স্মার্ট মোবাইল ফোন মেরামত এবং সার্ভিসিং করার নিয়ম
স্মার্টফোন আমাদের আধুনিক জীবনের অবিচ্ছেদ্য একটি ডিভাইস। যার মাধ্যমে ফিচার মোবাইল ফোনের সকল সুবিধা সহ কম্পিউটারের অনেকগুলো কাজ যেমন ডকুমেন্ট লেখা ও প্রদর্শন করা, ইন্টারনেট ব্রাউজিং এবং মাল্টিমিডিয়া সুবিধা ইত্যাদি সম্পাদন করা যায়। স্মার্টফোনে ফিজিক্যাল কিপ্যাডের পরিবর্তে একটি টাচ স্কিন ইন্টারফেস অন্তর্ভুক্ত থাকে যার সাহায্যে ব্যবহারকারী ইন্টারনেট এক্সেস বা হ্যান্ডসেটের সমস্ত দুর্দান্ত ফাংশন গুলোর প্রয়োগ দ্রুত এবং সহজেই করতে পারে।
পেজ সূচিপত্র:স্মার্ট মোবাইল ফোন মেরামত এবং সার্ভিসিং করার নিয়ম
- ভূমিকা
- স্মার্ট মোবাইল ফোনের মৌলিক ধারণা
- স্মার্ট মোবাইল ফোনের বিভিন্ন ফাংশন
- স্মার্ট মোবাইল ফোনের বিভিন্ন সেকশন ও ব্লগের কাজের বর্ণনা
- স্মার্ট মোবাইল ফোনের ত্রুটি নির্ণয় ও সমাধান
- উপসংহার
ভূমিকা
স্মার্ট মোবাইল ফোন আমাদের দৈনন্দিন জীবনের একটি অংশ পূর্বে আমরা ফিচার ফোন ব্যবহার করেছি কিন্তু বর্তমানে স্মার্টফোনের যুগ এসেছে স্মার্টফোনের পাশাপাশি আমরা ফিচার ফোন ও ব্যবহার করি কিন্তু মৃত্যু প্রয়োজনীয় কাজগুলো আমরা স্মার্টফোন দিয়ে করতে পারি স্মার্টফোন একটি মিনি কম্পিউটারের কাজ করে কম্পিউটারের অধিকাংশ কাজ স্মার্ট ফোন দিয়ে করা যায়। যেমন ইন্টারনেট ব্রাউজিং ডাটা এন্ট্রি ফ্রীলান্সিং ফটোশপ আর্টিকেল রাইটিং মাল্টিমিডিয়া সেকশন ইত্যাদি
স্মার্ট মোবাইল ফোনের মৌলিক ধারণা
স্মার্টফোন এমন একটি বহনযোগ্য ডিভাইস যা মোবাইল টেলিফোন এবং কম্পিউটিং ফাংশন গুলোকে এক ইউনিটে একত্রিত করে। মূল ফোনের পাশাপাশি সংযুক্ত শক্তিশালী হার্ডয়্যার ক্ষমতা বিস্তৃত মোবাইল অপারেটিং সিস্টেমগুলোর দ্বারা ব্যবহৃত সফটওয়্যার ইন্টারনেট এবং মাল্টিমিডিয়া কার্যকারিতা দ্বারা ফিচার ফোন গুলো থেকে আলাদা হয়।
স্মার্টফোনগুলোতে সাধারণত প্রচুর মেটাল অক্সাইড সেমিকন্ডাক্টর ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট থাকে, বিভিন্ন সেন্সর অন্তর্ভুক্ত থাকে যা পার্ট অন্তর্ভুক্ত এবং তৃতীয় পক্ষের সফটওয়্যার যেমন চুম্বকীয় প্রক্সিমিটি সেন্সর ব্যারোমিটার জাইরোস্কোপ অক্সিলোমিটার ইত্যাদি সহ ওয়ারলেস যোগাযোগ প্রটোকল সমর্থন করে যেমন ব্লুটুথ ওয়াইফাই এবং উপগ্রহ নেভিগেশ
আরো পড়ুন: মোবাইল ফোনের মৌলিক ধারণা ও কার্যপ্রণালী কি কি
স্মার্ট মোবাইল ফোনের বিভিন্ন ফাংশন
স্মার্টফোন এমন একটি সেলুলার টেলিফোন যা একটি ইন্টিগ্রেটেড কম্পিউটার এবং অন্যান্য বৈশিষ্ট্য গুলোর সাথে মূলত: অপারেটিং সিস্টেম ,ওয়েব ব্রাউজিং, সফটওয়্যার অ্যাপ্লিকেশনগুলো এবং ডাউনলোড অ্যাপ্লিকেশন ইত্যাদি টাচ স্কিন ইন্টারফেস এর সাহায্যে সহজে পরিচালনা করা যায়। স্মার্টফোনে জিএসএম(GSM) সিম কার্ড ব্যবহারের জন্য আন্তর্জাতিক মোবাইল সরঞ্জাম(IMEI) সনাক্তকরণ দ্বারা স্বতন্ত্রভাবে চিহ্নিত করা হয়।
স্মার্টফোনে আঙ্গুলের ছাপ স্ক্যানিং, আই ট্র্যাকিং, ফেস আনলক, ফাস্ট চার্জিং এবং ওয়ারলেস চার্জিং এর সুবিধা অন্তর্ভুক্ত থাকে যা ব্যবহারকারীকে খুবই আকর্ষিত করে এবং স্মার্টফোন ব্যবহার করতে বাধ্য হয়। স্মার্টফোনে দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারি ব্যবহার করা হয় যা সফটওয়্যার অপটিমাইজেশন এর মাধ্যমে ব্যাটারির স্থায়িত্ব ও ব্যবহার দীর্ঘস্থায়ী করার সুবিধাদি থাকে। এন্ড্রয়েড ফোনে সাধারণত ৩০০০ এমএএইচ থেকে ৭০০০ এমএএইচ এর ব্যাটারি ব্যবহার করা হয় ।
অ্যাপলের আইফোনে কম মিলি অ্যাম্পিয়ার আওয়ার এর ব্যাটারি ব্যবহার করা হলেও সফটওয়্যার অপটিমাইজেশনের মাধ্যমে ব্যাটারির স্থায়িত্ব এন্ড্রয়েড ফোনের চাইতে বেশি হয়। স্মার্টফোনের সকল ফাংশন পরিচালনা করার জন্য অপারেটিং সিস্টেম সফটওয়্যার ব্যবহার করা হয়, যা অপটিমাইজেশনের মাধ্যমে ব্যবহারকারী ইন্টারফেসকে আকর্ষণীয় করে এবং ব্যবহারকারী দ্রুত ও সহজে বিভিন্ন ফাংশন ব্যবহার করতে পারে।
অ্যাপেলের আইফোনের অপারেটিং সিস্টেম সফটওয়্যার আইওএস, গুগল ফোনের অপারেটিং সিস্টেম সফটওয়্যার এন্ড্রয়েড এবং উইন্ডোজ ফোনের অপারেটিং সিস্টেম সফটওয়্যার উইন্ডোজ ব্যবহার করা হয়। স্মার্টফোনে মোবাইল ফোন অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করা হয় এবং ওয়ারলেস ডাটা ট্রান্সফারের জন্য সিকিউরিটি সফটওয়্যার ও হার্ডওয়ার ব্যবহার করার জন্য হয়, যা ব্যবহারকারীকে মোবাইল ফোন অ্যাকাউন্ট ব্যবহার এবং ডাটা ট্রান্সফার সংশ্লিষ্ট কাজগুলো নিরাপদ রাখে। এন্ড্রয়েড ফোনে সিকিউরিটির জন্য এনএসসি এবং আইফোনের জন্য ফোনের অভ্যন্তরীণীয় হার্ডওয়ার সিকিউরিটি ব্যবস্থা থাকে যার ফলে আইফোনের সিকিউরিটি শক্তিশালী থাকে।
স্মার্টফোনে শক্তিশালী সিপিইউ ব্যবহার করা হয় যা সফটওয়্যার অপটিমাইজেশনের মাধ্যমে এমনভাবে অপারেটিং সিস্টেম সফটওয়্যার এর সাথে সমন্বয় করা হয়, যাতে কোন অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার বা ফাংশন ব্যবহারকারী নিজের ইচ্ছেমতো সহজে ও দ্রুত পরিচালনা করতে পারে। অ্যান্ড্রয়েড ফোনে সাধারণত কোয়ালকম, স্ন্যাপড্রাগন, মিডিয়াট্রিক, কিরিন, এক্সিনোস, ইত্যাদি প্রসেসর ব্যবহার করা হয়। অ্যাপলের আইফোনের অ্যাপল বায়োনিক প্রসেসর ব্যবহার করা হয় তবে অ্যাপল আইফোনের সফটওয়্যার অপটিমাইজেশন অন্যান্য এন্ড্রয়েড ফোনের তুলনায় শীর্ষে থাকে।
আরো পড়ুন:ফিচার মোবাইল ফোন মেরামত ও সার্ভিসিং এর প্রক্রিয়া কি
স্মার্ট মোবাইল ফোনের বিভিন্ন সেকশন ও ব্লগের কাজের বর্ণনা
টাচ স্কিন সেকশন টাচ স্কিন স্মার্টফোনে এলসিডি ডিসপ্লে এর ওপরে ক্যাপাসিটি টাচস্ক্রিন ব্যবহার করা হয়। টাচ স্কিনের মাধ্যমে দ্রুত নাম্বার এবং টেক্সট টাইপ করা যায়। টাচ স্কিনের ফলে স্মার্টফোনে নেটওয়ার্ক এক্সেস, ওয়েব ব্রাউজিং, বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার এবং ফাংশন খুব সহজে ব্যবহার করা যায়।টাচ স্কিনের মাধ্যমে খুব সহজে টাচ কিপ্যাডের ভাষা পরিবর্তন করা যায়
ডিসপ্লে সেকশন পাঠ্য বার্তা, ডায়ালিং নাম্বার, ছবি, ভিডিও, ইমেইল ও মাল্টিমিডিয়া প্রদর্শনের জন্য স্মার্টফোনে সাধারণত আইপিএস ,এইচডি, ফুল এইচডি, ফুল এইচডি প্লাস, রেটিনা ইত্যাদি ডিসপ্লে ব্যবহার করা হয়।
সিম কার্ড সেকশন স্মার্টফোনের সিম কার্ড স্লট এবং মেমোরি কার্ডের স্লট একসাথে সংযুক্ত থাকে। একটি সকেট একাধিক সিম কার্ড এবং একটি মাইক্রো এইচডি করা হয়। সিম কার্ড সেকশন সিন সকেট এর হতে সরাসরি সিপিইউ এর সাথে সংযুক্ত থাকে । যদি মোবাইল ফোনের বিদ্যুৎ সরবরাহ না থাকে তবে সিমকার্ড সেকশন পাওয়ার আইসি এর মাধ্যমে সিইউতে সংযুক্ত থাকে সিম কার্ড মূলত ভি-সিম(৩.০ ভোল্ট) সিম- (আর এস টি২.৮৫), সিম ক্লক, সিম ডাটা (২.৫ ভোল্ট) এবং সিম গ্রাউন্ড তৈরি করা হয় এ চারটি পিন সিম গ্রাউন্ বা কমন পিনের পাশাপাশি থিম ইন্টারফেস সেকশনের সাথে সরাসরি সংযুক্ত থাকে।
নেটওয়ার্ক সেকশন এন্টেনা, বাহিক্য এন্টেনা সকেট, আর এক্স-ব্যান্ড পাশ ফিল্টার, আর এফ ক্রিস্টাল, এফ ই এম, পি এফ ও, টি এক্স ব্যান্ড পাশ ফিল্টার, আরএফআইসি, সিপিইউ নেটওয়ার্ক সেকশন সংযুক্ত রয়েছে। আর এক্স চলাকালীন এন্টেনায় প্রাপ্ত সিগন্যালটি এন্টেনা সকেটের মাধ্যমে এন্টেনা সুইচ বা এফ পি এন কে প্রদান করে যেখানে যথাযথ ব্যান্ডের ফ্রিকোয়েন্সি নির্বাচন করে পরবর্তী প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয় এবং আর এক্স ব্যান্ড পাশ ফিল্টারের মাধ্যমে আর এস আই সি -তে প্রেরণ করা হয়।
মাইক্রোফোন ইন্টারফেস সেকশন মাইক্রোফোন ইন্টারফেস সেকশনটি বেশিরভাগ মোবাইল ফোনের সরাসরি সিপিইউ এর সাথে সংযুক্ত থাকে। কার্যকারী ভোল্টেজ ১.৮-২.৮সিপিইউ থেকে সরবরাহ করা হয় বা মাইক্রোফোনের কার্যকারিতার জন্য পাওয়ার সাপ্লাই সেকশন এবং মাইক্রোফোন পজেটিভ এবং নেগেটিভ ভোল্ট দুটি এসএমডি ক্যাপাসিটর এর মাধ্যমে ইনপুট হয়।
ইয়ার স্পিকার সেকশন ইয়ার স্পিকার সেকশন সরাসরি সিপিইউ সম্পর্কিত। বা সিপিইউ এর অন্ত নির্মিত অডিও সেকশন থেকে সিগন্যালের মাধ্যমে শব্দ গ্রহণ করে। কিছু মোবাইল ফোনে এই শব্দ সংকেতগুলো এসএমডি কয়েল বা এসএমডি রেজিস্টর মাধ্যমে প্রাপ্ত হয়। কিছু মোবাইল ফোনের অডিও সেকশনে অডিও আইসি থাকে
স্পিকার বা রিগার সেকশন মোবাইল ফোনের রিগার, বার্জার, বা স্পিকার উচ্চ শব্দ শোনার জন্য অডিও এমপ্লিফায়ার আইসির সাথে সংযুক্ত থাক। অ্যামপ্লিফায়ার আইসি অডিও সেকশনের সিপিইউ থেকে প্রাপ্ত শব্দ বা অডিও সংকেত কে বিবর্ধন দেয়।
ভাইব্রেটর সেকশন মোবাইল ফোনে ইনকামিং কলের জন্য স্পিকার বা রিগারটনের পাশাপাশি ব্যবহারকারী কে জানানোর জন্য সৃষ্টি করে। এই ভাইব্রেট বা কম্পনের জন্য ভাইব্রেটর ব্যবহার করা হয়। ভাইব্রেটর পজিটিভ পাওয়ার সরবরাহ ব্যাটারির পজেটিভ প্রাপ্ত থেকে করা হয়। নেগেটিভ বিদ্যুৎ সরবরাহ একটি এনপিএন ট্রানজিস্টরের মাধ্যমে বা সার্কিট কম্পনেন্ট থেকে করা হয়।
ব্যাটারি চার্জিং সেকশন চার্জার এবং সিস্টেম ইন্টারফেস সংযোগকারী বেশিরভাগ আধুনিক মোবাইল সেলফোনে একসাথে তৈরি। ব্যাটারি চার্জিং সেকশনের জন্য কন্ট্রোল সেকশন পৃথকভাবে তৈরি করা হয়। কিছু মোবাইল ফোনে ব্যাটারি চার্জিং সেকশন পাওয়ার আই সি এর অভ্যন্তরে তৈরি করা হয়। স্মার্টফোনে বিভিন্ন ফাংশনে পরিচালনার জন্য ব্যাটারী ক্ষয় বেশি হয়।
স্মার্টফোন দীর্ঘমেয়াদি পরিচালনার জন্য ব্যাটারি ক্যাপাসিটি বেশি প্রয়োজন হয়। এই ব্যাটারি ক্যাপাসিটি সাধারণত ৩০০০ এম এইচ থেকে ৭০০০ এমএইচ এর হয়। স্মার্টফোনে ভাই ক্যাপাসিটির ব্যাটারিকে দুটো চার্জ করার জন্য ফাস্ট চার্জিং সিস্টেম ব্যবহার করা হয়। ফাস্ট চার্জিং এর জন্য সাধারণত ১৫ ওয়াট থেকে ৬৫ ওয়াট বা কোন কোন ব্র্যান্ড তার ঊর্ধ্বে ফাস্ট চার্জার ব্যবহার করে। স্মার্ট ফোনে ওয়্যারলেস চার্জিং সিস্টেম ব্যবহার করা হয়।
পাওয়ার সেকশন পাওয়ার আইসি,সিপিইউ, ফ্লাশ আইসি, র্যাম, আর এফ ক্লক, ক্রিস্টাল, আরএফ আইএফ ইত্যাদি কম্পনেন্ট সমূহ পাওয়ার সেকশনে সংযুক্ত থাকে। পাওয়ার আইসিতে ব্যাটারির পজেটিভ প্রান্ত হতে ৩.৭ ভোল্ট প্রদান করা হয় এবং পাওয়ার অন করার জন্য ২.৮৭ থেকে ৩. ০ ভোল্ট ব্যবহৃত হতে, সিপিইউ, ফ্ল্যাশ আইসি, র্যাম, আর এফ ক্লক , জেনারেটর সেকশন করা হয়। যার মাধ্যমে মোবাইল ফোনটি চালু করা হয়। স্মার্টফোনে পাওয়ার ইউনিট সাধারণত সিপিইউ বা প্রসেসর ইউনিটের সাথে যুক্ত থাকে, যা সরাসরি সিপিইউ হতে নিয়ন্ত্রণ করা হয়। একে মেইন পাওয়ার ইউনিট বলা হয়।
হ্যান্ডস ফ্রি বা ইয়ারফোন সেকশন হ্যান্ডস ফ্রি বা ইয়ারফোন সেকশনে হ্যান্ডস ফ্রি জ্যাক, হ্যান্ডস ফি এমআইসি, স্পিকার সিগন্যাল উপাদান এবং হ্যান্ডস ফি অডিও অমপ্লিফায়ার সংযুক্ত থাকে। হ্যান্ডস ফ্রি জ্যাক সংযোগের পরে হ্যান্ডস ফ্রি প্রতীক প্রদর্শিত হয়।
ক্যামেরা সেকশন ভিডিও রেকর্ড এবং ছবি ক্যাপচার এর জন্য স্মার্টফোনের বিভিন্ন মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা দেওয়া রয়েছে। একেক ব্যান্ডের মোবাইলে এক এক রকমের ক্যামেরা ইন্সটল করা রয়েছে, ক্যামেরার ইন্টারভিউসটি সরাসরি সিপিইউ ইউনিট থেকে নিয়ন্ত্রণ করা হয়। স্মার্টফোনের ব্যাক সাইডে সাধারণত ভিডিও রেকর্ডিংয়ের জন্য ওয়াইড বা আলট্রা ওয়াইড ক্যামেরা ব্যবহার করা হয়।
এফএম রেডিও সেকশন এফএম রেডিও ব্যবহারের জন্য মোবাইল ফোনে এফ এম রেডিও সংযুক্ত থাকে।, এফএম রেডিও ড্রাইভার আইসি, এফএম অ্যান্টেনা সিগন্যাল সরবরাহের উপাদান গুলো এফ এম রেডিও সেকশনে সংযুক্ত থাকে।
মেমোরি কার্ড সেকশন স্মার্টফোনে সিম কার্ড এবং মেমোরি কার্ড সকেট একসাথে সংযুক্ত থাকে। একটি সকেট একাধিক সিম কার্ড এবং একটি মাইক্রো এইচডি মেমোরি কার্ড ব্যবহার করার সুবিধা থাকে। মাইক্রো এসডি কার্ড ব্যবহারের জন্য একটি আট তিন এর মাধ্যমে মেমোরি কার্ড সেকশনের সাথে এটি সংযুক্ত থাকে। মেমোরি কার্ড সেকশনটি সিপিইউ এর ভিতরে তৈরি করা হয়।
ব্লটুথ সেকশন ব্লুটুথ এন্টেনা, ব্লটুথ আরএফ সিগনাল ফিল্টার, ব্লটুথ ড্রাইভার আইসি এবং সিগনাল সরবরাহ কম্পনেন্ট সমূহ ব্লটুথ সেকশনে সংযুক্ত থাকে। ব্লুটুথ সেকশন নেটওয়ার্ক সেকশন এর মতো কাজ করে। আর এস ক্লক সিগনাল প্রসেসিং এর সময় ব্লটুথ ড্রাইভার আইসিতে দেওয়া হয়।
ওয়াইফাই সেকশন ওয়াইফাই পোর্ট স্মার্টফোনে রেডিও ওয়েব ব্যবহার করে ওয়ারলেস ইন্টারনেটের সংযোগ স্থাপন করে। স্মার্টফোনের ওয়াইফাই মডিউলের মাধ্যমে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট কানেকশন এর ওয়াইফাই ব্যবহার করে ইন্টারনেট এক্সেস এবং ওয়েব ব্রাউজিং করা যায়। ওয়াইফাই এর হটস্পট সুবিধার মাধ্যমে ডাটা ব্যবহার করে আরো অন্য ফোনে ওয়াইফাই ব্যবহার করা যায়।
স্মার্ট মোবাইল ফোনের ত্রুটি নির্ণয় ও সমাধান
স্মার্টফোন আমাদের নিত্য প্রয়োজনীয় যোগাযোগ এর একমাত্র মাধ্যম। তাই এটা আমাদের যেমন রেগুলার ব্যবহার করা হয় ঠিক তেমনি এটা অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে এর কিছু ত্রুটি দেখা দিতে পারে আর এই ত্রুটিগুলো আমরা নিজেরাই পর্যালোচনা ও পর্যবেক্ষণ করতে পারি ।কেননা আমরা যেহেতু স্মার্টফোন ব্যবহার করি সে ক্ষেত্রে স্মার্টফোনের ত্রুটি গুলো আমাদের জেনে রাখা উচিত ।
আমরা যদি স্মার্টফোনের সঠিক ত্রুটি নির্ণয় করতে পারি তাহলে তার সঠিক সমাধানও বের করতে পারব ।স্মার্টফোনের অনেকগুলো ত্রুটির মধ্যে চার্জিং ত্রুটি, ডিসপ্লে ত্রুটি, মাইক্রোফোন, স্পিকার হ্যান্ডস ফ্রী ইত্যাদি ত্রুটি রয়েছে। আমাদের স্মার্টফোনের কি ত্রুটি রয়েছে সেটা আগে নির্ণয় করতে হবে এবং এর সমাধান ত্রুটি নির্ণয়ের পরে তৈরি করতে হবে।
উপসংহার
স্মার্ট ফোন মেরামত এবং সার্ভিসিং করার অনেকগুলো নিয়ম রয়েছে। স্মার্টফোন আমরা প্রথমত সার্ভিসিং সেন্টার থেকে সার্ভিসিং করিয়ে নিতে পারি, বা মেরামত করাতে পারি ।অথবা আমরা যদি নিজেরা ব্যক্তিগতভাবে সার্ভিসিং করার মত অভিজ্ঞতা থাকে তাহলে আমরা নিজেরাই তার সার্ভিসিং করাতে পারি ।তবে তার আগে আমাদের জানতে হবে স্মার্টফোনের ত্রুটি বিষয়ে, আমরা স্মার্টফোনের ত্রুটি নির্ণয়ের পরে তার সমাধান তৈরি করতে পারবো ত্রুটি নির্ণয় না করতে পারি তাহলে আমরা কখনোই স্মার্টফোন এর মেরামত বা সার্ভিসিং করাতে পারবো না।
No comments:
Post a Comment