অনলাইন থেকে ইনকাম করার উপায় কি
বর্তমানে আমরা অধিকাংশ সময়ে অনলাইনে কাটাই, যদি এই সময়টুকু কাজে লাগিয়ে অনলাইন থেকে ইনকাম করার ব্যবস্থা করা যায় তাহলে খারাপ কি। আমরা সারাদিনই অনলাইনে বিভিন্ন প্লাটফর্মে ঘুরে বেড়াই যেমন facebook, twitter, instagram এরকম আরো অনেক সোশ্যাল মিডিয়া সাইড রয়েছে যেগুলোতে কোন বেনিফিট ছাড়াই আমরা সময় কাটায়।
শুধুমাত্র বিনোদনের জন্য, তবে এই সকল সাইডগুলোও হয়ে উঠতে পারে আপনার ইনকামের মাধ্যমে। সচরাচর আমরা অনেকেই শুনে থাকি অনলাইন থেকে অনেক টাকা উপার্জন করা যায় কথাটি সত্য হলেও এতে যথেষ্ট পরিমাণ শ্রম ও মেধা দিয়ে কাজ করতে হয় অনলাইন থেকে ইনকাম করার কিছু টিপস রয়েছে।
পেজ সূচিপত্র: অনলাইন থেকে ইনকাম করার উপায় কি
- ভূমিকা
- ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ করে অনলাইন থেকে আয় করা যায়
- ইউটিউবে ভিডিও আপলোডিং এর মাধ্যমে আয় করা যায়
- কনটেন্ট লিখে বা ব্লগিং করে আয় করার উপায়
- গুগল এডসেন্স থেকে আয় করা যায়
- কিভাবে ফেসবুকের মাধ্যমে ইনকাম করা যায়
- উপসংহার
ভূমিকা
অনলাইন ইনকাম এখন প্রায় হাতের মুঠো এসেছে আপনি চাইলে আপনার হাতে থাকা মোবাইল
ফোনটি দিয়েও ইনকাম করতে পারেন। তার জন্য প্রয়োজন আপনার কিছু ধারণা এবং
প্ল্যাটফর্ম গুলোতে কাজ করার মন মানসিকতা ধৈর্য এবং দক্ষতা। অনলাইন ইনকাম মোবাইল
কম্পিউটার অথবা ল্যাপটপের মাধ্যমেও করা যায় আমরা যার মাধ্যমে কাজ করি না কেন
আমাদের কাজের মাধ্যমে আমরা যে সাইটগুলোতে কাজ করব সেই সাইট গুলো। আমাদের জানতে
হবে কিভাবে অনলাইন থেকে ইনকাম করা যায় এবং মাধ্যমগুলো
আরো পড়ুন: তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির গুরুত্ব এবং উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব
ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ করে অনলাইন থেকে আয় করা যায়
আমরা প্রায় প্রতিনিয়ত শুনতে থাকি ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে অনেকেই অনেক টাকা ইনকাম করছে। তবে এই ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য দক্ষতার প্রয়োজন রয়েছে আপনাকে আগে কাজটা ভালোভাবে জানতে হবে এবং নিজে বুঝতে হবে। তবেই আপনি ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবেন বর্তমান বাজারে এর চাহিদা অনেক, তবে সেই অনুযায়ী দেশে প্রায় পর্যাপ্ত পরিমান ফ্রিল্যান্সার রয়েছে সবাই যে কাজ করছে বা পাচ্ছে এমনটিও নয় এখানে আপনার দক্ষতার উপরে বিবেচনা করে কাজ পাওয়া নিশ্চয়তা রয়েছে আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করার চিন্তা ভাবনা মাথায় রাখেন তাহলে আপনাকে আগে ভালোভাবে দক্ষ ফ্রিল্যান্সার এর হাত ধরে কাজ শিখতে হবে।
অথবা ইউটিউবে প্রচুর পরিমাণে ভিডিও রয়েছে আপনি চাইলে সেগুলো দেখে শিখতে পারেন।ফ্রিল্যান্সিং কথাটি যেমন একটু কঠিন ঠিক তেমনি কাজটিও কঠিন এই কাজ করার জন্য আপনাকে পর্যাপ্ত ধৈর্যশীল হতে হবে তবেই আপনি এই প্লাটফর্মে নিজের ক্যারিয়ার গড়তে পারবেন। ফ্রিল্যান্সিং এর অনেকগুলো বিষয়বস্তু রয়েছে অনেকেই অনেক বিষয়ের উপরে কাজ করছে যেমন কেউ কেউ কাজ করছে ডিজিটাল মার্কেটিং, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, ওয়েব ডিজাইন, আর্টিকেল রাইটিং, ডাটা এন্টি ইত্যাদি। এ সকল প্লাটফর্মে কাজ করার জন্য নিজেকে আগে দক্ষ ক্যান্সার হিসাবে গড়ে তুলতে হবে তাহলে ফ্রিল্যান্সিং করে একটি স্মার্ট ইনকাম এর ব্যবস্থা করা যাবে।
ইউটিউবে ভিডিও আপলোডিং এর মাধ্যমে আয় করা যায়
বর্তমানে আমরা কেইবা ইউটিউবে ভিডিও দেখি না। আপনি কি একবার ভেবেছেন এই ভিডিওগুলো আসছে কোথা থেকে। এই ভিডিওগুলো আপনার আমার মতই কেউ না কেউ আপলোড করছে। আর আমরা তাদের করা আপলোডিং ভিডিও গুলো দেখে বিনোদন করছি। এতে করে আমরা যার ভিডিও দেখছি তারে ইনকাম হচ্ছে। ইউটিউবে ভিডিও তৈরীর মাধ্যমে আপনিও ইনকাম করতে পারেন এজন্য আপনাকে খুব দক্ষ ভিডিও এডিটিং বা গ্রাফিক্স ডিজাইন জানতে হবে না ।
আপনার প্রথমত একটি ইউটিউব চ্যানেল থাকতে হবে যেখানে আপনি ভিডিও আপলোড করবেন আর এই ভিডিওগুলো কন্টেন্ট যেকোনো কিছু হতে পারে আপনি আপনার ইচ্ছে মতন কন্টেন্ট দিয়ে ভিডিও তৈরি করতে পারেন। এবং সেগুলো নিজেই এডিটিং করে আপনার ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করতে পারেন। এই ভিডিওগুলো পাবলিশ হয়ে গেলে একটা সময় আপনি এই ভিডিওগুলোর মাধ্যমে ইনকাম পাবেন। আরেকটি বিষয় ইউটিউব ভিডিও তৈরির জন্য আপনাকে দামি ক্যামেরা কিনতে হবে না ,আপনার হাতে থাকা স্মার্টফোনটি দিয়েই আপনি ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করতে পারেন।
আরো পড়ুন: কম্পিউটার ব্যবহারে আসক্তি ও মুক্ত থাকার উপায়
তবে ইউটিউব থেকে ভিডিও আপলোডিং এর মাধ্যমে ইনকাম করার পূর্বেইউটিউবএর কিছু শর্ত আপনাকে মানতে হবে। প্রথমত আপনার ইউটিউব চ্যানেলটি তে রেগুলার ভিডিও আপলোড করতে হবে এবং ভিডিও গুলো মানসম্মত এবং নিয়ম নীতির মধ্যে থাকতে হবে। আপনি অন্য কারো ভিডিও চুরি করে বা কপি করে আপলোড করতে পারবেন না, ভিডিওর ভয়েস ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক সবকিছুই আপনার ব্যক্তিগত তৈরি করে নিতে হবে অথবা ইউটিউব ভিডিও তৈরীর জন্য কিছু ফ্রি সাইট আছে যেসব সাইটে ফ্রি মিউজিক পাওয়া যায়।
আপনি চাইলে সেখান থেকে ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক কপি করে ব্যবহার করতে পারবেন। ইউটিউব থেকে টাকা ইনকামের জন্য আপনি যে ভিডিও তৈরি করেন না কেন তার কনটেন্ট ভিডিও কোয়ালিটি এবং জনসাধারণের মনের মত হতে হবে তাহলে একটা সময় আপনার ভিডিও আপনার জন্য ইনকামের মাধ্যমে আসবে।
কনটেন্ট লিখে বা ব্লগিং করে আয় করার উপায়
কনটেন্ট লেখা বা ব্লগিং করার কথা আমরা অনেকেই শুনেছি। এই কন্টেন্ট বা ব্লগিং কি, কন্টেন্ট বা ব্লগিং করে মাসে অনেক টাকা ইনকাম করা যায় অনেকেই বলে ব্লগিং করে মাসে লাখ টাকা আয় করছি। ব্লগিং দুই রকমের অভাবে থাকে প্রথমত আর্টিকেল এটাও একটি ব্লগিং আবার ভিডিও ব্লগিং। কন্টেন্ট লিখে বা ব্লগিং করে আয় করতে হলে আপনাকে আগে একটি ব্লগিং ওয়েবসাইট তৈরি করতে হবে বা একটি ব্লগিং ওয়েবসাইট ক্রয় করতে হবে।
আপনি যদি ডিজিটাল মার্কেটিং বিষয়ে ধারণা থাকে তাহলে আপনি নিজেই একটি ব্লগিং ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন।আর যদি তা না থাকে তাহলে আপনাকে একটি ওয়েবসাইট ক্রয় করতে হবে অথবা আপনি যদি কন্টেন্ট লেখার মতন দক্ষতা অর্জন করে থাকেন তাহলে অন্য কারো ব্লগিং ওয়েবসাইটে গেস্ট ব্লগার হিসেবে কাজ করতে পারবেন। গেস্ট ব্লগার বলতে অন্য কারো ওয়েবসাইটে আপনি ব্লক লিখে দেওয়া বা তৈরি করে দেওয়া।
আরো পড়ুন: ইন্টারনেট ব্যবহারে শিক্ষার মান উন্নয়ন ও আইসিটির ভূমিকা কি
গেস্ট ব্লগিং করে আপনি একটি স্মার্ট স্যালারির মাধ্যমে আয় করতে
পারবেন। অথবা ব্যক্তিগত ওয়েবসাইটে কন্টেন্ট লিখে আয় করতে পারবেন আর এই কনটেন্ট
লেখাটাই আমরা ব্লগিং বা আর্টিকেল রাইটিং বলি। কন্টেন্ট তৈরি করা বা আর্টিকেল
রাইটিং করা খুব কঠিন কিছু নয়। এগুলো আপনাকে চিন্তা করতে হবে কোন বিষয়ের উপরে
আর্টিকেল ব্লগিং বা রাইটিং করলে জনসাধারণ দেখবে বা মানুষ কোন বিষয়গুলো খুঁজছে কি
জানতে চাচ্ছে। এই ক্রিয়েটিভ চিন্তাভাবনা কাজে লাগিয়ে অনলাইন থেকে
আপনি একটি স্মার্ট ইনকাম করতে পারেন।
গুগল এডসেন্স থেকে আয় করা যায়
গুগল এডসেন্স থেকে আয় করার কোন ব্যক্তিগত বিষয় নেই। গুগল এডসেন্স আপনার ওয়েবসাইট ইউটিউব চ্যানেল বা অন্যান্য ওয়েব সাইট থেকে গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে আয় করা যায়। গুগল এডসেন্স একটি অর্থ হস্তান্তরের মাধ্যম বা আপনি যদি কোন ওয়েবসাইট থেকে আয় করতে চান তাহলে আপনাকে গুগল এডসেন্স ব্যবহার করতে হবে ।
আপনার ওয়েবসাইট এর সকল তথ্য এবং আপনার ওয়েবসাইটে করা পোস্ট বা আর্টিকেল গুগলের
নিয়মের বাইরে আছে কিনা এই বিষয়গুলো গুগল এডসেন্স ক্লিয়ার করে আপনাকে পেট করবে।
অনেক সময় ওয়েবসাইট অথবা ইউটিউব চ্যানেলের বিভিন্ন রকম ভিডিও বা পোস্ট এর কারণে
এডসেন্স বাতিল হতে পারে। নিজে ওয়েবসাইটটি তৈরি করেছেন বা যে ওয়েবসাইটে কাজ
করছেন google এডসেন্স আপনার ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপন চালাবে আর সেই বিজ্ঞাপন থেকেই
আপনাকে একটি পার্সেন্টেজ তারা দিবে।
কিভাবে ফেসবুকের মাধ্যমে ইনকাম করা যায়
এতদিন আমরা শুধু ফেসবুককে বিনোদনের মাধ্যমে হিসেবেই জেনে এসেছি বা ব্যবহার করে এসেছি। কিন্তু কালের বিবর্তনে ফেসবুক এখন ইনকামের একটি মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে। এবং একটি স্মার্ট ইনকাম করার সুযোগ ফেসবুক ব্যবহারকারীরা পেয়ে থাকছে। তবে ফেসবুক থেকে ইনকাম করার জন্য আপনাকে জানতে হবে ফেসবুকের কিছু নিয়ম নীতি।ফেসবুকে পেজ এর মাধ্যমে ইনকাম করা যায় অথবা ফেসবুকে ভিডিও আপলোড করে ইনকামের ব্যবস্থা রয়েছে যেটা বর্তমানে রিলস ভিডিও নামে প্রচলিত।
আরো পড়ুন: কিভাবে কম্পিউটার ও কম্পিউটার ব্যবহারকারী নিরাপত্তা দেওয়া যায়
ইউটিউব এর মতনই ফেসবুকে ভিডিও আপলোড এর মাধ্যমে ইনকামের ব্যবস্থা করেছে তবে এই ভিডিওগুলো খুবই শর্ট ভিডিও হিসেবে প্রচলিত। ইউটিউবে যেমন দীর্ঘ সময়ের ভিডিও তৈরি করতে হচ্ছে বা আপলোড করতে হচ্ছে এদিকে ফেসবুকে শর্ট ভিডিও আপলোড করে ইনকামের এক ব্যবস্থা রয়েছে।
অথবা ফেসবুকে ব্যবসা পরিচালনা করা বা নতুন নতুন ব্যবসা করার অবস্থা
রয়েছে যেখানে আপনি পর্যাপ্ত পরিমাণ কাস্টমার পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কেননা
আমরা দিনের অধিকাংশ সময়েই ফেসবুকে কাটাই সে কারণেই আপনি যদি ফেসবুকে ব্যবসা
পরিচালনা করেন সেক্ষেত্রে আপনার ব্যবসার একটি প্রচার-প্রচারণা ফেসবুকের মাধ্যমে
হয়ে যাচ্ছে।
উপসংহার
অনলাইন থেকে ইনকাম করার এরকম আরো অসংখ্য সাইট বা ব্যবস্থা রয়েছে। আমাদের জানতে হবে কোন সাইটগুলোতে কি কাজ করা যায় এবং কিভাবে সেই কাজগুলো আমরা সম্পূর্ণ করতে পারি। এজন্য আমাদের দক্ষতার প্রয়োজন রয়েছে আমরা যে কাজই করতে যাই না কেন দক্ষতা ছাড়া কোন কাজেই করা সম্ভব নয় সেটা অনলাইন হোক কিংবা অফলাইন।
কৃষক জমিতে কৃষির কাজ করার জন্য যেমন তার দক্ষতার প্রয়োজন রয়েছে দক্ষতা ছাড়া সে ভালো ফসল উৎপাদন করতে পারে না তেমনি অনলাইনে ইনকাম করার জন্য দক্ষতার প্রয়োজন রয়েছে দক্ষতা না থাকলে অনলাইন থেকেও ইনকাম করা সম্ভব নয়। এজন্যই আমাদের অনলাইন থেকে ইনকাম করার জন্য আগে নিজেকে দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে।
সেই বিষয়গুলো আগে সঠিকভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে এগোতে হবে। এই কাজগুলো শিখার জন্য
অনেক ব্যবস্থা রয়েছে যেমন ইউটিউব ভিডিও আপলোডিং করার জন্য বা শেখার জন্য আপনি
চাইলে ইউটিউবেই ভিডিও দেখতে পারেন অসংখ্য ভিডিও রয়েছে এই ব্যাপারে বা এই ট্রাফিক
নিয়ে। তেমনি প্রত্যেকটি কাজ করার মানসিকতা থাকলে বা শেখার চেষ্টা
থাকলে এবং ধৈর্য সহকারে শিখতে পারলে একটা সময় অনলাইন থেকে একটি ভালো ইনকাম করার
ব্যবস্থা করা যেতে পারে।
No comments:
Post a Comment