কম্পিউটার ব্যবহারে আসক্তি ও মুক্ত থাকার উপায় - M.A IT FIRM

কম্পিউটার ব্যবহারে আসক্তি ও মুক্ত থাকার উপায়

 

 কম্পিউটার ব্যবহারে আসক্তি ও মুক্ত থাকার উপায়

কম্পিউটার ব্যবহারে আমরা সবাই কমবেশি আসক্তি, কিন্তু কারো কারো এটা অতিরিক্ত হারে বেড়ে গিয়েছে এই কম্পিউটার ব্যবহারে আসক্তি হওয়ার কারণে অনেকেই অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে। যেমন অতিরিক্ত কম্পিউটার স্কিনে তাকিয়ে থাকার কারণে চোখের সমস্যা হতে পারে আমরা অতিরিক্ত কম্পিউটার ব্যবহার করার ক্ষেত্রে বা ইন্টারনেট ব্যবহার করার কারণে আমরা নানারকম ভিডিও ছবি বা অন্য কিছু দেখি।

কম্পিউটার ব্যবহারে আসক্তি ও মুক্ত থাকার উপায়

সেক্ষেত্রে আমাদের মানসিক ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে অতিরিক্ত মাত্রায় কম্পিউটার ব্যবহার করার ক্ষেত্রে আমরা আশেপাশে পরিবার-পরিজন এবং আশেপাশে পরিবেশের সাথে নিজেকে মিলাতে পারি না আমরা পরিবার থেকে ধীরে ধীরে আলাদা হয়ে পড়ি। কম্পিউটার আসক্তি কিছু কারণ রয়েছে যেমন অনেকেই কম্পিউটারে গেমস খেলে আবার অনেকেই ইন্টারনেট করে অনেকে সোশ্যাল মিডিয়া বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম গুলোতে সময় কাটায় এতে আমাদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এর মূল উপাদান হলেও ধীরে ধীরে সমাজ থেকে আমাদেরকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলছে।

আরো পড়ুন: ইন্টারনেট ব্যবহারে শিক্ষার মান উন্নয়ন ও আইসিটির ভূমিকা কি

পেজ সূচিপত্র: কম্পিউটার ব্যবহারে আসক্তি ও মুক্ত থাকার উপায়


ভূমিকা

কম্পিউটার আমাদের দৈনন্দিন জীবনের একটি মৌলিক চাহিদা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কম্পিউটার ছাড়া যেন আমাদের কোন কাজেই পরিপূর্ণ হয় না। কর্মক্ষেত্রে কম্পিউটারের ভূমিকা অপরিসীম। তাই বলে কম্পিউটার দিয়ে শুধু কর্ম ক্ষেত্রেই ব্যবহার করা হয় না। কম্পিউটার বিনোদনের আরেকটা মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে যেমন কম্পিউটারে গেম, কম্পিউটারে সোশ্যাল মিডিয়া বা সোশ্যাল সাইড গুলোতে সময় কাটানো এবং বিনোদনমূলক

তবে অবশ্যই আমাদের খেয়াল রাখতে হবে আমরা যেন তার প্রতি আসক্তি না হয়ে পড়ি। কম্পিউটার আসক্ত হয়ে পড়ি তাহলে আমাদের জীবনে খারাপ নৈতিবাচক তৈরি হয়ে যাবে। তাই কম্পিউটার ব্যবহারের ক্ষেত্রে আমাদেরকে সজাগ থাকতে হবে আমরা কম্পিউটার কোন ক্ষেত্রে ব্যবহার করছি

কম্পিউটার ও ইন্টারনেট ব্যবহারে আসক্তি হওয়া

কম্পিউটার ও ইন্টারনেট ব্যবহারে আসক্তি হওয়া



আসক্তি বলে একটা ভীতিকর শব্দ আছে এবং সবাই নিশ্চয়ই এর সাথে পরিচিত। সাধারণত আসক্তি শব্দটা ব্যবহৃত হয় মাদকের সাথে। কোন একজন ব্যক্তি মাদকাসক্ত হয়ে গেলে তার জীবনটা কোনভাবে নষ্ট হয়ে যায় এবং সেখানে থেকে বের হয়ে আসা কত কঠিন আমরা সবাই সেটা জানি। কিন্তু তথ্য প্রযুক্তি পাঠ্য বইয়ের কম্পিউটার এবং কম্পিউটার ব্যবহারের মত এমন চমৎকার একটা বিষয়ের সাথে আসক্তির মতো ভয়ংকর একটা নতিবাচক শব্দ কেমন করে জুড়ে দেওয়া হলো সেটি নিয়ে তোমাদের কেউ কেউ নিশ্চয়ই অবাক হয়েছে। 

যাদের কম্পিউটার আছে, তাদের কেউ কেউ নিশ্চয়ই ইতিমধ্যে কম্পিউটার গেম খেলতে খেলতে মাঝে মাঝে বাড়াবাড়ি করে ফেলছো, খেলা বন্ধ করে যখন অন্য একটা জরুরি কাজ করা দরকার তখনো খেলা ছেড়ে উঠতে পারছ না, এরকম অভিজ্ঞতা নিশ্চয়ই কারো কারো হয়েছে। যাদের কম্পিউটারে ইন্টারনেটের যোগাযোগ আছে তাদের কারো কারো হয়তো ফেসবুক অ্যাকাউন্ট আছে এবং সেই ফেসবুকে তুমি সম্ভবত নিজের সম্পর্কে কোন তথ্য দিয়ে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছো কখন সেখানে কেউ লাইক দেবে। ফেসবুকে তোমার বন্ধু বাড়লে তুমি হয়তো আনন্দ পেয়েছ এবং ঠিক কম্পিউটার গেমের মতই ফেসবুকে নামে সামাজিক নেটওয়ার্ক তোমার যতটুকু সময় দেওয়া উচিত তোমাদের কেউ কেউ নিশ্চয়ই তার থেকে অনেক বেশি সময় দিয়েছো। 

আরো পড়ুন: শেয়ার মার্কেটে বিনিয়োগের সুবিধা অসুবিধা কি

যে তুমি যদি ফেসবুকে এত সময় না দিতে তাহলে তোমার পরীক্ষার ফল আর একটু ভালো হতো। তুমি আরো কয়েকটা চমৎকার বই পড়তে পারতে। মাঠে আরও একটু বেশি খেলতে পারতে। ভাইবোন বাবা মাকে আরেকটু বেশি সময় দিতে পারতেন। তোমাদের অনেকে কম্পিউটার গেম কিংবা ফেসবুকের মত কোন একটা সামাজিক নেটওয়ার্কের প্রয়োজনের চেয়ে অনেক বেশি সময় ব্যয় কর। 

এতে সত্যিকারের জীবনের খানিকটা হলেও ক্ষতি করছো যারা এমনটি করছো তারা নিশ্চয়ই এখন কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট নামে ইতিবাচক শব্দটির সাথে আসক্তি নামের শব্দটা জুড়ে দেওয়ার কারণ বুঝতে পেরেছ। আসক্তি বলতে বোঝানো হয় যখন কেউ জানে কাজটি করা ঠিক হচ্ছে না তারপরও সেই কাজটি না করে থাকতে পারেনা। মাদকের জন্য এটি যেমন হতে পারে ঠিক সেরকম কম্পিউটার এবং ইন্টারনেটের ক্ষেত্রেও সেটি হতে পারে। মাদক যেমন জীবনের জন্য ক্ষতিকর অতিরিক্তি করা হলে কম্পিউটার কিংবা ইন্টারনেট ও সেরকম ক্ষতির কারণ হতে পারে আমাদের জীবনে।

কম্পিউটার গেমে আসক্তি হওয়া থেকে বিরত থাকা

কম্পিউটার গেমে আসক্তি হওয়া থেকে বিরত থাকা


কম্পিউটার গেমে আসক্তিটা প্রায় সময়ের শুরু হয় শৈশব থেকে এবং বেশিরভাগ সময় সেটা ঘটে অভিভাবকদের অজ্ঞতার  কারণে। কম্পিউটার একটা টুল এবং এটা দিয়ে নানা ধরনের কাজ করা যেতে পারে। সেই প্রযুক্তি সম্পর্কে এত সুন্দর সুন্দর কথা বলা হয়েছে যে অনেক সময় অভিভাবকরা ধরে নেন এটা দিয়ে যা কিছু করা হয় সেটাই বুঝি ভালো, তাই যখন তারা দেখেন তাদের সন্তানেরা দীর্ঘ সময় কম্পিউটার সামনে বসে আছে তারা বুঝতে পারেন না তার মাঝে সতর্ক হওয়া ব্যাপার রয়েছে।

 কম্পিউটার গেম এক ধরনের বিনোদন আর এই বিনোদনের নানারকম মাত্রা রয়েছে। যারা সেটি খেলছে তারা সেটাকে নিছক বিনোদন হিসেবে নিচ্ছে।ঠ দেখা গেছে একটি ছোট শিশু থেকে পূর্ণ বয়স্ক মানুষ পর্যন্ত সবাই কম্পিউটার গেমে আসক্ত হয়ে যেতে পারে।কোরিয়ার একজন মানুষ টানা 50 ঘন্টা কম্পিউটারে গেম খেলে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছিলেন অর্থ জোগাড় করতে তাদের শিশু সন্তানকে বিক্রয় করে দিয়েছিলেন। এই উদাহরণগুলো আমাদেরকে মনে করাই দেয় কম্পিউটার গেম হতে আমাদের নিজেকে বিরত রাখতে হবে। 

আরো পড়ুন: ব্যবসায় দীর্ঘমেয়াদি মূলধন বিনিয়োগের সঠিক সিদ্ধান্ত ও নিয়মাবলী

আর আমরা যদি একটু সতর্ক না হই তাহলে একসময় আমরা নিজেরাই কম্পিউটার বা কম্পিউটার গেম এর প্রতি বিপুল পরিমাণ আসক্তি হয়ে যাবে এবং এটা আমাদের জন্য খুবই ক্ষতিকর দিক টেনে নিয়ে আসবে। কম্পিউটার কিংবা কম্পিউটার গেমে আসক্তি বিষয়টা যেহেতু নতুন, তাই সেগুলো নিয়ে গবেষণা এখনো খুব বেশি হয়নি। কিন্তু ভবিষ্যতে পুরো বিষয়টি নিয়ে গবেষণা করে আরো নিশ্চিতভাবে দিকনির্দেশনা দিতে পারবেন। 

এখনো এই গবেষণায় দেখা গেছে কোন একটা কম্পিউটার গেমে তীব্রভাবে আসক্ত একজন মানুষের মস্তিষ্কের বিশেষ উত্তেজক রাসায়নিক দ্রব্যের আবির্ভাব হয়। শুধু তাই নয় দশ ঘন্টা করে কম্পিউটার ব্যবহার করে তাদের মস্তিষ্কের গঠন এক ধরনের পরিবর্তন হয়ে যায়। কাজেই কম্পিউটার গেম চমৎকার একটি বিনোদন হতে পারে তবে আমরা চেষ্টা করব যেন কম্পিউটার গেম এর প্রতি নিজেরা আসক্তি হয়ে না পড়ি।

সামাজিক নেটওয়ার্কে আসক্তি হওয়া ও বিরত থাকা

মানুষ সামাজিক প্রাণী এবং মানুষের নিজেদের ভেতরে সব সময় এক ধরনের সামাজিক যোগাযোগ ছিল কিন্তু ইদানিং সামাজিক যোগাযোগের কথা বলা হলে সেটি মানব সভ্যতার এক চিরন্তন সামাজিক যোগাযোগ বা সামাজিক নেটওয়ার্কের কথা না বুঝিয়ে ইন্টারনেট নির্ভরসম্পন্ন ভিন্ন এক ধরনের নেটওয়ার্ক এর কথা বোঝানো হয়। যেমন ফেসবুক, টুইটার instagram, এ ধরনের অনেক সামাজিক যোগাযোগ সাইট রয়েছে যেগুলোতে মানুষ নিজেদের পরিচিত মানুষগুলোর সাথে যোগাযোগ রাখতে পারে। 

একসময় এই সাইটগুলো ছিল কম বয়সী তরুণ তরুণীদের জন্য, এখন সব বয়সী মানুষ সেটি ব্যবহার করে। শুধু যে একে অন্যের সাথে যোগাযোগের জন্য এটি ব্যবহার করে তা নয়, একটা বিশেষ আদর্শ বা মতবাদকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য এটি ব্যবহার করা হয়। যে উদ্দেশ্যে এটি শুরু হয়েছিল যদি এটি সেই উদ্দেশ্যের মাঝে সীমাবদ্ধ থাকতো তাহলে এটি কোন সমস্যার জন্ম দিত না, কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি সামাজিক যোগাযোগ সাইটে আসক্তি ধীরে ধীরে সারা পৃথিবীর জন্য একটা বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়ে যেতে শুরু করেছে। 

মনোবিজ্ঞানীরা এটা নিয়ে গবেষণা শুরু করেছেন এবং এটি মোটামুটি ভাবে নিশ্চিত বলা যায় এই সাইডগুলো সাফল্য নির্ভর করে, সেগুলো কত দক্ষতার সাথে ব্যবহারকারীদের আসক্ত করতে পারে। পুরো কর্ম পদ্ধতির মাঝেই যে বিষয়টি রয়েছে সেটি হচ্ছে কত বেশি বার এবং কত বেশি সময় একজন এই সাইটগুলোতে টেনে আনা যায় এবং তাদের দিয়ে কোন একটা কিছু করানো যায়। যে যত বেশি বার এই সাইট ব্যবহার করবে সেই সাইটেই তত বেশি সফল হিসেবে বিবেচিত হবে এবং অবশ্যই সেটি তত বেশি টাকা উপার্জন করবে। পুরোপুরি আসক্ত হয়ে যাবার খুব একটা বড় আশঙ্কা রয়েছে।

 মনোবিজ্ঞানীরা এই সাইটগুলো বিশ্লেষণ করে আরো একটা কৌতুহল বিষয় আবিষ্কার করেছেন। সব মানুষের ভেতরে নিজেকে প্রকাশ করার একটা চাহিদা রয়েছে। নিজেকে নিয়ে মুগ্ধ থাকা এক ধরনের সুপ্ত আকাঙ্ক্ষা থাকে, সামাজিক যোগাযোগ সাইটগুলোতে মানুষের এই সুপ্ত বাসনাকে জাগ্রত করে দেয়। সবার ভেতরে তখন নিজেকে জনপ্রিয় করে তোলার এক ধরনের প্রতিযোগিতায় শুরু হয় জেনে হোক বা না জেনে হোক ব্যবহারকারী নিজের সম্পর্কে তুচ্ছ এবং সূক্ষ্ম বিষয়গুলো এই যোগাযোগ সাইট গুলোতে আপলোড করতে থাকেন। 

আরো পড়ুন: ফিচার মোবাইল ফোন মেরামত ও সার্ভিসিং এর প্রক্রিয়া কি

এবং নিজেকে জনপ্রিয় করে তুলতে চেষ্টা করেন একটা সময় অতিরিক্ত মাত্রা ছাড়িয়ে গেলে এগুলোর প্রতি আসক্তি বেড়ে যায়। পুরো প্রক্রিয়াটি একরকম মাদকের মত কাজ করে দীর্ঘ সময় ধরে এই সাইটগুলোতে থাকা এবং এই সাইটে সমস্ত কিছু পর্যবেক্ষণ করা এবং নিজের সমস্ত কিছু উপস্থাপন করা একটা আসক্তির মত কাজ করে। আমাদেরকে এই সাইডগুলো থেকে বিরত থাকতে হবে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করা এই সাইটগুলো পরিমাণ মতো এবং প্রয়োজনীয় কাজে সময় দিতে হবে অতিরিক্ত সময় দিয়ে সময় নষ্ট করা যাবে না।

আসক্তি থেকে মুক্ত থাকার উপায় গুলো কি

আসক্তি থেকে মুক্ত থাকার উপায় গুলো কি


আমরা ইতিমধ্যে জেনেছি মাদক ন্যায় কম্পিউটার গেম বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো আসক্তি হতে পারে। তাই মাদকের আসক্তির জন্য যা যা সত্যি, কম্পিউটার গেম বা সামাজিক যোগাযোগ সাইটে আসক্তির জন্য সেগুলো সত্যি। তাই আমরা বলতে পারি একবার আসক্ত হয়ে যাবার পরে সেখান থেকে মুক্ত হওয়ার চেষ্টা করা থেকে কখনোই আসক্ত না হওয়া অনেক বেশি বুদ্ধিমানের কাজ। যারা এই আসক্তি ব্যাপারটি জানেন না তাদের পক্ষে আসক্ত হয়ে যাবার একটা আশঙ্কা থাকে।

 কিন্তু তোমরা যারা এই বিষয়ে জানো বা জানা রয়েছে তারা অবশ্যই নিজেকে কম্পিউটার বা কম্পিউটার গেম হতে আসক্ত হওয়ার হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করবেন। কম্পিউটার গেম এক ধরনের বিনোদন, এটাকে বিনোদনের মধ্যেই রাখতে হবে। কাজেই যারা কম্পিউটার গেম খেলবে তাদেরকে জানতে হবে অন্য যেকোনো বিনোদনের জন্য যেটা সত্যি কম্পিউটার গেম খেলার বেলাতেও সেটা সত্যি। কম্পিউটার এক ধরনের প্রযুক্তি তাই অনেকে কম্পিউটার ব্যবহার করা যে কোনো কাজকেই প্রযুক্তির এক ধরনের ব্যবহার বলে মনে করে, সেটা মোটেও সত্যি নয় কম্পিউটার গেম খেলে মোটেও কম্পিউটার প্রযুক্তি সম্পর্কে কোন জ্ঞান অর্জন করা যায় না খেলার আনন্দটা হয় মাত্র। 

কাজে কখনো কম্পিউটার গেম খেলার কারণে নিজের দৈনন্দিন অন্যান্য কাজে যেন না ঘটে সেটি সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হবে। কম্পিউটার গেম খেলা থেকে মুক্ত থাকা বা আসক্তি থেকে মুক্ত থাকার অনেকগুলো উপায় আছে। সে উপায়গুলো হচ্ছে আমরা যে সময়টুকু কম্পিউটার গেম খেলে নষ্ট করছি সে সময়টুকু আমরা আমাদের প্রয়োজনীয় অন্যান্য কাজে ব্যবহার করব । অন্যান্য খেলাধুলা করব যেমন ফুটবল, ক্রিকেট, হাডুডু ইত্যাদি খেলা রয়েছে। 

অথবা কম্পিউটার ব্যবহার করা যদি প্রয়োজন হয় তাহলে আমাদের প্রয়োজনীয় যে কাজকাম গুলো রয়েছে যেগুলো কম্পিউটারের মাধ্যমে করতে হবে সেই কাজগুলো আমরা কম্পিউটারের মাধ্যমে করব এবং বাকি সময় কম্পিউটার ব্যবহার থেকে বিরত থাকবো এবং আমরা সামাজিকভাবে চলাফেরা করব আশেপাশে পরিবেশের সাথে নিজেকে মিলিয়ে নিব এবং পরিবারের সাথে বা পরিবারের লোকজনের সাথে সময় কাটাবো। যেমন কোথাও ঘুরতে যাওয়া, একসাথে বসে আড্ডা দেওয়া, ইত্যাদি হতে পারে কম্পিউটার হতে আমরা যত দূরত্ব বজায় রাখবো কম্পিউটারের প্রতি আসক্ত আমাদের ততই কম থাকবে ।

আরো পড়ুন: ধূমপান ও মাদকদ্রব্য সেবন থেকে বিরত থাকার উপায় ও ঝুঁকি মোকাবেলা

কম্পিউটার টি আমরা বিনোদনের জায়গায় না নিয়ে প্রযুক্তি খাতে এবং প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য কম্পিউটার ব্যবহার করব। এছাড়াও এছাড়াও নিজেকে কম্পিউটার থেকে দূরে রাখার জন্য জীবনে গুরুত্বপূর্ণ কাজ লেখাপড়া হোমওয়ার্ক করা মাঠে খেলাধুলা করা স্বেচ্ছাসেবক মুল্য কাজে সবকিছুর জন্য সময় ভাগ করে রাখতে হবে সেই সব কিছু করার পর যদি কোন সময় পাওয়া যায় শুধু তাহলে কম্পিউটার গেম খেলবে বলে ঠিক করে নিতে হবে। ধীরে ধীরে কম্পিউটারে গেম খেলা কমিয়ে দিয়ে নিজেকে সৃজনশীল কাজে ব্যস্ত রাখতে হবে।

উপসংহার

আমরা সামাজিক জীব সমাজে বাস করি কিন্তু বর্তমান পরিবেশ আমাদের সমাজ থেকে অনেক দূরে নিয়ে চলে গেছে তথ্যপ্রযুক্তির উন্নতির কারণে আমরা সমাজ থেকে অনেক দূরে বাস করছি। যদিও আমরা সমাজের মানুষের সাথেই চলাফেরা করছি সমাজের মানুষের সাথে উঠাবসা করছি সমাজের সাথেই থাকছি। কিন্তু মানসিকভাবে আমরা সমাজ ব্যবস্থাপনা থেকে অনেক দূর চলে গেছি এমনকি নিজ পরিবার এবং আপনজনদের কাছ থেকেও আমরা অনেক দূরে থাকি।

 শুধুমাত্র তথ্যপ্রযুক্তির উন্নতির কারণেই নয় তথ্য প্রযুক্তি উন্নতি আমাদের অনেক সুযোগ-সুবিধা দিয়েছে সেই তেমনি তার কিছু অসুবিধা রয়েছে। সেখানে ভালো এবং খারাপ দুদিকেই রয়েছে আমাদের নিজেদের বিশ্লেষণ করে নিতে হবে আমরা কোন দিকে পা বাড়াবো তাই কোন কিছুর প্রতি আসক্তি হওয়ার আগে অবশ্যই আমাদের চিন্তাভাবনা করতে হবে যে আমরা যেটা করছি সেটা সঠিক নাকি ভুল। তথ্যপ্রযুক্তি আমাদের জীবনের মান উন্নয়ন করেছে যেমন কম্পিউটার ব্যবহারের ক্ষেত্রে আমরা অনেক সুবিধা অর্জন করতে পেরেছি তবে সেটা সঠিক ব্যবহার করা আমাদের জন্য জরুরী আমরা কম্পিউটারের সঠিক ব্যবহার করতে পারি তাহলে আমরা কম্পিউটার আসক্তি হতে বিরত থাকতে পারবো।

No comments:

Post a Comment