হার্টের কাজ কি আমাদের দেহে হার্টের কার্যপ্রণালী - M.A IT FIRM

হার্টের কাজ কি আমাদের দেহে হার্টের কার্যপ্রণালী


 হার্টের কাজ কি আমাদের দেহে হার্টের কার্যপ্রণালী

রক্ত সংবহনতন্ত্রের দ্বারা মেরুদন্ডী প্রাণীদের দেহে রক্ত সঞ্চালন হয়। মানবদেহের রক্ত সহ বহনতন্ত্রের প্রধান অংশ হল হৃদপিণ্ড, ধমনী, রা এবং কৈশিক জালিকা। এগুলো কার সম্পর্কে জানার আগে এগুলোর গঠন সম্পর্কে জানা দরকার।

হার্টের কাজ কি আমাদের দেহে হার্টের কার্যপ্রণালী

 

হৃদপিণ্ড রক্ত সংবহনতন্তের অন্তর্গত এক রকম পাম্প। হৃদপিণ্ড অনবরত সংকুচিত ও প্রসারিত হয়ে সারা দেহে রক্ত সঞ্চালন ঘটায়। মানুষের হৃদপিণ্ড বক্ষ গহবরে ফুসফুস দুটি মাঝখানে এবং মধ্যচ্ছাদের ওপরে অবস্থিত। হৃদপিন্ডের প্রশস্ত পান দুটি উপরের দিকে এবং সূচালো প্রান্তটি নিচের দিকে বিস্তত থাকে।

পোস্ট সূচিপত্র: হার্টের কাজ কি আমাদের দেহে হার্টের কার্যপ্রণালী

ভূমিকা

হৃদপিণ্ড দ্বিস্তরী পেরিকার্ডিয়াম পর্দা দিয়ে বেষ্টিত থাকে। উভয় স্তরের মাঝে পেরিকার্ডিয়াল ফ্লইড থাকে, যেটি হৃদপিণ্ডকে সংকোচনে সাহায্য করে। মানুষের হৃদপিন্ডে চারটি প্রকোষ্ঠ নিয়ে গঠিত। উপরের প্রকোষ্ঠ দুটিকে যথাক্রমে ডান এবং বাম অলিন্দ এবং নিচের প্রকোষ্ঠ দুটিকে যথাক্রমে ডান ও বাম নিলয় বলে। দুটি অলিদের ভেতরকার পাচিন পাতলা কিন্তু নিল দুটির প্রাচীর পুরো এবং পেশীবহুল। যেসব রক্তনালীর মধ্যে হৃদপিণ্ড থেকে দেহের বিভিন্ন অংশে বাহিত হয়, তাকে ধমনী বলে। দমনে প্রাচীর পুরো এবং তিনটি স্তরে গঠিত এদের গহবর ছোট ধমনীতে কোন কপাটিকা থাকে না। ফলে ধমনী দিয়ে রক্ত বেগে প্রবাহিত হয়। ধমনীর স্পন্দন আছে। 

ধমনী শরীরের বিভিন্ন অংশে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র শাখা পোশাকায় বিভক্ত হয় এবং এদের শাখা ধমনী বলে। এগুলো ক্রমশ শাখা প্রশাখায় বিভক্ত হয়ে অবশেষে সুখ খাতে সূক্ষ্ম কৌশিক জালিকায় শেষ হয়। ধমনীর মধ্যে হৃদপিণ্ড থেকে দেহে বিভিন্ন অংশে অক্সিজেনযুক্ত রক্ত পরিবাহিত হয়। তবে ফুসফুসের ধমনী এর ব্যতিক্রম, এই রক্তনালী দিয়ে হৃদপিণ্ড ফুসফুসে রক্ত প্রেরণ করে বলে এটাকে ধমনী বলা হলেও এটি কার্বন ডাই অক্সাইড যুক্ত রক্ত পরিবহন করে।

আরো পড়ুন: দৈনন্দিন জীবনে পানির ভূমিকা এবং প্রয়োজনীয়তা

হৃৎপিন্ডের কাজ কি

মানুষের রক্ত সংবহনতন্ত্র হৃৎপিণ্ড, ধমনী, শিরা এবং কৈশিক জালিকা নিয়ে গঠিত। মানুষের হৃদপিণ্ড অবিরাম সংকুচিত ও প্রসারিত হয়ে ধমনী ও শিলার মাধ্যমে রক্ত সংবহন করে। হৃদপিন্ডের পাম্পের মতো নির্দিষ্টকালে একসঙ্গে সংকুচিত এবং প্রসারিত হয়ে সারা দেহে রক্ত সঞ্চালন ঘটায়।

হৃৎপিন্ডের কাজ কি


হার্টবিট: হৃদপিণ্ড একটি স্বয়ংক্রিয় পাম্পের মত দেহের ভিতরে সারাক্ষণ ছন্দের তালে স্পন্দিত হয়। হৃদপিন্ডের এই স্পন্দনকে হৃদস্পন্দন বা হার্টবিট বলে এই হৃদস্পন্দনের মাধ্যমে হৃদপিন্ড আমাদের শরীরের রক্ত প্রবাহিত করে। হার্টবিট বা হৃদস্পন্দন একটি জটিল বিষয়। মানুষের হৃদপিণ্ড মায়ওজোনিক অর্থাৎ বাইরের কোন উদ্দীপনা ছাড়া হৃদপেশী নিজে থেকে সংকোচন ও প্রসারণের দ্বারা হৃদ স্পন্দন সৃষ্টি করে। একটি স্পন্দন হৃৎপিণ্ডের পর পর সংঘটিত ঘটনার সমষ্টিকে কার্ডিয়া চক্র বলে। হৃদপিন্ডের সংকোচন ও প্রসারণ এর ফলে রক্ত দেহের ভেতর গতিশীল থাকে।

হার্টবিট বা পালস রেট গণনা পদ্ধতি

রোগীর হাতের কব্জিতে হাতের তিন আঙ্গুল যেমন অনামিকা মধ্যমা ও তর্জন দিয়ে চাপ দিলে স্পন্দন প্রতি মিনিটে কতবার হয় তা অনুভব করা যায়। হাতের তিন আঙ্গুল এমনভাবে রাখতে হবে যেন তর্জনী থাকে হৃদপিন্ডের দিকে, মধ্যমা মাঝখানে এবং অনামিকা হাতের আঙ্গুলের দিকে। মধ্যমা আঙ্গুল দিয়ে বোঝা যাবে হাতের রেডিয়াল ধমনী কতবার ধুকধুক করছে। এক মিনিটে কতবার স্পন্দিত হচ্ছে, সেটাই হচ্ছে পালস রেট বা পালসের গতি। পাইলসকে আমরা সাধারণভাবে নাড়ি বলে থাকি। না পাওয়া গেলে কণ্ঠনালীর পাশে হৃদস্পন্দন দেখা যেতে পারে অথবা সরাসরি বুকে কান পেতেও হার্ট সাউন্ড শোনার চেষ্টা করা যেতে পারে।

যেকোনো সাধারণ মানুষের পালসের গতি প্রতি মিনিটে কতবার হচ্ছে তা দেখা যায় উপরের বর্ণনা অনুসারে ব্যবস্থা নিলে ঘড়ি ধরে পালসের গতি দেখতে হয়। সাধারণত পালসের গতি দ্রুত হয় পরিশ্রম করলে , ঘাবড়ে গেলে, ভয় পেলে,তীব্র যন্ত্রণা হলে কিংবা জ্বর হলে। পালসার স্বাভাবিক গতি হলো প্রতি মিনিটে ৬০ থেকে ১০০ বার। শিশুদের জন্য এটি বেশি প্রতি মিনিটে ১০০ থেকে ১৪০ বার। পূর্ণবয়স্ক মানুষের পালস রেট প্রতি মিনিটে ১০০ এর অধিক হয় জ্বর ও শখ অথবা থাইরয়েড গ্রন্থিক অতিক কার্যকারীদের কারণে।

উচ্চচাপ কি

উচ্চ রক্তচাপকে ডাক্তারি ভাষায় হাইপারটেনশন বলে। শরীর আর মনে স্বাভাবিক অবস্থায় রক্তচাপ যদি বয়সের জন্য নির্ধারিত মাত্রার ওপরে অবস্থান করে থাকে, তবে তাকে উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশন বলে। রক্তের চাপ যদি কম থাকে তাহলে তাকে নিম্ন রক্তচাপ বলে। হৃদপিন্ডের সংকোচন আর প্রসারণের ফলে হৃৎপিণ্ড থেকে ধমনীর মাধ্যমে রক্ত প্রবাহ গালে ধমনীর গায়ে কোন ব্যক্তির রক্তচাপ যদি সবসময় ১৬০ মিলিমিটার পারদস্তম্ভ বা তার বেশি এবং ডায়াস্টলিক সব সময় ৯৫ মিলিমিটার পারদস্তম্ভ বা তার বেশি থাকে তবে তার উচ্চ রক্তচাপ আছে বলা যায়। উত্তেজনা, চিন্তা, বিষন্নতা, নিদ্রাহীনতা বা অন্য কোন কারণে যদি রক্তচাপ সাময়িকভাবে নির্দিষ্ট সীমানা অতিক্রম করে, তবে তাকে হাইপারটেনশন বলা যাবে না এবং তার জন্য বিশেষ কোনো ওষুধের প্রয়োজন হয় না। হাইপারটেনশন হওয়ার প্রকৃত কারণ আজও জানা যায়নি। তবে অতিরিক্ত শারীরিক ওজন, মেদবহুল ,শরীর অতিরিক্ত, লবণ খাওয়া ,পর্যাপ্ত শারীরিক পরিশ্রম, ডায়াবেটিক্স ,অস্থির চিত্র, এবং মানসিক চাপ  এরকম ব্যক্তিদের মাঝে এই রোগের আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি। রক্তচাপ প্রতিরোধ করার উপায় নিম্নরূপ-

আরো পড়ুন: পরিবেশ সংরক্ষণে পানির ভূমিকা পানি দূষণে প্রতিরোধ

  1. ডায়াবেটিস থাকলে সেটি নিয়ন্ত্রণ রাখা।
  2.  দেহের ওজন না বাড়ানো।
  3. চর্বিযুক্ত খাদ্য বর্জন করা।
  4. পরিমানে অতিরিক্ত খাদ্য গ্রহণ থেকে বিরত থাকা।
  5. ধূমপান থেকে বিরত থাকা।
  6.  নিয়মিত ব্যায়াম করা।
  7. দৈনিক সাত থেকে আট ঘন্টা ঘুমানো।
  8. মানসিক চাপমুক্ত ও দুশ্চিন্তা মুক্ত জীবন যাপন করা।
  9. খাবারের সাথে অতিরিক্ত লবণ গ্রহণ থেকে বিরত থাকা

এই সকল বিষয়গুলো লক্ষ্য রাখলে এবং এই নিয়ম মোতাবেক জীবন যাপন করলে হাইপার টেনশন বা উচ্চ রক্তচাপ হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম রয়েছে।

হৃদযন্ত্র কে ভালো রাখার উপায়


কোলেস্টেরল কাকে বলে

এক বিশেষ ধরনের জটিল স্নেহ পদার্থ বা লিপিড এবং স্টেরয়েড এর প্রপৃষ্ট উদাহরণ। মানুষের প্রায় প্রত্যেক কোষ ও টিস্যুতে ক্লোস্টেরল থাকে। যকৃতে এবং মগজে এর পরিমাণ সবচাইতে বেশি। ল অন্যান্য স্নেহ পদার্থের সাথে মিশে রক্তে স্নেহের বাহক হিসেবে কাজ করে। স্নেহ এবং প্রোটিনের যৌগকে  লাইপোপ্রোটিন বলে। স্নেহের পরিমাণ ওপর ভিত্তি করে  লাইপোপ্রোটিন দুই রকম

  1. উচ্চ ঘনত্ব বিশিষ্ট  লাইপোপ্রোটিন
  2. নিম্ন ঘনত্ব বিশিষ্ট  লাইপোপ্রোটিন

LDL এর পরিমাণ বেশি থাকা শরীরের জন্য ক্ষতিকর। রক্তে HDL এর পরিমাণ বেশি থাকা শরীরের জন্য উপকারী। রক্তে ক্লোস্টরের অধিক তো হৃদরোগের আশঙ্কা বাড়ায়। স্বাভাবিক মাত্রা থেকে রক্তে ক্লোস্টেরল বেশি হলে রক্তনালী অন্ত প্রাচীরের গায়ে কোলেস্টেরল বা ক্যালসিয়াম জমা হয় রক্তনালী গহবর ছোট হয়ে যায়। এ কারণে দমনের প্রাচীরের স্থিতিস্থাপকতা কমে যায় এবং শক্ত হয়ে যায়। এ অবস্থায় বলে। ধমনীর গায়ে ফাটল দিয়ে রক্তক্ষরণ হয়ে জমাট বেধে রক্ত হয়। হৃদপিন্ডের পর নারী রক্তনালিকায় রক্ত জমাট বাঁধলে তাকে করোনারি থমবোশিস বলে। মস্তিষ্কে রক্তনালীতে রক্ত জমাট বাঁধলে তাকে সেরিব্রাল থমবোশিস বলে। এতে আক্রান্ত ব্যক্তির মৃত্যু ঘটতে পারে।

হৃদযন্ত্র কে ভালো রাখার উপায়

স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য আমাদের প্রয়োজন সুষম খাদ্য এবং শরীরকে সচল রাখার জন্য প্রয়োজন ব্যায়াম ও বিশ্রাম। সুষম খাদ্য গ্রহণ করা যেমন আবশ্যক তেমনি খাদ্য গ্রহণ এবং জীবন প্রণালী সম্বন্ধে কতগুলো সু অভ্যাস গড়ে তো একান্ত আবশ্যক। অনেক কারণেই দেহে নানা ধরনের রোগ হতে পারে তবে সঠিক খাদ্য ব্যবস্থা এবং জীবন প্রণালী অনুসরণ করে হৃদযন্ত্র  ঠিক রাখা যায়। তা নিম্নরূপ-

  1. দেড় উচ্চতা এবং বয়স অনুসারে কাঙ্খিত ওজন বজায় রাখা আবশ্যক। দেহের ওজন বেশি হলে হৃদপিণ্ড দুর্বল হয়ে পড়ে। 
  2. প্রাণিজ ও উদ্ভিজ্জ প্রোটিন মিশ্রিত খাবার খাওয়া উচিত।
  3. শর্করা, মিষ্টি ও স্নেহ জাতীয় খাদ্যের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। শাকসবজি ও আঁশযুক্ত খাবার বেশি খেতে হবে। উদ্ভিজ্জ তেল গ্রহণ করা উচিত, তবে সামুদ্রিক মাছের তেল রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমায় এবং রক্ত জমাট বাধার প্রবণতা কমায়। মাছ বুঝি দের হৃদরোগের প্রকোপ এজন্য তুলনামূলকভাবে কম থাকে।
  4. ভিটামিন ও খনিজ লবনের চাহিদা যা আছে তা অপরিবর্তিত রাখা উচিত। তবে খাওয়ান লবনের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজন আছে। রসুন তেল ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল ও অন্যান্য ফল নিয়মিত খেলে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা অনেক কম থাকে।

হৃদযন্ত্র কে ভালো রাখার উপায়

এগুলো ছাড়া সঠিক ও পরিমিত পরিমাণে খাদ্যগ্রহণ এবং অতি ভোজন হতে বিরত থাকতে হবে। অত্যাধিক মানসিক চাপ সৃষ্টিকারী পরিস্থিতি এড়ানো নিয়মিত হালকা ব্যায়াম এবং হাটা এবং সুষ্ঠ জীবন যাপন অর্থাৎ সময়মতো ঘুমানো ধূমপান থেকে বিরত থাকলে হৃদরোগ বা উচ্চ রক্তচাপ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।

ডায়াবেটিস বহুমূত্র বা মধুমেহ রোগ

ডায়াবেটিস এক ধরনের বিপাক জনিত রোগ। এটি গ্লকোজ পরিণত হয়ে রক্তের মাঝে আসে। প্যানক্রিয়াস থেকে ইনসুলিন নামে এক ধরনের হরমোন নির্গত হয়, যেটি রক্তের এক গ্লকস কে শক্তিতে রূপান্তরিত করে। কারো ডায়াবেটিস হলে প্যানক্রিয়াস যথেষ্ট ইনসুলিন তৈরি করতে পারে না কিংবা শরীর ইনসুলিন কে ব্যবহার করতে পারেনা। যে কারণে রক্তে গ্লকোজের পরিমাণ বেড়ে যায়। মানুষের রক্তে গ্লকোজের স্বাভাবিক মাত্রা হলো৪.০-৬.০mmole। ডায়াবেটিস হলে রক্তে এর পরিমাণ দীর্ঘস্থায়ীভাবে অনেক বেড়ে যায়। ডায়াবেটিস আছে বা সংক্রামক রোগ নয়। ডায়াবেটিস আক্রান্ত ব্যক্তির রক্তে শর্করার পরিমাণ বেশি থাকায় এটি দেহের বিভিন্ন অঙ্গের যেমন হৃদপিণ্ড কিডনি চোখ ইত্যাদি স্বাভাবিকভাবে কাজে বাধা সৃষ্টি করে। দেখা গেছে ডায়াবেটিস রোগীদের করোনারি হৃদরোগ হওয়ার প্রবণতা বেশি থাকে। যাদের ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা বেশি যথা-

  1. যাদের বংশে, যেমন মা বাবা সম্পর্কিত নিকট আত্মীয়দের ডায়াবেটিস আছে।
  2. যাদের ওজন বেশি এবং শরীর মেদ বহুল।
  3. যারা ব্যায়াম বা শারীরিক পরিশ্রমের কোন কাজ করে না।
  4. দীর্ঘদিন যারা স্টেরয়েড এর জাতীয় ওষুধ সেবন করে।

ডায়াবেটিস রোগীর লক্ষণ

  1. ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া বিশেষ করে রাতে।
  2. খুব বেশি পিপাসা লাগা।
  3. বেশি ক্ষুধা লাগা এবং অতিরিক্ত মাত্রায় শারীরিক দুর্বলতা অনুভব করা।
  4. যথেষ্ট খাওয়া সত্ত্বেও ওজন কমে যাওয়া এবং শীর্ণতা।
  5. সামান্য পরিশ্রমে ক্লান্তি ও দুর্বলতা বোধ করা।
  6. চামড়া শুকিয়ে যাওয়া।
  7. চোখে ঝাপসা দেখা।
  8. শরীরের কোথাও ক্ষতির সৃষ্টি হলে দেরিতে শুকানো।

আরো পড়ুন: সুস্থ জীবন যাপনে খাদ্যের ভূমিকা ও সংরক্ষণের প্রক্রিয়া

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ

ডায়াবেটিস প্রধানত তিনভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায় যথা-

খাদ্য নিয়ন্ত্রণ: মোটা লোকদের ডায়াবেটিস হলে তাদের ওজন স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত খাদ্যদ্রব্য ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী খেতে হবে। ডায়াবেটিস রোগীদের একটু চিনি বা মিষ্টি খাওয়া চলবে না। তাদের এমন খাবার খাওয়া উচিত যা প্রোটিন সমৃদ্ধ সবুজ রঙের শাকসবজি বরবটি মাশরুম বাদাম ডিম মাছ চর্বি ছাড়া মাংস ইত্যাদি এবং যেগুলো শ্বেতসার কম থাকে।

ওষুধ সেবন: সব ডায়াবেটিস রোগীকেই খাদ্য নিয়ন্ত্রণ অশৃঙ্খলা মেনে চলতে হয়। অনেক ক্ষেত্রে বয়স্ক রোগীদের এই দুটি নিয়ম যথাযথভাবে পালন করলে রোগ নিয়ন্ত্রণে এসে যায়। কিন্তু ইনসুলিন নির্ভর রোগীদের ক্ষেত্রে ইনসুলিন ইঞ্জেকশনের দরকার হয়।

জীবন শৃঙ্খলা: ডায়াবেটিস রোগীর জীবন কাঠি। তাকে এসব বিষয়ে বিশেষ নজর দিতে হবে যথা-

  1.  নিয়মিত ও পরিমিত সুষম খাবার খেতে হবে।
  2. নিয়মিত ও পরিমাণমতো ব্যায়াম করতে হবে।
  3. নিয়মিত রক্তে গ্লকোজের পরিমাণ পরিমাপ করে এবং ফলাফল পর্যবেক্ষণ করতে হবে।
  4. মিষ্টি খাওয়া সম্পূর্ণ ছেড়ে দিতে হবে।

এই বিষয়গুলো লক্ষ্য করলেই বা এই নিয়ম মোতাবেক চললেই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব।

উপসংহার

উপরোক্ত বিষয় হতে আমরা অনেক কিছুই জানতে পেরেছি যেমন আমাদের দেহের হৃদপিন্ডের কাজ কি উচ্চ রক্তচাপ হওয়ার কারণ এবং উচ্চ রক্তচাপ হতে নিয়ন্ত্রণ রাখার কারণ কিভাবে কোলেস্টেরল বৃদ্ধি হয় এবং এটা কিভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায় এছাড়াও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ এবং এর ক্ষতির দিকটা আমরা জানতে পেরেছি। উপরোক্ত বিষয়গুলো বিশেষভাবে বিবেচনা করলে হার্টের কাজ কি এবং আমাদের দে হার্টের কার্যপ্রণালী কি কি রয়েছে এ বিষয়ে আমরা জানতে পারবো এবং সুস্থ জীবন যাপন করতে সক্ষম। 

No comments:

Post a Comment