মানব জীবনের স্বাস্থ্য বিজ্ঞান ও স্বাস্থ্যসেবার গুরুত্ব - M.A IT FIRM

মানব জীবনের স্বাস্থ্য বিজ্ঞান ও স্বাস্থ্যসেবার গুরুত্ব

 মানব জীবনের স্বাস্থ্য বিজ্ঞান ও স্বাস্থ্যসেবার গুরুত্ব

ব্যক্তিগত এবং সমষ্টিগতভাবে বেঁচে থাকার বিজ্ঞানসম্মত উপায় সমূহ চিকিৎসা বিজ্ঞানের যে শাখার আলোচনা, বিশ্লেষণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় তাকে সাধারণভাবে স্বাস্থ্য বিজ্ঞান বলা হয়। এখন স্বাস্থ্য বলতে আমরা কি বুঝি তা প্রথমে আলোচনা করা যেতে পারে। 

মানব জীবনের স্বাস্থ্য বিজ্ঞান ও স্বাস্থ্যসেবার গুরুত্ব

আমাদের দৈনন্দিন জীবনে স্বাস্থ্য সেবা উন্নত হওয়ার ক্ষেত্রে বিজ্ঞানের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। বিজ্ঞান উন্নতির ফলে আমরা বিভিন্ন প্রকার চিকিৎসা বিজ্ঞানভিত্তিকভাবে পাচ্ছি যে কারণে সুচিকিৎসার হওয়ার কারণে আমরা সহজে সুস্থ হতে সক্ষম হচ্ছি। স্বাস্থ্য বিজ্ঞানের উন্নতির ফলে স্বাস্থ্য সেবার মান বিধি দিয়েছে

পোস্ট সূচিপত্র:মানব জীবনের স্বাস্থ্য বিজ্ঞান ও স্বাস্থ্যসেবার গুরুত্ব

ভূমিকা

স্বাস্থ্য বলতে শারীরিক সুস্থতা অর্থাৎ শরীরের সুস্থ অবস্থানকে বুঝি। কিন্তু ব্যাপক অর্থে কেবলমাত্র শারীরিক সুস্থতায়ই স্বাস্থ্যের লক্ষণ নয়, শরীরের সাথে মনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকার কারণে মানসিক সুস্থতা ও প্রয়োজন। নেই মূল্যবান সম্পদ লাভ করতে হলে আমাদের স্বাস্থ্য বিজ্ঞান সম্বন্ধে সমগ্র জ্ঞান লাভ করা প্রয়োজন। স্বাস্থ্য বিজ্ঞান আমাদের সুস্থ থাকার উপায় সম্পর্কে কেমন ধারণা দেয় তেমনি রোগগ্রস্ত হলে তা থেকে পরিত্রান লাভের পন্থাও জানিয়ে দেয় অর্থাৎ স্বাস্থ্যসেবা সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা দেয়। তাই সাধারণ স্বাস্থ্য সমস্যা চিহ্নিত করে ব্যক্তিগত ও পারিপার্শ্বিক স্বাস্থ্য রক্ষার সচেতন হওয়া, বিদ্যালয়ে এবং গৃহে গড়ে তোলা, পুষ্টির অভাব পূরণের বিদ্যালয়ের টিফিন প্রোগ্রাম চালু করা, বিদ্যালয় নিয়মিত স্বাস্থ্য সেবামূলক কর্মসূচি পালন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের শিক্ষা পরিপূরক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

আরো পড়ুন:দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভূমিকা কি

স্বাস্থ্য বিজ্ঞানের গুরুত্ব

স্বাস্থ্য নীতি মেনে চলার উদ্দেশ্য হল রোগ প্রতিরোধ করা। মানুষ যতই রোগের কারণ খুঁজে বের করতে সক্ষম হবে, ততই সে রোগ প্রতিরোধ করার উপায় জানতে ও প্রয়োগ করতে পারবে। এর কারণ, অসুস্থতা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া এবং সুস্থ শরীরের দীর্ঘ জীবন লাভ করা। তাই সুস্থ শরীর ও দীর্ঘ জীবন লাভের জন্য যা করা প্রয়োজন তা আমরা স্বাস্থ্য বিজ্ঞান পাঠে জানতে পারেন। স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল-এই প্রবাদ বাক্যটির মর্ম অনুধাবন করতে হলে অর্থাৎ স্বাস্থ্যের ন্যায় মূল্যবান সম্পদ লাভ করতে হলে আমাদের স্বাস্থ্য বিজ্ঞান সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করতে হবে। 

আমাদের স্বাস্থ্যের ওপর পারিপার্শ্বিক ও সামাজিক অবস্থার প্রভাব রয়েছে। অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ আমাদের স্বাস্থের ক্ষতি করে, সংক্রামক ব্যাধির রোগ জীবাণু একের দেহে থেকে অন্যের দেহে সংক্রমণ ঘটায়, কিভাবে সংক্রামক রোগ, ের সংক্রমণ হয় এবং প্রতিরোধে করণীয় কি তা জানা প্রয়োজন। এ প্রতিরোধ করনীয় বিশুদ্ধ পানি পান, দূসিত বায়ু থেকে রক্ষা,  পুষ্টিকর সুষম খাদ্য গ্রহণ, আলো বাতাস ময় গৃহে বাস, স্বাস্থ্যকর স্কুল গৃহ, নিরাপদ পথ চলা, হিংস পশু বা পাগলা কুকুর ও শিয়ালের কামড় থেকে আত্মরক্ষা, মলমূত্র আবর্জনা দূরীকরণ প্রগতি স্বাস্থ্যকর সকল ব্যবস্থা সম্পর্কে স্বাস্থ্য বিজ্ঞান পাঠে আমরা বিশদভাবে অবহিত হই। 

স্বাস্থ্য বিজ্ঞানের গুরুত্ব

স্বাস্থ্য নীতির অন্যতম মুখ্য উদ্দেশ্য হচ্ছে রোগ প্রতিরোধ করা। রোগ প্রতিরোধ ও রোগের প্রতিকার স্বাস্থ্যনীতির অন্তর্ভুক্ত। তবে রোগ ভেদে রোগের প্রতিরোধ ও প্রতিরোধের ধরন ভিন্ন ভিন্ন হবে। কেবল কলেরা,যক্ষা, বসন্ত, টাইফয়েড কৌটি রোগের একই রকম প্রতিরোধ প্রতিকারের ব্যবস্থা হবে না। দূষিত বায়ু, পানি, পচা, বাঁশি, ও খোলা খাবার, গৃহবর্জ্য ও মর্মুক্ত নিষ্কাশনের অব্যবস্থা, অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ এসব রোগ বিস্তারে সহায়তা করে।

ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য রক্ষার ধারণা ও এর কৌশল

সার্বিক সুস্থতা আনন্দময় জীবনের পূর্ব শর্ত। শরীর সুস্থনা থাকলে পড়ালেখায় মন বসে না, কোন কাজে আনন্দ পাওয়া যায় না অর্থাৎ সুষ্ঠুভাবে কোন কাজ সম্পন্ন করা যায় না। এবং সুখে স্বচ্ছন্দ জীবন যাপনের জন্য প্রয়োজন নিজেকে সুস্থ রাখা। স্বাস্থ্যহীন দেহকে সুস্থ ও সবল করে তোলা কঠিন। সুস্থভাবে জীবন যাপনের জন্য শরীরের যত্ন নিতে এবং স্বাস্থ্য রক্ষা নিয়ম মেনে চলতে হয়।

স্বাস্থ্য রক্ষা কি: শরীরের গঠন ও স্বাভাবিক বৃদ্ধি বজায় রাখা এবং নিরক্ষ থাকাই হচ্ছে স্বাস্থ্য রক্ষা। নিজ স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন থাকা, স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ গ্রহণ ও এই বিষয়ে সকল নিয়ম কানুন মেনে চলাকে ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য রক্ষা বলে। স্বাস্থ্য রক্ষার বিষয়টি দৈহিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের সাথে সম্পর্কিত। শিশুকাল থেকে যৌবনকাল পর্যন্ত একজন মানুষের শারীরিক বৃদ্ধি ও মানসিক উন্নতি ঘটে। এ সময় তাকে বয়স উপযোগী স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হয়। তাই দৈহিক স্বাস্থ্যের সাথে সাথে মানসিক স্বাস্থ্য অধিক রাখতে হবে। কারণ শরীরের সাথে মনের সম্পর্ক খুবই নিবিড়।

ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য রক্ষার ধারণা ও এর কৌশল

ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য রক্ষার কৌশল: সুস্থভাবে জীবন যাপনের জন্য স্বাস্থ্যসম্মত অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে স্বাস্থ্যসম্মত অভ্যাস গড়ে তোলার ভিত্তি হচ্ছে স্বাস্থ্য বিষয়ক নিয়ম কানুন বা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা। স্বাস্থ্যবিধির মধ্যে রয়েছে ব্যক্তিগত ও পারিপার্শ্বিক পরিচ্ছন্নতা যেমন বাড়ি, বিদ্যালয়, আশপাশের রাস্তাঘাট প্রভুতির পরিছন্নতা, প্রয়োজনীয় পরিমিত ব্যায়াম, বিশ্রামও ঘুম, প্রয়োজনীয় পরিমাণে পুষ্টি সমৃদ্ধ খাদ্য গ্রহণ, নিয়মিত খেলাধুলা করা ইত্যাদি। এসব সত্য বিধি মেনে চললে দেহ ও মনকে সুস্থ ও সবল রাখা যায়। শরীরে যত্ন বিষয়ক সকল কাজ যথাসময়ে সম্পন্ন করাও স্বাস্থ্য রক্ষার একটি প্রধান বিষয়।

আরো পড়ুন: আনারস খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা কি

হাসিখুশি ও প্রফুল্ল থাকা মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষার একটি মৌলিক বিষয়। এজন্য বিনোদনমূলক কাজকর্ম যেমন-খেলাধুলা, ভ্রমণ, আনন্দদায়ক ও শিক্ষামূলক বই পড়া, বাগান করা, সংস্কৃতি চর্চা, ধর্মীয় আচার ইত্যাদি পালন করা প্রয়োজন। সময় অনুবর্তিতা ও স্বাস্থ্য রক্ষার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সকল কাজ সময় মেনে সম্পন্ন করতে হবে। সৃষ্টি কর খাদ্য পরিমাণ মতো খাওয়া, নিয়মিত স্বাভাবিকভাবে মূত্রত্যাগের অভ্যাস, মাদকদ্রব্য থেকে দূরে থাকা প্রগতি ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য রক্ষার কৌশল। সুস্থ জীবন যাপনের জন্য ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য রক্ষার কৌশল সম্পর্কে জানা একান্তই অবশ্য।

সাধারণ স্বাস্থ্য সমস্যা ও তার প্রতিকার

রোববার সব জীবনের একটি অংশ। সারা জীবনের সম্পূর্ণ রোগ মুক্ত থাকা কোন মানুষের পক্ষেই সম্ভব নয়। তবে রোগ এড়ানো এবং রোগকে প্রতিরোধ করা যায়। সাধারণ স্বাস্থ্য সমস্যা বলতে শরীর যন্ত্র হওয়াকে বোঝায়। তাই রোগের আক্রমণ থেকে নিজেকে মুক্ত রাখার জন্য রোগের ধরন, রোগ জীবাণু এবং কিভাবে রোগ ছড়ায় তা জানা প্রয়োজন।

সাধারণ স্বাস্থ্য সমস্যা ও তার প্রতিকার

রোগের কারণ: নানা রকমের জীবাণুর সংক্রমনে শরীরের বিভিন্ন রোগের আক্রান্ত হয়। আমাদের চারপাশে নানা রকম জীবন ও প্রতিনিয়ত ঘুরে বেড়াচ্ছে। এই রোগ জীবাণুনা উপায়ে দেহে প্রবেশ করে। শরীরে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা কমে গেলে রোগ জীবাণু দ্বারা শরীর আক্রান্ত হয় এবং শরীর অসুস্থ হয়ে পড়ে।

রোগের ধরন: কোন কোন রোগ, আক্রান্ত রোগীর কাছে থেকে আশেপাশে অন্যদের শরীরের ছড়িয়ে পড়ে এ ধরনের লোককে সংক্রামক রোগ বলে। মানুষের শরীর  ছাড়াও কোন বাহকের মাধ্যমে সংক্রামক রোগ ছড়াতে পারে। যেমন-পানি, খাদ্য ,বাতাস ইত্যাদি। স্বাস্থ্য সমস্যার মধ্যে সর্দি কাশি, চোখ উঠা, উদারাময়, ইনফ্লুয়েঞ্জা, হুপিং কাশি, ডিফথেরিয়া, হাম, বসন্ত, ম্যালেরিয়া, যক্ষা, টাইফয়েড, জন্ডিস রোগগুলি প্রধান। যে সব রোগ এক ব্যক্তির কাছ থেকে অন্যের শরীরের সংক্রমিত হয় না, রোগগ্রস্ত ব্যক্তি একাই সেরূপ গ্রহণ করে, সেসব রোগকে অসংক্রামক রোগ বলে। যেমন-ক্যান্সার, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস ইত্যাদি।

আরো পড়ুন:ডিজিটাল মার্কেটিং করে মাসে লাখ টাকা আয় করার উপায়

স্বাস্থ্য সমস্যার প্রতিকার: রোগ সংক্রমণ প্রতিরোধের আত্মসচেতনতা সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করে। বঙ্গের সংক্রমণ যাতে না ঘটে সেজন্য সব সময় সতর্ক থাকতে হবে। রোগ সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য রক্ষার সকল উপায় অবলম্বন করতে হবে যাতে শরীর সুস্থ থাকে। ও সবল থাকলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা দৃঢ় হয়। সাধারণভাবে কতগুলো ব্যবস্থা নিলে অধিকাংশ সংক্রামক রোগই প্রতিরোধ করা যায় যেমন-

  1. টিকা গ্রহণ: যেসব রোগের প্রতিরোধের জন্য টিকা নেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে, যত সময় শিশু  বয়স্কদের সেই টিকা নিতে হবে।
  2. ব্যক্তিগত পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা: নিজ শরীর, পোশাক, আসবাবপত্র, রান্নার সামগ্রী, থালা-বাসন বসবাসের স্থান, বাথরুম, বাড়ির চারপাশে সব সময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
  3. সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার অভ্যাস: প্রতিবার শৈৗচ কাজ শেষে, খাবার তৈরি ও পরিবেশনের আগে, খাদ্য গ্রহণের আগে, অসুস্থ ব্যক্তির সেবা করার পরে, শিশুদের মলমূত্র পরিষ্কার করার পরে, প্রতিবার বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে।
  4. খাদ্য প্রস্তুত রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিবেশন: স্বাস্থ্যসম্মত উপায় খাদ্য প্রস্তুত করা, খাদ্য রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিবেশের যত্নবান হওয়া এবং খাবার সময় ঢেকে রাখা খুবই জরুরী। এজন্য সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে
  5. কীটপতঙ্গ: কীটপতঙ্গের আক্রমণ থেকে সাবধান থাকা, জীবনে মুক্ত নিরাপদ পানি পান ও ব্যবহার করা প্রগতি ব্যবস্থা সাধারণ স্বাস্থ্য সমস্যার প্রতিকার হিসেবে বিবেচনা করতে হবে। স্বাস্থ্য সম্বন্ধে মানুষের অজ্ঞতা ও অবহেলার জন্য প্রধানত সংক্রামক ব্যাধি বিস্তার লাভ করে।
  6. রোগ প্রতিরোধে সচেতনতা সৃষ্টি: রোগ প্রতিরোধের বিষয়ে ব্যাপকভাবে জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। এজন্য রেডিও, টেলিভিশন, সংবাদপত্র, পোস্টার, সিনেমা ইত্যাদির মাধ্যমে জনসাধারণকে সচেতন করে তুলতে হবে।

শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সেবা ও স্বাস্থ্য কার্ড

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যারা বিখ্যাত জ্ঞান লাভের জন্য যায় তারা শিক্ষার্থী নামে পরিচিত। থেকে 16 বছর বয়স পর্যন্ত বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করে। সাত থেকে আট মাস, সপ্তাহে ছয় দিন এবং প্রতিদিন ৮ ঘণ্টা পর্যন্ত তাদেরকে বিদ্যালয়ের অবস্থান করতে হয়। দেশ বা জাতির জন্য ভবিষ্যতে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে ওঠার জন্য তাদের বিদ্যালয় অবস্থানকালীন সময়ে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য তাদের স্বাস্থ্যের প্রতি বিশেষভাবে দৃষ্টি দেওয়া প্রয়োজন।

শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সেবা ও স্বাস্থ্য কার্ড

বিদ্যালয়ের পরিবেশ, আসবাবপত্র, শিক্ষার উপকরণ ইত্যাদি যদি তাদের স্বাস্থ্যের অনুকূল না হয় তাহলে তাদের শরীর ও মন সুস্থ ও সবল হয়ে গড়ে উঠবে না। মানসিক উন্নতির তথা নৈতিক চরিত্র গঠনের উপযুক্ত ক্ষেত্র হচ্ছে বিদ্যালয়। আদর্শ শিক্ষকের তত্ত্বাবধানে শিক্ষার্থীরা ধীরে ধীরে সৎ গুনাবলী অর্জন করতে সমর্থ হয়। শিক্ষার্থীদের উন্নত স্বাস্থ্য সেবার জন্য নিচের বিষয়গুলো উপর গুরুত্ব দিতে হবে। যথা-

  1. বিদ্যালয়: খোলামেলা জায়গা যেখানে চারদিক থেকে অবাধে আলো বাতাস প্রবেশ করতে পারে, শব্দ দূষণ থাকে না এবং সহজে যাতায়াত করা যায় এমন উঁচু স্থানে বিদ্যালয়ের অবস্থান হতে হবে।
  2. খেলার মাঠ: খেলাবিহীন শিক্ষার্থীর জীবন কল্পনা করা যায় না। বিদ্যালয় সংলগ্ন খেলার মাঠ থাকতে হবে।
  3. স্বাস্থ্যসম্মত সেনেটারি ও পায়খানা: শ্রেণিকক্ষ থেকে কিছুটা দূরে স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা ও প্রসাবখানা এবং পর্যাপ্ত পানির ব্যবস্থা থাকতে হবে।
  4. বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ হবে: বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা তো সেবার অন্যতম অনুষঙ্গ। শহরে সরবরাহকিত পানি ফুটিয়ে পান করার ব্যবস্থা থাকতে হবে। গ্রাম অঞ্চলে নলকের পানি বিশুদ্ধ, তাই তা মান পান যোগ্য।

আরো পড়ুন: অনলাইন থেকে ইনকাম করার উপায় কি

শিক্ষার্থীদের নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা: শিক্ষার্থীদের নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা, প্রাথমিক চিকিৎসা ও বিদ্যালয়ের স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ বজায় রাখার জন্য প্রত্যেক বিদ্যালয় উপযুক্ত ব্যবস্থা থাকতে হবে|। এজন্য একজন উপযুক্ত চিকিৎসক পরিদর্শক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে। জেলার সিভিল সার্জন এর তত্ত্বাবধানে এসব পরিদর্শক নির্ধারিত দিনে নির্দিষ্ট বিদ্যালয়ে হাজির হয়ে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা সহ বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা করবেন। বিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ বিদ্যালয়ে স্বাস্থ্য পরিদর্শকের সর্বপ্রকার সহযোগিতা করবেন। স্বাস্থ্য পরিদর্শক প্রত্যেক শিক্ষার্থীর বয়স, ওজন, রক্তের চাপ, রক্তের গ্রুপ, নারীর গতি, দৈহিক গঠন,চোখ, কান, দাঁত, হৃদপিণ্ড, ফুসফুস প্রগতি বিষয়ে পরীক্ষা করবেন এবং একটি কার্ডের তাল লিখবেন এই কার্ডকে শিক্ষার্থীর স্বাস্থ্য পাঠ বলে।

উপসংহার

উক্ত বিষয় হতে আমরা জানতে পেরেছি মানব জীবনে স্বাস্থ্য বিজ্ঞান ও স্বাস্থ্যসেবার গুরুত্ব কতটুকু। আমরা যে স্থানে বসবাস করি বা যেখানে থাকি না কেন সেইখানকার পরিবেশ কতটুকু স্বাস্থ্যসম্মত হওয়া উচিত এবং আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য তা ততটুকু ক্ষতিকর হতে পারে এই বিষয়গুলো আমাদের লক্ষ্য করা উচিত। এবং যে সকল রোগ সংক্রামক জাতীয় সেসকল রোগ হতে আমাদের নিজেদের নিরাপদ স্থানে থাকা এবং দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। এছাড়াও এই সকল রোগ যদি আমাদের শরীরে থাকে তাহলে আমরা নিজেরা এমতা পরিবেশ থেকে দূরে থাকবো যেন আমাদের মাধ্যমে অন্য কারো এসব রোগ হওয়ার সম্ভাবনা না থাকে। এছাড়াও আমাদের বিদ্যালয় ও বিভিন্ন প্রকার চিকিৎসা ব্যবস্থা থাকতে হবে এবং এ সকল চিকিৎসা সঠিক চিকিৎসার পাওয়া যায়।

No comments:

Post a Comment