তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির গুরুত্ব এবং উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব - M.A IT FIRM

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির গুরুত্ব এবং উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব

 

 তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির গুরুত্ব এবং উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির গুরুত্ব অপরিসীম। প্রযুক্তির উন্নতির ফলে আমাদের যোগাযোগ মাধ্যম আগে থেকে অনেক সহজ এবং সুবিধাজনক হয়েছে এবং আমরা সঠিক তথ্য এবং নির্ভুল তথ্য খুব অল্প সময়ের মাঝে পেয়ে যাচ্ছি। প্রযুক্তি যত এগিয়ে যাচ্ছে আমাদের যোগাযোগ মাধ্যম তত উন্নত হচ্ছে এবং আমরা বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করতে পারছি। দেশ-বিদেশের নানান রকম খবরা খবর আমরা খুব কম সময়ের মধ্যে জানতে পারছি ।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির গুরুত্ব এবং উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব


এটা শুধুমাত্র তথ্যপ্রযুক্তির উন্নতির কারণেই হয়েছে দিন যত বাড়ছে তথ্যপ্রযুক্তির উন্নত বাড়ছে এবং এর গুরুত্ব আমাদের কাছে আরও বেশি বলে মনে হচ্ছে। এই তথ্য প্রযুক্তি উন্নতি সাধনের পূর্বে যারা এই তথ্য প্রযুক্তির উদ্ভাবন করেছে তাদের গুরুত্ব ও অপরিসীম। কেননা তারা যদি এই তথ্য প্রযুক্তির উদ্ভাবন না করত তাহলে আজ আমরা এই সকল সুযোগ-সুবিধা পেতাম না তাই আমাদের কাছে তথ্যপ্রযুক্তি ও যোগাযোগের গুরুত্ব যেমন তেমনি উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিবর্গ যারা উদ্ভাবন করেছে তাদের গুরুত্ব ও অনেক

পেজ সূচিপত্র: তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির গুরুত্ব এবং উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব


ভূমিকা

তথ্য ও যোগাযোগ মাধ্যম এবং প্রযুক্তির উন্নতি আমাদের এক নতুন রূপ দান করেছে। গ্রাম থেকে শহর পর্যন্ত প্রত্যেকটা জায়গায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির উন্নতি করেছে আজ থেকে কয়েক বছর আগে যোগাযোগের যে মাধ্যম ছিল বর্তমানে তা থেকে অনেক উন্নত হয়েছে দেশ-বিদেশে সহজেই যোগাযোগের মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে আর এই মাধ্যম আমরা তথ্য প্রযুক্তির উন্নতির ফলেই পেয়েছি। 

সে ক্ষেত্রে পূর্বে আমাদের কোন তথ্য বা কোন খবরা খবর নেওয়ার জন্য অনেক দূর পর্যন্ত যেতে হতো দেশ বা দেশের বাইরে খবর জানতে চাইলে আমরা খুব বিপাকে পড়তাম কিন্তু বর্তমানে তথ্যপ্রযুক্তির উন্নতির কারণে আমাদের কাছে যোগাযোগ মাধ্যম খুবই সহজ হয়ে দাঁড়িয়েছে আমরা খুব সহজেই দেশ-বিদেশ থেকে শুরু করে গ্রাম শহর প্রত্যেকটা জায়গায় খুব সহজেই যোগাযোগ করতে পারি। এ কারণে বলতে পারি যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির গুরুত্ব আমাদের কাছে অপরিসীম


আরো পড়ুন: কম্পিউটার ব্যবহারে আসক্তি ও মুক্ত থাকার উপায়


একুশ শতক এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি


বিগত শতাব্দীতে সম্পদের যে ধারণা ছিল, ২১ শতকে এসে সেটি পুরোপুরি পাল্টে গেছে। পৃথিবীর সবাই মেনে নিয়েছে যে, ২১ শতকের সম্পদ হচ্ছে জ্ঞান। যার অর্থ কৃষি, খনিজ সম্পদ কিংবা শক্তির উৎস নয়, শিল্প কিংবা বাণিজ্য নয় এখন পৃথিবীর সম্পদ হচ্ছে সাধারণত মানুষ। তার কারণ শুধু মানুষ জ্ঞান অন্বেষণ করতে পারে, জ্ঞান ধারণ করতে পারে এবং জ্ঞান ব্যবহার করতে পারে। 

পৃথিবীর সম্পদের এই নতুন ধারণাটি সারা পৃথিবীতে মানুষের চিন্তা ভাবনার জগতটি পাল্টে দিয়েছে। পৃথিবীর মানুষ এখন ২১ শতকের মুখোমুখি হওয়ার জন্য আলাদাভাবে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। আমরা সবাই অনুভব করতে পারছি ২১ শতকের পৃথিবীটা আসলে জ্ঞানভিত্তিক একটা অর্থনীতির ওপর দাঁড়াতেশুরু করেছে। 21 শতকে এসে আমরা আরও দুটি বিষয়ের শুরু করেছি যার একটি হচ্ছে গ্লোবালাইজেশন এবং উন্নতি ইন্টারন্যাশনালাইজেশন। এর কারণটি হচ্ছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিশ্বায়নের কারণে নিজের দেশের সীমানা ছাড়িয়ে সারা পৃথিবী ছড়িয়ে পড়েছে। 

ব্যাপারটি বোঝার জন্য আমরা আমাদের বাংলাদেশের উদাহরণটি নিতে পারি। আমাদের দেশের লক্ষ্য লক্ষ্য মানুষ এখন সারা পৃথিবী ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে তারা যে যেখানে আছে। আবার বাংলাদেশের অধিবাসী হয়েও তারা পৃথিবীর অন্যান্য দেশের নাগরিক হয়ে বেঁচে আছে, আন্তর্জাতিকতা এখন এই নতুন পৃথিবীর অলিখিত নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই নতুন বিপ্লবের অংশ নিতে হলে বিশেষ এক ধরনের প্রস্তুতি নিতে হবে সেটি আমরা অনুভব করতে পারি। 

যদি আমরা বেঁচে থাকার সুনির্দিষ্ট দক্ষতা গুলো দেখতে চাই তাহলে সেগুলো হবে পারস্পরিক সহযোগিতা মনোভাব যোগাযোগ দক্ষতা ও সুনাগরিকত্ব সমস্যার সমাধানের মতন ক্ষমতা পারদর্শিকতা বিশ্লেষণে চিন্তাভাবনা এবং সৃজনশীলতার সাথে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি পদর্শিতা। আমরা জানি একটা সময় মানুষ বেঁচে থাকার জন্য পুরোপুরি ভাবে প্রকৃতির উপর নির্ভরশীল ছিল কিন্তু বর্তমানে প্রকৃতির উপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে বর্তমানে আমরা প্রযুক্তির উপরে নির্ভরশীলতা হয়ে দাঁড়িয়েছে অষ্টদশ থেকে উনো বিশ শতাব্দীতে শিল্প বিপ্লবের পর মানুষ যন্ত্রের উপর নির্ভর করা শুরু করেছে পৃথিবীর অর্থনীতি নিয়ন্ত্রণ করাও যন্ত্রের উপরে নির্ভর করছে। 


আরো পড়ুন: ইন্টারনেট ব্যবহারে শিক্ষার মান উন্নয়ন ও আইসিটির ভূমিকা কি


একুশ শতকে যখন জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতির সূচনা সৃষ্টি হয়েছিল তখন আবার সেই একই ব্যাপার ঘটেছে যারা জ্ঞানভিত্তিক সমাজ তৈরি করার বিপ্লবে অংশ নেবে তারাই পৃথিবী পরিচালনা করবে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির প্রদর্শিতা সবচেয়ে প্রয়োজনীয়তা দক্ষতা হিসেবে খুব দ্রুত স্থান করে নিয়েছে। 21 শতকে টিকে থাকতে হলে সবাইকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির প্রাথমিক বিষয়গুলো জানতে হবে। এই প্রাথমিক বিষয়গুলো জানা থাকলে একজন এটি ব্যবহার করে প্রযুক্তির বিশাল বৈচিত্র্য জগতে প্রবেশ করতে পারবে। 

একজন শিক্ষার্থী যতক্ষণ পর্যন্ত এই প্রযুক্তির ব্যবহারের অভ্যস্ত না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত সে তথ্য সংগ্রহ, বিশ্লেষণ, সংযোজন, মূল্যায়ন করে নতুন তথ্য সৃষ্টি করতে পারবেনা। এই দক্ষতা অর্জন করতে না পারলে সে একুশ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে জ্ঞানভিত্তিক সমাজে স্থান করে নিতে পারবে না এবং নিজেকে দক্ষতা এবং ব্যক্তিত্বের সাথে সবার সামনে উপস্থাপন করার ক্ষমতা থাকবে না।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির বিকাশে উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব

 তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির আজকের বিকাশের পেছনে রয়েছে অনেক বিজ্ঞানী স্বপ্নদ্রষ্টা প্রকৌশলী এবং নির্মাতাদের অবদান তাদের এই ব্যাপক অবদান ও সাফল্যের জন্যই আজকে আমরা তথ্য ও প্রযুক্তির এই ব্যবহার করতে পারছি। তার এবং তারহীন যে তথ্য যোগাযোগের ব্যবস্থা করেছেন কম্পিউটারকে তার গণনা ক্ষমতা বৃদ্ধি করেছেন যে ব্যক্তিবর্গ এবং যেই ব্যক্তিবর্গের কারণেই বর্তমানে আইসিটি কে মুঠোর মধ্যে নিয়ে এসেছে ।


আধুনিক কম্পিউটারের বিকাশ বা প্রচলন শুরু হয় চার্লস ব্যাবেজ ১৭৯১ থেকে ১৮৭১ এই নামে একজন ইংরেজ প্রকৌশলী ও গণিতবিদের হাতে। অনেকেই তাকে আধুনিক কম্পিউটারের জনক বলে থাকেন। তিনি তৈরি করেন আলাদা একটা ইঞ্জিন 1991 সালে লন্ডনের বিজ্ঞান জাদুঘরে চার্লস ব্যাবেজের বর্ণনা অনুসারে একটা ইঞ্জিন তৈরি করা হয়। দেখা যায় যে সেটি সঠিকভাবে কাজ করছে এবং পরবর্তীতে তিনি এনালিটিক্যাল ইঞ্জিন নামে একটি গণনা যন্ত্রের কথা চিন্তা করেন।


মাইক্রো প্রসেসর আবির্ভাবের পর বিশেষ করে, যুক্তরাষ্ট্রে সেটি ব্যবহার করে পার্সোনাল কম্পিউটার তৈরির কাজ শুরু হয়। স্টিভ জব ও তার দুই বন্ধু স্টিভ জজ নিয়াক ও রোনাল্ড ওয়েনে ১৯৭৬ সালের প্রথম এপ্রিল অ্যাপল কম্পিউটার নামে একটি প্রতিষ্ঠান চালু করেন প্রতিষ্ঠানটি বর্তমানে বিশ্বের সবচাইতে বৃহত্তম প্রতিষ্ঠান হিসেবে নাম করেছেন অ্যাপেলের মাধ্যমে পার্সোনাল কম্পিউটারের না পর্যায় নানা প্রযুক্তি বিকাশিত হয়েছেন।


অন্যদিকে 1981 সালে আইবিএন কোম্পানি তাদের বানানো পার্সোনাল কম্পিউটারের অপারেটিং সিস্টেম তৈরি করার জন্য উইলিয়াম হেনরি বিল গেটস ও তার বন্ধুদের প্রতিষ্ঠান মাইক্রোসফট কে দায়িত্ব দেয়। মাইক্রোসফট তখন তৈরি করে এম এস ডস এবং উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম। বিল গেটসের প্রতিষ্ঠিত মাইক্রোসফট অপারেটিং সিস্টেম এর মাধ্যমে বা এই অপারেটিং সিস্টেম দিয়ে বর্তমানে বিশ্বের বেশিরভাগ কম্পিউটারই পরিচালিত হচ্ছে।


আরো পড়ুন:ব্যবসায় মূলধন ধারণা ও খরচের উৎস মূল্যায়ন

বর্তমান পৃথিবীর সবচাইতে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নাম ফেসবুক যেটা আমরা সকলেই ব্যবহার করে থাকি। এটি তৈরি করেছেন খাবার বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী মার্ক জুকারবার্গ, এবং তার চার বন্ধুর হাতে সূচিত হয় ফেসবুক নামক এই যোগাযোগ বা বিনোদন প্ল্যাটফর্মটি। শুরুতেই শুধুমাত্র এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকলেও বর্তমানে এটি প্রায় পৃথিবীর প্রতিটি দেশেই রয়েছে এবং প্রত্যেকটি দেশেরই নাগরিক এই ফেসবুক নামক যোগাযোগ মাধ্যমটি ব্যবহার করে থাকেন। এর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে আমাদের বাংলাদেশে ফেসবুকের চাহিদা বিপুল পরিমাণ, এবং ফেসবুককে একটি যোগাযোগ মাধ্যমের প্রধান প্ল্যাটফর্ম হিসেবে বেছে নিয়েছে।

তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তির গুরুত্ব


পৃথিবীতে জ্ঞান অর্জনের একটি সুনির্দিষ্ট পদ্ধতি দীর্ঘদিন থেকেই মোটামুটি একইভাবে কাজ করে আসছিল। তথ্য প্রযুক্তির উন্নতি হওয়ার পর প্রথমবার সেই পদ্ধতি এক ধরনের পরিবর্তন শুরু করেছে। যোগাযোগ প্রযুক্তির গুরুত্ব আমাদের কাছে অপরিসীম। আমরা সর্বদা সময় যোগাযোগ মাধ্যম হিসেবে প্রযুক্তিকেই বেশি অগ্রাধিকার দিয়ে আসছি যেটা পূর্বে ছিল না পূর্বে যোগাযোগের জন্য নানান রকম ব্যবস্থা নেওয়া হতো যেমন ডাক যোগাযোগ কিন্তু বর্তমানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির উন্নতির কারণে আমাদের যোগাযোগ মাধ্যমটি একবারে হাতের নাগালে এসে দাঁড়িয়েছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির গুরুত্ব হিসেবে কিছু বর্ণনা

ই--লার্নিং ও বাংলাদেশ: কি লার্নিং শব্দটি ইলেকট্রনিক লার্নিং কথাটির সংক্ষিপ্ত রূপ এবং এটা বলতে আমরা পাঠদান করার জন্য সিডি রুম, ইন্টারনেট, ব্যক্তিগত নেটওয়ার্ক কিংবা টেলিভিশন চ্যানেল ব্যবহার করার পদ্ধতিকে বুঝিয়ে থাকি। আমাদের একটা বিষয় মনে রাখতে হবে যে ই লার্নিং কখনই সনাতন পদ্ধতিতে পাঠাদানের বিকল্প কোনো কিছু নয় এটি সনাতন পদ্ধতির একটি পরিপূরক অংশ। বাংলাদেশের জনগোষ্ঠী বিশাল সে কারণে স্কুলে শিক্ষার্থী সংখ্যা ও বিশাল।

 নানা ধরনের অর্থনৈতিক সমস্যার কারণে বা অর্থনৈতিক থাকার কারণে স্কুলগুলোতে দক্ষ শিক্ষক এর অভাব রয়েছে। লেখাপড়ার জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ যেমন বই খাতা কলম ল্যাব ইত্যাদির অনেক অভাব রয়েছে। এই সমস্যাগুলো সমাধানের জন্য ই লার্নিং একটা বিশাল ধরনের ভূমিকা রাখতে পারে। একজন দক্ষ শিক্ষকের মাধ্যমে কোন বিষয়বস্তুর ওপরে ভিডিও তৈরি করে সেটি বাংলাদেশের প্রায় সকল স্কুলগুলোতে পৌঁছে দেওয়া যেতে পারে ।

 এবং এই ভিডিওটি বারবার দেখে দেখে শিক্ষার্থীরা ভালো একটা শিক্ষা অর্জন করতে পারে পূর্বেই আমরা বলেছি যে অর্থনৈতিক সমস্যার কারণে আমরা যে দক্ষ শিক্ষক প্রতিটা স্কুল কলেজে নিয়োগ দিতে পারি না সে ক্ষেত্রে ই-লার্নিং এর কারণে অল্প কিছু দক্ষ শিক্ষক এর দ্বারা প্রায় অনেকগুলো স্কুল কলেজ বা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করতে পারব।


আরো পড়ুন:Buying কিওয়ার্ড, লং টেইল কিওয়ার্ড, আর্টিকেল রাইটিং এর স্ট্রাটেজি, টপিক খোঁজা,  এনালাইসিস, গেস্ট ব্লগিং google কনটেন্ট পলিসি


ই গভর্ন্যান্স ও বাংলাদেশ: ভালো একটি গভর্নেন্স ও সুশাসনের জন্য দরকার স্বচ্ছ এবং জবাবদিহি মূল্য ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষমতা। ডিজিটাল ব্যবস্থা প্রচলন এর ফলে সরকারি ব্যবস্থাসমূহকে আধুনিক ও যুগোপযোগী করার পাশাপাশি সরকারি ব্যবস্থা সমূহের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছে এবং আমরা সেটি করতে পারছি। এর ফলে নাগরিক হয়রানি মূল্য কর্মকাণ্ড থেকে এবং নানা রকম বিলম্ব না হাত থেকে রেহাই পাচ্ছেন এবং দেশের সুশাসন প্রতিষ্ঠা হচ্ছে। শাসনব্যবস্থা ও প্রক্রিয়া ইলেকট্রনিক্স বা ডিজিটাল পদ্ধতির প্রয়োগে হচ্ছে ই ই গভর্ন্যান্স । 

একটা সময় ছিল যখন পাবলিক পরীক্ষার ফলাফল জানার জন্য যারা গ্রামে বাস করত বা দূরবর্তী এলাকায় বাস করত তাদের জন্য দুষ্কর হয়ে যেত ।এমনকি পরীক্ষার ফলাফল বের হওয়ারও ৭ থেকে ১০ দিন পার হয়ে যেত তারা কোন পরীক্ষার ফলাফল পেত না। কিন্তু বর্তমানে ইন্টারনেট এবং মোবাইলের মাধ্যমে এসএমএস এর মাধ্যমে পরীক্ষার ফলাফল দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তারা তাদের ফলাফল পেয়ে যাচ্ছে ফলাফল জানার যে বিড়ম্বনা ছিল সেটির অবসান ঘটেছে। 

আবার জেলা প্রশাসকের কার্যালয় স্বল্প সময়ের মাধ্যমে অনেক কাজ সমাধান করা যাচ্ছে যে কাজগুলো বিগত দিনে পাঁচ থেকে ছয় সপ্তাহ সময় লাগতো এখন সেই কাজগুলো চার থেকে পাঁচ দিনের মধ্যে করা সম্ভব হচ্ছে শুধু তাই নয় তথ্যের এই ডিজিটাল করণের ফলে সিদ্ধান্ত গ্রহণে সময় কম লাগছে। সেবা পদনে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার বৃদ্ধির পাশাপাশি বিভিন্ন দলিল পর্চা প্রগতি নকল প্রদানে সংশ্লিষ্ট দফতরের সক্ষমতা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। 

নাগরিকদের যন্ত্রণার একটি উদাহরণ হল পরিষেবার বিল পরিশোধ করার মাধ্যম যেমন বিদ্যুৎ, গ্যাস পানি ইত্যাদি বিল পরিশোধ করতে এখন আর দূরে যেতে হয় না ঘরে বসেই মোবাইল বা ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিদ্যুৎ  গ্যাস এর বিল পরিশোধ করা যায় কি গভর্নেন্সের মাধ্যমে কোন কোন কার্যক্রম ৩৬৫ দিনের ২৪ ঘন্টায় করা সম্ভব যেমন এটিএম সেবা ,মোবাইল ব্যাংকিং সেবা, তথ্য সেবা ইত্যাদি ফলে নাগরিকরা নিজেদের সুবিধা জনক সময়ে সেবা গ্রহণ করতে পারছে।

ই সার্ভিস ও বাংলাদেশ: সরকারি এবং বেসরকারি অনেক সেবামূলক সংস্থা সার্বক্ষণিকভাবে অথবা সময় সময়ে দেশের জনগণকে বিভিন্ন সেবা প্রদান করে থাকে। এই সেবা হতে পারে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যাতায়াত কিংবা কোন জমির দলিলের নকল বের করে দেওয়া ।ডিজিটাল পদ্ধতি চালু হওয়ার পূর্বে এই সকল সেবার ক্ষেত্রে সেবা ঘড়ি থাকে অবশ্যই সেবা তার সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করতে হতো। কিন্তু ডিজিটাল পদ্ধতি চালু হওয়ার কারণে গ্রহীতা তার নিজ বাসায় বসেই মোবাইল অথবা ইন্টারনেটের মাধ্যমে সে তার সমস্ত সেবা গ্রহণ করতে পারছে। ই সার্ভিস ও বাংলাদেশ এর কয়েকটি উদাহরণ নিম্নরূপ

  1. ই--পুঁজি
  2. ইলেকট্রনিক্স মানি ট্রান্সফার সিস্টেম
  3. ই -পর্চা সেবা
  4. ই--স্বাস্থ্য সেবা
  5. রেলওয়ে ই -টিকিটিং ও মোবাইল টিকেটিং

ই-কমার্স ওবাংলাদেশ: একটি দেশের বিকাশ ও কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে বাণিজ্যের কোন বিকল্প নেই। ডিজিটাল প্রযুক্তির বিকাশ ইন্টারনেটের উদ্ভব ও বিকাশ এবং কাগজের মুদ্রার বাইরেও ইলেকট্রনিক্স বিনিময় প্রথা চালু হওয়ার ফলে বাণিজ্যের একটি বিশেষ পরিবর্তন হয়েছে। এখন ইলেকট্রনিক্স এর মাধ্যমে বাণিজ্য করা যায় যার প্রচলিত নাম ই-কমার্স বা ই বাণিজ্য।

যেকোনো পণ্য বার সেবা বাণিজ্যের কয়েকটি শর্ত থাকে প্রথমত বিক্রেতার কাছে তার পণ্যটি থাকতে হবে এবং ক্রেতার কাছে এটি কেনার মতন অর্থ থাকতে হবে এবং সেটা পরিশোধ করার মাধ্যম থাকতে হবে বিক্রেতার সঙ্গে ক্রেতার সরাসরি যোগাযোগ এবং পণ্য সরাসরি দেখে নেওয়া। কিন্তু বর্তমানে ইন্টারনেটের মাধ্যমে পণ্যের ছবি বা ভিডিও দিয়ে একজন বিক্রেতা তার একটি ইন্টারনেটে দোকান খুলে বসেছেন। 


আরো পড়ুন:স্ক্রিনশট টেকনিক,কপিরাইটিং, গ্রামারট্রিক্যাল এয়ার চেকার, আর্টিকেল স্পিনিং ও স্ক্যাপিং, Plagiarism কি কেন করবেন না


 তিনি তার প্রতিষ্ঠানের নামে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করেছেন। ক্রেতা অনলাইনের মাধ্যমে পণ্যটির দেখে পছন্দ হলে তিনি সেই পণ্যটি অর্ডার করছেন এবং এর মূল্য পরিশোধ করার জন্য ক্রেডিট অথবা ডেবিট কার্ড ব্যবহার করছেন। অথবা মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে পণ্যের মূল্য পরিশোধ করছেন এখন বিক্রেতা সেই পণ্যটি সরাসরি অথবা কোন সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান যেমন কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে ক্রেতার ঠিকানায় পৌঁছে দিচ্ছেন।

 মোবাইল বা কার্ড ছাড়াও বিল পরিশোধ করার আরেকটি মাধ্যম রয়েছে এটিকে বলা হয় পণ্য পাওয়ার পরে পণ্যের মূল্য পরিশোধ করা বা ক্যাশ অন ডেলিভারি এই পদ্ধতিতে কেতা বিক্রেতার কাছে পণ্য পাঠিয়ে দিচ্ছে এবং ক্রেতা পণ্য হাতে পাওয়ার পরে সেই পণ্যের মূল্য পরিশোধ করছে।

উপসংহার

উপরোক্ত বিষয়গুলো থেকে আমরা জানলাম তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির গুরুত্ব যেমন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির উন্নতির কারণে আমরা ঘরে বসেই পণ্য পাচ্ছি পণ্য ডেলিভারি করতে পারছি এবং পণ্যের মূল্য পরিশোধ করতে পারছি মোবাইল বা কার্ডের মাধ্যমে। আবার ঘরে বসেই স্বাস্থ্যসেবা সহ সমস্ত সরকারি সেবামূলক কাজ কর্মকাণ্ড করতে পারছি যেগুলোর জন্য বিগত দিনে আমাদেরকে অনেক ভোগান্তির শিকার হতে হয়েছে ।

 সেইসঙ্গে আমরা ঘরে বসেই বিভিন্ন শিক্ষা গ্রহণ করতে পারছি বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দক্ষ শিক্ষকের পরিচালনায় শিক্ষাকেন্দ্র পরিচালনা করতে পারছি এবং ছাত্র-ছাত্রী উচ্চমানের শিক্ষা অর্জন করতে পারছে এ সমস্ত সকল সেবা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির উন্নতির কারণে আমরা করতে পেরেছি আর এ কারণেই তথ্য এবং যোগাযোগ প্রযুক্তির গুরুত্ব আমাদের কাছে উল্লেখযোগ্য একটি বিষয় এবং যারা এই তথ্য এবং যোগাযোগ প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছেন বা যোগাযোগ প্রযুক্তির আপডেট করেছেন তাদের গুরুত্ব আমাদের কাছে অপারেশন।

No comments:

Post a Comment