তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির প্রয়োজনীয়তা কি - M.A IT FIRM

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির প্রয়োজনীয়তা কি

 

 তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির প্রয়োজনীয়তা কি

তথ্য এবং যোগাযোগ প্রযুক্তির প্রয়োজনীয়তা আমাদের জীবনে রয়েছে। দৈনন্দিন জীবনে আমাদের তথ্যের যেমন প্রয়োজনীয়তা রয়েছে তেমনি যোগাযোগের ও প্রয়োজনীয়তা রয়েছে, আমরা প্রতিনিয়তই কারো না কারো সাথে যোগাযোগ করছি বা করার চেষ্টা করে যাচ্ছি এবং আমাদের কারো না কারো সাথে যোগাযোগ করার প্রয়োজন পড়ছে।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির প্রয়োজনীয়তা কি

 তেমনি ভাবে প্রতিটা সময়েই কোনো না কোনো কারণে কোনো কিছু জানার আগ্রহ সৃষ্টি হচ্ছে বা কোন তথ্য জানার দরকার হচ্ছে যোগাযোগ করার চেষ্টা এটা আমরা করছি সম্পন্ন প্রযুক্তির মাধ্যমে এবং এই প্রযুক্তি মাধ্যমে আমাদের তথ্য এবং যোগাযোগ দুটোই সমান্তরাল ভাবে হচ্ছে। তাই আমাদের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির প্রয়োজনীয়তা এবং গুরুত্ব রয়েছে।

পেজ সূচিপত্র: তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির প্রয়োজনীয়তা কি


ভূমিকা

তথ্য এবং যোগাযোগ প্রযুক্তির প্রয়োজনীয়তা আমাদের জীবনে প্রত্যেকটি ধাপে ধাপেই রয়েছে বর্তমান বিশ্বে প্রযুক্তি দিক দিয়ে আমরা অনেক পিছিয়ে রয়েছি সে ক্ষেত্রে আমাদের প্রযুক্তির প্রয়োজনীয়তা আরো বেশি বহির্বিশ্বের থেকে প্রযুক্তি দিক দিয়ে আমরা পিছিয়ে আছি। যেমন বর্তমানে ফাইভ জি, সিক্স জি, সেভেন জি, চলছে কিন্তু আমরা এখনো থ্রিজি তে আটকে আছি । আমাদের জীবনের প্রত্যেকটি ক্ষেত্রেই প্রযুক্তির প্রয়োজনীয়তা রয়েছে বর্তমানে আমরা প্রযুক্তি ছাড়া কোন কিছু করা সম্ভব্য বলে মনে করি না কারণ, প্রযুক্তি আমাদেরকে এমনভাবে গ্রাস করেছে যে আমরা কোন কিছুই নিজে থেকে করার চেষ্টা বা করতে ইচ্ছুক নই

আরো পড়ুন: তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির গুরুত্ব এবং উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব

 যেহেতু প্রযুক্তি সবকিছু আমাদের সহজ করে দিয়েছে আমাদের কর্ম কাজ সহজ করে দিয়েছে তাই আমরা প্রযুক্তি নির্ভরশীল হয়ে গেছি সে কারণেই প্রযুক্তির প্রয়োজনীয়তা আরো বেশি। কর্মক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহার আবাসিক ক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহার ব্যবসার ক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহার প্রায় প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে আমরা প্রযুক্তির ব্যবহার করে আসছি এবং দিন দিন ব্যবহার বাড়ছে। প্রযুক্তির প্রয়োজনীয়তা এবং চাহিদা থাকবে এবং আমাদের প্রয়োজনীয়তা ও বাড়তে থাকবে।

বাংলাদেশের কর্মক্ষেত্রে আইসিটির প্রয়োজনীয়তা


বাংলাদেশের কর্মক্ষেত্রে আইসিটির প্রয়োজনীয়তা


বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও এখন কর্মক্ষেত্রে আইসিটির বহুমুখী প্রভাব ও ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়। এই প্রভাব ও পরিসর ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। কর্মক্ষেত্রে আইসিটি দুই ধরনের লক্ষণ করা যায় প্রথমত প্রচলিত কর্মক্ষেত্র গুলোতে আইসিটি প্রয়োগের ফলে কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি এবং বাজার সম্প্রসারণ, অন্যদিকে আইসিটি নিজেই নতুন নতুন কর্মক্ষেত্র সৃষ্টি করছে দৈনন্দিন জীবনে। কর্মীদের দক্ষতা, জবাবদিহিতা এবং স্বচ্ছতা বেড়েছে। অন্যদিকে এর ফলে সেবার মানও উন্নত হয়েছে। বর্তমানে দেশের অধিকাংশ চাকরির ক্ষেত্রে আইসিটি ব্যবহারের সাধারণ দক্ষতা এবং প্রাথমিক যোগ্যতা হিসেবে ধরা হয়। 

ব্যাংক, বীমা থেকে শুরু করে বউজাতিক কোম্পানি, সরকারি দপ্তরে কাজ করার জন্য ওয়ার্ড প্রসেসর থেকে উপস্থাপনা সফটওয়্যার, ইন্টারনেট ব্লাউজিং থেকে শুরু করে ইমেইল পর্যন্ত, নানান ধরনের বিশ্লেষণই সফটওয়্যার ইত্যাদির ওপরে দক্ষতা থাকতে হয় পাশাপাশি বিভিন্ন বিষয়ে সফটওয়্যার এবং অপারেটিং সিস্টেম সম্বন্ধে বিশেষ ধারণা থাকতে হয় যেমন ব্যাংকিং সফটওয়্যার। অন্যদিকে আইসিটি নিজে একটি বড় আকারের কর্ম রাজার সৃষ্টি করছে। 

আর সফটওয়্যার থেকে শুরু করে ওয়েবসাইট নির্মাণ রক্ষণাবেক্ষণ ইত্যাদি এখন নতুন দক্ষ কর্মীদের জন্য একটি বিরাট কর্মক্ষেত্র। কেবল দেশ নয় আইসিটিতে দক্ষ কর্মীরা বিদেশে গিয়েও বিদেশি বড় বড় কোম্পানিতে আইসিটি বিভাগীয়ভাবে কাজ করে আসছে এবং ওই সকল কোম্পানির ওয়েবসাইট এবং কোম্পানির ইন্টারনাল তথ্য নিরাপত্তা দিচ্ছে। এছাড়াও দেশে আইসিটিতে দক্ষ ব্যক্তি নিজে প্রতিষ্ঠান তৈরি করছে এবং আইসিটি বিষয়ক বিভিন্ন কর্মকান্ড করে আসছে। এক্ষেত্রে নিজে স্বাবলম্বিত হচ্ছে পাশাপাশি আরো কিছু সংখ্যক মানুষের করার পরিবেশ তৈরি করে দিচ্ছে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আইসিটির প্রয়োজনীয়তা

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আইসিটির প্রয়োজনীয়তা


মানুষ সমাজবদ্ধ জীব সমাজে চলাফেরা ও বিকাশের জন্য মানুষের মানুষের যোগাযোগ প্রয়োজন। তবে এখন আইসিটিতে সামাজিক যোগাযোগ বলতে নেটওয়ার্কের মাধ্যমে মানুষ মানুষের সাথে যোগাযোগ করা কে বোঝায় ।এর অর্থ হলো তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহার করে মানুষ যোগাযোগ ও ভাব প্রকাশের জন্য যা কিছু সৃষ্টি বিনিময় কিংবা আদান প্রদান করে তাই সামাজিক যোগাযোগ। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিকাশের ফলে বর্তমান এই যোগাযোগ হয়ে পড়েছে সহজ, সাশ্রই এবং অনেক ক্ষেত্রে নিরাপদ। ইন্টারনেট ব্যবহার, email, মোবাইল ফোন ও মেসেজিং সিস্টেম, ব্লগিং এবং সামাজিক যোগাযোগ প্লাটফর্মসমূহ ব্যবহার করে বর্তমানে আইসিটি ভিত্তিক সামাজিক যোগাযোগ অনেকাংশ সহজ। ইন্টারনেট গড়ে উঠেছে অনেক প্ল্যাটফর্ম যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইসে পরিচিত এর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় দুইটি মাধ্যম হলো ফেসবুক ও টুইটার

ফেসবুক: ফেসবুক সামুদ্রিক যোগাযোগ ব্যবস্থা একটি ওয়েবসাইট। ২০০৪ সালে ৪ ফেব্রুয়ারি মার্ক জুকারবার্গ তার অন্য বন্ধুদের সঙ্গে নিয়ে এটি চালু করেন। বিনামূল্যে যে কেউ ফেসবুকের সদস্য হতে পারে। ব্যবহারকারী গণ বন্ধু সংযোজন, বার্তা প্রেরণ এবং তাদের ব্যক্তিগত তথ্যাবলী প্রকাশ, আদান-প্রদান ও হালনাগাদ করতে পারে। এছাড়া এতে অডিও ও ভিডিও প্রকাশ করা যায়। ফেসবুকে যে কোন প্রতিষ্ঠান তাদের নিজস্ব পেজ খুলে ব্যবসা পরিচালনা করতে পারে এবং বন্ধুবান্ধব মিলে একটি গ্রুপ তৈরি করতে পারে। বর্তমানে প্রায় ফেসবুকে ৩.৫ বিলিয়ন ব্যবহারকারী রয়েছে।

আরো পড়ুন: কম্পিউটার ব্যবহারে আসক্তি ও মুক্ত থাকার উপায়

টুইটার: ও একটি সামাজিক যোগাযোগ ব্যবস্থা। তবে ফেসবুকের সঙ্গে এর একটি মৌলিক পার্থক্য রয়েছে। এটিতে ব্যবহারকারী সর্বোচ্চ 140 ক্যারেক্টার এর মধ্যে তাদের মনোভাব প্রকাশ ও আদম প্রদান করতে হয়। এর জন্য এটিকে মাইক্রোব্লগিং এর একটি ওয়েবসাইট বলা যায়। ১৪০ অক্ষরের এই বার্তা কে বলা হয় টুইট। টুইটারের সদস্যদের টুইট বার্তা গুলো তাদের প্রোফাইল পাতায় দেখা যায়। টুইটারের সদস্যরা অন্য সদস্যদের টুইট করার জন্য সেই সদস্যকে অনুসরণ বা ফলো করতে পারেন। কোন সদস্যকে যারা অনুসরণ করে তাদেরকে বলা হয় ফলোয়ার বা অনুসারী।

বিনোদন ও আইসিটির প্রয়োজনীয়তা

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির উন্নয়নের সাথে বিনোদনের জগতে একটা নতুন দিক উন্মোচিত হয়েছে। এটি ঘটছে দুইভাবে প্রথমত, বিনোদনটি কিভাবে মানুষ গ্রহণ করবে সেই প্রক্রিয়াটিকে একটি মৌলিক পরিবর্তন হয়েছে। দ্বিতীয়ত বিনোদনের ভিন্ন ভিন্ন মাধ্যমগুলোতে একটি গুণগত পরিবর্তন হয়েছে

, একটা সময় ছিল যখন বিনোদনের জন্য মানুষকে ঘরের বাইরে যেতে হতো। সিনেমা দেখতে হলে সিনেমা হলে যেতে হতো, খেলা দেখতে হলে খেলার মাঠে যেতে হতো, গান শুনতে হলে গানের জলসায় যেতে হতো। এখন এ ধরনের বিনোদনের জন্য মানুষ আর ঘর থেকে বের হওয়ার প্রয়োজন হয় না প্রথমে রেডিও তারপর টেলিভিশন এসেছে এবং তারপর এসেছে কম্পিউটার সংযুক্ত হয়েছে ইন্টারনেট। আমরা আবিষ্কার করেছি একজন মানুষ চার দেয়ালের ভেতরে আবদ্ধ থেকেও পৃথিবীর প্রায় সবকিছু অনুধাবন করতে পারে বা সব ধরনের বিনোদন উপভোগ করতে পারে। 

প্রথম যখন কম্পিউটার আবিষ্কার হয়েছিল তখন তার কাজ ছিল শুধুমাত্র কম্পিউট বা হিসাব করা যা বড় বড় প্রতিষ্ঠান বা সরকার একটা করে কম্পিউটারের মালিক ছিল। প্রযুক্তির উন্নতির সাথে কম্পিউটার সহজলভ্য হয়েছে এবং একসময় মানুষ তার নিজের ব্যক্তিগত কাজের জন্য কম্পিউটারের ব্যবহার করতে শুরু করেছে কম্পিউটার যখন শক্তিশালী হয়েছে এবং এর আপডেট সিস্টেম চালু করেছে তখন শুধু এটা হিসাব বা গণনাকারী হিসেবে কাজ করে না সেই সঙ্গে এটি একটি বিনোদনের মাধ্যমে কাজ করে এসেছে। 

এখন সাধারণ মানুষ সম্ভবত কম্পিউটার কে বেশিরভাগ বিনোদনের জন্যই ব্যবহার করে। তথ্যপ্রযুক্তি উন্নত হওয়ার পর নতুন কিছু বিনোদন জন্ম হয়েছে যেটি আগে উপভোগ করা সম্ভব ছিল না। তার একটি হচ্ছে কম্পিউটার গেম সারা পৃথিবীতে এখন কম্পিউটার গেম এর বিশাল শিল্প তৈরি হয়েছে এবং নানা ধরনের কম্পিউটার গেম এর জন্ম হয়েছে। কম্পিউটার গেমের ব্যাপক জনপ্রিয়তা দেখে আমরা অবশ্যই ধারণা করতে পারি এটি বিনোদনের একটি ব্যাপক মাধ্যম হিসেবে বর্তমানে ব্যবহার হচ্ছে এর সাফল্যের প্রধান কারণ হচ্ছে এটি ছোট শিশু থেকে শুরু করে মধ্যবয়সী এবং বয়স্কদের সবার নিজের রুচি মোতাবেক বিনোদন দিতে সক্ষম হচ্ছে ।

আরো পড়ুন: ইন্টারনেট ব্যবহারে শিক্ষার মান উন্নয়ন ও আইসিটির ভূমিকা কি

অনেক ক্ষেত্রে এই বিনোদন উপভোগ তীব্রতা এত বেশি হতে পারে যে সেটি এক ধরনের আসক্তি জন্ম দিতে পারে এবং সে কারণে কম্পিউটার গেম উপভোগ করা ব্যবহারে সারা পৃথিবীতে সবাই কি সতর্ক থাকার কথা বলা হয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন দেওয়ার জন্য এক ব্যাপক ভূমিকা পালন করেছে। তথ্যপ্রযুক্তি এবং শক্তিশালী কম্পিউটার কারণে এখন অনেক কঠিন কঠিন কাজ সহজ হয়েছে। শুধু তাই নয় সৃজনশীল মানুষের সৃজনশীলতার কারণে সম্পূর্ণ নতুন এক ধরনের ব্যাপার ঘটতে শুরু করেছে যা পূর্বে কখনো হয়নি।

 সত্যিকারের অভিনেতা বা অভিনয় ছাড়াও কম্পিউটারের মাধ্যমে গ্রাফিক্স দিয়ে ভিডিও এনিমেশন তৈরি করা যাচ্ছে যেগুলো মনে হচ্ছে অবিকল কোন অভিনেতা অভিনয় করছে। এক কথায় আমরা বলতে পারি তথ্যপ্রযুক্তির কারণে শুধু যে নতুন নতুন বিনোদন জন্ম নিয়েছে তা নয় সেই বিনোদনগুলো এখন একেবারে সাধারণ মানুষের হাতের কাছে পৌঁছে গেছে সবচেয়ে বড় কথা হলো শুধুমাত্র ভবিষ্যতে আইসিটির নির্ভর বিনোদন কোন পর্যায়ে যাবে সেটি কল্পনা করা অসম্ভব।

ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে তথ্যপ্রযুক্তির প্রয়োজনীয়তা

ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে তথ্যপ্রযুক্তির প্রয়োজনীয়তা


বর্তমান সরকারের প্রথমবারের মতো ২০২১ সালের মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার  একটি পরিকল্পনা গ্রহণ করে। একটা রক্তক্ষয় যুদ্ধের ভেতর দিয়ে 1971 সালে আমরা আমাদের স্বাধীনতা অর্জন করেছি, ২০২১ সালে তার অর্ধশতাব্দী পূর্ণ হয়েছে এবং সেই কারণেই এই সময়ের ভেতরে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমিকে একটি বিশেষ জায়গায় নেওয়ার একটি স্বপ্ন  আমাদের সবাইকে স্পর্শ করেছিল।

 তাই ডিজিটাল বাংলাদেশ কতটি শুধু একটি কথাই হয়ে থাকেন এটাকে বাস্তব রূপ দেওয়ার জন্য এই দেশের সরকার এবং সাধারণ মানুষ সবাই একটি বড় উদ্যোগ নিয়েছে। প্রথমে আমাদের জানা দরকার এনালগ ও ডিজিটাল কথাটি দিয়ে আমরা কি বুঝাই। পরিবর্তনশীল দাদাকে যখন সংকেতের মাধ্যমে প্রকাশ করা হয় তাকে এনালগ সংকেত বলে উদাহরণস্বরূপ দৈনন্দিন তাপমাত্রা কত ধরা যাক, দিনের বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের তাপমাত্রা অনুভূত হয়। যখন সংক্ষেপে প্রকাশ করি তখন তাকে এনালক সংকেত বলি। 

এই এনালক সংকেত কে নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে দুই অবস্থার মাধ্যমে প্রকাশ করা যায়। এই অবস্থাগুলোকে অংকের ডিজিট মাধ্যমে প্রকাশ করা হয় ফলে এনালক সংকেতের তুলনায় আরো নির্ভুল এবং সূক্ষ্ম থেকে সূক্ষ্মতর তথ্য পাওয়া যায় ডিজিট এর মাধ্যমে সংকেত প্রকাশের জন্য ব্যবহৃত এই ধরনের সংকেতকে ডিজিটাল সংকেত বলা হয়। যেমন ধরো কাটাযুক্ত ঘড়ি এনালগ সংকেত প্রদর্শন করে, পক্ষান্তরে কাঁটাবিহীন ঘড়ি ডিজিটাল সংকেত প্রদর্শন করে।

 তবে ডিজিটাল বাংলাদেশ কথাটি শুধুমাত্র একটি কম্পিউটারের দ্বারা বোঝানো হয়নি বা একটি কম্পিউটার হিসেবে ব্যবহার করা হয়নি। আরো অনেক ব্যাপার রয়েছে, ডিজিটাল বাংলাদেশ বলতে আসলে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার করে গড়ে তোলা আধুনিক বাংলাদেশকে বোঝানো হয়েছে ।যেখানে সব ধরনের কাজ হবে প্রযুক্তির মাধ্যমে যেমন শিক্ষা বাসস্থান স্বাস্থ্য সেবা কর্মসংস্থান ও দরিদ্র মোচনের অঙ্গীকার বাস্তবায়ন করার লক্ষণ হচ্ছে ডিজিটাল বাংলাদেশে। এই লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য আমাদের পুরাতন মানসিকতা পরিবর্তন করতে হবে এবং নতুন ভাবে নিজেকে তৈরি করে নিতে হবে।

আরো পড়ুন: স্ক্রিনশট টেকনিক,কপিরাইটিং, গ্রামারট্রিক্যাল এয়ার চেকার, আর্টিকেল স্পিনিং ও স্ক্যাপিং, Plagiarism কি কেন করবেন না

 ডিজিটাল বাংলাদেশ বলতে শুধু দেশ ডিজিটাল নয় আমাদের নিজেদে রকেও ডিজিটাল করে গড়ে তুলতে হবে যেমন তথ্য প্রযুক্তি বা আইসিটি ক্ষেত্রে দক্ষতা অর্জন করা। ডিজিটাল বাংলাদেশের কথার পেছনের মূল কথা হচ্ছে দেশের মানুষের জন্য গণতন্ত্র মানবাধিকার স্বচ্ছতা দায়বদ্ধতা এবং সুবিচার নিশ্চিত করা এবং সেগুলোর জন্য প্রযুক্তির ব্যবহার করা সর্বোচ্চ। পৃথিবীর অন্য অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশের তথ্য প্রযুক্তির প্রসারে কাজটি শুরু করেছে দেরিতে। 

তাই অন্যান্য অনেক দেশ আমাদের দেশের তুলনায় অনেক এগিয়ে রয়েছে আমরা যথেষ্ট পরিমাণ। সরকারের আগ্রহের কারণে দেশে তথ্য প্রযুক্তির অবকাঠামো গড়তে শুরু করেছে সারাদেশে ফাইবার অপটিক লাইন বসিয়ে প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত ইন্টারনেট সেবা দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। মাত্র এক দের দশক আগেও এ দেশে টেলিফোনের সংখ্যা ছিল নগণ্য এখন নির্দ্বিধায় বলা যায় এ দেশের প্রত্যেকটি প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের হাতের নাগালে ফোন রয়েছে।

উপসংহার

তথ্যপ্রযুক্তির এই সাফল্য শুনে কেউ যেন মনে না করে আমরা ইতিমধ্যে আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছে গেছি এটি মোটেও সত্যি নয় এই পথে আমাদের আরও দীর্ঘ পথ অতিক্রম করতে হবে যেহেতু আমাদের দেশে বেশিরভাগ মানুষই গ্রামে থাকে তাই ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার প্রথম ধাপ হচ্ছে এই গ্রামীণ মানুষকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সেবায় আওতায় নিয়ে আসা। সেই সাথে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে গ্রামীন মানুষগুলোর মধ্যে প্রযুক্তিগত বিনোদনের ব্যবস্থা করা। আমরা যে তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে অভিনন্দন এর ব্যবস্থা করতে পারি গ্রামীন মানুষগুলোকে এটা বোঝানো একটি ডিজিটাল বাংলাদেশের প্রতিরূপ।

 তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির প্রয়োজন সর্বক্ষেত্রে তথ্য এবং যোগাযোগ প্রযুক্তির প্রয়োজনীয়তা রয়েছে আমরা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে বা কর্মক্ষেত্রে আইসিটির মাধ্যমে আমরা আমাদের নিজেদের দক্ষতার দিয়ে নানা রকম কাজ সম্পন্ন করতে পারছি, এবং সেই সাথে সামাজিক উন্নয়নমূলক কাজগুলোতেও তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যাপক চাহিদা রয়েছে তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি বিপুল ভূমিকা ব্যক্ত করে গ্রাম থেকে শহর বা শহর থেকে গ্রামে যোগাযোগের যে মাধ্যম তৈরি করেছি এটা প্রযুক্তিগত উন্নতির ফলেই আমরা করতে পেরেছি এই দিক বিবেচনা করে বলা যায় যে তথ্য ও প্রযুক্তির প্রয়োজনীয়তা গ্রাম বা শহর ব্যাপক পরিমাণ রয়েছে।

No comments:

Post a Comment