ব্যাংকে আমানত রাখার সুবিধা অসুবিধা এবং ইলেকট্রনিক্স ব্যাংকিং কি - M.A IT FIRM

ব্যাংকে আমানত রাখার সুবিধা অসুবিধা এবং ইলেকট্রনিক্স ব্যাংকিং কি

 ব্যাংকে আমানত রাখার সুবিধা অসুবিধা এবং ইলেকট্রনিক্স ব্যাংকিং কি

ব্যাংক সাধারণত আমানত সংগ্রহের মাধ্যমে ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করে।  ব্যাংকের আমানত বা তহবিল সংগ্রহের উৎস ব্যাংক হিসাব খোলা ও বন্ধ করার পদ্ধতি এবং আধুনিক ইলেকট্রনিক্স ব্যাংকিং কি তা জানব । ব্যাংকে আমরা আমানত হিসেবে যেকোনো কিছু রাখতে পারি যেমন অর্থ গহনা সম্পত্তির দলিল ইত্যাদি। 

ব্যাংকে আমানত রাখার সুবিধা অসুবিধা এবং ইলেকট্রনিক্স ব্যাংকিং কি

ব্যাংক এই আমানত গ্রহণ করে এবং এই আমানত থেকে ব্যাংক একটা মুনাফা অর্জন করে। কি আমানত রাখার জন্য আমাদেরকে ব্যাংকে হিসাব খুলতে হয় যে হিসেবে আমাদের নামে হিসাব খোলা পরেই আমরা আমাদের হিসেবে আমানত জমা রাখতে পারি এবং এটি দীর্ঘমেয়াদিও হতে পারে।

পেজ সূচিপত্র: ব্যাংকে আমানত রাখার সুবিধা অসুবিধা এবং ইলেকট্রনিক্স ব্যাংকিং কি

  • ভূমিকা
  • ব্যাংক আমানত রাখার ধারণা কি
  • ব্যাংক আমানতের উদ্দেশ্য ও গুরুত্ব পূর্ণ বিষয়
  • ব্যাংক হিসাবের প্রকারভেদ কি কি
  • ব্যাংকে হিসাব খোলার ক্ষেত্রে গ্রাহকের বিবেচ্য বিষয় কি
  • উপসংহার


ভূমিকা

বর্তমানে প্রায় আমাদের সবারই ব্যাংক হিসাব রয়েছে কারো কারো প্রয়োজনের থেকেও অধিক ব্যাংক হিসাব রয়েছে। অনেকেই এই ব্যাংক হিসেবগুলোতে আমানত জমা রাখছে আবার অনেকেই এই ব্যাংক হিসাবগুলোতে দীর্ঘমেয়াদি অর্থ জমা রাখছে যেগুলো এককালীন ভাবে রাখা হয় তারপরে তার সময় উপেক্ষা হওয়ার পরে সুদ সহকারে বড় মাপের একটা অ্যামাউন্ট পাচ্ছে। তারপরেও আমাদের ব্যাংকে হিসাব খোলার আগে ব্যাংকে নতিবাচক কিছু দিক খেয়াল রাখতে হবে ব্যাংক টি কোন অবস্থানে আছে ।

আরো পড়ুন: ব্যবসায় দীর্ঘমেয়াদি মূলধন বিনিয়োগের সঠিক সিদ্ধান্ত ও নিয়মাবলী

আমরা ব্যাংকে নানান রকম হিসাব করে থাকি ব্যবসায়িক লেনদেনের জন্য যেমন হিসাব খুলে রাখি অথবা ব্যক্তিগত হিসাব খোলা হয় সে ক্ষেত্রে আমাদের ব্যাংকের অবস্থান ও নির্ণয় করা প্রয়োজন ব্যাংকের অবস্থান যদি আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে হয় সেক্ষেত্রে টাকা উত্তোলন এবং জমা দেওয়া আমাদের জন্য বিভ্রান্তিকর একটা অবস্থান দাঁড় করিয়ে দিতে পারে আমরা সময়মতো টাকা উত্তোলন এবং জমা রাখতে ব্যর্থ হব। সেজন্য ব্যাংকের অবস্থান জানতে হবে আগে। এছাড়াও আরো অনেক বিষয়ে রয়েছে ব্যাংকের ইলেক্ট্রনিক্স ব্যাংকিং সিস্টেম আছে কিনা অথবা ব্যাংকের সুনাম কেমন ব্যাংকের কর্মীদের দক্ষতা কেমন এসব বিষয় খেয়াল করেই ব্যাংকে হিসাব খোলা উত্তম।

ব্যাংক আমানত রাখার ধারণা কি

ব্যাংকিং ব্যবসার তহবিলের মূল উৎস আমানত। ব্যাংকের আমানত বিভিন্নভাবে সংগ্রহীত হয়ে থাকে বিশেষ করে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো বিভিন্ন প্রকার হিজাব খোলার মাধ্যমে তারা আমাদের কাছ থেকে নানান রকম হিসাব করে আমানত সংগ্রহ করে থাকে। এক্ষেত্রে ব্যক্তি অথবা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান হিসাব অনুযায়ী বা ধরন অনুযায়ী ব্যাংক বিভিন্ন নিয়মে হিসাব খোলে এবং বিভিন্ন আমানত গ্রহণ করে। সাধারণত চলতি হিসাব স্থায়ী হিসাব সঞ্চয় হিসাব এর মাধ্যমে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো আমাদের কাছ থেকে আমানত সংগ্রহ করে এবং তার যথাযথ ব্যবহার করে।

ব্যাংক আমানতের উদ্দেশ্য ও গুরুত্ব পূর্ণ বিষয়

ব্যাংক আমানতের উদ্দেশ্য ও গুরুত্ব পূর্ণ বিষয়


ব্যাংক আমানত বা হিসাবের উদ্দেশ্য ও গুরুত্ব গ্রাহক বা আমানতকারের প্রেক্ষাপটে এক ধরনের হয়ে থাকে আবার ব্যাংকের প্রেক্ষাপটে এটার অন্য উল্টো দিক হয় বা ভিন্ন প্রেক্ষাপটে থাকে। আবার ব্যাসটিক অর্থনীতির ক্ষেত্রেও ব্যাংক বিভিন্ন আমানতে কিছু ভূমিকা পালন করে। ব্যাংক আমানত উদ্দেশ্যে ও গুরুত্ব বিষয়ে যে ভূমিকা পালন করে তা নিম্নরূপ।

গ্রাহকের ক্ষেত্রে

নিরাপত্তা: আমানতকারদের ঊর্ধ্ব তো অর্থ ব্যাংকে নিরাপদ সংরক্ষণ করা ব্যাংক হিসাবের অন্যতম কারণ।


ব্যবসায়িক লেনদেন: ব্যাংক নগদ অর্থ ও বিভিন্ন ব্যাংকিং পণ্যের মাধ্যমে ব্যবসায়িক লেনদেন সম্পূর্ণ করে। যেমন চেক লেনদেন বিল বাট্রা করন ব্যাংক ড্রাফ ইত্যাদি।


ঋণের সুবিধা: ব্যাঙ্ক চলতি এবং স্থায়ী হিসাবের মালিকের প্রয়োজন অনুযায়ী ঋণ দিয়ে থাকে এবং এই কারণে বা এই সুবিধা পাওয়ার জন্যও ব্যাংকে হিসাব খোলা প্রয়োজন।


ঝুকিহীন বিনিয়োগ: ব্যাংকে টাকা রাখলে নির্দিষ্ট হারে সুদ দেয় ব্যাংক। শেয়ার বাজারে বিনিয়োগের মতো এটা এতটা ঝুঁকিপূর্ণ নয় তাই এটাকে ঝুকিং বাণিজ্য বা ঝুকিহীন বিনিয়োগ বলা যেতে পারে।


সেবা অর্জন: হিসাব খোলার কারণে ব্যাংক তার গ্রাহক কে একাধিক সুবিধা দিয়ে থাকে যা অন্যান্য সাধারণ জনগণ এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয় এবং অন্যকে হিসাব খোলার জন্য অনুপ্রেরণা যোগায়।


অতিরিক্ত অর্থের প্রয়োজন মিটানো: ব্যাংক তার গ্রাহককে চলতি হিসাবে জন অতিরিক্ত টাকা উত্তোলনের সুবিধা দিয়ে থাকে বা যে টাকা জমা দিয়েছে তার থেকে অতিরিক্ত যে টাকা সুদ হিসেবে পাওয়া যায় সেই টাকা উত্তোলনের সুবিধা ব্যাংক দিয়ে থাকে এবং ব্যাংক হিসাব সংরক্ষণ করতে মানুষকে আকৃষ্ট করে।

ব্যাংকের ক্ষেত্রে

তহবিলের মূল উৎস: বিভিন্ন হিসাবের মাধ্যমে সঞ্চয়িত অর্থ ব্যাংক জমা রাখে এবং এটি ব্যাংকের তহবিল বৃদ্ধিতে সহায়  হয়।


বিনিয়োগ : 
গ্রাহকের কাছ থেকে আমানত গ্রহণ করার পরে সেই আমানত ব্যাংক বিভিন্ন বাণিজ্যিক খাতে বিনিয়োগ করে এবং সেখান থেকে ব্যাংক একটি মুনাফা অর্জন করে সুতরাং লাভজনক বিনিয়োগের নিশ্চিত করার ক্ষেত্রেও ব্যাংকে হিসাব খোলা অন্যতম কারণ হতে পারে।

বৈদেশিক বিনিময়: ব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রার ব্যবসা করে থাকে যার জন্য কাউকে কখনো কখনো হিসাব খুলতে হয়, যেমন পরিবারের কেউ দেশের বাইরে থাকলে সেখান থেকে অর্থ পাঠানোর জন্য ব্যাংক এর মাধ্যমে লেনদেন করা যায়।

সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে

সঞ্চয় প্রবণতা সৃষ্টি: ব্যাংক হিসাব খোলার মাধ্যমে জনগণকে সঞ্চয় জমা করার জন্য এক ধরনের মানসিক মনোবল সৃষ্টি করে যে কারণে মানুষের মাঝে ব্যাংকের সঞ্চয় জমা রাখার প্রবণতা সৃষ্টি হয়

পুঁজি বা মূলধন গঠন: ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে অলস বিক্ষিপ্ত বলতে আমরা অল্প অল্প করে যে সঞ্চয়ে টাকা ব্যাংকে জমা রাখি সেটা পরবর্তী সময়ে বড় ধরনের মূলধন এর আকার ধারণ করে এবং আমরা এই মূলধন নিয়ে কোন ব্যবসা শুরু করতে পারি।


 বিনিয়োগ ও উৎপাদন : ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে দেশের বিনিয়োগ বৃদ্ধি পায় যা পরবর্তীতে দেশের উৎপাদন এবং অর্থনীতির নানা রকম কাজে এই বিনিয়োগ সুফল বয়ে আনে এবং গুরুত্বপূর্ণভাবে ভূমিকা পালন করে।


আন্তর্জাতিক বাণিজ্য: ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে বিভিন্ন পণ্য আমদানি ও রপ্তানির ক্ষেত্রে ব্যাংকের মাধ্যমে লেনদেন করা যায় এবং আন্তর্জাতিক ব্যবসা-বাণিজ্য করার ক্ষেত্রেও ব্যাংকিং লেনদেন গুরুত্বপূর্ণ।

আরো পড়ুন: শেয়ার মার্কেটে বিনিয়োগের সুবিধা অসুবিধা কি

ব্যাংক হিসাবের প্রকারভেদ কি কি

ব্যাংক হিসাবের প্রকারভেদ কি কি


চলতি হিসাব: যে হিসাবের মাধ্যমে প্রতিদিন বা সপ্তাহে যতবার খুশি টাকা জমা রাখা যায় এবং উত্তোলন করা যায় প্রয়োজনমতো তাই একমাত্র যতবার খুশি টাকা উঠানো যায় তাকেই চলতি হিসাব বলে। ব্যবসায়ীদের জন্য এই হিসাব সুবিধা জনক এবং এই হিসাবে সাধারণত কোন সুদ প্রদান করা হয় না। এই হিসাব জমা অতিরিক্ত টাকা উত্তোলন করা যেতে পারে।

সঞ্চয় হিসাব: যে হিসাবের মাধ্যমে প্রতিদিন বা সপ্তাহে যতবার খুশি টাকা জমা রাখা যায়, কিন্তু সপ্তাহে শুধু দুইবার বা নিয়ম অনুযায়ী টাকা উত্তোলন করা যেতে পারে তার থেকে বেশি নয় তাকে সঞ্চয় হিসাব বলে। ব্যবসায়ী সাধারণ জনগণ বা নির্দিষ্ট আয়ের জনগণ যারা রয়েছে তারা এই হিসাব খুলে থাকেন এই হিসাব খোলার মাধ্যমে ব্যাংক স্বল্প পরিমাণ সুদ দিয়ে থাকে তবে আজকাল কোন ব্যাংক কি টাকা জমা বা তোলার হিসেবে কোন নিয়ন্ত্রণ রাখছে না।

স্থায়ী হিসাব: একটি নির্দিষ্ট সময় বা মেয়াদের জন্য যে হিসাব খোলা হয় তাকেই স্থায়ী হিসাব বলে। স্থায়ী হিসাব সাধারণত এক মাস তিন মাস ছয় মাস এক বছর দুই বছর পাঁচ বছর মেয়াদের জন্য টাকা জমা রাখা হয় এবং এর মাঝে এই টাকা উত্তোলন করলে কোন প্রকার লাভাংশ পাওয়া যায় না। যদিও এই হিসাবে ব্যাংক উচ্চ হয় কিন্তু এটা সময়ের আগে কখনোই উত্তোলন করলে তার কোন লাভাংশ ব্যাংক দেয় না।

 স্কুল সঞ্চয় হিসাব: স্কুল বা কলেজের শিক্ষার্থীদের সঞ্চয়ী হিসাব মনোভাব সৃষ্টি করার কারণে বা তাদের অর্থ সঞ্চয়ের ব্যাপারে মনোবল তৈরির জন্য এই জাতীয় হিসাব খোলা হয়

বিমা সঞ্চয় হিসাব : এই হিসাবের মাধ্যমে সঞ্চয় হিসাব এবং জীবন বীমার সুবিধা পাওয়া যায়। একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ জমা রাখলে উক্ত হিসাবে জমা রাখতে হয়। সেই জমাকিত টাকা উপর সুদের কিছু অংশ হতে প্রিমিয়াম বাদ দেওয়ার হয় এবং এরপরে আমানতকারীর নামে মোট অংকের একটা বীমা করা হয় এবং উক্ত গ্রাহক সুবিধা ভোগ করতে পারে।

বৈদেশিক মুদ্রা স্থায়ী হিসাব: বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকার যেকোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান এই জাতীয় হিসাব খুলে থাকে। এ জাতীয় হিসাবে একমাত্র বৈদেশিক মুদ্রার লেনদেন হয়ে থাকে।

ডিপোজিট পেনশন স্কিম হিসাব: এই হিসাবে মাধ্যমে প্রতি মাসে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নির্দিষ্ট পরিমাণে টাকা জমা দিতে হয়। এভাবে দীর্ঘদিন টাকা জমা রেখে মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে একসময় সুদ সমেত সকল টাকা ফেরত দেওয়া হয়। প্রতি মাসে ২০০ ৩০০ ৫০০ টাকা বা যেকোনো অঙ্কের মাসিক বা সাপ্তাহিক হিসেবে টাকা জমা রাখা যায় এবং একটি নির্দিষ্ট সময় হওয়ার পরে জমা কারী কে সুদসহ সেই টাকা ফেরত দেওয়া হয় দেওয়া হয়:

ঋণআমানত হিসাব: কোন ব্যবসায়ী বা শিল্পপতি বা অন্য যেকোন রিং গ্রহীতা ব্যাংকে হতে ঋণ গ্রহণ করলে ব্যাংক নগদ অর্থ ঋণ না দিয়ে তাকে তার হিসাবে টাকা জমা রাখে। তার প্রয়োজন অনুযায়ী উক্ত হিসাব থেকে তার চেকের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করে কেকের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করার কারণে পুনরায় কোনো না কোনো ব্যাংক সেই টাকার নতুন ভাবে ঋণ আমানত সৃষ্টি করতে পারে।

রেসিডেন্ট পড়েন কারেন্স ডিপোজিট হিসাব: সাধারণত সেসব বাংলাদেশী নাগরিকদের জন্য তৈরি যারা নিয়মিত দেশ-বিদেশ ভমন করেন বিদেশে সফরে সরকারি বৈদেশিক মুদ্রা ব্যবহারের কোটা অনেক সময় নিয়মিত সকল কার্যের জন্য পর্যাপ্ত না হওয়ায় এই হিসাব বিশেষ ভূমিকা রাখে। সাধারণত আমদানি এবং রপ্তানি কারি অথবা বিদেশি কোম্পানির সাথে যাদের লেনদেন রয়েছে এবং যারা উপদেশমূলক সেবায় নিযুক্ত থাকেন সাধারণত তারা এই হিসাব চালু রাখেন।

আরো পড়ুন: ব্যবসা প্রতিষ্ঠান শুরু ঝুঁকি ও অনিশ্চয়তা কি 

ব্যাংকে হিসাব খোলার ক্ষেত্রে গ্রাহকের বিবেচ্য বিষয় কি

ব্যাংকে হিসাব খোলার ক্ষেত্রে গ্রাহকের বিবেচ্য বিষয় কি

আমাদের আশেপাশে অনেক ব্যাংক দেখা যেতে পারে আমরা সিদ্ধান্ত নিলেও যে ব্যাংকটি একটি হিসাব খুলবো কিন্তু কিভাবে সিদ্ধান্ত নেব যে কোন ব্যাংকে কি ধরনের হিসাব খুলব ব্যাংক হিসাব খোলার পূর্বে নিউরটি বিষয়গুলো বিবেচনা করা উচিত।

ব্যাংকের অবস্থান: আমানতকারী সাধারণত হিসাব খোলার পূর্বে তার ব্যবসায়িক কেন্দ্রস্থল বা নিজ বাসভবন ইত্যাদির সাথে ব্যাংকের অবস্থান বা দূরত্ব বিবেচনা করে থাকে।

দক্ষতা: ব্যাংকের কর্মচারীরা কি পরিমান দক্ষ এবং কতটুকু দক্ষতা অর্জন করেছে বা যে ব্যাংক কর্মকর্তা রয়েছে তারা কতটুকু দক্ষতা নিয়ে কাজ করছে এটিও একটি বিবেচ্য বিষয় এবং দক্ষতা ব্যাংকের হিসাব খোলার একটি অন্যতম বিবেচ্য বিষয় দুটি ব্যাংকের মধ্যে যে ব্যাংকটি কম গড সময়ে সেবা প্রদান করতে পারে সেটি বেশি দক্ষ।

বৈদেশিক বিনিময় :একটি ব্যাংক সকল শাখা বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময়ে অংশগ্রহণ করতে পারে না। তোমার যদি বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময়ে প্রয়োজন হয় তবে যে ব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় করার ক্ষমতা রাখে বা যাদেরকে এই অনুমতি দেওয়া হয়েছে সেই ব্যাংকেই হিসাব খোলা উচিত।

সুনাম: ব্যাংকের হিসাব খোলার পূর্বে ব্যাংকের সুনাম সম্বন্ধে জানা উচিত যে ব্যাংক বেশি পুরাতন এবং অধিক পরিচিত রয়েছে সেই ব্যাংকেই হিসাব খোলা উচিত।

শাখা: অধিক সংখ্যক শাখা যে ব্যাংকগুলোতে রয়েছে সেই ব্যাংকগুলোই গ্রাহকের জন্য উপযোগী।

তালিকা ভুক্ত ব্যাংক: বাংলাদেশ ব্যাংক দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক হিসেবে ভালো ভালো বাণিজ্যিক ব্যাংকে তালিকাভুক্ত ব্যাংক হিসেবে স্বীকৃত দেয় সব ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংকের স্বীকৃতি পায় না অ তালিকাভুক্ত ব্যাংকের চেয়ে তালিকাভুক্ত ব্যাংক সবার নিকট অধিক নিরাপদ এবং সহজ হিসেবে বিবেচিত করা হয়।

ঋণ সুবিধা: যেসব ব্যাংকের ঋণ প্রদানের নীতি অপেক্ষায় অনেক ভালো এবং নমনীয় সেইসব ব্যাংকে হিসাব খুলে ভালো হবে।

সুদ : এদিকে সুদের পরিমাণটাও খেয়াল রাখতে হবে প্রত্যেকটি ব্যাংকের আলাদা আলাদা সুদ রয়েছে সব ব্যাংক একই পরিমাণ সুদ চার্জ করে না সে ক্ষেত্রে সুদ ব্যাপারটা নজর দিতে হবে যে ব্যাংকের সুদের পরিমাণ কম সেই ব্যাংকে একাউন্ট খোলা ভালো এবং গ্রাহক বেশি আগ্রহী হয়ে থাকে।

সেবার ওপর চার্জ: যে সকল ব্যাংক স্বল্প চার্জে অধিক সেবা দিয়ে থাকে সেই সকল ব্যাংকে হিসাব খোলা ভালো হতে পারে।

ইলেকট্রনিক্স ব্যাংকিং সেবা: বর্তমানে প্রায় সব ব্যাংকেরই ইলেকট্রনিক্স ব্যাংকিং সুবিধা রয়েছে তবে কিছু কিছু ব্যাংক এখনো ইলেকট্রনিক্স ব্যাংক সুবিধা দিতে পারেনি তো যেমন অনলাইন ব্যাংকিং এটিএম কার্ড সহ অন্যান্য ব্যাংকিং সেবা প্রদান করতে পারে এমন সকল ব্যাংকগুলোতে খুলে উপকারযেতে পারে।

উপসংহার

ব্যাংকে আমানত রাখার সুবিধা ও অসুবিধা অপরিসীম। যদি আমাদের সিদ্ধান্ত ভুল হয় আমরা যদি ভুল কোন ব্যাংকে আমানত জমা রাখি সেক্ষেত্রে আমরা নানান রকম অসুবিধার মধ্যে পড়তে পারি বা সময়মতো ব্যাংক আমাদের জমাকৃত অর্থ ফেরত দিতে অপারগতা প্রকাশ করতে পারে সে ক্ষেত্রে অবশ্যই আমাদের খেয়াল রাখতে হবে যে ব্যাংকগুলোতে আমরা আমানত জমা রাখছি সেই ব্যাংকগুলো পরবর্তীতে আমাদেরকে আমাদের আমানত ফেরত দেওয়ার মতন ক্ষমতা রাখে কিনা।

No comments:

Post a Comment