কিভাবে কম্পিউটার ও কম্পিউটার ব্যবহারকারী নিরাপত্তা দেওয়া যায় - M.A IT FIRM

কিভাবে কম্পিউটার ও কম্পিউটার ব্যবহারকারী নিরাপত্তা দেওয়া যায়

 

 কিভাবে কম্পিউটার ও কম্পিউটার ব্যবহারকারী নিরাপত্তা দেওয়া যায়

কম্পিউটার এবং কম্পিউটার ব্যবহারকারীর নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য অনেকগুলো মাধ্যম রয়েছে। কম্পিউটারের নিরাপত্তা বলতে আমরা বুঝি নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সংযোগ, অনাকাঙ্ক্ষিত সফটওয়্যার ইন্সটল করা, ভাইরাস এবং এন্টিভাইরাস নিয়ন্ত্রণ করা এবং কম্পিউটারের হার্ডওয়ার সিস্টেম এ সঠিক মাত্রায় সমস্ত প্রোগ্রামিং সেটআপ করা অন্যদিকে কম্পিউটার ব্যবহারকারী নিরাপত্তার জন্য আমরা নানারকম সফটওয়্যার ইনস্টল করে রাখতে পারি যেগুলো কম্পিউটার ব্যবহারকারীকে একপ্রকারের নিরাপত্তা দিবে। 

কিভাবে কম্পিউটার ও কম্পিউটার ব্যবহারকারী নিরাপত্তা দেওয়া যায়

যেমন গুরুত্বপূর্ণ কোন ফাইল বা ডকুমেন্ট যদি কম্পিউটারে থাকে সেগুলোকে প্রাইভেট করে রাখা বা পাসওয়ার্ড সেট আপ করে দেওয়া। এটা কম্পিউটার ব্যবহারকারীর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা

পেজ সূচিপত্র:কিভাবে কম্পিউটার ও কম্পিউটার ব্যবহারকারী নিরাপত্তা দেওয়া যায়


ভূমিকা

কম্পিউটার ব্যবহার করার পূর্বে অবশ্যই কম্পিউটারের নিরাপত্তার কথা নিশ্চিত করতে হবে। কেননা কম্পিউটার বর্তমান আমাদের জীবনের একটি অংশ হিসেবে দাঁড়িয়েছে। আমরা অধিকাংশ বিষয় গুলোই কম্পিউটারের সঙ্গে শেয়ার করে থাকি, এজন্য কম্পিউটার এবং কম্পিউটার ব্যবহারকারী দুজনকেই নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পরেই কম্পিউটার ব্যবহার করা উচিত কেননা কম্পিউটারে আমাদের প্রয়োজনীয় অনেক তথ্য ডাটাবে জ ডকুমেন্টারি ফাইল জমা রাখি এগুলো যদি আমাদের নিরাপত্তাহীনতার কারণে নষ্ট হয়ে যায় বা অন্য কারো কাছে পৌঁছে যায় তাহলে আমাদের নানাবিধ সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে।

আরো পড়ুন: তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির গুরুত্ব এবং উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব

কম্পিউটার রক্ষণাবেক্ষণের সফটওয়্যার এর গুরুত্ব

কম্পিউটার রক্ষণাবেক্ষণের সফটওয়্যার এর গুরুত্ব

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সম্পর্কে এতদিন তোমাদের অনেক কিছুই জানা হয়ে গেছে মূলত যারা কম্পিউটার ব্যবহার করা হয়। তোমরা নিশ্চয়ই বুঝে গেছো তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ক্ষেত্রে প্রসেসর ও সফটওয়্যার নির্ভর যন্ত্রই হল মূল যন্ত্র। নতুন একটি কম্পিউটার বা ডেক্সটপ ল্যাপটপ বা ট্যাবলেট যাই হোক না কেন দেখবে খুব ভালো বা দ্রুত গতিতে কাজ করছে। কিন্তু কিছুদিন ব্যবহার করার পরে দেখবে এটি ক্রমশ ও ধীরগতি হয়ে যাচ্ছে। অর্থাৎ পুরনো হলে যন্ত্রটি কেমন যেন স্থির হয়ে যায়। অনেক সময় একটি কমান্ড দিয়ে অনেকক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়। মাঝে মাঝে পরিস্থিতি কেমন দাঁড়ায় যে রাগান্বিত হয়ে আরেকটি নতুন কম্পিউটার কিনে ফেলতে ইচ্ছে করে। এমত অবস্থায় থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় হল কি এখানেই রয়েছে কম্পিউটার রক্ষণাবেক্ষণ এর গুরুত্ব।

 বেশিরভাগ মানুষেরই আইসিটি যন্ত্রপাতি বা অন্য কোন যন্ত্রপাতির রক্ষণাবেক্ষণ এর কাজটি করতে ভালো লাগেনা। কিন্তু তারপরও এ কাজটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তুমি যদি তোমার আইসিটি যন্ত্রপাতি বা কম্পিউটারটি সচল ও পূর্ণমাত্রায় কার্যক্রম  রাখতে চাও তবে অবশ্যই এটির কক্ষনাবেক্ষণ করতে হবে এ কাজের জন্য তোমার যন্ত্রপাতি বিশেষজ্ঞ হওয়ার প্রয়োজন নেই। আসলে আমরা এখানে আইসিটি যন্ত্রপাতির ক্ষেত্রে সফটওয়্যার ভিত্তিক রক্ষণাবেক্ষণের কথা বলছি। মাইক্রোসফট কোম্পানির উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করে বিশ্বের বেশিরভাগ কম্পিউটারে উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহৃত হয় তবে অপারেটিং করতে হবে।

 ইন্টারনেটে সংযুক্ত থাকলেই এই আপডেটগুলো সাধারণত স্বয়ংক্রিয়ভাবে হয়ে থাকে। অন্যান্য অপারেটিং সিস্টেম পায় একই ধরনের। অবশ্যই মাঝে মাঝে রেজিস্ট্রি ফ্রিনা সফটওয়্যার ব্যবহার করতে হবে কম্পিউটারকে সচল ও গতিশীল রেখার জন্য। যদি রেজিস্ট্রি ক্লিন আপ ব্যবহার না করো তোমার কম্পিউটার বা আইসিটি ঠিকঠাক কাজ করবে না এবং তোমার জন্য অনেক সময় বিরক্তির কারণ হবে। এছাড়া প্রত্যেক বার কম্পিউটার ব্যবহার করার সময় বেশ কিছু টেম্পোরারি ফাইল তৈরি হয়। অনেকদিন এই ফাইলগুলো নাম মুছে দিলে অনেকটা জায়গা দখল করে রাখে এবং কম্পিউটার গতিতে ভিড় করে দেয়। 

সেজন্য আমাদের উচিত সফটওয়্যার এর মাধ্যমে টেম্পোরারি ফাইলগুলো মুছে দেওয়া। এতে হার্ডডিক্সের বেশ খানিকটা জায়গা খালি হবে আবার কম্পিউটারের কাজ করার গতি ও বেড়ে যাবে অনেক। ইদানিং ইন্টারনেট ব্যবহার করা ছাড়া আইসিটি যন্ত্রের ব্যবহার কল্পনা করা যায় না। ইন্টারনেট ব্যবহার করলে ইন্টারনেট ব্রাউজার এর ক্যাশ মেমোরিতে অনেক কুকিজ ও টেম্পোরারি ফাইল জমা হয়। এতে আইসিটি যন্ত্রটি ক্রমান্বয়ে ধীর হয়ে যায়। প্রতিদিন সম্ভব না হলেও কিছুদিন পরপর ক্যাশ মেমোরি পরিষ্কার করা একান্ত প্রয়োজন। এই কাজটি করতে সফটওয়্যার তোমাকে সাহায্য করবে। এন্টিভাইরাস, সফটওয়্যার, ও এন্টি ম্যালওয়্যার ছাড়া বর্তমানে আইসিটি ডিভাইস ব্যবহার করা মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ।

 এ ধরনের সফটওয়্যার এর একটি গুরুত্বপূর্ণ রক্ষণাবেক্ষণ কার্যক্রম যার মাধ্যমে আইসিটি যন্ত্র ব্যবহার কারীগণ তাদের যন্ত্রে ভাইরাস সহ মেলোয়ার বাই স্পাইওয়্যার এর আক্রমণ থেকে রক্ষা পান। সবচেয়ে মজার ব্যাপার, এখন অনেক এন্টিভাইরাস এবং স্পাই বিনামূল্যে ইন্টারনেট থেকে ডাউনলোড করে ব্যবহার করা যায়। এমনকি এই সফটওয়্যার গুলো ইন্টারনেটের মাধ্যমে হালনাগাদ বা আপডেট করা যায়। হালনাগাদ এন্টিভাইরাস ছাড়া আইসিটি যন্ত্র ব্যবহার করা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ

সফটওয়্যার ইনস্টলেশন ও আনইনস্টলেশন 

সফটওয়্যার ইনস্টলেশন ও আনইনস্টলেশন


আমরা সবাই জানি আইসিটি যন্ত্র গুলো সফটওয়্যার এর মাধ্যমে পরিচালিত হয়। এই সফটওয়্যার গুলো কম্পিউটার বা অন্যান্য যন্ত্রে ইনস্টল করা হয়। আমরা যখন কোন আইসিটি যন্ত্র কিনি তখন বিক্রেতা সাধারণত আমাদের জিজ্ঞাসা করে আমাদের কোন কোন সফটওয়্যার প্রয়োজন। অতঃপর অপারেটিং সিস্টেম সফটওয়্যার সহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার গুলো বিশেষজ্ঞ দিয়ে ইন্সটল করে বিক্রেতা যন্ত্রটি আমাদের কাছে হস্তান্তর করে। 

এভাবে আমরা নিজেদের প্রয়োজনমতো আইসিটি যন্ত্র তথা কম্পিউটার, ট্যাবলেট, স্মার্টফোন ইত্যাদি ব্যবহার করতে পারে। অপারেটিং সিস্টেম সফটওয়্যার ইনস্টল করার প্রক্রিয়া একটু জটিল এবং এর জন্য কিছু বিশেষ দক্ষতার প্রয়োজন হয়। অপারেটিং সিস্টেম সফটওয়্যার ছাড়াও আইসিটি যন্ত্র ব্যবহার করতে আমাদের বিভিন্ন ধরনের সফটওয়্যার প্রয়োজন হয়। এই সফটওয়্যার গুলো ব্যবহারকারী যন্ত্রটি ব্যবহারের উদ্দেশ্যের ভিত্তিতে ইন্সটল করতে হয়।

 সফটওয়্যার ইন্সটল করার পূর্বে নিচের বিষয়গুলো লক্ষ্য রাখা প্রয়োজন

  1. যে সফটওয়্যার ইন্সটল করা হবে তা  ডিভাইসটির হার্ডওয়ার সাপোর্ট করে কিনা
  2. READ ME ফাইলটিতে কিছু কাজের কথা লেখা আছে কিনা দেখে নিতে হবে
  3. অন্য সকল কাজ বন্ধ রাখতে হবে বন্ধ না থাকলে অনেক সময় নতুন সফটওয়্যার ইন্সটল করতে সমস্যা হয়
  4. এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার বন্ধ আছে কিনা
  5. অপারেটিং সিস্টেম অ্যাডমিনিস্টার এর অনুমতি আছে কিনা বিশেষ কোন যন্ত্র ছাড়া প্রায় সব যন্ত্রের এ অনুমোদন দেওয়া থাকে বিষয়টি সম্পর্কে আমাদের ভালোভাবে জেনে নিতে হবে

অপারেটিং সিস্টেম সফটওয়্যার ছাড়াও অন্যান্য সফটওয়্যার ইন্সটল করার প্রক্রিয়া অনেকটা অপারেটিং সিস্টেমের ওপর নির্ভর করে। তবে এই প্রক্রিয়াটা অনেকটা একই ধরনের। কোন সফটওয়্যার ইনস্টল করতে হলে প্রথমে আমাদের সফটওয়্যার টি সফট বা ডিজিটাল কপি প্রয়োজন হবে। এই সফট কপি সিডি, ডিভিডি, পেনড্রাইভ বা ইন্টারনেট থেকে ডাউনলোড করা যেতে পারে। 

বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সফটওয়্যার গুলোর সাথে Auto run নামে একটি প্রোগ্রাম সংযুক্ত অবস্থায় থাকে। কম্পিউটারের সিডি, ডিভিডি বা পেনড্রাইভ প্রবেশ করালে Auto run প্রোগ্রামটি সচল হয়ে যায় এবং সফটওয়্যারটি setup করার অনুমতি চায়। অনুমতি প্রদান করার পর পরবর্তী ধাপগুলো অনুসরণ করলেই সফটওয়্যারটি যন্ত্রে ইন্সটল হয়ে যাবে। সাধারণত যন্ত্রটি রেস্টার্ট করলেই ইন্সটলকৃত প্রোগ্রামটি ব্যবহার করা শুরু করা যায়

আরো পড়ুন: কম্পিউটার ব্যবহারে আসক্তি ও মুক্ত থাকার উপায়

নিজের কম্পিউটারের নিরাপত্তা কম্পিউটার ভাইরাস ও এন্টিভাইরাস

নিজের কম্পিউটারের নিরাপত্তা কম্পিউটার ভাইরাস ও এন্টিভাইরাস


কম্পিউটার ভাইরাস বিষয়ে আমরা অনেকেই কিছুই ইতিমধ্যে জেনে ফেলেছি বা জানি। তবু আমাদের আইসিটি যন্ত্র নিরাপত্তার কথাটি মাথায় রেখে এই বিষয়ে আরো জানা প্রয়োজন। পানি দেহে ভাইরাস আক্রমণের মতোই এই ভাইরাসগুলো আমাদের আইসিটি যন্ত্রের ক্ষতি করে থাকে। 

VIRUS শব্দের পূর্ণরূপ হল Vital Information Resources Under Siege যার অর্থ দাঁড়ায় গুরুত্বপূর্ণ তথ্যসমূহ দখল নেওয়া বা ক্ষতিসাধন করা। ১৯৮০ সালে এ নামকরণ করেছেন প্রখ্যাত গবেষক ইউনিভার্সিটি অফ নিউ হবেন এর অধ্যাপক (ফ্রেন্ড কোহিন)। ভাইরাস হলো এক ধরনের সফটওয়্যার যা তথ্য ও উপাত্তকে আক্রমণ করে এবং ভাইরাস এর পরিধি বৃদ্ধি করার ক্ষমতা রয়েছে। ভাইরাস কম্পিউটারে প্রবেশ করলে সাধারণত সংখ্যা বৃদ্ধি হতে থাকে ও বিভিন্ন তথ্য উপাত্তকে আক্রমণ করে এবং একপর্যায়ে গোটা কম্পিউটার বা আইসিটি যন্ত্রটিকে সংক্রামিত করে অচল করে দেয়। যেমন বুট ভাইরাস ডিক্সের বুট সেক্টর কে আক্রমণ করে। 

অতি পরিচিত কিছু ভাইরাস হলো স্টোন, ভিয়েনা, সিআই এইচ,  ফোল্ডার ইত্যাদি। কোন ভাবে কম্পিউটার বা আইসিটি যন্ত্র ভাইরাসের সংক্রামিত হলে তা ক্রমে কমে বিস্তার ঘটে।সিডি, পেনড্রাইভ কিংবা অন্য যেকোন ভাবে ভাইরাস সংযুক্ত একটি file ভাইরাস মুক্ত কম্পিউটার বা কোন আইসিটি যন্ত্রে চালালে ফাইলটি সংক্রমিত ভাইরাস কম্পিউটার বা যন্ত্রটির মেমোরিতে অবস্থান নেই। কাজ শেষ করে ফাইল বন্ধ করলেও সংক্রমিত ভাইরাসটি মেমোরিতে রয়ে যায়। আক্রান্ত হয়ে পড়ে। একই অবস্থা ঘটে কোন ভাইরাস সংক্রামিত প্রোগ্রাম বা সফটওয়্যার চালালেও।

কম্পিউটার বা আইসিটি যন্ত্র ভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণসমূহ

  1. চালু করতে অনেক বেশি সময় লাগছে
  2. মেমোরি কম দেখাচ্ছে ফলে গতি কমে গেছে
  3. কম্পিউটার চালু অবস্থায় চলমান কাজের সাথে কোন সম্পর্ক নেই এমন মেসেজ স্ক্রিনে দেখাচ্ছে 
  4. নতুন প্রোগ্রাম ইন্সটলের ক্ষেত্রে বেশি সময় লাগছে
  5. চলমান কাজের ফাইলগুলো বেশি জায়গা দখল করছে
  6. যন্ত্র চালু করার সময় চালু হতে হতে বন্ধ  হয়ে যাচ্ছে কিংবা কাজ করতে করতে হঠাৎ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে
  7. ফোল্ডারে বিদ্যমান ফাইল গুলোর নাম পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে বা ইত্যাদি

আরো পড়ুন: ইন্টারনেট ব্যবহারে শিক্ষার মান উন্নয়ন ও আইসিটির ভূমিকা কি

ভাইরাস সাধারণত যা যা ক্ষতি করে ওতার প্রতিকার

ভাইরাস সাধারণত যা যা ক্ষতি করে ওতার প্রতিকার

  1. কম্পিউটারে সংরক্ষিত কোন ফাইল মুছে দিতে পারে
  2. যেটা বিকৃত বা Corrupt করে দিতে পারে
  3. কম্পিউটারে কাজ করার সময় অনাকাঙ্ক্ষিত মেসেজ দেখা যেতে পারে  
  4. কম্পিউটার মনিটরের ডিসপ্লে কে বিকৃত বা Corrupt করে দিতে পারে
  5. সিস্টেমের কাজকে গতি কমিয়ে দিতে পারে  ইত্যাদি

এ অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে আমরা কি করতে পারি এখানে এন্টিভাইরাসের কথা এসে যায়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এন্টিভাইরাস আমাদেরকে এ অবস্থা থেকে মুক্তি দিতে পারে। কম্পিউটার বা আইসিটি যন্ত্রের ভাইরাসের প্রতিশোধক হলো এন্টিভাইরাস। সিস্টেম ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হলে এটি নির্মূল করতে হয়। ভাইরাস সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে এন্টিভাইরাস ইউটিলিট ব্যবহার করা হয়।

 এই ইউটিলিপ গুলো প্রথমে আক্রান্ত কম্পিউটারে ভাইরাসের চিহ্নের সাথে পরিচিত ভাইরাসের চিহ্ন গুলো মিলকরণ করে। এন্টিভাইরাস সফটওয়্যারটি তার পূর্ব জ্ঞান ব্যবহার করে সংক্রমিত অবস্থান থেকে আসল প্রোগ্রামকে ঠিক করে। একটি ভালো অ্যান্টিভাইরাস সাধারণত প্রায় সব ধরনের ভাইরাস নির্মূল করতে পারে। নতুন ভাইরাস আবিষ্কৃত হওয়ার সাথে সাথে এন্টিভাইরাস আপডেট করলে এর শক্তি ও কার্যক্ষমতা প্রতিনিয়ত উন্নত হয়। 

ফলে নতুন নতুন ভাইরাল ধ্বংস করতে পারে, বর্তমানে অনেক এন্টিভাইরাস রয়েছে যেগুলো ভাইরাস চিহ্নিত করে নির্মূল করে এবং প্রতিহত করে। আজকাল পায়ে প্রত্যেক অপারেটিং সিস্টেম সফটওয়্যার এর সাথে সংযুক্ত অবস্থায় অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার দেওয়া থাকে। এছাড়াও এখনকার এন্টিভাইরাস গুলো ভাইরাস আক্রমণ করার পূর্বে তা ধ্বংস করে অথবা ব্যবহারকারীকে সতর্ক করে। ফলে এগুলো পূর্বের এন্টিভাইরাসের তুলনায় অনেক বেশি কার্যকর। এখানে একটি কথা অবশ্যই আমাদের মনে রাখতে হবে যে এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার সব সময় হালনাগাদ বা আপডেট রাখতে হবে।

ব্যক্তিগত নিরাপত্তার জন্য পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা

ব্যক্তিগত নিরাপত্তার জন্য পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা


পরিবারের সবাই বাড়ির বাইরে বেড়াতে গেলে সাধারন তো আমরা বাড়ির দরজা তালা লাগিয়ে যাই। কেন বাড়ির নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য তাই না। এখন একটু চিন্তা করুন তারা জিনিসটা আসলে কি, যে কেউ যেকোনো চাবি দিয়ে তোমার বাড়ির তারা টি খুলতে পারবে না। কারণ পৃথিবীর প্রত্যেকটি তালার জন্য ভিন্ন ভিন্ন চাবি রয়েছে একতলার চাবি দিয়ে অন্য একটি তালা খোলা যায় না। নিরাপত্তা নিশ্চিত করি। এখন অবশ্যই নম্বর দেওয়া এক ধরনের তালা দেখা যায়। কিন্তু ডিজিটাল প্রযুক্তির এই যুগে আরো অনেক কিছু নিরাপত্তা নিয়ে আমাদের চিন্তা করতে হয়।

 আমরা আমাদের তথ্য ও উপাত্তে নিরাপত্তার কথা বলছি। আইসিটির এই যুগে আমাদের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ,উপাত্ত ও সফটওয়্যার নিরাপত্তা এক ধরনের তালা দিতে হয়। এই তালার নাম পাসওয়ার্ড। আমরা অনেকেই নিশ্চয়ই ইতিমধ্যে পাসওয়ার্ড তৈরি ও ব্যবহার করে ফেলেছি। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার এখন সবখানে আমাদের দেশেও এ ব্যতিক্রম নয়। এর পোশাক যত বাড়ছে তার নিরাপত্তার কথাটি তত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। 

আমাদের ব্যক্তিগত সকল তথ্য যেমন ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, আয় করার হিসাব, চাকরির বিভিন্ন তথ্য ইত্যাদি ছাড়াও নানা তথ্য উপাত্ত এখন ডিজিটাল ব্যবস্থার আওতায় আসছে। এছাড়াও আমাদের আইসিটি ডিভাইস যেমন কম্পিউটার, ল্যাপটপ,ট্যাবলেট কিংবা মোবাইল ফোন গুলো সফটওয়্যার ইনস্টল করা থাকে। আমরা যখন ইন্টারনেট ব্যবহার করি তখন পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তের কম্পিউটার বা আইসিটি ডিভাইস সাথে যোগাযোগ করতে পারি। তেমনি অন্য  কেউ আমাদের ডিভাইস সাথে তথ্য আদান প্রদান করতে পারে। এর মাধ্যমে আমাদের ব্যক্তিগত গোপনীয় তথ্য অন্যের কাছে চলে যেতে পারে কিংবা কেউ আমাদের ডিভাইসের সফটওয়্যার নষ্ট করে দিতে পারে পারে। এ অবস্থা থেকে রক্ষা পেতে আমাদের নিরাপত্তা প্রয়োজন। 

আরো পড়ুন: ব্যবসা প্রতিষ্ঠান শুরু ঝুঁকি ও অনিশ্চয়তা কি

এসব তথ্য ও আমাদের যন্ত্রের সফটওয়্যার সমূহ রক্ষা করতে পাসওয়ার্ড এর কোন বিকল্প নেই। পাসওয়ার্ড দেওয়া থাকলেও যে কেউ ইচ্ছে করলে আমাদের তথ্য নিতে পারবে না বা ক্ষতি করতে পারবেনা। তবে এখানে একটি কথা অবশ্যই জেনে রাখতে  হবে দিয়েছি তা ধরে ফেলতে পারে তাহলে সে আমাদের সকল তথ্য নিতে পারবে। তথ্য নষ্ট করতে চাইলে নষ্ট করতে পারবে, অনেকটা ডুবলিকেট চাবি বানিয়ে তালা খোলার মত। তাই পাসওয়ার্ড টি একটু চিন্তা ভাবনা করে তৈরি করতে হবে। অন্য কেউ অন্য কেউ সহজে বুঝতে পারে বা ধারণা করতে পারে এমন পাসওয়ার্ড দেওয়া যাবে না আবার নিজেই ভুলে যেতে পারি এমন পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা যাবে না। তাই আমাদের পাসওয়ার্ড তৈরির পূর্বে ব্যক্তিগত নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে পাসওয়ার্ড তৈরি করতে হবে

উপসংহার

কম্পিউটার আমাদের দৈনন্দিন জীবনের একটি অংশ হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে আমরা যে কোন কাজ কম্পিউটারের মাধ্যমে করে থাকি যেগুলো কম্পিউটার বা তথ্যপ্রযুক্তির আওতাধীন হয়ে থাকে। অফিসিয়ালি অনেক কাজ যেগুলো কম্পিউটার ছাড়া করা যায় না। বা ব্যক্তিগত অনেক কাজ থাকে যেগুলো আমরা কম্পিউটার মাধ্যমে করে থাকি এজন্য কম্পিউটার ব্যবহার করার পূর্বে কম্পিউটারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা বাঞ্ছনীয়। কম্পিউটার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি কম্পিউটারের সফটওয়্যার ইনস্টলেশন ভাইরাস এবং এন্টিভাইরাস স্বয়ংক্রিয় পর্যায়ে কাজ করছে কিনা এগুলো খেয়াল রাখা দরকার আছে।

 ব্যক্তিগত কম্পিউটারের থেকে প্রফেশনাল কম্পিউটারে নিরাপত্তা আরো বেশি জোরদার করতে হয় কেননা, ব্যক্তিগত কম্পিউটারে তেমন কিছু থাকে না সামান্য কিছু ফাইল ভিডিও বা কিছু ডাটাবেজ থাকে কিন্তু, প্রফেশনাল বা অফিসিয়াল কম্পিউটার গুলোতে অনেক প্রয়োজনীয় তথ্য থাকে যেগুলো বেহাত হলে বা অন্য কারো কাছে পৌঁছালে সেটা কোম্পানির জন্য ক্ষতিকর দিক রয়েছে সেজন্য আমরা কম্পিউটারে নানা রকম পাসওয়ার্ড ব্যবহার করতে পারি যেগুলো আমাদের কম্পিউটারকে আলাদা একটা নিরাপত্তা দিবে।

No comments:

Post a Comment