া কি কি
দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত গ্রহণে মূলধন বাজেটিং এর কিছু প্রয়োগের প্রক্রিয়া রয়েছে
- নগদ প্রবাহ প্রাক্কলন
- বাট্টা হার নির্ধারণ
- মূলধন বাজেটিং পদ্ধতি নির্বাচন ও প্রয়োগ
নগদ প্রবাহ প্রাক্কলন:যেকোনো দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত যেমন: স্থায়ী সম্পত্তিক ক্রয়
ব্যবসা সম্প্রসারণ উৎপাদন পদ্ধতির যান্ত্রিকীকরণে এবং অন্যান্য
সিদ্ধান্তের সাথে নগদ প্রবাহ জড়িত। মূলধন বাজেটিং প্রক্রিয়া প্রয়োগের
প্রথম ধাপ হচ্ছে নগদে অন্ত প্রবাহ ও বইপ্রবাহ ওপ্রাক্কলন করা।
প্রতিষ্ঠানে নগদ প্রবাহ করতে প্রতিষ্ঠানকে বিক্রয় পূর্বানুমান, চলতি
খরচ পূর্বানুমান, মূলধনী ব্যয় এবং অন্যান্য ব্যয় নির্ধারণ করতে
হবে। বিক্রয় থেকে প্রতিষ্ঠানের নগদ অন্ত প্রবাহ ঘটে এবং চলতি খরচ মূলধনী
ব্যয় এবং অন্যান্য খরচ পূর্বায়মান থেকে নগদ বহিঃ প্রবাহ ঘটে। একটি
প্রতিষ্ঠানের চলতি খরচ এবং স্থায়ী খরচ মিলে মোট খরচ হয়। চলতি খরচ বলতে
কাঁচামাল ক্রয় বাবদ খরচ, কর্মচারীদের বেতন এবং অন্যান্য পরিচালনা খরচ
এবং স্থায়ী খরচ বলতে অফিস ভাড়া, বীমা খরচ, অবচয় সহ অন্যান্য
খরচকে বুঝানো হয়। বিক্রয় অনুমানের মত প্রত্যেক চলতি খরচ এবং স্থায়ী
খরচ পূর্ব অনুমানে অতি সাবধানতা অবলম্বন করতে হয়। কোন কারণে এসব খরচ
অনুমানে ভুল হলে মূলধন বাজেটিং ভুল সিদ্ধান্ত দিতে পারে, যে কারণে
প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
বাট্টা হার নির্ধারণ
:নগদ প্রবাহ নির্ধারণ করার পর সেগুলোকে নগদ মূল্য করার জন্য বাট্টা হার প্রয়োজন হয়। অর্থের সময় ভবিষ্যৎ বছরগুলোতে আগত
নগদ প্রবাহের পরিমাণ সমান হলে সেগুলোর বর্তমান মূল্য সমান হয় না।
অর্থের সময় মূল্য অনুযায়ী নগদ প্রবাহ যত দেরিতে পাওয়া যায়, সেটির
বর্তমান মূল্য তত কম। বিনিয়োগ সুযোগ বা প্রকল্প থেকে যেহেতু বেশ কয়েক
বছর ধরে নগদ প্রবাহ পাওয়া যায়, সেহেতু মূলধন বাজেটিং এর মাধ্যমে সঠিক
বিনিয়োগ সুযোগ নিতে হলে ভবিষ্যতে আগত নগদ প্রবাহ গুলোর বর্তমান মূল্য
নির্ণয় করতে হয়। বাট্টা করন প্রক্রিয়ায় ভবিষ্যতের
নগদ প্রবাহ কে বর্তমান মূল্য রুপান্তরিত করা হয়। এ
কারণে বাট্টা হাড়ের প্রয়োজন হয়।
মূলধন বাজেটিং পদ্ধতি নির্বাচন ও প্রয়োগ:নগদ পূর্ব প্রাক্কলন বাট্টা ধার নির্ণয়ের পর মূলধন বাজেটিং পদ্ধতি নির্বাচন করতে
হয়। বিনিয়োগ সুযোগ বা প্রকল্প মূল্যায়নের জন্য মূলধন বাজেটিং এর
বিভিন্ন পদ্ধতি রয়েছে। প্রত্যেকটি পদ্ধতি সমানভাবে গ্রহণযোগ্যতা পায়নি
প্রত্যেকটি পদ্ধতির কিছু সুবিধা অসুবিধা রয়েছে। বিনিয়োগ সুযোগ বা
প্রকল্পের ধরন, ঝুঁকি এবং অন্যান্য বিষয় বিবেচনা করে সঠিক পদ্ধতি
নির্বাচন করতে হয়।
প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগের সিদ্ধান্তের সঠিক দিক নির্দেশনা দেওয়ার ক্ষেত্রে মূলধন বাজেটিং এর বিভিন্ন পদ্ধতির প্রচলিত আছে। প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্যের সাথে সংগতিপূর্ণ এবং সার্বিকভাবে লাভজনক বিনিয়োগ বা প্রকল্প নির্বাচন করায় মূলধন বাজেটিং পদ্ধতি সমূহের কাজ ।মূলধন বাজেটিং এর পদ্ধতিসমূহ নিম্নরূপ।
- গড় মুনাফার হার পদ্ধতি
- পে-ব্যাক সময় পদ্ধতি
- নিট বর্তমান মূল্য পদ্ধতি
- অভ্যন্তরেও মুনাফা হার পদ্ধতি
উপসংহার
ব্যবসায় দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা এবং মূলধন বিনিয়োগ এর সঠিক সিদ্ধান্ত যদি আমরা সঠিকভাবে না নিতে পারি সে ক্ষেত্রে ব্যবসায় ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা সবচাইতে বেশি। সেক্ষেত্রে আমাদের ব্যবসা পরিচালনা শুরু করার পূর্বেই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্য একটি দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা এবং মূলধন বিনিয়োগের সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এবং সেটি যেন দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগ করা যায় আর দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে এর সঠিক সিদ্ধান্ত আমাদের জানা উচিত।
No comments:
Post a Comment