আনারস খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা কি
আনারস একটি কৃষক কালীন ফল তবে এটি গ্রীষ্মকালীন ফল হওয়া সত্ত্বেও এখন এটি সারা বছরই পাওয়া যায় সারা বছরে আনারস পাওয়া যায় কম বেশি তবে আনারসের নানা রকম ভিন্নতা রয়েছে গ্রীষ্মকালে যে আনারস গুলো পাওয়া যায় সে আনারস গুলো খেতে খুব সুস্বাদু এবং রসালো ও বড় হয়ে থাকে।
https://www.maitfirms.xyz/2023/08/blog-post_41.html
কেন না আনারস চাষের জন্য গ্রীষ্মকালটি মুখ্য সময়ে তাই ওই সময় তৈরি আনারস
সুস্বাদু এবং সুন্দর কাঠামোর হয়ে থাকে। এছাড়াও বারোমাসি আনারস পাওয়া যায়
কমবেশি আনারস খাওয়ার অনেক উপকার এবং অপকারিতা রয়েছে। আনারস কারো জন্য উপকার
আবার কারো জন্য ক্ষতির একটা দিক উল্লেখ করে। তবে আনারস খুব সুস্বাদু ফল হয় আমরা
প্রায় সবাই এটি খেতে আগ্রহী
পেজ সুচিপত্র:আনারস খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা কি
- ভূমিকা
- আনারস খাওয়ার উপকারিতা কি কি
- আনারস খাওয়ার অপকারিতা কি কি
- সকালে খালি পেটে আনারস খেলে কি হতে পারে
- আনারসের জুস খাওয়ার উপকারিতা ও তৈরি
- উপসংহার
ভূমিকা
আনারস পায় আমাদের সকলেরই কমবেশি পছন্দের একটি ফল। এই ফলটি দেশের অত্যন্ত কিছু অঞ্চলে চাষাবাদ হয়। এই ফলটির চাষাবাদের ক্ষেত্রে কিছু নিয়মাবলীও রয়েছে আনারস চাষে জমি তৈরির ক্ষেত্রে জমিতে আড়াআড়িভাবে কোদাল দিয়ে জমির মাটি ঠিক করে নিয়ে লাইন ভাবে লাগাতে হয় অথবা বর্গাকার বা স্কুইন্টাল আকারে এই আনারসের চাষ করা হয়ে থাকে। দেখা গেছে যে আনারস কলা গাছের মতনই একবার ফল দেওয়ার পরে সেই আনারস গাছটি মারা যায়। আনারস অতিরিক্ত রোধ প্রবাহ সহ্য করতে পারে না তাই আনারস চাষ সাধারণত লেবু বাগান কাঠবাদাম বা হালকা ছায়াযুক্ত কোন ফলের বাগানের মধ্যে আনারস চাষ করা হয়। আনারস যেহেতু দেশের প্রত্যেকটি অঞ্চলে উৎপাদন হয় না সে ক্ষেত্রে আনারসের চাহিদা ব্যাপক পরিমাণ রয়েছে কেননা এটা শুধুমাত্র অত্যন্ত কিছু অঞ্চলগুলোতেই আনারসের চাষ হয়ে থাকে এবং সেখান থেকেই বাংলাদেশের প্রায় সব অঞ্চলে এটা সরবরাহ করে থাকে।
আরো পড়ুন: কাঁচা পেঁপে খাওয়ার উপকারিতা, অপকারিতা
আনারস খাওয়ার উপকারিতা কি কি
আনারস শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে: আনারস ভিটামিন সি এর কাজ করে
প্রচুর পরিমাণ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। আনারসে এন্টিঅক্সাইড থাকায় এটি
বিভিন্ন রোগের প্রতিরোধক হিসেবে শরীরে কাজ করে।
সর্দি-কাশি হতে সুরক্ষা: সর্দি কাশি বা জ্বর এগুলো হলে আমরা সাধারণত আনারস
খেয়ে থাকি পালন করে। কেননা আনারসে থাকা অ্যান্টিঅক্সাইড সর্দি-কাশি বা জ্বরের
জীবাণু ধ্বংস করে। এবং আমরা আনারস খাওয়ার কারণে এই জীবাণুগুলো আমাদের শরীরের
ক্ষতি ক
রতে পারে না এবং আমরা সুস্থ হতে শুরু করি।
https://www.maitfirms.xyz/2023/08/blog-post_41.html
হজম শক্তি বৃদ্ধি করা: আমাদের সবারই কমবেশি হজমের সমস্যা রয়েছে। যদি
খাবার সঠিকভাবে হজম না হয় তাহলে আমাদের শরীরে নানা রকম সমস্যা দেখা দেয়। আমরা
নানা রকম অসুস্থতা সম্মুখীন হয়েই আর এই হজম শক্তি বৃদ্ধি করাতে আনারস ব্যাপক
ভূমিকা পালন করে আনারস খাওয়াতে শরীরের হজম শক্তি বৃদ্ধি হয় এবং খাবার হজম হতে
সাহায্য করে।
ত্বকে ব্রণ ও অন্যান্য দাগের কাজ করে: আনারস তর্কে ব্রণের বা অন্যান্য
দ্বার নিরাময়ের কাজ করে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি যা ত্বকের জন্য ভালো একটি
ওষুধ। আনারস শরীরে ও ত্বকে মুখে যে ব্রনের বা দাগ থাকে এগুলো ধীরে ধীরে ভালো
হয়ে যায়।
কৃমিনাশক:কৃমি আমাদের দেহের একটি জীবাণু যেটা মানুষের দেহে থাকবেই বা রয়েছে তবে এটা যদি অতিরিক্ত হারে বৃদ্ধি পায় তাহলে আমাদের নানা রকম সমস্যা হতে পারে আর আমরা কৃমির জন্য নানারকম কৃমিনাশক ওষুধ খেয়ে থাকি। আপনি জানলে অবাক হবেন যে আনারসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ কৃমিনাশক যা শরীরকে কৃমির হাত থেকে রক্ষা করে।
ওজন কমাতে সাহায্য কর: ওজন কমাতে কে না চায় দৈহিক ওজনের
ক্ষেত্রে মানুষ নানাবিধ সমস্যার সম্মুখীন হয় সমাজে মানুষ অতিরিক্ত ওজন হলে
সমালোচনার মুখে পড়তে হয়। এজন্য অনেকেই চায় তার শরীরের ওজন যাতে বৃদ্ধি না পায়
এবং সে সঠিক ও সুষম দেহের অধিকারী হয়। আনারস দেহের ওজন কমাতে সাহায্য করে।
চোখের জন্য উপকারী: চোখের দৃষ্টি বৃদ্ধিতে আনারসের ভূমিকা অপরিসীম।
আনারসী ভিটামিন সি এর উপস্থিতি থাকাতে চোখের দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি করে। এবং চোখ
পরিষ্কার রাখে চোখে ছানি পড়া থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
https://www.maitfirms.xyz/2023/08/blog-post_41.html
ক্যান্সারে আনারসের ভূমিকা: আনারসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ এন্টিঅক্সাইড যেটা। যেটা শরীরে ক্যান্সারের জীবাণু ধ্বংস করতে সাহায্য করে এবং ক্যান্সারের অনেকটা ঝুঁকি কমিয়ে আনে।নিয়মিত আনারস খাওয়াতে নতুন করে শরীরে ক্যান্সারের জীবাণু প্রবেশ করতে বাধা সৃষ্টি করে
আরো পড়ুন: মিষ্টি খাওয়ার উপকারিতা - সকালে খালি পেটে মিষ্টি খেলে কি হয়
আনারস খাওয়ার অপকারিতা কি কি
ওষুধের প্রতিক্রিয়া: আনারস আমাদের অনেক ওষুধের ই প্রতিক্রিয়া নষ্ট করে
দেয় আমরা দেহে সুস্থতার কারণে অনেক সময় অনেক ওষুধ খেয়ে থাকি ।তবে আনারস
খাওয়ার কারণে শরীরের অনেক ওষুধের প্রভাব নষ্ট হয়ে যায় এবং আমরা সুস্থ হতে দেরি
হয়।
রক্তের তরলতা: আনারস রক্ত গাঢ় হওয়া বা রক্ত জমা বাধার হওয়ার থেকে বাধা
সৃষ্টি করে রক্ত তরল হওয়ার জন্য যে ওষুধ আমরা খেয়ে থাকি সে ওষুধ তৈরিতে আনারস
এর ভূমিকা রয়েছে বা আনারসের উৎপত্তি রয়েছে।
https://www.maitfirms.xyz/2023/08/blog-post_41.html
গ্যাসের উদ্ভাবক: সাধারণত খালি পেটে যদি আমরা আনারস খেয়ে থাকি তাহলে
গ্যাস হবার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
কাঁচা আনারসে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া: কাঁচা মানুষের এক পার্শ্ব
প্রতিক্রিয়া রয়েছে সাধারণত কাঁচা আনারস আমরা জুস বানিয়ে খেয়ে থাকি এটা মুখ বা
গলার ক্ষতির কারণ হতে পারে।
চিনি বা সুগারের উপস্থিতি: আনারসে প্রচুর পরিমাণে সুগার বা চিনির উপস্থিত
থাকায় আনারস ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য একটি মরণ নাশক হতে পারে। ডায়াবেটিস
রোগীদের জন্য আনারস না খাওয়াই ভালো
বাত ব্যথার ঝুঁকি: প্রায় সকলেরই বাত ব্যথার একটা প্রবণতা রয়েছে। সবার না
থাকলেও অনেকাংশ মানুষেরই বাতব্যথা রয়েছে যেটা শরীরে সহ্য করা অনেক কঠিন হয়ে
দাঁড়ায় অনেক সময় বাত ব্যথা কারণে আমরা নানারকম ওষুধ খেয়ে থাকি বা হাত-পা
বেঁধে রাখি আনারস শরীরে বাত ব্যথা ঝুঁকি বাড়ায় যাদের বাত
ব্যথা রয়েছে তাদের জন্য আনারস ক্ষতির কারণ হতে পারে।
গর্ভবতীর জন্য ঝুঁকি: গর্ব অবস্থায় আমরা দেখেছি অনেকেই আনারস খেতে
নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে বা ডাক্তারি পরামর্শ ডাক্তার বারণ করেছে গর্ভ অবস্থায়
আনারস খাওয়ার জন্য। গর্ভবতী নারীর জন্য আনারস একটি ঝকির কারণ হতে পারে পরবর্তীতে
আনারস খেতে পারে কিন্তু এটি ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে খাওয়া সবচেয়ে ভালো।
দাঁতের জন্য ক্ষতি: দাঁতের জন্য আনারস কিছুটা ক্ষতির কারণ। কেননা আমরা যখন আনারস চিবিয়ে খাই আনারসে থাকা এন্টিঅক্সাইড রাতের গোড়া দুর্বল করে দেয়।
সকালে খালি পেটে আনারস খেলে কি হতে পারে
খালি পেটে আনারস খাওয়া সঠিক নয়। আনারসে থাকা অ্যান্টিঅক্সাইড পেটে গ্যাস তৈরিতে সাহায্য করতে পারে যদি আমরা খালি পেটে আনারস খাই। সকালে খালি পেটে আনারস খাওয়া থেকে বিরত থাকাই উচিত, যদিও আনারস একটি সুস্বাদু ফল তবে এটা নিয়ম মেনে খাওয়া উচিত সকালে খালি পেটে আনারস খেলে পেটে গ্যাসের আবির্ভাব ঘটতে পারে। এদিকে আবার সকালে খালি পেটে আনারস খাওয়ার একটি উপকার রয়েছে তা হলো যাদের কৃমি রয়েছে তারা যদি সকালে খালি পেটে আনারস খায় তাহলে কৃমিনাশক হিসেবে ব্যাপক পরিমাণ কাজ করে থাকে। আনারসে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এনজাইম ব্রমেলেইন এবং ভিটামিন সি দুটোই রোগ নিরাময়ে সাহায্য করে তবে যদি অন্যান্য রোগ থাকে তবে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে আনারস খাওয়া উচিত।
আরো পড়ুন: পুইশাক এর উপকারিতা এবং চাষাবাদের নিয়মাবলি
আনারসের জুস খাওয়ার উপকারিতা ও তৈরি
ভিটামিন এ,সি বা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যার শরীরের জন্য বিশেষ কাজ করে থাকি। সর্দি কাশি জ্বর বা অন্যান্য ঠান্ডা জনিত কারণে আনারস কাজ করতে পারে। যাদের শরীরে ওজন বৃদ্ধি পাচ্ছে বা ওজন কমানোর চেষ্টা করছেন তাদের জন্য আনারসের জুস হতে পারে একটি মাধ্যম নিয়মিত আনারসের জুস খেলে ওজন কমাতে সাহায্য করবে এবং ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবে। এই গরমে আরামের জন্য আনারসের জুস একটু স্বস্তি দিতে পারে।
https://www.maitfirms.xyz/2023/08/blog-post_41.html
এবং শরীরে থাকা ক্লান্তি দূর করতে পারে আনারসের জুস তৈরি করার কিছু নিয়ম,
আনারসের জুস তৈরি করার জন্য প্রথমে আনারস এর দায়িত্ব অংশ তুলতে হবে তারপরে এগুলো
পরিমান মত কেটে নিতে হবে। ছোট ছোট টুকরো করে বিলিন্ডারে দিতে হবে এবং সঙ্গে কিছু
সংখ্যক পানি ব্যবহার করা যেতে পারে এক্ষেত্রে সঙ্গে লবণ এবং টেস্টি সল্ট অথবা বিট
লবণ ব্যবহার করা যেতে পারে সুস্বাদু বৃদ্ধি পাবে।
উপসংহার
আনারস একটি গ্রীষ্মকালীন ফল কিন্তু বর্তমান আমরা প্রায় সারা বছর এটা পেয়ে থাকি এটা দেশের নির্দিষ্ট কিছু অঞ্চলে উৎপাদন করা হয় বা চাষাবাদ করা হয়। আনারস চাষাবাদের ক্ষেত্রে কিছু নিয়মকানুন রয়েছে বা ভৌগোলিক অবস্থানের ব্যাপার রয়েছে সব জমিতে আনারস চাষ করা সম্ভব নয় বা সব অবস্থানে আনারস চাষ করা যায় না।
আনারস
চাষের জন্য নির্দিষ্ট জমি বাছাই করতে হবে এবং সেটি হালকা ছায়াযুক্ত হলে ভালো হয়
কেননা আনারস অতিরিক্ত ও রোদ প্রবাহ সহ্য করতে পারে না। উপরোক্ত বিষয় গুলো
থেকে আমরা আনারসের চাষাবাদ, উপকারিতা, অপকারিতা খাওয়ার নিয়ম ইত্যাদি
জেনেছি।
No comments:
Post a Comment