বর্তমানে বাংলাদেশের মাথাপিছু ঋণ কত এবং এটা কিভাবে হলো - M.A IT FIRM

বর্তমানে বাংলাদেশের মাথাপিছু ঋণ কত এবং এটা কিভাবে হলো

 বর্তমানে বাংলাদেশের মাথাপিছু ঋণ কত এবং এটা কিভাবে হলো

বর্তমানে প্রায় বাংলাদেশে ২০ কোটি জনগণ বসবাসরত রয়েছে। জন্ম লগ্ন হইতে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত প্রত্যেকটি মানুষের মাথাপিছু ঋণ কত এবং এটা কিভাবে প্রত্যেকটি জনগণের মধ্যে বন্টন করা হলো এটা জানা খুবই জরুরী।

বর্তমানে বাংলাদেশের মাথাপিছু ঋণ কত এবং এটা কিভাবে হলো

বিগত দিনে বাংলাদেশের জনসাধারণের মাথাপিছু ঋণ কত ছিল এবং বর্তমানে তা বেড়ে কততে দাঁড়িয়েছে এই বিষয়টা জানা সকলের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আজকে আমরা জানবো বর্তমানে বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিকের মাথাপিছু ঋণ কত এবং তাদের আয় কত

পোস্ট সূচিপত্র:বর্তমানে বাংলাদেশের মাথাপিছু ঋণ কত এবং এটা কিভাবে হলো

ভূমিকা

বর্তমানে আমরা বাংলাদেশে বসবাসরত প্রত্যেকটি নাগরিকই বাংলাদেশের নাগরিক। বাংলাদেশ সরকার বৈদেশিক মুদ্রা বা বৈদেশিক ব্যাংক হতে যে অর্থ ঋণ গ্রহণ করে থাকেন সেই পরিমাণ ঋণ বাংলাদেশের প্রত্যেকটি নাগরিকের মাঝে বন্টন করে দেওয়া হয়। এবং বর্তমানে এটি বৃদ্ধি পেয়ে পূর্বের থেকে কয়েক গুণ এগিয়ে গিয়েছে। বর্তমানে আমাদের প্রত্যেকের মাথাপিছু ঋণ প্রায় ৯৫,০০০ টাকার মত। যে অর্থের কোন অংশই আমরা আমাদের ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করতে পারিনি।

 বক্তব্য হল দেশের উন্নয়নের ক্ষেত্রে বা বিভিন্ন প্রকার উন্নয়নমূলক কাজ করার জন্য বিদেশী ব্যাংক হতে বাংলাদেশ সরকার যে অর্থ ঋণ গ্রহণ করে থাকেন এই ঋণের একটি সুষ্ঠু বন্টন প্রতিটি জনগণের মাঝে বন্টন করে দেওয়া হয় এবং এভাবেই আমাদের প্রত্যেকের মাথাপিছু ঋণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৯৫,০০০ টাকার মত। কিন্তু আসল বিষয় হচ্ছে যে বৈদেশিক ব্যাংক হতে ঋণ নিয়ে আমরা আমাদের দেশের যে উন্নয়ন করলাম সেই কারণে আমরা বৈদেশিক ব্যাংকের কাছে ঋণী হলাম কিন্তু আমাদের দেশে উৎপাদন এবং যে সকল আয়ের উৎস রয়েছে বা বাংলাদেশ সরকার যে সকল মাধ্যম হতে আয়কর গ্রহণ করে থাকেন দেশের আয় বৃদ্ধির কারণে সেই সকল অর্থ কোথায় গেল। 

আরো পড়ুন: কিভাবে দেশের বেকারত্ব দূর করা যায়

আমরা তো আমাদের দেশের উন্নয়ন করলাম বৈদেশিক ব্যাংক হতে ঋণ গ্রহণ করে তাহলে আমাদের দেশের আয় কোথায়। এই বিষয়বস্তু নিয়ে আলোচনা করতে গেলে অনেক প্রকার সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে এ কারণে এই বিষয়টি বাদ দিয়ে আমাদের মূল বিষয় হচ্ছে বর্তমানে আমাদের মাথাপিছু ঋণ কত দাঁড়িয়েছে এবং আমাদের মাথাপিছু আয় কত

বাংলাদেশের মাথাপিছু ঋণ কত আছে ২০২৩

বর্তমানে ২০২৩ সালে বাংলাদেশের প্রত্যেকটি নাগরিকের মাথাপিছু ঋণ কত রয়েছে এই বিষয়ে জানতে চাওয়া গেলে বাংলাদেশ ব্যাংক এর একটি বিবৃতিতে জানিয়েছেন যে বাংলাদেশের প্রত্যেকটি নাগরিকের বর্তমান মাথাপিছু ঋণ ৯৫,০০০ টাকা। যেটা একটি শিশু থেকে শুরু করে একজন বৃদ্ধ ব্যক্তি পর্যন্ত এই ঋণের অংশীদার।অর্থনীতিবিদ আহসান এইচ মনসুর আরো বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের ঋণ ও জিডিপি এখনো তুলনামূলকভাবে অনেক ভালো অবস্থানে রয়েছে তবে এই ঋণের সুদ পরিশোধ করতে দেশের জাতীয় বাজেটের একটি বড় অংশ হারিয়ে যাচ্ছে।

বাংলাদেশের মাথাপিছু ঋণ কত আছে ২০২৩

 তিনি আরও বলেন, নাগরিকের আয় বেশি হলেও রাজস্ব সংগ্রহ করতে ব্যর্থ হয় বা রাজস্ব সঠিক পরিমাণ সংগ্রহ না করতে পারায় এই ঋণের পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে এছাড়াও রাশিয়া ইউক্রেনের যুদ্ধের প্রভাবে বাণিজ্যিক ঘাটতির কারণে সরবরাহ শৃংখলা বজায় রাখতে না পারায় সরকারের ঋণ পরিশোধের ক্ষমতা দিন দিন কমে যাচ্ছে। তিনি বলেন ঋণ পরিশোধের ক্ষেত্রে বৈদেশিক মুদ্রা ও বৈদেশিক রেমিটেন্স প্রদান এছাড়াও অলস ঋণ উচ্চ হাড়, বৈদেশিক অর্থনৈতিক মন্দা ঋণ পরিষদের ক্ষেত্রে ঝুঁকির মূল বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

বাংলাদেশের মাথাপিছু ঋণ কত ছিল ২০০৮ সালে

২০০৮ সালে বাংলাদেশের জনগণের গড়ো মাথাপিছু ঋণ ছিল ২১৫ ডলার যা বাংলা টাকায় প্রায় ১৭২০০ টাকার মতো। এতে করে একটু কম বেশি হতে পারে কারণ ডলারের দাম একটু কম বেশি হলে বাংলা টাকায় কিছুটা কম বেশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ২০০৮ সালে জনগণের গড় মাথাপিছু ঋণ ছিল ১৭২০০ টাকা যেটা বর্তমানে দাঁড়িয়েছে ৯৫ হাজার টাকায়। 

আরো পড়ুন: বর্তমানে বাংলাদেশের মাথাপিছু ঋণ কত এবং এটা কিভাবে হলো

এছাড়াও ২০০৮ সালে বাংলাদেশের মোট ঋণ ছিল ৩১.০৪ বিলিয়ন ডলার, আর এই ৩১.০৪ বিলিয়ন ডলার সেই সময় পরিমাণ জনগণ ছিল তার মাঝে বন্টন করে প্রত্যেকের মাথাপিছু ঋণ দাঁড়ায় ২১৫ ডলার অর্থাৎ ১৭,২০০ টাকার মতো । কিন্তু বর্তমানে ২০২৩ সালে প্রত্যেকটি জনগণের মাথাপিছু ঋণ দাঁড়ায় ৯৫ হাজার টাকা যা২০০৮ সালের থেকে কয়েকগুণ বেশি। দেশের এই ঋণ বৃদ্ধি হওয়ার কারণ এবং সরকারের ঋণ পরিশোধের অক্ষমতা বিশেষ কিছু কারণ রয়েছে যে বিষয়গুলোর উল্লেখযোগ্য করা অসম্ভব। এই সকল বিষয়ের কারণে, প্রত্যেকের মাথাপিছু ঋণ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং বৈদেশিক ব্যাংকের কাছে বিপুল অংকের ঋণগ্রস্ত হয়েছে এবং তা পরিশোধ করার অক্ষমতার শেষ পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে।

বাংলাদেশে বর্তমানে মাথাপিছু ঋণ কত

উপরোক্ত বিষয়ে আমরা জেনেছি বাংলাদেশের জনসাধারণের প্রত্যেক নাগরিকের বর্তমান মাথাপিছু ঋণ কত। এবং এই ঋণ কে পরিশোধ করবে। বৈদেশিক ব্যাংকের কাছে বাংলাদেশ সরকারের যে পরিমাণ অর্থ ঋণ রয়েছে বা ঋণগ্রস্থ রয়েছেন তা পরিশোধ করার মতন ক্ষমতা বর্তমান বাংলাদেশের নেই বললেই চলে। 

বাংলাদেশে বর্তমানে মাথাপিছু ঋণ কত

এই ঋণগ্রস্ত হওয়ার পিছনে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কারণ রয়েছে যেমন দেশের অর্থ পাচার ,বৈদেশিক রেমিটেন্স সংগ্রহ করতে না পারা, এবং দেশের রাজস্ব সংগ্রহ বা আয়কর সংগ্রহ করতে ব্যর্থ হওয়া সহ আরো বিভিন্ন কারণ রয়েছে যে সকল কারণে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার খুবই দুর্গতি চলছে। আর দেশের ঋণ বৃদ্ধি হওয়ার কারণে দেশের সাধারণ জনগণ বিভিন্ন প্রকার সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।

বাংলাদেশে বর্তমানে মাথাপিছু আয় কত

পূর্বের থেকে বর্তমানে বাংলাদেশের জনসংখ্যা ও বৃদ্ধি পেয়েছে এবং মাথাপিছু আয় ও বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে বাংলাদেশ সরকারের  অর্থ মন্ত্রীর হিসাব অনুযায়ী বর্তমানে প্রত্যেকটি জনগণের মাথাপিছু আয় ২৭৬৫ মার্কিন ডলার যা বাংলা টাকায় প্রায় ২৯৩,০৯০টাকা। বিষয়টি হাস্যকর হলেও সর্বপ্রথম বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রীর মাথাপিছু আয় বাদ দিলে বোঝা যাবে বাংলাদেশের সাধারণ জনগণের বা অন্যান্য সকল জনগণের মাথাপিছু আয় কত। 

বাংলাদেশে বর্তমানে মাথাপিছু আয় কত


বাংলাদেশ সরকারের অর্থমন্ত্রীর হিসাব অনুযায়ী বাংলাদেশের জনগণের মাথাপিছু যে আয় প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের ২০ কোটি জনগণের মধ্য থেকে দেশের বিত্তশালী বা দেশের প্রধান ১০০০ ব্যবসায়ীকে বাদ দিয়ে দিলে বর্তমানে উনিশ কোটি ৯৯ হাজার জনগণের মাথাপিছু আয় কত ধরা হচ্ছে। এবং এই আয় হতে জনসাধারণের জীবিকা নির্বাহ করা সম্ভব হচ্ছে কি না এই বিষয়টি নজরে আসবে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায় বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রীর বার্ষিক আয় ১০০ কোটি টাকা কিন্তু একজন সাধারণ জনগণের বার্ষিক আয় ৫০০০০ টাকা তাহলে দুজনের বার্ষিক আয় হচ্ছে ৫০ কোটি ২৫ হাজার টাকা এটা কি আদৌ সম্ভব। 

এ কারণে দেশের বিশিষ্ট কিছু ব্যক্তিবর্গকে বাদ দিয়ে তারপরে দেশের মাথাপিছু আয় নির্ণয় করতে হবে তাহলেই সঠিক মাথাপিছু আয় নির্ণয় সম্ভব। মূল বক্তব্য এই যে বর্তমানে বাংলাদেশের মাথাপিছু ঋণ এবং মাথাপিছু আয় এর যে একটা হিসাব তৈরি করা হলো যদিও এটার কোন বৈধতা নেই তবে এটাই সঠিক। কেননা দেশের জনগণ তো আর ১০০০ জন্যই যেহেতু বর্তমানে বাংলাদেশে প্রায় ২০ কোটি জনগণ বসবাসর রয়েছেন সেক্ষেত্রে ১০০০ জনের আয় বিশ কোটি জনগণের মধ্যে বন্টন করে সবার মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি করে দিয়ে দেশের জন্য একটি খারাপ নেতিবাচক বা বৈদেশিক সংস্থার অনুদান হতে দেশকে বঞ্চিত করা হচ্ছে।

বাংলাদেশের জনগণের মাথাপিছু ঋণ কিভাবে হল

উপরোক্ত বিষয় হতে আমরা অনেক কিছু জেনেছি কিভাবে বাংলাদেশে মাথাপিছু ঋণ নির্ণয় করা হয়েছে এবং কিভাবে বাংলাদেশের জনগণের মাথাপিছু আয় নির্ণয় করা হয়েছে। এ সকল বিষয় হতে আমরা জানলাম যে মাথাপিছু আয় ও ঋণ গড় নির্ণয় করা হয়ে থাকে। বাংলাদেশের জনগণের মাথাপিছু ঋণ বৃদ্ধি পাওয়ার বিশেষ কিছু কারণ রয়েছে বা উল্লেখযোগ্য বিষয়গুলো উপরোক্ত বিষয়ে বলা হয়েছে।

বাংলাদেশের জনগণের মাথাপিছু ঋণ কিভাবে হল

 এছাড়াও দেশের উন্নয়নের ক্ষেত্রে দেশের উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডের জন্য বৈদেশিক ব্যাংক থেকে যে অর্থ ঋণ গ্রহণ করা হয়েছে এই ঋণ পরিশোধ করতে ব্যর্থ হওয়ায় ঋণের যে অর্থ তার পরিমাপ হয়েছে সেই অর্থের গড় ভাগ প্রত্যেকটি জনগণের উপর ন্যস্ত করা হয়েছে এবং এভাবেই বাংলাদেশের জনগণ গড়ে বর্তমানে প্রায় ৯৫ হাজার টাকা মাথাপিছু ঋণ এর আওতাভুক্ত রয়েছে।

উপসংহার

২০০৮ সাল হতে ২০২৩ সাল পর্যন্ত যে পরিমাণ ঋণ বৃদ্ধি পেয়েছে বাংলাদেশ সরকার বা বাংলাদেশ ব্যাংক বৈদেশিক ব্যাংকের কাছে যে পরিমাণ অর্থ ঋণ গ্রহণ করেছে তা প্রায় কয়েক গুণ বেশি। ২০০৮ সালে বাংলাদেশের ঋণ ছিল ঘর মাথাপিছু প্রায় ১৭ হাজার ২০০টাকার মতো যা বর্তমানে প্রায় ৯৫ হাজার টাকায় দাঁড়িয়েছে। এদিকে দেশের উন্নয়ন দেখতে গেলে বলা চলে১৫ বছরে দেশে যথেষ্ট পরিমাণ উন্নয়ন হয়েছে এবং উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড এখনো অব্যাহত রয়েছে।

আরো পড়ুন: আল কুরআন সংরক্ষণ ও সংকলন করা

 এ সকল উন্নয়ন করার জন্য বৈদেশিক ব্যাংক হতে যে পরিমাণ অর্থ ঋণ গ্রহণ করা হয়েছে সেই সকল অর্থই বর্তমানে আমাদের প্রত্যেকের মাথাপিছু ঋণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু সর্বসা করলে একটি কথা বলতে হয় যে আমরা যদি বৈদেশিক ঋণ গ্রহণ করেই দেশের উন্নয়ন করি বা উন্নয়ন পরিচালনা করি তাহলে দেশের অর্থ কোথায়। দেশের আয়কর বা দেশের বাজেটের যে অংশগুলো রয়েছে এই অংশ বা রেমিটেন্স এই অর্থ গুলো দেশের কোথায়। বলা যায় দেশে যে পরিমাণ ঋণ হয়েছে তার তৃতীয় অংশ অর্থ বিদেশে পাচার করার মাধ্যমে ঋণ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং তার সুদ সমেত পরিশোধ করার মতো ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছেন।


No comments:

Post a Comment