পুইশাক এর উপকারিতা এবং চাষাবাদের নিয়মাবলি
পুইশাক একটি সবুজ সবজি, এটি যদিও আগে গ্রিস্মকালিন সবজি ছিলো তবে বর্তমানে কৃষি উন্নয়নের ফলে সারাবছরই পাওয়া পাওয়া।পুইশাকের বীজ রোপনের প্রায় একমাসের মধ্যেই এটা খাবার উপযোগী হয় ।
সূচিপত্র ঃপুইশাক এর উপকারিতা এবং চাষাবাদের নিয়মাবলি
ভূমিকা
পুইশাক শরিরে ভিটামিন এ এবং সি এর কাজ করে তবে যাদের এলার্জি আছে তাদের এই সবজি থেকে দুরে থাকাই ভালো তবে পুইশাক আমাদের সকলের প্রিয় একটা সবজি, পুইশাক সবজি হিসাবে যেমন খাওয়া যায় তেমনি পুইশাকের ফল আলাদা ভাবে খাওয়া যায় এবং এর উপকারি অপরিসিম। বর্তমানে নানা রকম কিটনাশক ও সার এর ব্যবহারের কারনে এর স্বাদ ও পুষ্টিগুন কমে যাচ্ছে।
নিম্নে পুইশাক রোপন ও বীজতলা তৈরী নিয়ম দেওয়া হলো
আরো পড়ুন:দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভূমিকা কি
১. প্রথমে পুইশাক রোপনের জন্য একটি সঠিক জমি নির্বাচন করতে হবে যেখানে আলো- বাতাস ও রোদের প্রভাব আছে
২. জমিটা ভালোভাবে চাষ করে হবে মাটি ঝুরঝরে করতে হবে
৩.তার পর জমি পরিমান মতো বীজ নিয়ে সারা জমিতে ছিটিয়ে দিতে হবে তার পর হালকা করে মই দিতে হবে তাহলে বীজটা মাটির কিছুটা নিছে পরে যাবে
৪. তারপর হালকা করে পানি ছিটিয়ে দিতে হবে বেশি পানি দেওয়া যাবে না এতে বীজের ক্ষি হবে
৫. মোটামুটি ৪-৭ দিন এর মধ্যে বীজ ফেটে চারা বের হবে এবং মাটির উপরিভাগে আসবে
৬. তার পর নিয়মিত যত্ন নিলে ধিরে ধিরে চারা থেকে গাছ বা ডগায় রুপান্ত হবে
৭. প্রায় একম মাসের মধ্যেই এই পুইশাক এর ডগা এবং পাতা খাওয়ার উপযোগী হবে
পুইশাক দুই নিয়মে চাষ করা যায়
২. জমিতে রোপন করে মাচার উপর চাষ করা
১. সরাসরি জমিতে রোপন করে
মাটি থেকে ৬" রেখে কেটে নিতে হয় তাহলে নতুন নতুন ডগা বের হবে
পুইশাক জমিতে এক মাস হওয়ার মধ্যেই খাওয়া উপযোগি হয় তার পর ডগা কেটে নিতে হয় খাওয়ার জন্য এবং ডগা কাটার কারনে আরো নতুন ডগা তৈরী হয় এবং পুইশাক এর ডগার বিস্তার ঘটে, সঠিক নিয়মে পরিচর্যা করলে দীর্ঘদিন এক গাছ থেকে পুইশাক খাওয়া যায়।
No comments:
Post a Comment