রক্ত উৎপাদন ও সঞ্চালন-Blood Production And Circulation - M.A IT FIRM

রক্ত উৎপাদন ও সঞ্চালন-Blood Production And Circulation

 রক্ত উৎপাদন ও সঞ্চালন-Blood Production And Circulation 

পানিদের রক্ত এক ধরনের লাল বর্ণের অস্বচ্ছ, আন্ত কোষীয় লবণাক্ত এবং খানিকটা ক্ষারধর্মী তরল যোজক টিস্যু। একজন পূর্ণবয়স্ক সুস্থ মানুষের দেহে প্রায় পাঁচ থেকে ছয় লিটার রক্ত থাকে, যেটি মানুষের দেহের মোট ওজনের পায় ৮%। মানুষ এবং অন্যান্য মেরুদন্ডী প্রাণীদের রক্ত লাল রঙের।

রক্ত উৎপাদন ও সঞ্চালন-Blood Production And Circulation


রক্তের রসের লাল রঙের হিমোগ্লোবিন নামে লোহিত গঠিত প্রোটিন জাতীয় পদার্থ থাকায় রক্তের রং লাল হয়। অক্সিজেনের সাথে যুক্ত হয়ে অক্সি হিমোগ্লোবিন গঠন করে অক্সিজেন পরিবহন করে। কিছু পরিমাণ কার্বন ডাই অক্সাইড হিমোগ্লোবিনের সাথে যুক্ত হয়ে ফুসফুসে পরিবাহিত হয়, তবে কার্বন ডাই অক্সাইড সিংহভাগ বাই কার্বনেট আইন হিসেবে রক্ত দ্বারা ফুসফুসে পরিবাহিত হয়।

পোস্ট সূচিপত্র: রক্ত উৎপাদন ও সঞ্চালন-Blood Production And Circulation

ভূমিকা

রক্ত আমাদের শরীরের একটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে আমরা জানি আমাদের দেহের প্রায় ৮% রক্ত থাকে। এবং একটি সুস্থ মানুষের শরীরে প্রায় পাঁচ থেকে ছয় লিটার রক্ত থাকে। এই রক্তকে সুস্থ সবল রাখার জন্য আমাদের দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন প্রক্রিয়া এর মাধ্যমে রক্তের শুদ্ধতা বজায় রাখা প্রয়োজন। এছাড়াও বিভিন্ন গ্রুপের রক্ত কিভাবে সঞ্চালন করা হয় বা সঞ্চালনের পদ্ধতি এগুলো জানা দরকার রয়েছে একজনের রক্তের সাথে আরেকজনের রক্ত মেশানো হলে কেন সেটি কখনো কখনো স্বাভাবিকভাবে মিশে যায় আবার কেন কখনো কখনো হয়ে যায়।

রক্ত উৎপাদন ও সঞ্চালন-Blood Production And Circulation


 এটি বুঝতে হলে প্রথমে আমাদের দুটি জিনিস বুঝতে হবে একটি হলে এন্টিজেন অন্যটি অ্যান্টিবডি অ্যান্টিজেন হচ্ছে বহিরাগত কোন বস্তু বা প্রোটিন যেটি আমাদের রক্তে প্রবেশ করলে আমাদের শরীরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা সেটাকে শরীরের জন্য ক্ষতিকর মনে করে তাকে প্রতিরোধ করার চেষ্টা করে। এন্টিজেনকে প্রতিরোধ করার জন্য আমাদের রক্ত যে পদার্থ তৈরি করে সেটাকে এন্টিবডি বলে।

আরো পড়ুন: সুস্থ দেহ পেতে খাদ্য ও পুষ্টির প্রয়োজনীয়তা

রক্ত রস বা প্লাজমা-Blood Fluid or Plasma

রক্তের তরল অংশকে প্লাজমা বলে। রক্ত রসের পায়ে ৯০% পানি, বাকি 10% দ্রবীভূত অবস্থায় থাকে বিভিন্ন রকমের জৈব এবং অজৈব পদার্থ। অজৈব পদার্থগুলো মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের খনিজ পদার্থের আয়ন যেমন-সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ক্লোরিন, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, আয়োডিন এবং বিভিন্ন জাতীয় গ্যাস পদার্থ। জৈব পদার্থ হল-

  1. খাদ্যসার: গ্লকোজ, অ্যামিনো এসিড, স্নেহ পদার্থ, ভিটামিন ইত্যাদি।
  2. রেচন পদার্থ: ইউরিয়া, ইউরিক এসিড, amino, ক্রিয়েটিনিন ইত্যাদি।
  3. প্রোটিন: ফাইব্রিনোজেন, গ্লোবিউলিন, এলবুমিন ইত্যাদি।
  4. প্রতিরক্ষামূলক দ্রব্যাদি: এন্টি টক্সিন, অ্যাগ্লটিনিন ইত্যাদি।
  5. অন্তঃক্ষরা গ্রন্থির নিঃসৃত বিভিন্ন হরমোন।
  6. কোলেস্টেরল, লেসোথিন বিলিরুবিন ইত্যাদি নানা ধরনের যৌগ।

রক্ত রসের কাজ গুলো হচ্ছে

  1. রক্ত কণিকা সহ রক্ত রসে দ্রবীভূত খাদ্য সারদেহের বিভিন্ন অংশে বাহিত করা।
  2. টিস্যু থেকে বর্জ্য পদার্থ নির্গত করে, সেগুলো রেচন এর জন্য বক্কে পরিবহন করে।
  3. শ্বসনের ফলে কোষের সৃষ্ট c02 কে বাই কার্বনেট হিসেবে ফুসফুসে পরিবহন করেঅ
  4. রক্ত জমাট বাঁধার প্রয়োজনীয় উপাদান গুলো পরিবহন করে।
  5. হরমোন, এনজাইম, লিপিড প্রগতি দেহের বিভিন্ন অংশে বহন করে।
  6. রক্তের অম্ল ক্ষারের ভারসাম্য রক্ষা করে।

রক্ত উৎপাদন ও সঞ্চালন-Blood Production And Circulation


সিরাম

রক্ত থেকে রক্ত কণিকা এবং রক্ত জমাট বাঁধার জন্য যে প্রয়োজনীয় প্রোটিন আছে, সেটাকে সরিয়ে নেওয়ার পর যে তরলটি রয়ে যায় তাকে সিরাম বলে । অন্যভাবে বলা যায়, রক্ত জমাট বাঁধার পর যে হালকা হলুদ রঙের রস পাওয়া যায় তাকে সিরাম বলে। রক্ত রস বা প্লাজমা এবং সিরাম এর মধ্যে পার্থক্য হল রক্তরসে রক্ত জমাট বাঁধার প্রয়োজনীয় প্রোটিন থাকে, সেটি থাকে না।

রক্ত কণিকা-Blood Cells

রক্ত রসের মধ্যে ছড়ানো বিভিন্ন রকমের কোষ কে রক্তকণিকা বলে। রক্ত কণিকা গুলো প্রধানত তিন রকমের যথা-

লোহিত রক্তকণিকা : মানবদেহের পরিণত লোহিত রক্তকণিকা দি অবতল এবং চাকতি আকৃতির। এতে হিমোগ্লোবিন নামক রঞ্জক পদার্থ থাকার কারণে দেখতে লাল বর্ণের হয়। এজন্য এদেরকে আর বি সি বলা হয়। অন্যভাবে বলা যায় লোহিত কণিকা প্রকৃতপক্ষে হিমোগ্লোবিন ভর্তি ক্যাপ্টা আকৃতির ভাসমান ব্যাগ। এই কারণে লোহিত কণিকা অধিক পরিমাণ অক্সিজেন পরিবহন করতে পারে। লোহিত কণিকাগুলো বিভাজন হয় না। এই কণিকা গুলো সর্বক্ষণ অস্থিমজ্জায় ভিতরে উৎপন্ন হয়ে থাকে এবং উৎপন্ন হওয়ার পর রক্তরসে চলে আসে। মানুষের লোহিত রক্তকণিকা চার মাস অর্থাৎ ১২০ দিন। স্তন্যপায়ী প্রাণী উৎপন্ন হওয়ার পর রক্ত রসে আসার পূর্বে নিউক্লিয়াস বিহীন হয়ে যায়। অন্যান্য মেরুদন্ডী পানির ক্ষেত্রে এরকম ঘটেনা অর্থাৎ এদের লোহিত রক্তকণিকাগুলো নিউক্লিয়াস থাকে।

লোহিত রক্তকণিকার কাজ

  1. দেহের প্রতিটি কোষে অক্সিজেন সরবরাহ করা
  2. নিষ্কাশনের জন্য কিছু পরিমাণ কার্বন-ডাই-অক্সাইডের টিস্যু থেকে ফুসফুসে বহন করা।
  3. হিমোগ্লোবিনের সাহায্যে রক্তের অম্ল ক্ষারের সমতা বজায় রাখার জন্য বাফার হিসেবে কাজ করা।

শ্বেত রক্তকণিকা : শ্বেতকণিকা নির্দিষ্ট কোন আকার নেই। এগুলো হিমোগ্লোবিনবিহীন এবং নিউক্লিয়াসযুক্ত বড় আকারের কোষ। শ্বেত কণিকার গড় আয়ু ১-১৫ দিন। হিমোগ্লোবিন না থাকার কারণে এদের শ্বেত রক্তকণিকা বলা হয়। শ্বেত কণিকার সংখ্যা আর বি সি এর তুলনায় অনেক কম। এরা অ্যামিবার মত দেহের আকারের পরিবর্তন করে। ফ্যাগোসাইট্রোসিস প্রক্রিয়ায় এটি জীবাণুকে ধ্বংস করে। শ্বেত কণিকাগুলো রক্তরসের মধ্য দিয়ে নিজেরাই চলতে পারে। রক্ত জালিকার প্রাচীর ভেদ করে টিস্যুর মধ্যে প্রবেশ করতে পারে। দেহে বাইরের জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত হলে দ্রুত শ্বেত কণিকার সংখ্যা বৃদ্ধি ঘটে। মানবদেহে প্রতি ঘন মিলিমিটার রক্তে৪-১০ হাজার শ্বেত রক্তকণিকা থাকে। অসুস্থ মানবদেহে এর সংখ্যা বেড়ে যায়। শ্বেত রক্তকণিকায় ডিএনএ থাকে।

রক্ত কণিকা-Blood Cells


আরো পড়ুন: ঘুমের ওষুধ খাওয়ার উপকারিতা এবং অপকারিতা কি

অনুচক্রিকা রক্ত কণিকা:ইংরেজিতে এদেরকে প্লেইটলেট বলে। এগুলো গোলাকার, অথবা রড আকারের হতে পারে। এদের সাইটোপ্লাজম দানাদার এবং সাইটোপ্লাজমে কোষ মাইটোকনড্রিয়া, গলগি বস্তু থাকে কিন্তু নিউক্লিয়াস থাকে না। অনেকের মতে অনুচক্রিকা গুলো সম্পূর্ণ কোষ নয় এগুলো অস্থিমজ্জার বৃহদাকার কোষের চিহ্ন অংশ। অনুচক্রিকার গুলোর গড় আয়ু৫-১০ দিন। পরিণত মানবদেহে প্রতি ঘন মিলিমিটারে রক্তে অনুচক্রিকার সংখ্যা থাকে প্রায় আড়াই লাখ। অসুস্থ দেহে এদের সংখ্যা আরো বেশি হয়। অনুচক্রিকার প্রধান কাজ হল রক্ত তঞ্চন করা বা জমাট বাঁধানো তে সাহায্য করা। যখন কোন রক্তবাহিকা বা কোন টিস্যু আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে কেটে যায়, তখন সেখানকার অনুচক্রিকাকা গুলো সক্রিয় হয়ে ওঠে অনিয়মিত আকার ধারণ করে এবং থ্রম্বোপ্লাসটিন নামক পদার্থ তৈরি করে।

রক্তের সাধারণ কাজ-Normal Function of Blood

মানব দেহে রক্তের বিভিন্ন কাজ রয়েছে। দেহে ও সুস্থ সবল রাখার জন্য রক্তের ভূমিকা অপরিসীম। কেননা শরীরে যদি রক্ত ঘাটতি থাকে তাহলে জীবন ঝুঁকিতে থাকে। রক্তের সাধারন কাজগুলো নিম্নরূপ-

  1. শ্বাসকার্য: রক্ত অক্সিজেন কে ফুসফুস থেকে টিসু কষে এবং টিস্যু থেকে কার্বন ডাই অক্সাইডকে ফুসফুসে পরিবহন করে। লোহিত কণিকা প্রধানত এই কাজটি করে।
  2. হরমোন পরিবহন: অন্তক্ষরা গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত হরমোন দেহের বিভিন্ন অংশে পরিবহন করে।
  3. খাদ্যসার পরিবহন: দেহের সঞ্চয় ভান্ডার থেকে এবং পরিপাককৃত খাদ্যসার দেহের টিস্যু কোষ গুলোতে বহন করে।
  4. বর্জ্য পরিবহন: নাইট্রোজেনঘটিত বর্জ্য পদার্থগুলোকে কিডনি বাক্য পরিবহন করে।
  5. উষ্ণতা নিয়ন্ত্রণ: দেহে তাপের বিস্ততি ঘটিয়ে দেহে তাপের নির্দিষ্ট তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।
  6. রোগ প্রতিরোধ: দেহে রোগ জীবাণু প্রবেশ করলে মনোসাইট ও নিউট্রোফিল জাতীয় শ্বেত কণিকা ফ্যাগোসাইটোটিস পদ্ধতিতে জীবনকে গ্রাস করে ধ্বংস করে। লিম্ফোসাইট জাতীয় শ্বেতকণিকা অ্যান্টিবডি গঠন করে দেহের ভিতর জীবাণুকে ধ্বংস করে এবং বাইরের থেকে জীবাণুর আক্রমণ প্রতিহত করে।

রক্তের সাধারণ কাজ-Normal Function of Blood


রক্ত উৎপাদনের অস্বাভাবিক অবস্থা

মানুষের রক্তের বিভিন্ন উপাদানের তারতম্য ঘটলে যে অবস্থার সৃষ্টি হয়, তাকে রক্তের অস্বাভাবিক অবস্থা বলে যেমন-

পলিসাইথিমিয়া: লোহিত রক্তকণিকার সংখ্যা স্বাভাবিকের তুলনায় বৃদ্ধি পাওয়া।

অ্যানিমিয়া: লোহিত কণিকার সংখ্যা স্বাভাবিকের তুলনায় কমে যাওয়া অথবা হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ স্বাভাবিকের অবস্থায় তুলনায় অনেক কমে যাওয়া।

লিউকেমিয়া: নিউমেনিয়া, প্লেগ, কলেরা প্রগতি রোগে শ্বেত কণিকার সংখ্যা বেড়ে যায়। কিন্তু যদি সে কণিকার সংখ্যা অত্যাধিক হারে বেড়ে পঞ্চাশ হাজার থেকে এক লক্ষ হয়, তাহলে তাকে লিউকেমিয়া বা ব্লাড ক্যান্সার বলে।

লিউকোসাইটোসিস: শ্বেত কণিকার সংখ্যা স্বাভাবিক অবস্থার মান থেকে বেড়ে যদি ২০ হাজার থেকে ৩০ হাজার হয় তাকে লিউকোসাইটোসিস বলে। নিউমেনিয়া, হুপিংকাশি ইত্যাদি রোগে এই অবস্থা হয়।

থ্যালাসেমিয়া: থ্যালেসিমিয়া এক ধরনের বংশগত রক্তের রোগ। এ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির রক্তের হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কমে রক্তশূন্যতা সৃষ্টি হয়। হিমোগ্লোবিন অসামিকতার কারণে লোহিত রক্তকণিকা ভেঙ্গে যায়, ফলে রক্তশূন্যতা দেখা দেয়। এ রোগটি মানুষের অটোমে অবস্থিত প্রচ্ছন্ন জিনের দ্বারা ঘটে । যখন মাথা ও পিতা উভয়ের অটোমে এই দিনটি প্রচ্ছন্ন অবস্থায় থাকে, কখন তাদের সন্তানদের মধ্যে প্রচ্ছন্ন দিন দুটি একত্রিত হয়ে এই রোগে প্রকাশ ঘটায়। সাধারণত শিশু অবস্থায় থ্যালাসেমিয়া রোগটি সনাক্ত হয়। এ রোগের জন্য রোগীকে প্রতি তিন মাস অন্তর রক্ত সঞ্চালন প্রয়োজন হয়। তবে অনেক ক্ষেত্রে দেখা গেছে বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে রক্তশূন্যতার হার কমে যায়।

আরো পড়ুন: সুস্থ দেহ ও জীবন যাপনে শারীরিক শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা

রক্তের শ্রেণীবিভাগ ও গুরুত্ব

কোন দাতার রক্ত গ্রহই তার দেহে দেওয়ার আগে সব সময়ই দুজনের রক্তের গ্রুপ জানার জন্য পরীক্ষা করে নেওয়া খুব জরুরী। ভুল গ্রুপের রক্ত দেওয়া হলে গ্রহিতার রক্তকে জমাট বাঁধিয়ে পানহানের কারণ হতে পারে। খুবই জরুরি অবস্থা যদি গ্রহীতার রক্তের গ্রুপ জানা সম্ভব না হয় তাহলে  OএবংRh নেগেটিভ রক্ত দেওয়াই সবচেয়ে নিরাপদ। কোন শিশুর পিতৃত্ব নির্ণয়ে জটিলতা দেখা দিলে রক্তের গ্রুপ পরীক্ষা করে অনেক সময় তার সমাধান করা যায়। রক্তের গ্রুপ নির্ণয়ের মাধ্যমে বিশেষ প্রক্রিয়ার অপরাধীদের সনাক্তকরণের ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

রক্তের শ্রেণীবিভাগ ও গুরুত্ব




রক্তনীতি: মানুষের অসুস্থতা কিংবা দুর্ঘটনার জন্য পর্যাপ্ত রক্তের ঘাটতি দেখা দিলে অন্য মানুষের শরীর থেকে রক্ত দেওয়া বা রক্ত সঞ্চালনের প্রয়োজন হয়। এ ক্ষেত্রে অবশ্যই জীবাণুমুক্তএবং সঠিক গ্রুপের রক্ত নিশ্চিত করে নিতে হয়। রক্ত সঞ্চরণের আগে রক্তের এইডস, জন্ডিস এ ধরনের জটিল রোগের জীবাণু আছে কি না তাও পরীক্ষা করে নিতে হয়। ডাক্তার অবশ্যই রোগী এবং দাতার রক্তের গ্রুপ পরীক্ষা করে গ্রুপ ম্যাচ করার মাধ্যমে একজনের শরীর থেকে অন্যজনের শরীরে রক্ত সঞ্চালনের উদ্যোগ নেন। সঠিকভাবে গ্রুপ ম্যাচ না করে রক্ত সঞ্চালন করা হলে মানুষের শরীরে বড় ধরনের বিপর্যয় ঘটতে পারে।

উপসংহার

উপরোক্ত বিষয় হতে আমরা জানলাম কিভাবে রক্ত সঞ্চালন করতে হয় এবং সঠিকভাবে রক্তের গ্রুপ নির্ণয় করা। এবং সঠিক গ্রুপ নির্ণয় না করে দাতা এবং রবি তার মাধ্যমে রক্ত সঞ্চারণ না করা। এছাড়াও রক্ত আমাদের শরীরে বিভিন্ন প্রয়োজনীয় দিকগুলো উল্লেখ করে দেওয়া হয়েছে এবং রক্তের বিভিন্ন কণিকা কোন কণিকার কি কাজ এই বিষয়ে আমরা উপরোক্ত বিষয় হতে জানতে পেরেছি

No comments:

Post a Comment