যক্ষা হলে করণীয় কি এবং এর প্রতিকার
যক্ষা বা টিভি নামক এই মারাত্মক রোগটি সঙ্গে আমরা সবাই কমবেশি পরিচিত। যক্ষাকে এক ধরনের ক্ষয় রোগ বলা হয়। ২৪শে মার্চ বিশ্ব যক্ষা দিবস হিসেবে এই দিবসটি পালন করা হয়। একটা সময় মানুষ কথায় কথায় বলতো যার হয় যক্ষা তার কোন নাই রক্ষা কিন্তু বর্তমানে চিকিৎসা ক্ষেত্রে উন্নতির ফলে এই কথাটি ভিত্তিহীন হয়ে গেছে কেননা বর্তমানে যক্ষার সুচিকিৎসার পাওয়ার কারণে অনেক যক্ষা রোগী সুস্থ হয়ে গেছেন।
পূর্বে মানুষের যক্ষা হলে মানুষ নান রকম চিন্তায় পড়ে যেত কেননা তখন যক্ষা রোগের
কোন চিকিৎসার ব্যবস্থা ছিল না না ছিল এই রোগ পরীক্ষা করার মতন কোন ব্যবস্থা। এ
কারণেই যক্ষা রোগীকে বলা হতো যে যক্ষা হলে রক্ষা নাই । তবে বর্তমানে চিকিৎসার
উন্নতির ফলে যক্ষার প্রতিকার ও এই ভাইরাসের প্রতিশোধ হিসেবে অনেক টিকা তৈরি বা
আবিষ্কার করা হয়েছে যার কারণে বর্তমানে যক্ষা হলে এর সুরক্ষা এবং চিকিৎসা
মাধ্যমে নিরাময় করা সম্ভব।
পোস্ট সূচিপত্র: যক্ষা হলে করণীয় কি এবং এর প্রতিকার
- ভূমিকা
- যক্ষা রোগ যেভাবে ছড়ায় ও তার প্রতিকার
- যক্ষার ঝুঁকি কাদের বেশি এবং কি করবেন
- যক্ষা রোগের লক্ষণ সমূহ কি কি
- যক্ষা রোগ দেখা দিলে করণীয় কি
- উপসংহার
ভূমিকা
একসময় যক্ষা রোগ ছিল এক মরণ বাহি রোগ কিন্তু বর্তমানে চিকিৎসা বিদ্যার উন্নতির ফলে এই রোগ অনেক অনেকটা নিয়ন্ত্রণ এসেছে। এই রোগের নানা প্রতিশোধক তৈরি হয়েছে যার কারণে বর্তমানে এই রোগের মৃত্যুর সংখ্যা এবং রোগীর সংখ্যা দিন দিন কমছে। একটা সময় মানুষ ভাবতো এই রোগ বা যার যক্ষ্মা হয়েছে তার সংস্পর্শে অন্য ব্যক্তির যক্ষা হতে পারে এটি সম্পূর্ণ আকারে ভুল। যক্ষা রোগের সংস্পর্শে কখনো আরেক ব্যক্তির রক্ষা হয় না যক্ষা রোগীর হাসি কাশি থেকে এবং যক্ষা রোগের মলত্যাগের মাধ্যমে এই রোগ ছড়ায়।
অতিরিক্ত বৃদ্ধ বা সেচ্ছাবে স্থানে এ রোগের জীবাণু বেশি
ছড়িয়ে থাকে। এই রোগ হওয়ার জন্য কোন বয়স লাগে না যেকোনো বয়সের বা ব্যক্তির এই
রোগ দেখা দিতে পারে তবে এই রোগ এর জীবাণু মানুষের শরীরে প্রবেশ করার কয়েক সপ্তাহ
পর থেকে বা বছর খানেকের মধ্যে এর বিস্তার ঘটে। বিশেষ করে এই রোগটি দরিদ্র
মানুষগুলোর বেশি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এবং কাশি এই রোগের ফুসফুসের মূল লক্ষণ
অনেক সময় প্রাথমিক অবস্থায় যক্ষা কাশি বা কফ এর মাধ্যমে দেখা দিল পরবর্তীতে
একটি বড় ধরনের একটি আকার ধারণ করে এবং রোগীর মূল ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায় তাই
যক্ষা নিরাময়ের জন্য যথেষ্ট সদস্য থাকা আমাদের জন্য অনিবার্য।
আরো পড়ুন: সিফিলিস রোগের লক্ষণ কি কি ও প্রতিকার
যক্ষা রোগ যেভাবে ছড়ায় ও তার প্রতিকার
আমাদের দেশে যক্ষা একটি মারাত্মক সমস্যা এই রোগে পূর্বে অধিকাংশ মানুষই মৃত্যুশয্যায় কেননা তখন এই রোগের তেমন কোন চিকিৎসা ছিল না তাই এই কথার ভিত্তিতে একটি কথার উদ্ভব হয়েছিল যে যার হয়েছে যক্ষা তার নাই র। ক্ষা তবে বর্তমানে চিকিৎসা বিদ্যার উন্নতির কারণে এই কথাটি আর প্রচলিত নেই কেননা বর্তমানে সচেতন এবং সুচিকিৎসার মাধ্যমে এই রোগ নিরাময় করা সম্ভব হচ্ছে। এই রোগটি সাধারণত সোয়াচে রোগ নয় তবুও কিছুটা ছোঁয়াচে রোগের মতোই।
তবে এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি রয়েছে যক্ষা রুগীর সবচাইতে কাছে থাকা মানুষ যেমন তার পরিবারের সদস্যবৃন্দ এবং তাকে চিকিৎসাধীন নার্স যারা তার পাশে সব সময় থাকে কেননা যক্ষা রোগীর রাশি কফ বা শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে যে জীবাণু বের হয় সেটা পার্শ্ববর্তী থাকা ব্যক্তিকে আক্রান্ত করতে পারে। মাইকোব্যাকটেরিয়াল টিউবারকিউলোসিস নামক একটি ব্যক্তির মাধ্যমে এই রোগটি হতে থাকে বা হয়ে থাকে প্রাচীন এই রোগটি যে কোন বয়স এবং যেকোনো ব্যক্তির ক্ষেত্রে হতে পারে।
তবে বর্তমানে এই রোগটি শিশুদের জন্য মারাত্মক হিসেবে গণনা করা হয়েছে। কেননা শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকায় এই রোগটি বা এই রোগের জীবাণু শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নষ্ট করতে সক্ষম হয় এবং এই রোগ ছড়িয়ে পড়ে। পরিবেশ দূষণ অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিক্স ধূমপান ও মাদকাসক্ত ব্যক্তি কে এই রোগ অতিরিক্ত হারে গ্রাস করতে পারে এবং তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকায় তাদের শরীরে এই রোগটি স্থায়ীভাবে বসবাস করতে পারে এবং আক্রান্ত ব্যক্তিকে ক্ষতি করতে পারে।
সারা বিশ্ব মিলে প্রতি বছরে প্রায় 96 লক্ষ মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হয় এবং তার মধ্যে প্রায় ১৫ হাজার রুগী মারা যান এবং এটা বাংলাদেশে প্রায় প্রতি বছরে ৭ লক্ষ মানুষ যক্ষা রোগে আক্রান্ত হয় এবং প্রায় 50 থেকে 70 হাজার লোক যক্ষা রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। যক্ষার টিকা রয়েছে যা এই রোগ সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করে। জন্মের পরেই সরকারের দেওয়া টিকাদান কর্মসূচির আওতাধীন অবস্থায় থেকে এই রোগের টিকা দেওয়া যায়। এই রোগ নিরাময়ের জন্য বা প্রতিকার হিসেবে এই রোগীকে অবশ্যই সচেতন থাকতে হবে এবং হাঁচি কাশি দেওয়ার সঠিক নিয়ম মেনে চলতে হবে এমন ভাবে হাঁচি কাশি দেওয়া যাবে না যেন আপনার হাচি কাশির মাধ্যমে অন্যের এই রোগ ছড়ায়।
এবং এই রোগ নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষেত্রে আরেকটি বলা বাহুল্য বিষয় হলো ধূমপাই ব্যক্তি অথবা মাদকাসক্ত ব্যক্তি এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি রয়েছে এই জন্য ধূমপান ও মাদকাসক্ত অবস্থান থেকে আমাদেরকে ফিরে আসতে হবে। আরেকটি বিষয় লক্ষ্য করতে হবে যে যেই ব্যক্তির যক্ষা রোগ হয়েছে বা যক্ষা সুপ্ত অবস্থায় নেই তার সক্রিয় অবস্থায় রূপ নিয়েছে এমন ব্যক্তি অতিরিক্ত জনসমাগম এমন জায়গায় উপস্থিত না হওয়াই ভালো কেননা নিজের রোগ অন্যের কাছে ছড়িয়ে দেওয়া ঠিক হবে না।
আরো পড়ুন: বসন্ত রোগের ঔষধের নাম এবং লক্ষন কি
যক্ষার ঝুঁকি কাদের বেশি এবং কি করবেন
যক্ষা রোগীর ঝুঁকি রয়েছে কাদের এই ব্যাপারে যদি বলতে যাই তাহলে আমরা প্রথমেই বলবো যে যেসব সকল ব্যক্তির রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, মদ্যপান করে ধূমপান ও নানারকম মাদকদ্রব্য গ্রহণ করে থাকে এই সকল ব্যক্তির যক্ষা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি রয়েছে কেননা মাদক সেবনের কারণে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। এছাড়াও এ সকল ব্যক্তিদের ফুসফুসে যক্ষা রোগের জীবাণু আক্রান্ত হতে পারে এই জীবাণু হতে বা এই রোগ হতেই ধীরে ধীরে কিডনি লিভার ও অন্যান্য রোগের নানারকম উপসর্গ দেখা দিতে পারে।
আমাদের দেশে যক্ষা একটি মারাত্মক রোগ ব্যাধি যদিও এই রোগের সফল টিকা বা চিকিৎসা রয়েছে তবুও প্রতিবছর প্রায় অনেকাংশ ব্যক্তি এই রোগে মারা যাচ্ছে এই রোগ শুধুমাত্র যে দরিদ্র ব্যক্তিদেরই হবে এমনটি নয় এই রোগটি যে কোন মানুষের হতে পারে। যক্ষা রোগে কাদের ঝুঁকি বেশি রয়েছে এবং এর কি কি প্রতিকার রয়েছে এই ব্যাপারে ঢাকা সেন্ট্রাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এর বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ ডাক্তার আজিজুর রহমান বলেন যে সকল ব্যক্তিদের এই রোগের ঝুঁকি রয়েছে তারা হলো যে সকল ব্যক্তি যক্ষা রোগী পাশে থাকেন যেমন তার কাছের বা পরিবারের লোকজন এবং তার চিকিৎসাধীন অবস্থায় নার্স এবং ডাক্তার এরা যদি সচেতনমূলকভাবে তাদের চিকিৎসা সেবা না দিয়ে থাকেন সে সকল ব্যক্তির যক্ষ্মা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে্
সেইসঙ্গে আরো রয়েছে যারা মাদকাসক্ত এবং যাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম ধূমপাই ব্যক্তি এবং অনিয়ন্ত্রিতভাবে যাদের ড্রাইভিং রয়েছে বার্ধক্য এবং অপুষ্টি রয়েছে যে সকল ব্যক্তিদের তাদের যক্ষা হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। যক্ষা কেবল ফুসফুসে হয় না তবে যক্ষার উৎপত্তি ফুসফুস থেকে হয় শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে যক্ষার জীবাণু যখন ফুসফুসে স্থান করে তারপরে এটি ধীরে ধীরে শরীরের বিভিন্ন অংশে পৌঁছে যায় এবং সে সকল অংশগুলো ফলে ওঠে যেমন গলাতে হলে গলা ফুলে উঠবে মেরুদণ্ড দিতে হলে মেরুদন্ডে উঠতে পারে এ সকল ফুলে উঠে জায়গা গুলো অবশ্যই শক্ত অথবা নরম হয় না।
যক্ষা হলে কি করবেন বা করনীয় কি মূলত বিষয় হিসেবে যক্ষা তখনই ধরা পড়ে যখন আমরা অতিরিক্ত হারে বা যক্ষার মূল জীবাণু আমাদের পুরো শরীরকে গ্রাস করে নেয় তখনই আমরা বুঝতে পারি যে আমরা যক্ষায় আক্রান্ত হয়েছি। কেননা আমরা বাঙালি আমরা অল্পতে কোন কিছুকেই প্রাধান্য দেই না। তিন সপ্তাহের অধিক সময় কাশি হলে আমাদের অবশ্যই উচিত যক্ষ্মা পরীক্ষা করা কিন্তু আমরা তা করি না আমরা নরমালি কিছু ওষুধ সেবন করে এটিকে দাবিয়ে রাখার চেষ্টা করি এবং মনে করি এটি সাধারণ কাশি।
এমনটা না করে যদি আমরা সুচিকিৎসা গ্রহণ করি তাহলে অবশ্যই রক্ষা নিরাময় করা সম্ভব কেননা তিন সপ্তাহের মধ্যে যক্ষা ফুসফুস বাদে শরীরের অন্যান্য অঙ্গ পতঙ্গ ছড়িয়ে পড়ার সময় পায়না বা করতে পারেনা। এজন্য আমাদের অবশ্যই তিন সপ্তাহের অধিক সময় কাশি হলে আমাদের পরীক্ষা করা উচিত। এবং কোন যক্ষা রোগের পাশে গেলে নিজে মার্কস পরিধান করা উচিত। এবং যক্ষা রুগী অবশ্যই যেন জনসমাগমে উপস্থিত না থাকে কেননা তার মাধ্যমে অন্যান্য ব্যক্তির যক্ষা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে মূল বক্তব্যে আমরা এটুকু বুঝতে পারি যে যক্ষা রোগী কেউ সচেতন হতে হবে এবং আমাদের জানা যক্ষা রোগী ব্যক্তি থেকে আমাদের নিজেকে সচেতন রাখতে হবে তবেই যক্ষা নিরাময় করা সম্ভব।
আরো পড়ুন: পুষ্টিহীনতার কারণ ও প্রতিকার ফলে সৃষ্ট রোগ
যক্ষা রোগের লক্ষণ সমূহ কি কি
আমাদের দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় একটা অংশ জন্মগতভাবেই যক্ষার জীবাণু বহন করে থাকে। তবে কারো শরীরে যক্ষার জীবাণু থাকা মানেই সে যক্ষার রোগী নয়। তবে যে ব্যক্তি যক্ষা রোগ জীবাণু বহন করছে সেই ব্যক্তি যক্ষা আক্রান্ত না হলেও তার পার্শ্ববর্তী লোকজন এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
যক্ষা রোগীর জীবাণু আমাদের চারপাশে প্রতিনিয়ত ঘুরছে। আমাদের চারপাশে বাতাসের সঙ্গে মিশে রয়েছে যক্ষার জীবাণু যে কারণে আমরা বুঝতে পারি না। যেহেতু এই রোগের জীবাণু শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে প্রবেশ করে তাই আমরা অনেকেই শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে এই রোগের জীবাণু আমাদের শরীরে গ্রহণ করে ফেলেছি বা আমরা বুঝতে পারিনি কেননা সেই বর্তমানে হয়তো বা সুপ্ত অবস্থায় রয়েছে রূপ ধারণ করতে পারে।
আমরা জানি যে টানা তিন সপ্তাহের বেশি কাশি হলে যক্ষা রোগ এর একটি লক্ষণ দেখা যায় এবং শুকনো কাশি বা কফ কফের সঙ্গে রক্তপাত, বুকে ব্যাথা করা ওজন কমে যাওয়া এবং খাবারে অরুচি আসা, রাতে অথবা সন্ধ্যাবেলায় হালকা করে জ্বর আসা কাঁপুনি ওঠা এবং জ্বরের মাত্রা ৯৯ থেকে ১০১ পর্যন্ত যাওয়া এবং রাতে অতিরিক্ত ঘেমে গেলে অবশ্যই যক্ষার জীবাণু পরীক্ষা করা বাঞ্চনীয়। লাসিকািগ্রন্থির স্ফিতি, মলত্যাগের অভ্যাস পরিবর্তন হয়ে যাওয়া, পেটের মধ্যে ব্যাথা করা, পেট বা বুকে ভেতরে পানি জমে থাকা অনেক সময় খিচুনি বা অজ্ঞান হয়ে যায় এ সকল উপসর্গগুলো যক্ষার একটি উপসর্গ। এর উপসর্গ দেখা দিলে বোঝা যায় যে যক্ষা ফুসফুস থেকে শরীরের বিভিন্ন অংশে পৌঁছে গেছে।
ফুসফুস ছাড়াও যদি যক্ষা শরীরের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে
পড়ে তাহলে সেই অংশ ফুলে যেতে পারে যেমন গলা থেকে হলে গলা ফুলে যেতে পারে
মেরুদন্ডে হলে মেরুদন্ড ফলে যাবে এবং এই জায়গা গুলো নরম অথবা শক্ত হবে না একটি
সেমি সলিড আকারে হয়ে থাকে। এ সকল উপসর্গ যদি কোন ব্যক্তির মধ্যে দেখা যায়
তাহলে বুঝতে হবে যে সেই ব্যক্তি যক্ষা রোগে আক্রান্ত হয়েছে এবং তার দ্রুত
স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে চিকিৎসা নেওয়া উচিত। যদিও যক্ষা রোগীর নিয়মিত ৮ থেকে ১০
মাস এই রোগের ওষুধ সেবন করতে হয় তবেই একেবারে যক্ষ্মা নিরাময় করা সম্ভব।
যক্ষা রোগ দেখা দিলে করণীয় কি
যক্ষা রোগ দেখা দিলে করনীয় কি ও কি কি বিষয় বস্তু আমাদের মাথায় রাখতে হবে তা হলো, যক্ষা রোগী থেকে আমাদের সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার কোন প্রয়োজন নেই কেননা যক্ষা কোন ছোঁয়াচে রোগ নয় তবে যক্ষা রোগের হাঁচি কাশি বা তার মলত্যাগের থেকে যক্ষা রোগ সৃষ্টি হতে পারে সে কারণে যক্ষা রোগ দেখা দিলে অবশ্যই রোগীকে সচেতন হতে হবে।
যক্ষা রোগী যদি নিজের সচেতন থাকে তাহলে যক্ষা রোগ ছড়ানো সম্ভব নয় যক্ষা রোগ দেখা দিলে করনীয় বিষয়ের মধ্যে মূল বিষয় হচ্ছে স্বাস্থ্য কেন্দ্র বা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যক্ষা পরীক্ষা করার পরে যখন আমরা জানতে পারি যে আমাদের যক্ষা রোগ ধরা পড়েছে । তখন এই রোগের যে চিকিৎসা গুলো রয়েছে সেই চিকিৎসাগুলো নিয়মমাফিক ভাবে আমরা যদি গ্রহণ করে থাকি তাহলে অবশ্যই যক্ষা নিরাময় করা সম্ভব ।
কেননা পূর্বে আমরা শুনে এসেছি যে যক্ষা হলে রক্ষা নাই কিন্তু বর্তমানে এই কথাটিকে ধারণা পাল্টে দিয়ে বলা হয় যক্ষা হলে রক্ষা নাই এই কথার ভিত্তি নেই। বর্তমানে যক্ষা রোগের নানা রকম টিকা ও নিয়মিত ৮ থেকে ১০ মাস ওষুধ সেবনের মাধ্যমে যক্ষা পরিপূর্ণ নিরাময় করা সম্ভবG
আরো পড়ুন: আনারস খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা কি
উপসংহার
এসো সবাই হাতে হাত রাখি যক্ষা হতে নিরাপদ দূরত্বে থাকি। যক্ষা রোগীকে অবহেলা নয় সচেতনতাই বৃদ্ধি করতে পারে এই রোগ নিরাময়ের সু প্রচেষ্টা। যক্ষা হলে যক্ষা রোগীকে অবহেলা না করে তার সুচিকিৎসা করার ব্যবস্থা করে দেওয়া আমাদের নৈতিক দায়িত্ব এবং কর্তব্যের মধ্যে পড়ে। আমাদের প্রতিবেশী বা পরিবারের কোন ব্যক্তি যক্ষা রোগে আক্রান্ত হলে আমরা তাকে যেমন সচেতন করব এবং আমরা সচেতন থাকবো তবেই।
এবং নিয়মিত ওষুধকে চিরতরে বিদায় দেওয়া সম্ভব। যক্ষা রোগ অতি শীঘ্রই
মানুষের শরীরে যেমন বিস্তার করতে পারে না ঠিক তেমনি করেই অতি তাড়াতাড়ি ও এই রোগ
নিরাময় করা যায় না সে কারণেই বিশেষজ্ঞদের মধ্যে এই রোগের সুচিকিৎসার জন্য ৮
থেকে ১০ মাস নিয়মিত ওষুধ সেবন করতে হয়
No comments:
Post a Comment