কেন শসা খাবেন এবং এর প্রয়োজনীয়তা কি - M.A IT FIRM

কেন শসা খাবেন এবং এর প্রয়োজনীয়তা কি

কেন শসা খাবেন এবং এর প্রয়োজনীয়তা কি

শসা খাই না বা পছন্দ করি না এমন মানুষ খুব কম রয়েছেন। এটি আমাদের সকলের পছন্দের একটি সবজি। রান্না করা অথবা কাঁচা শসা খাওয়া আমাদের সকলের পছন্দের অথবা শসার সালাত করেও আমরা খেয়ে থাকি। রয়েছে অনেক পুষ্টি যা আমাদের শরীরে নানা রকম প্রতিশোধক হিসেবে কাজ করে। আমরা প্রতিদিনই সীমিত আকারে শশা খেতে পারি। 

কেন শসা খাবেন এবং এর প্রয়োজনীয়তা কি

এতে আমাদের সুস্বাস্থ্য নিয়ে জীবন ধারণ করতে পারে। শসা বিভিন্ন রোগের কাজ করে। শরীরে পানির ঘাটতি পূরণ করে এই শসা , শসা চাষে কৃষকেরা লাভবান হওয়ায় দিন দিনের চাষাবাদ বাড়ছে এবং বিভিন্ন প্রকারের উন্নত বীজের কারণে শসার উৎপাদন বাড়ছে। শসা খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী এবং দৈনন্দিন জীবনে শসার ভূমিকা অপরিহার্য।

পোস্ট সূচিপত্র:কেন শসা খাবেন এবং এর প্রয়োজনীয়তা কি

ভূমিকা

শসা আমাদের নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য তালিকার মধ্যে রয়েছে। আমরা এই শশা নানাভাবে খেয়ে থাকি যেমন রান্না করে কাঁচা সালাত ইত্যাদি ভাবে সোজা খাওয়া যায়। শসা আমাদের শরীরে নানা রকম রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সৃষ্টি করে এবং সেই সাথে থাকা ভিটামিন আমাদের শরীরের নানা রোগ হতে বাধা সৃষ্টি করে। বর্তমানে শসা চাষে কৃষকেরা খুবই আগ্রহী কেননা বিভিন্ন প্রকারের উন্নত জাতের বীজ কৃষকের হাতের নাগালে পাওয়া যাচ্ছে। এ কারণে এ সকল শসার বীজ হতে ভালো ফলন পাওয়া যায় বলে কৃষকেরা শসা চাষে আগ্রহী। এবং শসা চাষে খরচ খুবই কম বলে কৃষক লাভবান হচ্ছেন ভালো। অল্প পুজিতে এই সবজিটি চাষাবাদ করা যায়।

আরো পড়ুন: লেবু খাওয়ার উপকারিতা অপকারিতা এবং চাষের নিয়মাবলী

শসা খাওয়ার উপকারিতা কি

শসা খাওয়ার উপকারিতা কি

শসাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার পটাশিয়াম ম্যাগনেসিয়াম যা শরীরের উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। শসা তে রয়েছে স্টেরুল নামক এক ধরনের উপাদান যা আমাদের শরীরের কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও নিত্যদিন শসা খাওয়াতে আমাদের শরীরের নানান রকম উপকার হয়ে থাকে। প্রতিদিন শসা খেলে আমাদের শরীরের মেদ ভুড়ি ও চর্বি কাটতে সাহায্য করে।

 শসা কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে, এছাড়াও ত্বকের জন্য ভীষণ উপকারী ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি ও লাবণ্য ধরে রাখতে শসার ভূমিকা অপরিসীম। এছাড়াও গরমে শসা খেলে শরীর ঠান্ডা হয় কারণ সহ সাথে পানি শূন্যতার কাজ করে এবং এটি ঠান্ডাও জাতীয় একটি সবজি যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। এছাড়াও শসাতে রয়েছে আরো অনেক কার্যকরী গুণাবলী যেমন

দেহের পানি শূন্যতা দূর করে: শসা আমাদের শরীরে যেভাবে পানি শূন্যতা পূরণ করে তা হল এমনও হতে পারে বা এমন পরিস্থিতিতে আছেন যেখানে আপনি পানি পাচ্ছেন না কিন্তু সেখানে শসা রয়েছে আপনি যদি সেখান থেকে একটি শসা খান তাহলে আপনার পানি পিপাসা মিটে যাবে বা পিপাসা কমে যাবে কেননা শসাতে প্রায় 90% পানি রয়েছে।

ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়শসায় সিকোইসোলারিসিরেসিনোল, পিনোরেসিনোল ও ল্যারিসিরেসিনোল এই তিনটি আয়ুর্বেদিক উপাদান শসার মধ্যে রয়েছে যে কারণে শরীরের যে কোন অঙ্গ বা ক্যান্সারে আক্রান্ত হলে বা ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে এই তিনটি উপাদানের জোরালো সম্পর্ক রয়েছে এ কারণে শসা থাকা এই তিনটি উপাদান ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়।

ডায়াবেটিকস রোগীর জন্য: নিয়মিত শসা খেলে ডায়াবেটিস হতে মুক্তি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এবং কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখবে এছাড়াও শরীরে উচ্চ রক্তচাপ কমায় প্রতিদিন শসা খাওয়াতে।

দেহের ভেতরের তাপ নিয়ন্ত্রণ করে: যেহেতু শসাতে 90% পানি তাই নিয়মিত শসা খেলে বা অতিরিক্ত গরমে শসা খেলে শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ রাখে। এবং শরীর উচ্চ রক্তচাপ হতে নিয়ন্ত্রণ রাখে

প্রত্যহিক ভিটামিনের শূন্যতা পূরণ করে: নিত্যদিন আমাদের শরীরে যে সকল ভিটামিনের প্রয়োজন রয়েছে তার প্রায় সব ভিটামিন শোষাতে রয়েছে যেমন ভিটামিন এ বি সি সকল ভিটামিন রয়েছে। আর এ সকল ভিটামিনের থাকার কারণে আমরা প্রতিদিন যদি শসা খাই তাহলে আমাদের এ সকল ভিটামিনের ঘাটতি পূরণ করতে সাহায্য করবে।

হজম ওজন কমাতে সাহায্য করে: শসা হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে এবং খাবার হজম করাতে খুবই দ্রুত কাজ করে সেই সঙ্গে শরীরের ওজন কমাতেও কাজ করে কেননা শসাতে থাকা যে উপাদানগুলো শরীরের ওজন হ্রাস করতে সাহায্য করে সে সকল উপাদান গুলো শসাতে রয়েছে এবং হজম শক্তি বৃদ্ধি করতেও শসার ভূমিকা রয়েছে।

চোখের জ্যোতি বাড়ে: শসা খেলে চোখের জ্যোতি বাড়ে বা চোখ পরিষ্কার থাকে। নিয়মিত শসা খাওয়ার কারণে চোখে নানা সমস্যা হতে মুক্ত হওয়া যেতে পারে।

আরো পড়ুন: করোলা খাওয়ার উপকারিতা ও প্রয়োজনীয়তা

শসা খাওয়ার প্রয়োজনীয়তা কি


শসা খাওয়ার প্রয়োজনীয়তা কি

শসা খাওয়ার প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। কেননা উল্লেখ্য বিষয় হলো আমরা নিত্যদিন যে খাবারগুলো খেয়ে থাকি তার প্রত্যেকটা খাবার আমাদের শরীরে বিভিন্ন প্রকার ভিটামিনের কাজ করে। সে সকল খাদ্য তালিকার মধ্যে আমাদের শসা রাখা উচিত কেননা শসাতে প্রায় সব ধরনের ভিটামিন রয়েছে যে সকল ভিটামিন আমাদের শরীরের জন্য প্রয়োজন। 

ভিটামিন ছাড়াও শসাতে কিছু আলাদা উপাদান রয়েছে যা আমাদের শরীরের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সৃষ্টি করে এবং বড় ধরনের রোগ হতে মুক্ত করে। যেমন শসাতে থাকা তিনটি উপাদান ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। শসা খাওয়ার প্রয়োজনীয়তা তো অবশ্যই এছাড়াও শসাতে থাকা আরও অন্যান্য প্রোটিন ম্যাগনেসিয়াম পটাশিয়াম ফাইবার যা আমাদের শরীরের বিভিন্ন রোগের জন্য কাজ করে আসছে।

 শসা উচ্চ রক্তচাপ থেকে আটকায়। এমনও হাজারো গুন রয়েছে শসাতে। শসার আরো কিছু গুণ রয়েছে তার মধ্যে যেমন পানি শূন্যতা পানি উঠানোর জন্য করে থাকতে পারি। এছাড়াও শসা ত্বকের জন্য কাজ করে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি মসৃণতা তৈরি করা এবং সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে শসার ভূমিকা অপরিসীম।

শসা চাষের নিয়মাবলী কি

শসা চাষের নিয়মাবলী কি

শসা চাষের নিয়মাবলী খুবই সোজা বা সহজ। বর্তমানে প্রযুক্তি উন্নতি হওয়ার কারণে কৃষি পর্যায়ও প্রযুক্তির উন্নত হয়েছে। যে কারণে খুবই কম পরিশ্রম ও কম সময়ের মধ্যে নানা রকম ফসল উৎপাদন করা সম্ভব হচ্ছে। পূর্বে যেসব ফসল উৎপাদনে খুবই কম ছিল বর্তমানে কৃষি উন্নয়নের ফলে সে সকল ফল বা ফসল উৎপাদন বা তার চাইতে বেশি উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে। শসা চাষে বিশেষ কিছু নিয়ম রয়েছে যে নিয়ম অনুযায়ী শশা চাষ করলে কৃষকের লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা অধিক হারে।

 যেমন শসা চাষ করার জন্য প্রথম একটি ভালো জমি বা যেখানে সূর্যের আলো পৌঁছায় এমন একটি জমি নির্বাচন করতে হবে। ওই জমিতে শসা চাষ করার পূর্বে ভালোভাবে চাষ করে নিতে হবে এবং ড্রেন তৈরি করতে হবে যেন বর্ষাকাল অতিরিক্ত বৃষ্টি হলে পানি নিষ্কাশনের সুব্যবস্থা থাকে। কেননা অতিরিক্ত পানি জমাট বাঁধলে জমিতে শসার গাছ পচে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। বৃষ্টি পানি বদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ার পূর্বে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করে রাখতে হবে কেননা যদি পানি জমাট বেঁধে থাকে তাহলে একদিন দুদিন পরে যখন রোদ উঠবে তখন শসার গাছ ধীরে ধীরে শুকিয়ে যাবে বা মারা যাবে।

 এছাড়াও প্রয়োজনীয় সময় যাতে গাছে বা গাছের মাটিতে পানি দেওয়া যায় সে ব্যবস্থা রাখতে হবে। তারপরে শসার বীজ রোপন হয়ে গেলে কিছুদিন যাবার পরে যখন শসার চারা বের হবে এবং পরিচর্যা করতে হবে। শসা চাষে খুব বেশি পরিশ্রম করতে হয় না। শসার গাছ দুই থেকে তিন ফিট উচ্চতা হলে জমিতে মাচা করে দেওয়া উচিত তাহলে শসার ফলন ভালো হবে শসার গাছ যখন মাচাতে পড়ে যাবে এর মধ্যে শসার গাছে ফুল আসবে এ সময় শসা গাছের পরিচর্যা করা বাঞ্ছনীয়। 

যেমন পরিষ্কার রাখা গাছের গোড়া মাচার নিচে এক কথায় পুরো জমি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে তা না হলে বিভিন্ন রকম পোকামাকড়ের বাস হবে সেখানে এবং শসা তে এসব পোকামাকড়ের আক্রমণ ঘটতে পারে। এতে করে শসারফলন নষ্ট হতে পারে এজন্য শসা জমিতে সব সময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে এবং প্রয়োজন হলে কীটনাশক ব্যবহার করতে হবে। এছাড়াও ভালো ফলন পাওয়ার জন্য অবশ্যই ভালো বীজ রোপন করতে হবে। উৎপাদন বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন রকম কীটনাশক সার এর ব্যবহার করা যেতে পারে বর্তমানে অধিকাংশই সার কীটনাশক দিয়ে তৈরি। সবচাইতে ভালো হয় বাড়িতে তৈরি জৈব সার ব্যবহার করা যায় এবং শসা সুস্বাদু এবং পুষ্টিগুণ অটুট থাকবে।

আরো পড়ুন: ১০টি পুষ্টিগুণ খাবার যা আমাদের শরীরের নিত্য প্রয়োজনীয়

উপসংহার

শসা আমরা নিত্যদিন খাই। কেননা এটি অপছন্দনীয় কোন খাবার নয় বা এটা পছন্দ নয় এমন মানুষ খুব কমই রয়েছেন। থাকা বিভিন্ন প্রকারের ভিটামিন আমাদের শরীরে বিভিন্ন রোগ বালাই থেকে মুক্ত রাখে। আর এ কারণে আমরা এটাকে প্রিয় খাবারের তালিকায় রেখেছি। এছাড়াও শসার আরো অন্যান্য  ভূমিকা রয়েছে । 

শসা শুধুমাত্র ভিটামিন বা রোগ প্রতিরোধক হিসেবেই কাজ করে না শসা আমাদের শরীর বা ত্বক পরিষ্কার ও মন মানসিকতা সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে কেননা শরীর সুস্থ থাকলে মন ভালো থাকে। মন ভালো থাকলে মস্তিষ্ক ভালো থাকে। সবকিছু মিলিয়ে প্রতিদিন যদি কোন ব্যক্তি একটি করে শসা খায় তবে তার শরীরে নানারকম রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সৃষ্টি হবে এবং বিভিন্ন রকম রোগ হতে মুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়াও তার শরীর ও ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে। শসা ফেসিয়াল প্রোডাক্ট হিসেবেও কাজ করে

No comments:

Post a Comment