বসন্ত রোগের ঔষধের নাম এবং লক্ষন কি - M.A IT FIRM

বসন্ত রোগের ঔষধের নাম এবং লক্ষন কি

 বসন্ত রোগের ঔষধের নাম এবং লক্ষন কি 

শীতকাল শেষের দিকে বসন্তের আগমনে বাংলাদেশ জল ও গুটি বসন্ত নামক এই দুটি বসন্ত আর আবির্ভাব হয় জল ও গুটি বসন্ত একসময় দেখা গেল বর্তমানে গুটি বসন্ত খুব কম দেখা যায়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মধ্যে গুটি বসন্ত আজ থেকে প্রায় চার দশক আগে একেবারে নির্মূল হয়ে গিয়েছে। তবে এখনো জল বসন্ত বা চিকেন পক্স নামক এই রোগটি দেখা যায়, বসন্ত ছাড়াও এই রোগটি দেখা যায় অন্যান্য সময়ের হিসেবে প্রতি নগণ্য। 


জলবসন্ত রোগটি জীবনহানিকারক বা মারাত্মক কোন রোগ নয় এটি শিশু বৃদ্ধা মধ্যবয়সী বা সব বয়সী মানুষেরই হতে পারে তবে শিশুদের ক্ষেত্রে এটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যায়। একবার যদি কারো জল বসন্ত হয় তার শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সৃষ্টি হয়। কিন্তু যদি পরবর্তীতে আবারও জল বসন্ত রোগ দেখা দেয় তবে হারপিজ জোস্টার নামে আরেকটি রোগ শরীরে হতে পারে।

পোষ্ট সূচিপত্র: বসন্ত রোগের ঔষধের নাম এবং লক্ষন কি

  • ভূমিকা
  • বসন্ত রোগে কি কি ওষুধ বা টিকা দেওয়া হয়
  • বসন্ত রোগ হলে কি কি খাওয়া নিষেধ
  • বসন্ত রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার
  • বসন্ত রোগের টিকা আবিষ্কার করেন কে
  • উপসংহার

ভূমিকা

বসন্ত বা জন বসন্ত ও গুটি বসন্ত এই রোগ গুলো সাধারণত ছোঁয়াচে রোগ। বসন্ত রোগীর কারো সংস্পর্শে গেলে এই রোগ ছড়াতে পারে। বা বসন্ত রোগীর হাসি-কাঁচি থেকেও এই রোগ ছড়াতে পারে। বসন্ত রোগীর গায়ে ফুসকুড়ি মতো যে ফোসকা পড়ে বা গুটি হয় এগুলো শুকিয়ে চামড়া বাতাসে প্রবাহিত হয়ে অন্যের শরীরে সংস্পর্শ করলে ওই ব্যক্তির বসন্ত রোগ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বর্তমানে যদিও গুটি বসন্ত নেই তবে জল বসন্ত প্রবাহমান। জল বসন্তকে অনেকেই চিকেন পক্স বলে চিনেন। জল বসন্ত রোগটি সাধারণত একটি ভাইরাস জনিত রোগ তাই এই রোগের কোন সঠিক চিকিৎসা নেই সে ক্ষেত্রে সচেতনামূলকভাবে চলাফেরা করা এ রোগের একটি ওষুধ হিসেবে কাজ করে তবে যদি এর তীব্রতা অতিরিক্ত হারে বৃদ্ধি পায় যেমন অতিরিক্ত জ্বর হলে জ্বরের কিছু ওষুধ বা চুলকানি হলে চুলকানির ওষুধ এগুলো ব্যবহার করা হয়ে থাকে।


বসন্ত রোগে কি কি ওষুধ বা টিকা দেওয়া হয়

বসন্ত রোগে কি কি ওষুধ বা টিকা দেওয়া হয়
জল বসন্ত বা চিকেন পক্স এর নির্দিষ্ট কোন ওষুধ নেই। এটি দেখা দিলে এর কিছু লক্ষণ রয়েছে এই লক্ষণ অনুযায়ী কিছু ওষুধ ব্যবহার করা হয়ে থাকে যেমন অতিরিক্ত জ্বর হওয়া, শরীরে চুলকানি শরীর গরম হওয়া সাধারণত জল বসন্ত বা চিকেন পক্স হলে জ্বর অতিরিক্ত হলে যখন বেড়ে যায় জ্বরের ওষুধ অথবা চুলকানির ওষুধ ব্যবহার করা হয়ে থাকে কিন্তু বাচ্চাদের ক্ষেত্রে জন বসন্ত বা চিকেন পক্সের দুইটি টিকা রয়েছে।


এই টিকা গুলো বাচ্চাদের সময়মতো দিয়ে দিতে হয় তাহলে ভবিষ্যতে জল বসন্ত বা চিকেন পক্স হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম থাকে। জল বসন্ত বা চিকেন পক হলে বাচ্চাদের যে সময়ে টিকাগুলো দিতে হয় তাহলে প্রথম রোস্ট দিতে হয় বাচ্চার বয়স যখন ১৫ মাস হবে সেই সময়ে এবং দ্বিতীয় টিকা টি দিতে হয় 18 থেকে 21 মাসের মধ্যে এই টিকা দুটি আপনার বাচ্চাকে যদি দেওয়া থাকে তাহলে জল বসন্ত বা চিকেন পক্স হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম রয়েছে তবে নিজের সাবধানতা অবলম্বন করাও জরুরি।কেননা আগেই বলা হয়েছে জল বসন্ত বা চিকেন পক্স একটি ছোয়াচে রোগ

বসন্ত রোগ হলে কি কি খাওয়া নিষেধ

বসন্তের আরামদক আবহাওয়ায় নানান রকম রোগ সৃষ্টি হয় আর এই সময়েই জলবসন্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবুও এ রোগের লক্ষণ দিলে রোগীকে সচেতন হওয়া উচিত।জল বসন্ত বা চিকেন পক্স হলে কিছু কিছু খাবার খাওয়া বারণ রয়েছে। এ খাবারগুলো না খাওয়াই উচিত যেমন প্রোটিন যুক্ত খাবার অতিরিক্ত ঝাল বা অতিরিক্ত মসলাযুক্ত খাবার খেলে জ্বালাপোড়া হওয়ার সম্ভাবনা বেশি রয়েছে। তবে জল বসন্ত বা চিকেন পক্স দেখা দিলে বা এ রোগে কেউ সংক্রামিত ব্যক্তি যদি সঠিকভাবে খাওয়া-দাওয়া না করে তবে তার আরো ক্ষতি হতে পারে যেমন শরীর দুর্বল হয়ে যেতে পারে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যেতে পারে। তাই এই রোগ দেখা দিলে সঠিক ভাবে খাবার খেতে হবে এবং যে খাবারগুলো খেলে শরীরে এ রোগের সংক্রমণ বৃদ্ধি পাবে এই খাবারগুলো থেকে বিরত থাকতে হবে যেমন খাবারগুলো হচ্ছে

 

আরো পড়ুন: মিষ্টি খাওয়ার উপকারিতা - সকালে খালি পেটে মিষ্টি খেলে কি হয়

চর্বিযুক্ত খাবার: বসন্ত বা জল বসন্ত এবং চিকেন পক্স রোগীকে চর্বিযুক্ত খাবার হতে বিরত থাকতে হবে চর্বিযুক্ত খাবার রোগীর জন্য মারাত্মক হতে পারে। যেমন অতিরিক্ত ঝাল অতিরিক্ত মসলা দিয়ে এসব খাবার বা যেসব খাবার চর্বি রয়েছ। এ রোগে রোগীর মুখে বা যেভাবে ঘা সৃষ্টি হতে পারে এ কারণে এ জাতীয় খাবার গুলো থেকে বিরত থাকতে হবে

অতিরিক্ত লবণ: অতিরিক্ত লবণ বা লবণ না খাওয়াই উচিত বসন্ত রোগ দেখা দিলে লবণ খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে কেননা লবণ মুখের ঘা বৃদ্ধি পেতে পারে।

লেবু জাতীয় খাবার: লেবু জাতীয় বা টক জাতীয় খাবার খাওয়া এ রোগের জন্য খুবই ক্ষতিকারক: লেবুতে থাকা অ্যান্টিঅক্সাইডেড বা লেবুর মত টক জাতীয় খাবারের যে এনটি এক্সাইটেড এসিড রয়েছে এটি ফুসকুড়ি বা চুলকানিতে ব্যাপক পরিমাণ ক্ষতি সাধন করে থাকে।

বসন্ত রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার

বসন্ত রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার
জল বসন্ত বা চিকেন পক্স এই ভাইরাসটি শরীরে ঢোকার ১০ থেকে ১২ দিনের মধ্যে এর লক্ষণ বোঝা যায়। জল বসন্ত বা চিকেন পক্স শরীরে দেখা দিলে প্রথমে হাসির মতো গুটি তৈরি হয় এবং পরে এটি ধীরে ধীরে ফুসকোরিতে পরিণত হয়। এই সংক্রমণ শরীরে তৈরি হওয়ার দুই থেকে চার দিন আগে থেকেই শরীরে ব্যথা অনুভব করে জ্বর আসে এবং পেটে ব্যথা হতে পারে। শরীরে হয়ে ওটা ফুসকুড়িগুলো লালচে রং ধারণ করে এবংপরবর্তীতে এগুলো সুখ পানি শুকিয়ে কালো হয়ে যায় সম্ভবত এই রোগ গুলো পনের থেকে এক মাস পর্যন্ত স্থায়িত হয়। এ রোগের প্রতিকার হিসেবে আক্রান্ত ব্যক্তিকে আলাদা রাখতে হবে কেননা তার ছোঁয়াতে অন্য কারো এই রোগ সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এজন্য সম্ভাবনা রয়েছে যে এই রোগটি একটি ছোঁয়াচে রোগ এবং এটা ব্লাড ট্রানজেকশন এর মাধ্যমেও এই রোগ ধরা দিতে পারে সে ক্ষেত্রে আক্রান্ত ব্যক্তিকে আলাদা করে রাখা সবচাইতে ভালো। এ রোগে সংক্রামিত ব্যক্তি যে কোন বয়সের হতে পারে এবং যেকোনো বয়সে তিনি থেকে গ্রহণ করতে পারেন।

 

বসন্ত রোগের টিকা আবিষ্কার করেন কে

বসন্তের শুরুতেই নানান রকম রোগের পাদুর্ভাব দেখা দেয় আর সেই রোগগুলোর মধ্যে বসন্ত একটি বসন্ত রোগের পাদুর্ভাব দুই ছিল এক গুটি বসন্ত এবং অন্যটি ছিল জল বসন্ত বা চিকেন পক্স বর্তমানে গুটি বসন্ত প্রায় ৪ দশক হল পৃথিবী থেকে নিষ্ক্রিয় হয়ে গেছে এই বসন্তের এখন আর দেখা যায় না তবে জল বসন্ত বা চিকেন পক্স এখনো দেখা যায় এই রোগ কোন বয়সের সঙ্গে সমবেদন নয় এটা বাচ্চা শিশুবৃদ্ধা মধ্য বয়সি প্রত্যেকটি ব্যক্তির হতে পারে তবে শিশুদের জন্য এই রোগটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে থাকে। এই এ রোগের টিকার আবিষ্কার করেন এডওয়ার্ড জেনোর (১৭/০৫/১৯৪৯--২৬/০১/১৮২৩) তিনি একজন ইংরেজ চিকিৎসক এবং বৈজ্ঞানিক ছিলেন। তিনিই প্রথম পৃথিবীতে গুটি বসন্তর ভ্যাকসিন তৈরি করেন।

আরো পড়ুন: আনারস খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা কি

উপসংহার

গুটি বসন্ত হোক বা জন বসন্ত অথবা চিকেন পক্স আমরা যে নামেই বলি না কেন। এটি খুবই জীবন হানিকারক কোন রোগ নয় তবে শিশুদের ক্ষেত্রে এটা অনেক সময় ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যায় এরূপ থেকে মুক্ত পেতে হলে আমাদের সর্বদা সচেতন থাকা জরুরী। কেননা এই রোগগুলো ছড়ায় একমাত্র সংস্পর্শের কারণে বসন্ত হওয়া কোন ব্যক্তির সাথে সংস্পর্শে গেলে এ রোগ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এবং এই রোগের রোগীর বসন্ত শুকিয়ে যাওয়ার পরে বা ফোসকা শুকিয়ে যাওয়ার পরে এই অস্কার চামড়াটা বাতাসের সঙ্গে উড়ে অন্য কারো শরীরে গিয়ে যদি পড়ে সে ক্ষেত্রেও এই বসন্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যদিও এই সংক্রমণ যদি কারো হয় একবার তার শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় কিন্তু পরবর্তীতে তার আরো বড় ধরনের রোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

No comments:

Post a Comment