ইন্টারনেট ব্যবহারে শিক্ষার মান উন্নয়ন ও আইসিটির ভূমিকা কি - M.A IT FIRM

ইন্টারনেট ব্যবহারে শিক্ষার মান উন্নয়ন ও আইসিটির ভূমিকা কি

 

 ইন্টারনেট ব্যবহারে শিক্ষার মান উন্নয়ন ও আইসিটির ভূমিকা কি

ইন্টারনেট ব্যবহারে শিক্ষার মান উন্নয়ন এর এক বিশাল আয়তন জুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে। মাধ্যমে শিক্ষার অনেক মান অন্যান্য হয়েছে যেমন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কম্পিউটার ল্যাব নতুন কিছু আবিষ্কার করার ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের ভূমিকা অপরিসীম ।আমরা ঘরে বসেই ইন্টারনেটের মাধ্যমে সারা বিশ্বের খবরা খবর নিতে পারছি এবং যে কোন প্রযুক্তি উন্নয়ন কতটুকু অগ্রসর হয়েছে সে ব্যাপারে আমরা জানতে পারছি। 

ইন্টারনেট ব্যবহারে শিক্ষার মান উন্নয়ন ও আইসিটির ভূমিকা কি

স্কুল কলেজ ভার্সিটি তে নানারকম পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জন্য বা কোন কিছু আবিষ্কার করার ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের ভূমিকা অপরিসীম। কেননা আমরা সবকিছু সঠিকভাবে জানি নাকোন কিছু জানার জন্য ইন্টারনেট ব্যবহার করে থাকি। ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে শিক্ষার মান যেমন উন্নয়ন হয়েছে তেমন শিক্ষার্থীর মানব উন্নয়ন হয়েছে কেননা সংকটমুখী সময়ে আমরা যখন স্কুল কলেজ বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছি সেসময় ঘরে বসেই অনলাইন এর মাধ্যমে প্রতিটি ক্লাস সময়মতো করতে পেরেছি।

 এবং ইন্টারনেটের মাধ্যমে সকল ক্লাসে সময় মত করতে পেরেছি যে কারণে আমাদের শিক্ষার মান কমেনি কারণ আমরা কোন কিছু থেকে পিছিয়ে পড়িনি যদি এই ইন্টারনেট না থাকতো তাহলে আমরা এই ক্লাসগুলো অনুপস্থিতি থাকতো ,এবং আমরা এই চ্যাপ্টার থেকে বা আমাদের প্রায় সবাই সবাই পিছিয়ে পড়তাম এরকম আরো অনেক উদাহরণ রয়েছে ইন্টারনেট ব্যবহারে শিক্ষার মান উন্নয়নের।

পেজ সূচিপত্র:ইন্টারনেট ব্যবহারে শিক্ষার মান উন্নয়ন ও আইসিটির ভূমিকা কি


ভূমিকা

ইন্টারনেট নানারকম মাধ্যম ব্যবহার করে কিভাবে শিক্ষা বা প্রশিক্ষণ দেওয়া যায় তার অনেক কিছু ইতিমধ্যে আমরা জানতে পেরেছি আমরা সবাই এখন ইন্টারনেটের শব্দটির সাথে পরিচিত, অনেকে ইন্টারনেট ব্যবহার করছে। এই প্রযুক্তিটি সারা পৃথিবীতে খুব বড় একটা পরিবর্তন এনেছে। এই প্রযুক্তিটি ব্যবহার করার জন্য আমাদের কিছু অবকাঠামো এবং আর্থিক স্বচ্ছলতা থাকতে হয়। ইন্টারনেট ব্যবহার করতে হলে প্রথমে একটি কম্পিউটার কিংবা স্মার্ট ডিভাইস দরকার। 

ইদানিং মোবাইল টেলিফোন প্রযুক্তিতে অনেক উন্নতি হয়েছে এবং মানুষের ক্রয় সীমার ভেতরে স্মার্টফোন বলে বিবেচিত টেলিফোন চলে এসেছে। স্মার্টফোনে ইন্টারনেট সুবিধা পাওয়া যায় যেহেতু এগুলো টেলিফোন তাই এর স্ক্রিন ছোটো তাই শিক্ষার জন্য এটি ব্যবহার করা একটু কঠিন। তবে আসার কথা হচ্ছে যে ল্যাপটপ এবং স্মার্টফোনের মাঝামাঝি একটা সম্ভাব্য রয়েছে যেটি ট্যাবলেট নামে পরিচিত এবং সেটি শিক্ষার কাজে খুব সহজেই ব্যবহার করা যায়। সত্যি কথা বলতে অনেক কোম্পানি এই ট্যাবলেট কে মাথায় রেখে শিক্ষার কাজে ব্যবহার করা সম্ভব সেরকম অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করতে শুরু করেছে। ইন্টারনেট ব্যবহার করা উপযোগী কম্পিউটার ল্যাপটপ ট্যাবলেট কিংবা স্মার্টফোন হতে চলে এলেই আমরা কিন্তু ইন্টারনেট সুবিধা ভোগ করতে পারিনা।

 প্রয়োজন হয় ইন্টারনেট সংযোগের। দেশের সব জায়গায় সমানভাবে ইন্টারনেট সংযোগ নেই তাই সবাই সমানভাবে ইন্টারনেট স্পিড পায় না এবং ইন্টারনেট স্পিড কম হলে সেটি ব্যবহার করা অনেক সময় অর্থহীন হয়ে যায়। আবার ভালো স্পিডের ইন্টারনেট পেতে হলে যে পরিমাণ টাকা খরচ করতে হয় সেটি আমাদের দেশের সাধারণ মানুষের সামর্থের বাইরে। কাজেই শিক্ষায় ইন্টারনেট ব্যবহার করতে হলে আমাদেরকে এই ইন্টারনেট সংযুক্তি অনেক সাশ্রয়ী খরচে ছাত্রছাত্রীদের হাতে তুলে দিতে হবে। সম্ভাব্য হলে বিনামূল্যে ইন্টারনেট ব্যবহারের ব্যবস্থা করতে হবে

ইন্টারনেট ব্যবহারে শিক্ষার মান উন্নয়ন ও আইসিটির ভূমিকা কি


ডিজিটাল কনটেন্ট কি এর প্রকারভেদ কি

কোন কনটেন্ট যদি ডিজিটাল উপাত্ত করে বিরাজ করে, প্রকাশিত হয় কিংবা প্রেরিত গ্রহিত হয় তাহলে সেই ডিজিটাল কন্টেন্ট। তবে সেটি ডিজিটাল বা এনালগ যেকোনো পদ্ধতিতে সংরক্ষিত হতে পারে। ডিজিটাল কনটেন্ট কম্পিউটারের ফাইল আকারে অথবা ডিজিটাল পদ্ধতিতে সম্প্রচারিত হতে পারে। ডিজিটাল কনটেন্ট ব্যবহারের ফলে তথ্য উপস্থাপন ও স্থানান্তর সহজতর হয়। ডিজিটাল মাধ্যমে প্রকাশিত যেকোনো তথ্য ছবি শব্দ কিংবা সবই ডিজিটাল কনটেন্ট। কাজে এই নানাভাবে ডিজিটাল কন্টেন্ট কে কেনিকরণ করা যায় ।তবে, ডিজিটাল কনটেন্ট কে প্রধানত চারটি ভাগে ভাগ করা যায়

  1. টেক্সট বা লিখিত কনটেন্ট 
  2. ছবি
  3. শব্দ বা অডিও কনটেন্ট
  4.  ভিডিও ও অ্যানিমেশন কন্টেন্ট

টেক্সট বা লিখিত কনটেন্ট :ডিজিটাল মাধ্যমে এখনো লিখিত তথ্যের পরিমাণই বেশি। সব ধরনের লিখিত তথ্য এবং ধারার কনটেন্ট। এর মধ্যে রয়েছে নিবন্ধন, ব্লক পোস্ট, পণ্য বা সেবার তালিকা ও বর্ণনা, পণ্যের মূল্যায়ন, ই-বুক সংবাদপত্র, শ্বেতপত্র ইত্যাদি।

ছবি:সব ধরনের ছবি, ক্যামেরায় তোলা বা হাতে আঁকা বা কম্পিউটারে সৃষ্ট সকল ধরনের ছবি এবং ধারার কনটেন্ট। এর মধ্যে রয়েছে ফটো ,হাতে আঁকা ছবি , অংকন করন,  কার্টুন ,ইনফোগাফিক্স, অ্যানিমেটেড ছবি ইত্যাদি।

শব্দ বা অডিও কনটেন্ট:শব্দ বা অডিও আকারের সকল কনটেন্ট এই প্রকারের অন্তর্ভুক্ত। যেকোন বিষয়ে অডিও ফাইল অডিও কনটেন্ট এর পাশাপাশি ইন্টারনেটে প্রচারিত ব্রডকাস্ট অডিও কনটেন্ট এর অন্তর্ভুক্ত

ভিডিও ও অ্যানিমেশন কন্টেন্ট:বর্তমানে মোবাইল ফোনেও ভিডিও ব্যবস্থা থাকায় ভিডিও কনটেন্টের পরিমাণ বাড়ছে। ইউটিউব বা এই ধরনের ভিডিও শেয়ারিং সাইটের কারণে ইন্টারনেটে ভিডিও কনটেন্ট এর পরিমাণ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এছাড়া বর্তমানে ইন্টারনেটে কোনো ঘটনা ভিডিও সরাসরি প্রচারিত হয়ে থাকে। এদিকে বলা হয় ভিডিও স্ট্রিমিং। এমন কনটেন্ট ও ভিডিও কনটেন্টের আওতাভুক্ত।

 ই-বুক ব্যবহারের সুবিধা গুলো বর্ণনা করা হলো

ই-বুক ব্যবহারের সুবিধা গুলো বর্ণনা করা হলো

ই-বুক বা ইলেকট্রনিক্স বুক বা ই-বুক হল মুদ্রিত বইয়ের ইলেকট্রনিক্স রুম। যেহেতু এটি ইলেকট্রনিক্স মাধ্যমে প্রকাশিত হয় সে কারণে এতে শব্দ অ্যানিমেশন ইত্যাদি জুড়ে দেওয়া যায়। অবশ্য এখন অনেক ই-বুক কেবল ই বুক আকার এই প্রকাশিত হয়। এগুলো মুদ্রিত রূপ থাকে না। ফলে অনেকেই এখন আর ই বুককে মুদ্রিত বইয়ের ইলেকট্রনিক সংস্কার বলতে নারাজ। এ ধরনের বই কেবল কম্পিউটার, স্মার্টফোন বা বিশেষ ধরনের রিডার  ব্যবহার করে করা যায়। প্রচলিত রিডারের (amazon.com) এর )(kindle) সবচেয়ে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে

ই-বুক এর সুবিধা গুলো বর্ণনা করা হলো

  1. ই-বুক ডাউনলোডের মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে তথ্য পাওয়া সম্ভব
  2. ব্যবহারিকভাবে ই-বুক রাখার জন্য কোন লাইব্রেরী বা রুমের প্রয়োজন নেই, কম্পিউটার বা রিডিং ডিভাইসের রাখা যায় করা যায়।
  3. ই-বুক সহজেই স্থানান্তরযোগ্য।
  4. ই-বুকে তথ্য অনুসন্ধান সহজতর।
  5. ই-বুক ইন্টারনেটের মাধ্যমে পাঠানো  করা হয় বলে কোন ধরনের এক্সট্রা খরচ নেই।
  6. ই-বুক সহজেই বিতরণ ও বিক্রয় যোগ্য।
  7. ই-বুক মুদ্রণ সফল বলে চাহিদা অনুযায়ী প্রিন্ট করা সম্ভব ফলে আর্থিক খরচ সাশ্রয় হয়

ইন্টারনেট থেকে বিভিন্ন প্রকার ই-বুক শেখা মাধ্যম

বর্তমানে ই-বুকের বিভিন্ন প্রকারভেদ দেখা যায়। বিভিন্ন ধরনের প্রকাশনার জন্য বিভিন্ন ধরনের ই-বুক রয়েছে। তবে, সাধারণভাবে ই-বুক কে নিমুক্ত পাঁচটি ভাগে ভাগ করা যায়

  1. মুদ্রিত বইয়ের হুবহু প্রতিলিপি। ধরনের ই-বুক গুলো মূলত মুদ্রিত বইয়ের মতই হয়ে থাকে। ফরমেটে প্রকাশিত হয়। সম্পূর্ণ বই একসাথে অথবা অধ্যায় হিসেবে পাওয়া যায়।
  2. যে ই-বুক গুলো কেবল  ইন্টারনেটে পড়া যায়, এগুলো বেশিরভাগ HTML এ প্রকাশিত হয়। এগুলো বইয়ের ওয়েবসাইট বলা যায়।
  3. মুদ্রিত  বইয়ের মত কিন্তু কিছুটা বাড়তি সুবিধা সহ ই-বুক। এগুলো বইয়ের কনটেন্ট ছাড়াও পাঠকের নিজের নোট লেখা, শব্দের অর্থ জানা ইত্যাদি সুবিধা থাকে। এগুলো বেশিরভাগই কি পাব ফরমেটে প্রকাশিত হয়। এসব ই-বুকের কোন কোনটি কেবল বিশেষ ডিভাইসে পড়া যায়। যেমন বা আই বুক রিডারে পড়ার উপযোগী। তবে, ফিল্ড বা আইবুকের ক্ষেত্রে নিজস্ব ফরমেট রয়েছে।
  4. চৌকস ই-বুক এই বইগুলোতে লিখিত অংশ ছাড়াও অডিও ভিডিও এনিমেশন ইত্যাদি সংযুক্ত থাকে। এই বইগুলোকে স্মার্ট ইবুক বলা হয়। এগুলো কনটেন্টে মাল্টিমিডিয়া সমৃদ্ধ। যেমন এতে কুইজ থাকে। কুইজের উত্তর করার ব্যবস্থাও থাকে এবং সঠিক উত্তর হয়েছে কিনা ই-বুক থেকে জানা যায় এমনকি এসব ই--বুকে ক্রিমাত্রিকি ছবিও যুক্ত থাকে। তবে, অনেক ক্ষেত্রে এর উৎপাদনকারী বা নির্মাতারা এ সকল ই-বুক এমন ফরমেটে তৈরি করেন যা কেবল নির্দিষ্ট হার্ডওয়্যারে চলে। যেমন ওপেন কম্পিউটারের তৈরি আইবুক কেবল আইপ্যাড বা ্ক ম্যাক কম্পিউটারে ভালোভাবে পড়া যায়।
  5. ই-বুকের অ্যাপস। এক্ষেত্রে ই-- বুক টি নিজে একটি অ্যাপস আকারে প্রকাশিত হয়।অ্যাপস ডাউনলোড করে কম্পিউটার বা মোবাইল ফোনে পড়া যায়। মুদ্রিত বইয়ের মত ই-বুক কম্পিউটারের আওতায় প্রকাশিত হয়ে থাকে

শিক্ষার সাথে ইন্টারনেটের গুরুত্ব

শিক্ষার সাথে ইন্টারনেট শব্দটি জুড়ে দিয়েই একটি ব্যাপার মনে করিয়ে দিতে হবে, কেউ যেন মনে না করে ভালো ইন্টারনেট সংযোগ কিংবা ইন্টারনেটে খুব ভালো কনটেন্ট থাকলেই রাতারাতি ছাত্র-ছাত্রী লেখাপড়ায় খুব ভালো হয়ে যাবে। প্রকৃতপক্ষে ছাত্রছাত্রীদের এই সংযোগটা দিয়ে নতুন একটি জগৎ উন্মোচন করে দেওয়া হয়েছে মাত্র, সেই জগত থেকে কতটুকু গ্রহণ করবে সেটা পুরোপুরি একজন শিক্ষার্থীর ব্যাপার। 

তোমরা নিশ্চয়ই লক্ষ্য করেছ তোমাদের পরিচিত কোন ছাত্র বা ছাত্রী কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট ব্যবহার করে শুধু কম্পিউটার গেম খেলে কিংবা সামাজিক যোগাযোগ সাইটে সময় নষ্ট করছে। আবার সুযোগ গ্রহণ করে কেউ কম্পিউটারে প্রোগ্রামিং শিখছে। ইন্টারনেটে তোমাদের সকল পাঠ্য বইগুলো পাওয়া যায়। বছরে শুরুতে তোমাদের হাতে পাঠ্য বইগুলো পৌঁছে যায়। কোন কারনে সে বই যদি কেউ হারিয়ে ফেলে কিংবা নষ্ট হয়ে যায় তোমরা কিন্তু তখন ইচ্ছে করলে ইন্টারনেট থেকে বই ডাউনলোড করে নিতে পারবে। 

তোমরা শুনে খুশি হবে বাংলাদেশের শিক্ষা নিয়ে আগ্রহী মানুষেরা মিলে এই বইগুলো তৈরি করে সেগুলোকে কন্ঠ দিয়ে বইগুলো সংরক্ষণ করতে শুরু করেছে যেন দৃষ্টি প্রতিবন্ধীরাও এই বইগুলো থেকে উপকৃত হতে পারে জাতীয় শিক্ষা ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড থেকে তোমাদের জন্য সবগুলো বই প্রকাশ করা হয় এবং বিনামূল্যে তোমাদের হাতে পৌঁছে দেওয়া হয়। তার বাইরে তোমাদের লেখাপড়া কাজে লাগতে পারে এরকম অনেক বই লেখা হয় যেগুলা ইন্টারনেটে আপলোড করা থাকে তোমরা চাইলে ইন্টারনেট থেকে সেই বইগুলো ডাউনলোড করে করতে পারো । ইন্টারনেট যেমন ভালোর দিক রয়েছে তেমন খারাপেরও অনেক দিক রয়েছে। এখন তোমাকে চিন্তা করতে হবে তুমি কোন দিকে যাবে। শিক্ষার ক্ষেত্রে ইন্টারনেট ব্যাপক পরিমাণ ভূমিকা পালন করেছে

শিক্ষার সাথে ইন্টারনেটের গুরুত্ব

ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ারে আইসিটির গুরুত্ব ব্যাখ্যা

ভবিষ্যতে আইসিটি বিহীন একটি দিনও কল্পনা করা সম্ভব নয়। আইসিটির সর্বমুখী ব্যবহারে কারণে কোন প্রতিষ্ঠানের কর্মী হিসেবে যোগ দেওয়া বা নিজেই একটা প্রতিষ্ঠান তৈরি উভয় ক্ষেত্রে আইসিটি এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব হবে না। নিজের ক্যারিয়ারের ক্ষেত্রে তাই আইসিটি কে দক্ষতা উন্নয়নের জন্য নিজেকে যথেষ্ট সচেতন হতে হবে। সাধারণ অফিস সফটওয়্যার ব্যবহার,, ইন্টারনেট ইমেইল, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সহ প্রায় সব কিছুতেই প্রাথমিক দক্ষতা থাকতে হবে না থাকলে আগামীতে কোথাও চাকরি পাওয়া খু্বই কঠিনি হবে। 

অন্যদিকে প্রোগ্রামিং, ওয়েবসাইট নির্মাণ, কম্পিউটার নিরাপত্তা ইত্যাদি বিষাক্ত কাজের চাহিদা বিপুল পরিমাণে বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশ্বব্যাপী তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ক্যারিয়ার গঠনের একটি বড় ক্ষেত্র। তথ্য প্রযুক্তির প্রধান উপকরণ বলা চলে কম্পিউটার। এই কম্পিউটারের যে কত শত কাজ আছে তার কল্পনার বাহিরে। কম্পিউটার,ইন্টারনেট, মোবাইল, কল সেন্টার ইত্যাদি সবইয়ের অন্তর্ভুক্ত।  কম্পিউটার সাইন্স, কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং, অফিস অটোমেশন সিস্টেম ডিজাইন, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, রোবোটিক ইঞ্জিনিয়ারিং, মোবাইল কমিউনিকেশন, ডেটা  এমন অনেকে গুলা ক্যারিয়ারের রয়েছে।

উপসংহার

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির কাজ করা রয়েছে আরও সুবিধা। এতে কোনো অফিসে না গিয়ে কাজ করার সুযোগ রয়েছে। উন্নত দেশগুলো ভালো ভালো কোম্পানি তাদের নিজেদের দেশের কোম্পানিদের দুষ্প্রাপ্যতার কারণে আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশের জনবলে কাজ করার সুযোগ দেয়। আমাদের দেশে কর্মীরা বিশ্বমানের সেরা

 বর্তমানে আমাদের দেশের প্রোগ্রামের সহ অনেক আইসিটি কর্মী ঘরে বসে ইন্টারনেটের মাধ্যমে কাজ করছে আমেরিকা, কানাডা, ব্রিটেন, এর মত দেশগুলোর বড় বড় কোম্পানিতে। বাংলাদেশ ও ইতিমধ্যে বেশ কিছু সফটওয়্যার কোম্পানি তৈরি হয়েছে যা বাংলাদেশের তৈরি বিভিন্ন সফটওয়্যার, মোবাইল অ্যাপ পৃথিবীর অন্যান্য দেশের রপ্তানি করছে। এটি আমাদের জন্য অবশ্যই গর্ভের। বর্তমান তরুণ প্রজন্ম অনেক শিক্ষার্থী এই পেশার সঙ্গে জড়িত হয়ে পড়েছে। 

ভবিষ্যতে এই সেক্টরে আরো অনেক দক্ষ কর্মী প্রয়োজন হবে। তাই কেরিয়ার হিসেবে আইসিটির সম্ভাবনা অনেক উজ্জ্বল এসব বিবেচনা করে নিজেকে আইসিটি দক্ষতা বাড়িয়ে নিতে এখন থেকেই সচেষ্ট হওয়া প্রয়োজন। আমরা যদি শিক্ষা ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের ব্যবহার না শিখি বা না জানি তাহলে ভবিষ্যতে ইন্টারনেট ব্যবহার করা আমাদের জন্য দুষ্কর হয়ে পড়বে এবং আমরা এইসব প্রকল্প হাতছাড়া করতে বাধ্য হব। শিক্ষা ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের মান উন্নয়ন এবং ব্যবহার ও আইসিটির ভূমিকা অপরিসীম হিসেবে গণ্য করা যায়



No comments:

Post a Comment