শেয়ার মার্কেটে বিনিয়োগের সুবিধা অসুবিধা কি
কোম্পানির ইসুকিত শেয়ার বোন ও ডিবেঞ্চার অর্থায়নে দীর্ঘমেয়াদি উৎস এবং একই সাথে বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি বিনিয়োগ পদ্ধতি। বিনিয়োগের উৎস হিসেবে ব্যবহৃত এসব পদ্ধতির প্রত্যেকটির নিজস্ব বৈশিষ্ট্য, সুবিধা এবং অসুবিধা আছে। এসব বিনিয়োগ পদ্ধতি থেকে বিনিয়োগকারীদের প্রত্যাশিত আয় এবং ঝুঁকিতে ভিন্নতা থাকে ।ফলে একজন বিনিয়োগকারীকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে প্রত্যেকটি পদ্ধতির বিভিন্ন দিক সম্পর্কে বিস্তারিত জানা দরকার
পেজ সূচিপত্র: শেয়ার মার্কেটে বিনিয়োগের সুবিধা ও অসুবিধা কি
- ভূমিকা
- সাধারণ শেয়ার বলতে কী বোঝায়
- শেয়ার মার্কেটে বিনিয়োগকারী সুবিধা কি
- শেয়ার মার্কেটে বিনিয়োগকারী অসুবিধা কি কি
- শেয়ার মার্কেট বা শেয়ারে বিনিয়োগকারীর অগ্রাধিকার
- অগ্রাধিকার শেয়ারে কিছু সুবিধা ও অসুবিধা
- বিলম্বিত শেয়ার বলতে কি বুঝায়
- রাইট শেয়ার বলতে কি বুঝায়
- শেয়ার মার্কেটে বোনাস শেয়ার কি
- বন্ড কি এর সুবিধা এবং অসুবিধা কি
- বাংলাদেশের শেয়ার বাজার ও অর্থনীতির অবস্থা
- শেয়ার মার্কেটে বা শেয়ারে বিনিয়োগের পদ্ধতি
- উপসংহার
ভূমিকা
অর্থায়নের উৎস হিসেবে কোম্পানির ইস্যুকৃত সাধারণ শেয়ার, অগ্রাধিকার শেয়ার, বন্ড ও ডিবেঞ্চার বিনিয়োগকারীদের জন্য বিনিয়োগের খাত হিসেবে বিবেচিত হয়। একজন বিনিয়োগকারী বিভিন্ন খাতে তার অর্থ বিনিয়োগ করতে পারে। মনে করো তোমার বাবার দশ লক্ষ টাকা আছে। এই দশ লক্ষ টাকা তিনি ইচ্ছা করলে কোন ব্যাংকে স্থায়ী আমানত হিসেবে রাখতে পারে অথবা তিনি উক্ত টাকা দিয়ে কোন কোম্পানি কর্তৃক ইসুকৃত শেয়ার, অগ্রাধিকার শেয়ার, বন্ড এবংডিবেঞ্চার এদের যেকোনো এক বা একাধিক ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করতে পারে। বিনিয়োগের খাত হিসেবে এদের প্রত্যেকটির নিজস্ব স্বীকৃয়তা রয়েছে। এদের প্রতিটি থেকে বিনিয়োগকারীর আয় এবং ঝুঁকিতে ভিন্নতা রয়েছে।
সাধারণ শেয়ার বলতে কী বোঝায়
সাধারণ শেয়ার বলতে আমরা বুঝি বড় অংকের মোট মূলধনকে ছোট ছোট খন্ডে বিভক্ত করে শেয়ার হিসেবে বিক্রয় করা হয়। সরকারের অনুমতি নিয়ে ন্যূনতম মূলধন সংগ্রহে পর সংবাদপত্রের মাধ্যমে বিবরণ পত্র ছাপিয়ে কোম্পানিটি সম্পর্কে একটি ধারণা দিয়ে জনগণের নিকট শেয়ার পায়ের আবেদন চাওয়া হয়। অনেক আবেদন করলে লটারির মাধ্যমে শেয়ার বন্ধন করা হয়। ফলে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীর রাও সে আর কিনে বিনিয়োগে অংশগ্রহণ করতে পারে। এরাই প্রকৃতপক্ষে কোম্পানির মালিক।
প্রতিষ্ঠানের অর্জিত মুনাফা লাভাংশ হিসেবে শেয়ার হোল্ডারদের মধ্যে বন্টিত হয়। তারুল্যের প্রয়োজন পড়লে শেয়ার করলে রাজ সেকেন্ডারি মার্কেট যেমন( ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ) শেয়ার বিক্রয় করতে পারে এবং সেখানে মূল্যবৃদ্ধি পেলে তাদের লাভ হয়। সাধারণত লাভজন ক কোম্পানির ক্ষেত্রে শেয়ার হলো রানী নিয়মিত লাভাংশ পেয়ে থাকে। তবে লাভাংশ প্রদানের কোন নির্দিষ্ট হাড় পূর্ব নির্ধারিত থাকে না।
কোম্পানির জন্য প্রদান করা বাধ্যতামূলক নয়। মুনাফা না হলে লাভাংশ প্রদান করা হয় না। মুনাফা হলেও সম্পূর্ণ অংকের মুনাফা লাভাংশ হিসেবে বন্টন করা হয় না। কোম্পানি ইচ্ছে করলে যেকোনো হারে লাভাংশ প্রদান করতে পারে, আবার লাভাংশ নাও প্রদান করতে পারে। তবে সে ক্ষেত্রে শেয়ার হোল্ডারদের কাঙ্খিত পরিমাণ লাভাংশ প্রদান করতে না পারলে সেকেন্ডারি মার্কেটে শেয়ার মূল্য হাঁস প্রায়, যা কোম্পানির জন্য ভালো নয়। বিনোদকারীদের জন্য শেয়ার ক্রয় ঝুঁকিপূর্ণ বিনিয়োগ।
শেয়ার ইসুকারী কোম্পানি সব সময় শেয়ার মালিকদের লাভাংশ দিতে বাধ্য থাকে না। কোন বছর কোম্পানি পর্যাপ্ত মুনাফা করতে না পারলে শেয়ার মালিকদের কোন লাভা দেওয়া হয় না। আবার কোম্পানির অবসানকালে সম্পত্তি বিক্রি হতে প্রাপ্ত অর্থ থেকে সকল পাওনাদার এবং অগ্রাধিকার মালিকদের দাবি মেটানোর পর সাধারণ শেয়ার মালিকদের দাবি মেটানো হয়।
শেয়ার মার্কেটে বিনিয়োগকারী সুবিধা কি
শেয়ার মার্কেটে বিনিয়োগকারীদের কিছু সুবিধা ও অসুবিধা রয়েছে শেয়ার মার্কেটে বিনিয়োগকারীর সুবিধাগুলো
অধিক আয়: বুঝে শুনে বিনিয়োগ করলে সাধারণ শেয়ার একজন বিনিয়োগকারীর জন্য ভালো আয়ের উৎস হতে পারে। বিনিয়োগের অন্যান্য হাতিয়ার যেমন: অগ্রাধিকার শেয়ার, বন্ড ও ডিভেঞ্চার থেকে বিনিয়োগকারীর প্রাপ্ত আয় নির্দিষ্ট থাকে। কিন্তু সাধারণ শেয়ার থেকে আয় নির্দিষ্ট থাকে না ফলে কোম্পানি অধিক আয় করলে বিনিয়োগকারীদের প্রাপ্ত আয় বৃদ্ধি পায়
সীমাবদ্ধ দায়: সাধারণ শেয়ার মালিকরা যৌথভাবে কোম্পানি ঝুঁকি বহন করে। কোন অবস্থাতেই একজন বিনিয়োগকারীর ঝুঁকি তার বিনিয়োগকৃত অর্থের অধিক হয় না। উদাহরণস্বরূপ, মনে করো একজন বিনিয়োগকারী কোন কোম্পানির ১০ টাকা মূল্যের ১০০ টি শেয়ার করেন, ফলে তার দায় সর্বোচ্চ ১০ গুণ ১০০=১০,০০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে
তারল্য: সাধারণ শেয়ার বিনিয়োগকারীর কাছে তরল সম্পদ হিসেবে সমাদৃত । বিনিয়োগ কারীর যেকোনো সময় ইচ্ছা করলে তার ধারণকৃত শেয়ার বিক্রি করে নগদ টাকা সংগ্রহ করতে পারে। তবে সব কোম্পানির শেয়ার এর তরুলতা এক হয় না। বড় এবং ভালো কোম্পানির স শেয়োর তারল্য অন্য কোম্পানিগুলোর চেয়ে বেশি হয়ে থাকে ।
শেয়ার মার্কেটে বিনিয়োগকারী অসুবিধা কি কি
শেয়ার মার্কেটে ব্যবসার ক্ষেত্রে যথেষ্ট পরিমাণ অসুবিধাও রয়েছে অসুবিধা গুলো নিম্নরূপ
ঝুঁকি: সাধারণ শেয়ারে বিনিয়োগের অপেক্ষা কৃত অধিক ঝুঁকিপূর্ণ। শেয়ার বাজারে অনেক ফটকা বিনিয়োগকারী থাকে, ফলে বুঝে শুনে বিনিয়োগ না করলে ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
মুনাফা ও সম্পত্তি বন্টনে অধিকার: কোম্পানি মুনাফা বন্টনে সবার দায় তথা অগ্রাধিকার শেয়ার, বন্ড ও ঋণপত্র মালিকদের প্রাপ্য আয় পরিষদের পর অবশিষ্ট মুনাফার ওপর সাধারণ শেয়ার মালিকদের অধিকার থাকে। অনুরূপভাবে কোম্পানির অবসানকালে সম্পত্তি বিক্রির প্রাপ্ত অর্থ থেকে কোম্পানির সব দায় পরিশোধ করার পর অবশিষ্ট অর্থ শেয়ার মালিক ভাগাভাগি করে নেয়।, অর্থাৎ উভয়ের ক্ষেত্রেই অগ্রাধিকার শেয়ার, বন্ড ও ঋণপত্র মালিকদের দাবি সাধারণ শেয়ার থেকে মালিকদের থেকে অগ্রপূণ্য হিসেবে বিবেচিত হয়
শেয়ার মার্কেট বা শেয়ারে বিনিয়োগকারীর অগ্রাধিকার
যেসব বিনিয়োগকারী শেয়ারে বিনিয়োগ থেকে নির্দিষ্ট হারে আয় প্রত্যাশা করে, তাদের জন্য অগ্রাধিকার শেয়ার একটি ভালো বিনিয়োগের হাতিয়ার হিসেবে বিবেচিত হয়।ে তবে আমাদের দেশে অগ্রাধিকার শেয়ারের সংখ্যা খুব বেশি দেখা যায় না। সাধারণ শেয়ারের নেয় অগ্রাধিকার শেয়ারে নিজস্ব কিছু স্বীকৃয়তা ও বৈশিষ্ট্য রয়েছে
মালিকানা: অগ্রাধিকার শেয়ার মালিকদের কোম্পানির পুরোপুরি মালিক বলা হয় না। তাদেরকে সাধারণ শেয়ার মালিক এবং বন্ড ও ঋণপত্র মালিকদের মাঝামাঝি অবস্থানে বিবেচনা করা হয়।
রূপান্তর যোগ্যতা: অনেক অগ্রাধিকার শেয়ার একটি নির্দিষ্ট সময়ে পর সাধারণ শেয়ারে রূপান্তরত করার বিকল্প সুযোগ থাকে। ফলে বিনিয়োগকারী ইচ্ছে করলে এই সুযোগ ব্যবহার করে সাধারণ শেয়ার মালিক হতে পারে।
অগ্রাধিকার শেয়ারে কিছু সুবিধা ও অসুবিধা
সুবিধা
নির্দিষ্ট হারে আয়: অগ্রাধিকার শেয়ারে মালিকরা নির্দিষ্ট হারে লাল মাংস পায়। তাহলে শেয়ার মালিকদের আয়ের অনিশ্চয়তা কমে থাকে।
মুনাফা আয়ের উপর অগ্রাধিকার: রাবাংস প্রদানে অগ্রাধিকার শেয়ারে মালিকরা
সাধারণশিয়ার মালিকদের লাভাংশ প্রদানের আগে অগ্রাধিকার পায়।
সম্পদের উপর দাবি: কম্পানির অবসান বা বিলুপ্ত সময়ে সম্পদের উপর
অগ্রাধিকার শেয়ার মালিকদের দাবি সাধারণ শেয়ার মালিকদের দাবি পূর্বে বিবেচনা করা
হয়। তবে অবশ্যই ঋণপত্র মালিকদের দাবির পর তাদের দাবি পূরণ করা হয়।
অসুবিধা
নিয়ন্ত্রণ: অগ্রাধিকার মালিকদের কোন ভোটার আধিকার থাকে না। ফলে
অগ্রাধিকার শেয়ার মালিকদের কোম্পানির ওপর কোন নিয়ন্ত্রণ থাকেনা।
সীমিত আয়: অগ্রাধিকার মালিকদের আয় এর হার নির্দিষ্ট থাকে। ফলে
কোম্পানি অতিরিক্ত মুনাফা করলেও অগ্রাধিকার শেয়ার মালিকরা এর কোন অংশ পায়
না।
বিলম্বিত শেয়ার বলতে কি বুঝায়
যে শেয়ার ক্রয় করলে শেয়ার মালিকগণ অন্যান্য সকল প্রকার শেয়ার মালিকদের লাভাংশ কর্তনের পর অনুপাতিক হারে লাভাংশ পায় অর্থাৎ বিলম্বে লাভাংশ পেয়ে থাকে তাকে বিলম্বিত শেয়ার বলে। কোম্পানি অবসারণ এর ক্ষেত্রে এই শেয়ার হোল্ডারদের দাবি সকলের পরে মিটানো হয়। সাধারণত কোম্পানির প্রবর্তক গন সে আর ক্রয় করে থাকে তাই এই ধরনের শেয়ারকে প্রবর্তক কে শেয়ার বলে অভিহিত করা হয়
রাইট শেয়ার বলতে কি বুঝায়
কোম্পানি গঠনের পরবর্তী সময়ে শেয়ার বিক্রয় করার ক্ষেত্রে যখন পুরাতন শেয়ার মালিক এই শেয়ার ক্রয় অগ্রাধিকার পেয়ে থাকে তাকে রাইট শেয়ার বলে। অর্থাৎ পরবর্তী সময়ে কোম্পানির মূলধন সংগ্রহের প্রয়োজনে শেয়ার বিক্রি করা হলে পুরাতন শেয়ার মালিকগণ যখন ওই সেয়ার পয়েন্ট অধিকার সংরক্ষণ করেন তখন ওই বিক্রয় যোগ্য শেয়ারকে রাইট শেয়ার হয়ে থাকে
শেয়ার মার্কেটে বোনাস শেয়ার কি
শেয়ার মার্কেটে বোনাস শেয়ার বলতে আমরা বুঝি কোন কোম্পানির অবন্টিত মুনাফা যখন সিয়ার মালিকদের মধ্যে লাবাংস হিসেবে বন্টন না করে অবন্টিত মুনাফা শেয়ারে রূপান্তরিত করে পুরাতন শেয়ার মালিকদের মধ্যে অনুপাতিক হারে বন্টন করা হয় তখন ওই ধরনের শেয়ারকে শেয়ার বলে।
বন্ড কি এর সুবিধা এবং অসুবিধা কি
বিনোদকারীদের জন্য বিনিয়োগের আরেকটি হাতিয়ার হচ্ছে বন্ড। পূর্বেই জেনেছি যে দলিল বা চুক্তিপত্রের মাধ্যমে কোম্পানি বিনিয়োগকারীদের থেকে ঋণ মূলধন সংস্থান করে সেটিকে বন বলা হয়। দেশে অধিকাংশ কোম্পানি ব্যাংক বা অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নিয়ে ঋণ মূলধনের সংস্থান করে। ফলে বিনিয়োগকারী হাতিয়ার হিসেবে বন্ড এখনো আমাদের দেশে খুব বেশি পরিচিত পাইনি।
বন্ডের সুবিধা
সুদের হার: সুদের হার নির্দিষ্ট থাকে বিধায় বন্ধে বিনিয়োগকারীদের আয় নির্দিষ্ট থাকে। ফলে তাদের কম থাকে। তবে কোন কোন সময় সুদের হার পরিবর্তনশীল হতে পারে।
মুনাফা এবং সম্পদের উপর অধিকার:কোম্পানি কর্তৃক অর্জিত আয় থেকে সর্বোত্তম বন্ড মালিকদের সুদ প্রদান করা হয়। অন্যদিকে কোম্পানি বিলুপ্ত বা অবসানকালে সম্পদ বিক্রির প্রাপ্ত থেকে সর্ব প্রথম বন্ড মালিকদের পাওনা টাকা পরিশোধ করে অন্যদের দাবি পূরণ করা হয় অর্থাৎ বন মালিকদের দাবি তাদের সাধারণ এবং অগ্রাধিকার শেয়ার মালিকদের দাবি থেকে অগ্রগণ্য হিসেবে বিবেচিত হয়
ঝুঁকি কম: বন্ড এর বিপরীতে স্থায়ী বা অন্যান্য সম্পত্তি যেমন হিসেবে
রাখা হয় বিধায় বন বিনিয়োগকারীদের ঝুঁকি হাঁস পায়।
বন্ডের অসুবিধা
কম আয় হার: সাধারণ শেয়ার এবং অগ্রাধিকার শেয়ার এর তুলনায় কম যোগিপূর্ণ বিধায় বন মালিকদের কম হয়।
নিয়ন্ত্রণ: ন্যায় বনমালীদের ভোটাধিকার থাকে না বিধায় বর্ণ মালিকরা
কোম্পানি নিয়ন্ত্রণে অংশগ্রহণ করতে পারে না।
বাংলাদেশের শেয়ার বাজার ও অর্থনীতির অবস্থা
যেকোনো দেশের অর্থনীতিতে শেয়ার বাজার মূলধন সংগ্রহের বাজার হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এজন্য সাধারণ জনগণ বা বিনিয়োগকারীর প্রত্যাশা থাকে শেয়ারবাজার যেন সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হয়। সময়ের সাথে বিভিন্ন পরিবর্তনের মাধ্যমে বাংলাদেশের শেয়ার বাজার ক্রমশ উন্নত সাধন করছে। শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ একটি ঝুঁকিপূর্ণ বিনিয়োগ। অতএব শেয়ার বাজার বিনিয়োগ সম্পর্কে সঠিক ধারণা না থাকলে বিনিয়োগ করা উচিত নয়। এতে লাভের সাথে সাথে ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
শেয়ার বাজারে বিনিয়োগের পূর্বে কোম্পানিগুলোর বার্ষিক আর্থিক বিবরণী সংগ্রহ করে কোম্পানি বিভিন্ন তথ্য যেমন শেয়ারের প্রতি আয় ,ব্যবসায় ধরন, কোম্পানির ব্যবস্থাপনা, নিট সম্পদমূল্যসহ অন্যান্য আর্থিক তথ্যাদি বিশ্লেষণ করা প্রয়োজন। কোম্পানিগুলোর পাশাপাশি শিল্প খাত এবং দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা সম্পর্কে পর্যাপ্ত জ্ঞান সংগ্রহ করে বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত নিতে হয়। প্রয়োজনে বাজার বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া যায়। তবে কোন অবস্থাতেই গুজবের মাধ্যমে পাওয়া তথ্য থেকে বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত নয়।
শেয়ার ইস্যুকারি কোম্পানি এবং বিনিয়োগকারীদের শেয়ার ক্রয় বিক্রয় সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য সুপ্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজন হয়। এরূপ প্রতিষ্ঠানকে স্টক এক্সচেঞ্জ বলা হয়। প্রতিষ্ঠান সাধারণ জনগণ বা প্রতিষ্ঠান থেকে কোম্পানিকে তহবিল সংস্থানের সাহায্য করে এবং বিনিয়োগকারীদের জন্য শেয়ার ক্রয়-বিক্রয়ের একটি নির্দিষ্ট স্থানের ব্যবস্থা করে। বাংলাদেশের দুটি স্টক এক্সচেঞ্জ রয়েছে।
- ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ লিমিটেড
- চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ লিমিটেড
উল্লেখিত দুটি এক্সচেঞ্জ বিভিন্ন কোম্পানির, সাধারণ শেয়ার, মিউচুয়াল ফান্ড,
ডিবেঞ্চার এবং বন্ড ইত্যাদি ক্রয় বিক্রয় হয়। বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ
সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুবিধার্থে স্টক এক্সচেঞ্জ তালিকাভুক্ত কোম্পানির শেয়ারগুলোকে
এ, বি, জি ,এন এবং জেড ইত্যাদি শ্রেণীতে বিভক্ত করা হয়েছে
শেয়ার মার্কেটে বা শেয়ারে বিনিয়োগের পদ্ধতি
- প্রাথমিক বাজারের মাধ্যমে
- সেকেন্ডারি বাজারের মাধ্যমে
উপসংহার
শেয়ার মার্কেটে বিনিয়োগের সুবিধা ও অসুবিধা নিয়ে আলোচনা করলাম। শেয়ার বাজারে নানা রকম শ্রেণীবিভাগ রয়েছে, সাধারণ শেয়ার, অগ্রাধিকার শেয়ার, বিলম্বিত শেয়ার, রাইট শেয়ার, বোনাস শেয়ার বন্ড, ডিবেঞ্জার, বিনিয়োগকারী এবং এগুলোর সবগুলোর সুবিধা অসুবিধা রয়েছে ।
No comments:
Post a Comment