তামাক ও মাদকাসক্তি এর ক্ষতিকর ও নিয়ন্ত্রণ - M.A IT FIRM

তামাক ও মাদকাসক্তি এর ক্ষতিকর ও নিয়ন্ত্রণ

 তামাক ও মাদকাসক্তি এর ক্ষতিকর ও নিয়ন্ত্রণ

তামাক এবং মাদকাসক্ত আমাদের দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্নভাবে ক্ষতি করে আসছে। শারীরিক এবং মানসিক ও সামাজিকভাবে আমাদের বিভিন্ন রকম ক্ষতির কারণ হচ্ছে মাদকাসক্ত। একজন মাদকাসক্ত ব্যক্তিকে সমাজ কখনোই ভালো চোখে দেখে না। এবং পরিবারেও তার ব্যাপক প্রভাব পড়ে। পরিবারের লোকজন সমাজের কাছে ছোট হতে থাকে। 

তামাক ও মাদকাসক্তি এর ক্ষতিকর ও নিয়ন্ত্রণ


মাদকাসক্ত ব্যক্তির জন্য পরিবারে বিভিন্ন রকম সমস্যা সৃষ্টি হয়, অভাব অনটন ঝগড়া বিবাদ সবসময় লেগেই থাকে। এছাড়াও মাদকাসক্ত ব্যক্তি তার নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। একজন মাদকাসক্ত ব্যক্তি তার পরিবারের বিভিন্ন রকম সমস্যা সৃষ্টি করে যেমন-অর্থনৈতিক সমস্যা, পারিবারিক সমস্যা, সামাজিক সমস্যা ইত্যাদি সমস্যার সৃষ্টি করে থাকে। এ কারণে আমাদের মাদকাসক্ত হতে দূরে থাকতে হবে এবং এর ক্ষতিকর দিক এবং নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা বিষয়ে জানতে হবে।

পোস্ট সূচিপত্র: তামাক ও মাদকাসক্তি এর ক্ষতিকর ও নিয়ন্ত্রণ

ভূমিকা

তামাক গাছের পাতা ডাল শুকিয়ে তামাক তৈরি হয়। শুকনো তামাক পাতা কুচি কুচি করে কেটে তাকে বিশেষ কাগজে মুড়িয়ে সিগারেট এবং পাতায় মরিয়া চুরুট বানানো হয়। এগুলোকে পুড়িয়ে ধোঁয়া ও বাষ্প সেবনকে ধূমপান বলে। আমার থেকে নিকোটিন নামক পদার্থ বের হয়, যা মাদকদ্রব্য হিসেবে নাতকে যেমন সাময়িকভাবে উত্তেজিত করে, তেমনি নানাভাবে শরীরের ক্ষতি করে। ধুমপান করলে নিকোটিন ছাড়াও আরো কিছু বিষাক্ত পদার্থ শরীরে প্রবেশ করে। ধূমপানের ধোঁয়ায় উল্লেখযোগ্য বিষাক্ত গ্যাস ও রাসায়নিক পদার্থ এবং মাদকদ্রব্যের সংমিশ্রণ থাকে। এই ক্ষুধার্তগুলো রক্তের হিমোগ্লোবিন এর অক্সিজেন বহন ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। এছাড়া কতগুলো আঠালো পদার্থ ও হাইড্র কার্বন প্রগতি এতে থাকে, যা ফুসফুসে নানা ধরনের ব্যাধি এমনকি ক্যান্সার সৃষ্টি করে।

আরো পড়ুন: ঘুমের ওষুধ খাওয়ার উপকারিতা এবং অপকারিতা কি

ধূমপানের ক্ষতিকর দিক কি

ধূমপান এবং মাদকাসক্তির বিভিন্ন ক্ষতিকর দিক রয়েছে। ধূমপানকারী নানা রকম আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এবং তাদের দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় যে কারণে তারা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ধূমপানকারীর যে সকল ক্ষতিকর দিকগুলো রয়েছে তা নিম্নরূপ-

  1. ধূমপায়ীরা অন্যদের থেকে বেশি রোগাক্রান্ত হয়।
  2. ধূমপাইরা কোন না কোন রোগে ভোগে যেমন: ফুসফুস ক্যান্সার, ঠোঁট, মুখ, ল্যারিক্স, গলা ও মূত্রথলির ক্যান্সার, পাকস্থলীতে ক্ষত এবং হৃদযন্ত্র ও রক্ত ঘটিত রোগ। ফুসফুসে ক্যান্সার দেখা দিলে রোগী প্রায় পাঁচ বছরের মধ্যে মৃত্যুবরণ করে।
  3. সমীক্ষায় দেখা গেছে, যারা বেশি ধূমপান করে তাদের আয়ু কমে যায়।
  4. যেসব লোক ধূমপান করে না অথচ ধূমপাইদের কাছাকাছি থাকে ধূমপাইয়ের নির্গত ধোঁয়া গ্রহণ করে, তাদের শারীরিক ক্ষতি হয়।

ধূমপান ও তামাকজাত পদার্থের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে প্রচেষ্টা সমূহ

ধূমপান এবং তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার এবং নিয়ন্ত্রণের বিভিন্ন রকম প্রচেষ্টা করা যেতে পারে। আমরা বিভিন্ন ধরনের মাধ্যমে ধুম্পায়ু এবং ধূমপান বিষয়ে মানুষকে সচেতন করতে পারে এবং এই প্রচেষ্টার মাধ্যমে ধূমপান হতে বিরত রাখার চেষ্টা করতে পারি। নিম্নে কিছু ধূমপান নিয়ন্ত্রণের প্রচেষ্টা আলোচনা করা হলো-

তামাক ও মাদকাসক্তি এর ক্ষতিকর ও নিয়ন্ত্রণ


বাস, রেল, খোলার স্থানে, রেস্তোরাঁয়, অফিস, হাসপাতাল, রেল স্টেশন, প্রগতি এলাকায় ধূমপান নিষিদ্ধ করা হয়েছে। যেখানে সেখানে আমাদের দেশে এর জন্য সুনি নির্দিষ্ট আইন আছে। কিন্তু দুঃখের বিষয়, এই আইন সঠিক প্রয়োগ না থাকার কারণে মানুষ এখনো যেখানে সেখানে ধূমপান করে আশেপাশের বায়ুকে দূষিত করে যাচ্ছে। তার একটি বড় কারণ রয়েছে তা হলো যেহেতু খোলা বাজারে তামাক জাত দব্য বিক্রি করা হয় সেক্ষেত্রে খোলা বাজারে কেন সেটা খাওয়া যাবেনা। কেননা একটি মাদকাসক্ত ব্যক্তি বা মাদক জাত দব্য হতে সরকার ৬০ শতাংশ ভ্যাট আদায় করছেন সেই ক্ষেত্রে একজন মাদকাসক্ত ব্যক্তি বা ধুমপানকারী বলতে পারে যে যেহেতু এই সিগারেটটি আমি টাকা দিয়ে কিনেছি এবং এর ৬০% ভ্যাট সরকারকে দিয়েছি সেহেতু এটি আমি প্রকাশ্যেই খেতে পারি। 

সর্বোপরি তামাকজাত দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ করতে হলে প্রথমত তামাকজাদ দব্য হতে যে পরিমাণ ভ্যাট আদায় করা হয় তা বন্ধ করে তাকে নিষিদ্ধ করে দিতে হবে তাহলে অনেকটা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে। এবং প্রচলিত যে আইন রয়েছে তাকে কঠোরভাবে প্রয়োগ করা সম্ভব হবে। বিক্রয় যোগ্য তামাক জাত পদার্থের মোড়কে ধূমপান বিষপান বা ধূমপান শরীরের জন্য ক্ষতিকর কথাগুলো ছাপানো বাধ্যতামূলক করা হয়েছে, কারণ আপনি জেনে শুনে ধূমপান করছেন আপনি জানেন ধূমপান করা বিষপান তবুও ধূমপান করছেন আবার আপনি আপনার ধূমপানের৬০ শতাংশ ভ্যাট সরকারকে দিচ্ছেন। তাহলে কিভাবে ধূমপান বা তামাক যার পদার্থ ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে বা এর উপরে তৈরি কিন্তু আইন প্রয়োগ করা সম্ভব হবে। এ কারণে আমাদের আগে ধূমপানকে সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ করতে হবে। তারপরে ধূমপানের উপরে লিখিত আইন আমরা সহজেই প্রয়োগ করতে পারবো এবং ধূমপান বা তামাক পদার্থ ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে পারবো।

ড্রাগ আসক্তি বলতে কি বুঝায়

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা(WHO) ড্রাগের একটি সংজ্ঞা দিয়েছেন। এই সংখ্যায় বলা হয়েছে, ড্রাগ এমন কিছু পদার্থ, যা জীবিত প্রাণী গ্রহণ করলে তার এক বা একাধিক স্বাভাবিক আচরণের পরিবর্তন ঘটে। ড্রাগ কে সাধারণত আমরা মাদক বলি। ক্রমাগত মাদকদ্রব্য সেবনের কারণে যখন এমন অবস্থা সৃষ্টি হয় যে মাদকদ্রব্যের সাথে মানুষের এক ধরনের দৈহিক ও মানসিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে এবং নিয়মিতভাবে মাদক গ্রহণ না করলে শারীরিক এবং মানসিক সমস্যায় পড়ে, তখন তাকে বলে মাদকাসক্ত বা ড্রাগ নির্ভরতা। উল্লেখযোগ্য ড্রাগ যেগুলোর ওপর মানুষের আসক্তি সৃষ্টি হয়, সেগুলো হচ্ছে বিড়ি, সিগারেট, আফিম ও আফিম জাত পদার্থ, হেরোইন, মদ,পেথিড্রিন, বারবিচুরেট, কোকেন, ভাং, মারিজুয়ানা, এলএসডি, ইত্যাদি। এগুলোর মধ্যে হিরোইন সবচাইতে বেশি মারাত্মক ড্রাগ। ড্রাগ এর উপর কোন ব্যক্তির আসক্তি নানাভাবে জাগতে পারে যেমন-কৌতুহল, সঙ্গ দোষ, হতাশা দূর করা প্রচেষ্টা, মানসিক যন্ত্রণা ভুলে থাকার পদ্ধতি, নিজেকে বেশি কার্যক্ষম করা, পারিবারিক অশান্তি থেকে মুক্তির আকাঙ্ক্ষা কিংবা পারিবারিক অভ্যাসগত। আসক্ত থাকলে তার থেকে সন্তানের ওই মাদকে আসক্ত হওয়ার সবচাইতে বেশি আশঙ্কা থেকে যায়।

আরো পড়ুন: ধূমপান ও মাদকদ্রব্য সেবন থেকে বিরত থাকার উপায় ও ঝুঁকি মোকাবেলা

মাদকাসক্তি ব্যক্তির লক্ষণ গুলো কি

যে ব্যক্তি মাদকদ্রব্যে আসক্ত, তার মধ্যে কতগুলো লক্ষণ প্রকাশ পায় অনেকগুলো লক্ষণ সাধারণত স্বাভাবিক মানুষের মধ্যে দেখা যায় না। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু লক্ষণ নিম্নরূপ-

  1. খাওয়ার প্রতি আকর্ষণ কমে যাওয়া
  2. সব সময় অগোছালোভাবে থাকা
  3. দৃষ্টিতে অস্বচ্ছতা এবং চোখ লাল হওয়া
  4. কোন কিছুতে আগ্রহ না থাকা এবং ঘুম না হওয়া
  5. কর্ম বিমুখতা ও হতাশা
  6. অত্যাধিক ঘাম নিঃসরণ
  7. সব সময় নিজেকে সবার থেকে দূরে রাখা
  8. আলোস্য ও উদ্বিগ্ন ভাব
  9. মন সংযোগ না থাকা, পয়সা চুরি করা এমনকি মাদকের টাকার জন্য বাড়ির জিনিসপত্র শরীরে গোপনে বিক্রি করা ইত্যাদি।

মাদকাসক্তি ব্যক্তির লক্ষণ গুলো কি


ব্যক্তিগত ইচ্ছা বা অনিচ্ছা ছাড়াও কিছু সামাজিক তথা পরিবেশ কারণে মাদকদ্রব্যের প্রতি মানুষের আকর্ষণ জন্মাতে পারে, যেখান থেকে সে ধীরে ধীরে মাদকাসক্ত হয়ে পড়ে

ড্রাগ আসক্তি এবং নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়া

কোন ব্যক্তি ড্রাগের উপর আসক্ত হলে তা বন্ধ করা বেশ কঠিন কাজ। কারণ রাত আসক্ত মানুষ নিজের শরীরের মাদকের কুপ্রভাব বুঝতে পেরেও সেটা ছাড়তে পারে না। সঠিক চিকিৎসা ব্যবস্থা মাদকদ্রব্যে আসক্তি কমানো যায়। তবে সে ক্ষেত্রে মাদকাসক্ত ব্যক্তি যদি সহযোগিতা না করে তাহলে তেমন ব্যবস্থা  নেওয়া যায় না। মাদক নিরাময় হাসপাতাল অথবা কেন্দ্রে মাদকাসক্ত মানুষকে ভর্তি করতে হবে এবং যথেষ্ট সহানুভূতির সাথে তার চিকিৎসা করতে হবে। প্রথমে আসক্ত ব্যক্তিকে তার ড্রাগ নেওয়া বন্ধুদের কাছ থেকে আলাদা করতে হয়। লক্ষ্য রাখতে হয় কোনোভাবেই যেন তার কাছে মাদকদ্রব্য পৌছাতে না পারে।

 এরপর তার মানসিক চিকিৎসা করা প্রয়োজন হয়, যেন সে ড্রাগের কথা মনে আনতে না পারে, তার জন্য তাকে বিশেষ কোনো কাজ যুক্ত করতে হয়। সে যে মাদকদ্রব্যের আসক্ত হয়, সেটি একেবারে হঠাৎ করে বন্ধ না করে ধীরে ধীরে মাত্রা কমিয়ে কমিয়ে শেষে একেবারে বন্ধ করতে হয়। হঠাৎ করে বন্ধ করা শারীরিকভাবে বিপদজনক হতে পারে। ঘুম ঠিক মতন না হলে বা বেশি অস্থিরতা বা বিদ্রোহী ভাব দেখা দিলে স্নায়ু শীতলকারক এবং ঘুমের ওষুধ দিয়ে চিকিৎসা করে থাকেন। মাদক সেবন শুধু যে ড্রাগ আসক্ত মানুষটির ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য সমস্যা তা নয়। মাদক সেবন যে কোন পরিবারের বড় রকমের সমস্যা ও বিশৃঙ্খলা বয়ে আনে। এই সমস্যা সামগ্রিকভাবে সমাজ ও দেশের উন্নতির পরিপন্থী।

ড্রাগ আসক্তি এবং নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়া


 মাদকদ্রব্যের ব্যবসা করে সমাজের কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ধনী হয়, কিন্তু অন্যদিকে অনেক অনেক মানুষের এবং সমাজ জীবনে ভয়াবহ দুর্যোগ এর কালো ছায়া নিয়ে আসে। ছাত্র-ছাত্রীদের পড়ালেখা নষ্ট হওয়া থেকে শুরু করে সামাজিক অপরাধ বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। শুধু তাই নয় মাদকাসক্তির কারণে অকাল মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে। এজন্য মাদকদ্রব্য সেবন ও এর ব্যবসা বাণিজ্য কঠিন ভাবে নিয়ন্ত্রণ রাখতে হয়। এর জন্য ব্যক্তিগত এবং সমাজ সেবামূলক সংস্থাগুলোর পাশাপাশি দেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা এবং সরকারি প্রচেষ্টা মাদক নিয়ন্ত্রণ হতে পারে। আমরা সাধারণত দুই ভাগে মাদক এর নিয়ন্ত্রণ প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে পারি যথা-

আরো পড়ুন: সুস্থ জীবন যাপনে খাদ্যের ভূমিকা ও সংরক্ষণের প্রক্রিয়া

সামাজিক প্রচেষ্টা

  1. মাদকাসক্ত ব্যক্তিদের খুঁজে বের করা এবং তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা।
  2. মাদকাসক্ত ব্যক্তিকে পরামর্শ দেওয়া।
  3. পুনর্বাসন করে সমাজের স্বাভাবিক স্রোতে এনে স্বাভাবিক জীবন ফিরিয়ে আনা।

সরকারি প্রচেষ্টা

  1. মাদক সেবন, বিক্রয় নিষিদ্ধ করা। এ ব্যাপারে করা কঠোরভাবে সেগুলো প্রয়োগ করা প্রয়োজন।
  2. মাদক সেবনের কুপ্রভাবগুলো সরকারি ও বেসরকারি প্রচার মাধ্যম দ্বারা মানুষকে অবহিত করা।
  3. আমাদের দেশে মাদক নিয়ন্ত্রণ আইন বলবৎ আছে। আইন গুলো যথাযথভাবে প্রয়োগ হলে মাদকের বিষাক্ত ছোবল থেকে মানুষ ও দেশকে অনেকটা বাঁচানো সম্ভব।

উপসংহার

উপরোক্ত বিষয়গুলো থেকে আমরা জানতে পারলাম কিভাবে তামাক ও মাদকাসক্ত নিয়ন্ত্রণ করা যায় এবং এর ক্ষতিকর দিকগুলো কি কি। এবং বিভিন্ন রকম প্রচেষ্টা চালিয়ে আমরা মাদকাসক্ত বা মাদকাসক্ত ব্যক্তিকে সুস্থ জীবনে ফিরিয়ে আনতে পারি। এজন্য আমাদের সামাজিক প্রচেষ্টা এবং সরকারি ও আইনত যে প্রতিষ্ঠাগুলো রয়েছে এগুলোর মাধ্যমে আমরা মাদকাসক্ত ব্যক্তিকে সমাজের সুষ্ঠু জীবন ধারণের জন্য তৈরি করতে পারি। মাদকাসক্ত ব্যক্তি শুধুমাত্র তার পরিবারের ক্ষতির কারণ নয় বরঞ্চ মাদকাসক্ত একজন ব্যক্তি সমাজ দেশ সকলের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ এবং বিভিন্ন ক্ষতির কারণ হতে পারে। এ কারণে আমাদের মাদকাসক্ত এবং তামাকজাত দব্য এর ক্ষতিকর দিক গুলো কি কি এবং নিয়ন্ত্রণ করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে এবং মানুষের কাছে প্রচার অভিযান করতে হবে এর ক্ষতিকর দিকগুলো যেন মানুষ বুঝতে পারে এবং মাদকাসক্ত থেকে নিজেকে দূরে রাখতে পারে।



No comments:

Post a Comment