কিভাবে দেশের বেকারত্ব দূর করা যায় - M.A IT FIRM

কিভাবে দেশের বেকারত্ব দূর করা যায়

 কিভাবে দেশের বেকারত্ব দূর করা যায়

বাংলাদেশ প্রায় ১৮ কোটি জনগণ রয়েছে তার প্রায় অর্ধেকী বেকার বললে ভুল হবে অধিকাংশই বেকার। এই বেকারত্ব দূর করার জন্য সরকার কর্তৃক কি ভূমিকা পালন করেছে। এই বেকারত্ব দূর করার জন্য সরকার কোন ভূমিকা পালন করেননি। দিন দিন হার বেকারত্বের হার বৃদ্ধি পাচ্ছে তাহলে সৃষ্টি হচ্ছে সামাজিক কলহ ঝগড়া ফ্যাসাদ।

কিভাবে দেশের বেকারত্ব দূর করা যায়

পারিবারিক অশান্তি বিভিন্ন খারাপ আঙ্গিকে সব কিছু চলে যাচ্ছে। তবে বেকারত্বের অধিকাংশই শিক্ষিত বেকার কেননা গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করার পর বা পড়াশোনা কমপ্লিট করার পর তার যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরি না পাওয়াতে তারা বেকার থাকছে। এর মাঝে কেউ কেউ আবার শহর অঞ্চলে কিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলে বসেছেন কেউবা আবার ছোটখাটো বিভিন্ন ব্যবসার সঙ্গে জড়িত হয়েছেন তবে এদেরকে বেকার বলা যায় না মূল বেকার তো হলো তারা যারা কিছুই করতে পারেনি।

পোস্ট সূচিপত্র: কিভাবে দেশের বেকারত্ব দূর করা যায়

ভূমিকা

আমাদের দেশে যে পরিমাণ বেকারত্বের হার বৃদ্ধি পাচ্ছে এতে করে একসময় পুরো দেশটাই বেকার হয়ে যাবে। কেননা কৃত যুবকেরা চাকরির আশায় দিনের পর দিন এ প্রান্ত থেকেও ওপান্তে ঘুরছে কিন্তু কোন চাকরি মিলছে না কেননা বর্তমানে দেশে শিক্ষিত যুবকের পরিমাণ এতটাই বেশি যে সকলকে চাকরি দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।

 

এছাড়া আবার অর্থনৈতিক অবস্থান ও মামা খালু না থাকলে তো চাকরি পাওয়া খুবই দুষ্কর। বর্তমান অবস্থানে দাঁড়িয়ে একটি চাকরি পাওয়া মানে অনেক কিছু সে ক্ষেত্রে যদি সেটা সরকারি চাকরি হয় তাহলে সোনার হরিণ। আর এই সোনার হরিণের পিছনে দৌড়াচ্ছেন লাখো যুবক পড়াশোনা শেষ করে সবারই স্বপ্ন ভালো একটি চাকরি করার কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতি যেখানে চাকরির আসন সংখ্যা ৩০ জন সেখানে আবেদন করছেন তিন হাজার জন তার মধ্যে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নিজস্ব চাকরি প্রার্থী রয়েছে ২০ জন তাহলে কাকে চাকরি এ বিষয়ে আমার সঙ্গে কথা বলতে গেলে অনেক কিছু বলতে হবে।

আরো পড়ুন: দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভূমিকা কি

বাংলাদেশের বেকারত্বের হার দিন দিন কেন বাড়ছে

বাংলাদেশে বেকারত্বের হার দিন দিন বাড়ার মূল কারণ হচ্ছে বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা। কেননা বর্তমানে বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা এতটা নিচে নেমে গিয়েছে যে বলাবাহুল্য নয়। শিক্ষার্থী প্রতিবছর যে পরিমাণ গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করছে বা পড়াশোনা শেষ করছে এই পরিমাণ চাকরি বাজারে নেই। শিক্ষা ব্যবস্থার দুর্নীতির কারণে শুধুমাত্র নামমাত্র শিক্ষিত যুবক তৈরি হচ্ছে যাদের ভেতরে কোনপ্রকার মেধা বা যোগ্যতা নেই তারা নামমাত্র শিক্ষিত হয়ে চাকরির পিছনে ছোটাছুটি করছে তারা কিভাবে চাকরি পাবেন।

বাংলাদেশের বেকারত্বের হার দিন দিন কেন বাড়ছে

 কেননা তারা যখন কোন কোম্পানিতে চাকরির জন্য ইন্টারভিউ দিতে যায় তখন তাদের যোগ্যতা প্রকাশ পায়। তারপর তারা যখন ঘুরে আসে তখন বলা হয় এই দেশে চাকরি নেই। আমার মতে বেকারত্বের হার কমিয়ে আনার আগে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নতি করা প্রয়োজন। বছরে বছরে শিক্ষিত যুবক তৈরি করার থেকে তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা বেশি জরুরী। বর্তমানে অর্থ প্রদানের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সার্টিফিকেট ক্রয় করে বিভিন্ন ব্যক্তি তাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা উন্নতি করছেন এতে করে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস হওয়ার একটি লক্ষণ দেখা দিয়েছে। 

আরো পড়ুন: আনারস খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা কি

এই বিষয়টি আগে বন্ধ করতে হবে। আরেকটি বিষয় রয়েছে পড়াশোনা শেষ করে সবাই চাকরি করতে চায় কিন্তু যেটা সম্ভব নয়। তাই আমাদেরকে পড়াশোনার পাশাপাশি বা পড়াশোনা শেষ করে চাকরির পিছনে দৌড়িয়ে নিজেই উদ্যোক্ত হওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে হয়তোবা একদিনে সম্ভব নয় তবে একটা সময় সম্ভব। বাংলাদেশের বেকারত্বের হার দিন দিন বাড়ার আরো কিছু কারণ রয়েছে তা হলো নিজেকে শিক্ষিত প্রমাণ করার জন্য কোন কিছু না করা ভালো যা করি বা সরকারি চাকরির অপেক্ষা করা। কেননা আপনি শিক্ষিত এটা প্রমাণ করতে হলে আপনাকে ভালো চাকরি করতে হবে।

 আপনি যদি কোন ব্যবসা-বাণিজ্য করতে যান তাহলে আশেপাশের লোকজন ধরে নেবে আপনি পড়াশোনা করেননি বা আপনার শিক্ষাগত কোন যোগ্যতা নেই এ বিষয়টি মাথায় রেখে অনেক যুবক উদ্যোক্ত হওয়া বা ব্যবসা-বাণিজ্য করা থেকে নিজেকে বিরত রাখে এই ভুলভ্রান্ত ধারণা থেকে আমাদেরকে বেরিয়ে আসতে হবে নিজে উদ্যোক্তা হতে হবে এবং নিজেই কিছু করতে হবে আপনি যদি উদ্যোক্ত হন আপনি আরো দশ জন শিক্ষিত যুবকের কর্ম নির্ভরতা প্রদান করতে পারবেন এই কারণে দেশের বেকারত্ব দূর করার জন্য অবশ্যই যাত্রী খোঁজার পিছনে না ছুটে নিজে কিছু করার চিন্তা করতে হবে।

শিক্ষিত বেকার যুবকের করনীয় কি

শিক্ষিত বেকার যুবকের করণীয় কি বলতে বুঝি অনেক কিছু। এটা আমি মানছি যে একজন শিক্ষিত বেকার যুবক রাস্তার মোড়ে বসে চা বিক্রি করতে পারবেনা। বাসে উঠে হকারী করতে পারবে না কলেজের ক্যান্টিনে খাবার বিক্রি করতে পারবেন। যতক্ষণ পর্যন্ত এই মানসিকতাটি কোন শিক্ষিত যুবকের মাথা থেকে না উঠবে ততক্ষণ পর্যন্ত তাকে বেকার থাকতে হবে। পড়াশোনা শেষ মানেই যে ভালো চাকরি করা করতে হবে এমন তো নয়।

শিক্ষিত বেকার যুবকের করনীয় কি

 শিক্ষা আপনার ভেতরের বিষয় আপনি গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করে শিক্ষিত হয়েও যদি আপনার ভিতরে মনুষ্যত্ব জ্ঞান না থাকে তবে আপনি মূর্খ থেকে অধম। যেখানে আপনি দেখতে পাচ্ছেন বর্তমানে দেশে শিক্ষিত যুবকের হার অনুযায়ী চাকরি পাওয়া খুবই দুষ্কর সেখানে আপনি কেন চাকরির জন্য অপেক্ষা করছেন। সময়টুকু আপনি ব্যয় করছেন চাকরি পেছনে এই সময়টুকু কোন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করুন বা ব্যবসা শুরু করুন নিজেই উদ্যোক্ত হন একটা সময় দেখবেন আপনার চাকরির থেকে ভালো ফলাফল পাচ্ছেন।

 এক কথায় বলতে গেলেন শিক্ষিত যুবকের চাকরি করতে হবে এমন মানসিকতা বাদ দিয়ে চাকরি বাদেও দেশে অনেক পেশা রয়েছে যেগুলো ব্যক্তি স্বাধীনতা পর্যায়ে নিজেকে গড়ে তুলতে পারেন সামান্য কিছু দক্ষতা অর্জন করে এই কাজগুলো আপনি করতে পারেন। আর যদি আপনি শুরু করেন আপনার দেখা দেখি আরো দশ জন শিক্ষিত যুবক এই কাজগুলো করবে আর এভাবেই দেশ থেকে শিক্ষিত বেকার যুবক কমানো সম্ভব।

দেশের শিক্ষিত বেকার যুবক তৈরি হওয়ার কারণ

দেশের শিক্ষিত যুবক তৈরি হওয়ার একমাত্র কারণ বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা। যেখানে 95 শতাংশ পাশের হার সেখানে শিক্ষা ব্যবস্থার কি হাল নিজেই চিন্তা করুন। ৯৫ শতাংশ পাশ করা শিক্ষার্থী এর মাথায় কি শিক্ষা রয়েছে। আমার মনে হয় দেশে বর্তমানে ১০০% পাস নিশ্চিত করা উচিত। তাহলে দেশের শিক্ষার মান আরো উন্নত হবে। কেননা আমরা বলতে পারব আমাদের দেশে কেউ মূর্খ নয় সবাই শিক্ষিত। বাট শিক্ষিত বেকার যুবক। 

দেশের শিক্ষিত বেকার যুবক তৈরি হওয়ার কারণ

ধরুন একটা কোম্পানিতে জব সার্কুলার দিয়েছে ১০০ জন কর্মী নিবে অবশ্যই তাদের শিক্ষার মান যাচাই করে নিবে। এখন ৯৫ শতাংশ পাশ করার শিক্ষার্থী ৩০০ জন তাহলে ওই কোম্পানি তো আর বাংলাদেশের শিক্ষামন্ত্রীর মত শিক্ষা ব্যবস্থা করে তুলে তার কোম্পানিতে নিয়োগ দিবে না। সে তখন কোম্পানির উন্নতির জন্য তীর মধ্য থেকে ২০ শতাংশ পাশ করা শিক্ষার্থী বাছাই করবে এবং সেই সকল শিক্ষার্থীকে চাকুরী দিবে। এক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৩০০ জন থেকে 50 জন চাকরি পেতে পারে। তাহলে কি বাকি আড়াইশো জন অশিক্ষিত অবশ্যই সরকারি সার্টিফিকেট উচ্চ পর্যায়ে পড়াশোনা সব কিছুই রয়েছে তাহলে তারা কেন পিছিয়ে পড়ল। 

আরো পড়ুন: অনলাইন থেকে ইনকাম করার উপায় কি

তারা পিছে পড়ে একমাত্র কারণ বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা যতদিন পর্যন্ত বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নতি না হবে ততদিন পর্যন্ত শিক্ষিত বেকার যুবক প্রতিনিয়ত তৈরি হতে থাকবে। এর মধ্যে যারা বুদ্ধিমান তারা অবশ্যই নিজের মেধা কাজে লাগিয়ে নিজে কিছু করার চেষ্টা করব এতে করে দেশের শিক্ষা বা শিক্ষিত বেকারের পরিমাণ কমবে এবং ওই শিক্ষার্থীর ও বেকারত্ব দূর হবে। এক কথায় বলতে গেলে বাংলাদেশের শিক্ষিত বেকার দূর করার পূর্বে বাংলাদেশ থেকে শিক্ষা ব্যবস্থা বর্তমান পরিস্থিতি দূর করতে হবে। শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নতি করতে পারলেই কেবল দেশের শিক্ষিত বেকার যুবকের সংখ্যা কমানো সম্ভব হবে।

\

বেকারত্বের হার কমিয়ে আনতে করণীয় কি

বেকারত্বের হার কমিয়ে আনার জন্য আমাদের সকলের প্রচেষ্টা করতে হবে যেন আমরা দেশে বেকারত্ব দূরীকরণ করতে পারি। আর বেকারত্ব দূরীকরণ করার জন্য শুধুমাত্র আমাদেরকে চাকরি ভাষায় থাকলে হবে না। আমাদের প্রত্যেককেই ব্যক্তিগত ব্যবসা পরিচালনা করার মতন ক্ষমতা তৈরি করতে হবে। এবং এই মানসিকতা দূর করতে হবে যে আমি রাস্তায় চা বিক্রি করব বা আমি রাস্তার পাশে টঙের দোকান করবো। বা আমি ফুটপাতে এইটা করব। এই মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে পারলেই দেশে বেকারত্বের হার কমিয়েও না সম্ভব।

আরো পড়ুন: ডিজিটাল মার্কেটিং করে মাসে লাখ টাকা আয় করার উপায়

 কারণ আপনি নিজেই দেখতে পাচ্ছেন যেখানে প্রতিবছর যে পরিমাণ শিক্ষার্থী বা শিক্ষিত ব্যক্তি উৎপাদন হচ্ছে সেই পরিমাণ চাকরি দেবার মতন ক্ষমতা বর্তমান সরকার বা কোম্পানির হাতে নেই তাহলে আপনারটা আপনার নিজেরই তৈরি করতে হবে। আপনাকে এমন কিছু করতে হবে যেন আপনি সহ আরো দশজন বেকার যুবকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা আপনি করতে পারেন। তাহলে আপনি সহ ১১ জন ব্যক্তির বেকারত্ব দূর হলো। এই মানসিকতা যদি প্রতিটা মানুষের ভিতরে তৈরি হয় তবে দেশে আনা সম্ভব। এক কথায় বলতে গেলে দেশে বেকারত্বের হার কমিয়ে আনতে সরকার নয় প্রতিটি মানুষেরই নিজ নিজ দায়িত্ব থেকে বেকারত্বের হার কমিয়ে আনতে হবে তবে দেশে বেকারত্বের হার কমে আনা সম্ভব।

উপসংহার

আমরা প্রতিনিয়তই দেখে থাকি দেশে প্রায় অধিকাংশ লোকই বেকার। বেকারত্ব কোন অভিশাপ নয় এটা আমাদের নিজের তৈরি করা একটি প্রতিফলন। আমরা চাইলেই বেকারত্ব দূরীকরণ করতে পারি আবার আমরা চাইলেই এর পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে পারি। তবে আপনার জন্য কি করতে পারে পরিমাণ মতো জনবল দরকার সে পরিমাণ নিবে বাকিগুলো কর্মসংস্থান কি হবে। এটা যদি আপনি নিজে চিন্তা করে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনি সরকার বা কোম্পানির প্রতিষ্ঠানে আসা চিন্তা করে দিয়ে আপনি কি করবেন সে চিন্তা করেন। 

বেকারত্বের হার কমিয়ে আনতে করণীয় কি

তাহলে দেশ ও সরকার এবং আপনি আপনার পাশাপাশি আপনার প্রতিষ্ঠান বা কর্মস্থলে আরো নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মচারী সহ সকলের বেকারত্ব দূর হোক। সরকার তো আর চাকরি দেওয়ার গোডাউন খুলে বসেনি। যে আপনি গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করলেন সরকারের কাছে গেলেন যাত্রার নিলেন চাকরি করলেন। এমনটি নয় যদি এমনটি নাই হয়ে থাকে তাহলে আপনার ব্যবস্থা আপনি করুন। দেশের বর্তমানে অনেক রাস্তা রয়েছে আপনার ব্যক্তিগত বেকারত্ব দূর করনের জন্য।


No comments:

Post a Comment