কিভাবে প্রযুক্তি আমাদের জীবনে উন্নয়ন করছে-বিভিন্ন প্রযুক্তির বর্ণনা - M.A IT FIRM

কিভাবে প্রযুক্তি আমাদের জীবনে উন্নয়ন করছে-বিভিন্ন প্রযুক্তির বর্ণনা

 কিভাবে প্রযুক্তি আমাদের জীবনে উন্নয়ন করছে-বিভিন্ন প্রযুক্তির বর্ণনা 

যোগাযোগ মানুষের জীবনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। যোগাযোগ মানুষ দেশ এবং সমাজকে অনেক কাছাকাছি নিয়ে এসেছে। সৃষ্টির আদিকাল থেকে মানুষ নানা ভাবে একে অন্যের সাথে যোগাযোগ করে আসছে। 

কিভাবে প্রযুক্তি আমাদের জীবনে উন্নয়ন করছে-বিভিন্ন প্রযুক্তির বর্ণনা

এখন আমরা রেডিও টেলিভিশন স্যাটেলাইট টেলিফোন মোবাইল বা সেল ফোন ইন্টারনেট  ও ইমেইল ব্যবহার করে মুহূর্তের মাঝে পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে যোগাযোগ করতে পারে। যোগাযোগ মানুষের জীবনযাত্রার মান পাল্টে দিয়েছে, তাকে নিয়ে যাচ্ছে উন্নতির চরম শিখরে। সমাজ দেশ আর বিশ্বে অর্থপূর্ণ এবং উন্নত জীবন যাপন করতে হলে বিভিন্ন মানুষ দেশ ও সমাজের সাথে আমাদের যোগাযোগ রক্ষা করতেই হবে।

পোস্ট সূচিপত্র: কিভাবে প্রযুক্তি আমাদের জীবনে উন্নয়ন করছে-বিভিন্ন প্রযুক্তির বর্ণনা বর্ণনা

ভূমিকা

প্রযুক্তি আমাদের জীবনে বিভিন্নভাবে উন্নয়ন করে এসেছে বর্তমানে প্রযুক্তির বিভিন্ন উন্নয়নের কারণে আমরা আমাদের জীবন সচ্ছল এবং উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে নির্ধারায় নিজেকে নিয়োজিত করতে পারছি। যোগাযোগ শব্দটির সাথে আমরা সবাই পরিচিত। প্রতিদিন আমরা হাজার হাজার রকম যোগাযোগ করছি। যেমন সড়কপথে যোগাযোগ নৌপথে যোগাযোগ কিংবা আকাশ পথে যোগাযোগ।

 এসব বলতে বোঝায় গাড়ি রেল নৌকা স্টিমার ও বিমানকে বাহন হিসেবে ব্যবহার করে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাওয়া বা কোন মালপত্র দেওয়া। একটু ভিন্ন ধরনের যোগাযোগের কথা বলতে গেলে বলা যায় তার নাম তথ্য ও যোগাযোগ। টেলিভিশন বা রেডিওতে খবর শোনা বা কোন অনুষ্ঠান দেখা বা সোনাকে। এক ধরনের যোগাযোগ বলে। সুতরাং যোগাযোগ হলেও একই স্থান হতে অন্যস্থান এবং এক ব্যক্তি হতে অন্য ব্যক্তি তে বা এক যন্ত্র থেকে অন্যজনকে কথাবার্তা চিন্তাভাবনা ও তথ্যের আদান প্রদান বা বিনিময় করা।

আরো পড়ুন: তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির গুরুত্ব এবং উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব

যোগাযোগের মৌলিক নীতিমালা

  1. যোগাযোগের জন্য অবশ্যই প্রেরক এবং গ্রাহক থাকতে হবে। পেরেক আর গ্রাহক ছাড়া যোগাযোগ হয় না যোগাযোগের জন্য প্রেরক গায়কের পরস্পরের প্রতি আস্থা থাকবে, থাকবে আগ্রহ এবং গ্রহণযোগ্যতা।
  2. যোগাযোগ ভাষা হতে হবে সহজ, সরল, সুস্পষ্ট এবং সম্পূর্ণ। যোগাযোগ আর্ট বা কলা। এর তথ্য বা সংকেত বা ভাষা হবে প্রেরক ও গাহকের নিকট বোধগম্য এবং সুস্পষ্ট।
  3. সঠিক তথ্য পাঠাতে হবে সঠিক ব্যক্তির কাছে।
  4. যোগাযোগের ভাষা কথা বা বার্তার মধ্যে অবশ্যই সৌজন্যবোধ থাকতে হবে।

যোগাযোগের প্রক্রিয়া ও এর ধাপসমূহ

যোগাযোগের জন্য প্রেরকবার তাকে কোন এক ধরনের সংকেতে রূপ দিয়ে সেটি কোন মাধ্যম দিয়ে প্রেরণ করে। গ্রাহক সংকেত রুপি বার্তা গ্রহণ করে এর অর্থ উদ্ধার করে এবং প্রয়োজন হলে সারা প্রদান করে বা উত্তর দেয়। এছাড়া বা উত্তরকে পাঠানো হয় পেরেকের কাছে এই কাজটিকে বলা হয় ফিডব্যাক।

কিভাবে প্রযুক্তি আমাদের জীবনে উন্নয়ন করছে-বিভিন্ন প্রযুক্তির বর্ণনা


এভাবে যোগাযোগ প্রক্রিয়া চলতে থাকে যে কোন ইলেকট্রনিক যোগাযোগ ব্যবস্থার একটি পেরেক যন্ত্র, একটি যোগাযোগ মাধ্যম এবং একটি গ্রাহক যন্ত্র। অধিকাংশ যোগাযোগ ব্যবস্থা মেসেজ বা বার্তাটির তৈরি করে কোন ব্যক্তি। ৭ দিয়ে যোগাযোগ মাধ্যম দিয়ে প্রেরণ করা হয়। গ্রাহক যন্ত্র এই বার্তা গ্রহণ করে অপর কোন ব্যক্তির কাছে পৌঁছে যায়

যোগাযোগের উদ্দেশ্য এবং গুরুত্ব

যোগাযোগ হল তথ্য আদান-প্রদানের মূল প্রক্রিয়া। এর মাধ্যমে মানুষ তার চিন্তা, ধারণা, অনুভব একে অন্যের কাছে প্রকাশ করে বা পৌঁছে দেয়। মানুষ সৃষ্টির আদিকাল থেকে মানুষ একে অন্যের সাথে নানা ভাবে যোগাযোগ করছে। এখন আমরা মুহূর্তের মধ্যে টেলিফোন, মোবাইল ফোন, ইন্টারনেট, ও ইমেইলের মাধ্যমে পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে যোগাযোগ করতে পারি। কোন সমস্যার সমাধান এবং সম্পর্কের উন্নতি নির্ভর করে স্বার্থক এবং কার্যকর যোগাযোগের উপর।

 পড়ালেখা, গবেষণা, ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্প কারখানা, রাজনীতি, অর্থনীতি, কূটনীতি, পরিবহন ব্যবস্থাপনা, অপরাধী ধরা অপরাধ দমন ইত্যাদি সব কাজ  সার্থক ভাবে ও দ্রুত সম্পাদন করা হয় উন্নত যোগাযোগের মাধ্যমে। তথ্যবিনিময় কোন পরিকল্পনা তৈরি ও বাস্তবায়ন কোন যৌথ উদ্যোগ গ্রহণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি পণ্যের বিজ্ঞাপন প্রদান করে মানুষকে প্রভাবিত করায় ইত্যাদি সব কাজে যোগাযোগের দ্বারা করা সম্ভব। ইলেকট্রনিক যোগাযোগ প্রযুক্তি আমাদের দিন দিন পৌঁছে দিচ্ছে উন্নতির শিখরে। প্রতিদিনই এগিয়ে যাচ্ছি আমরা। তাই এই যুগকে বলা হয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির যুগ।

আরো পড়ুন: কিভাবে কম্পিউটার ও কম্পিউটার ব্যবহারকারী নিরাপত্তা দেওয়া যায়

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ভূমিকা এবং ব্যবহার

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি এখন খুবই পরিচিত একটি বিষয়। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে সাধারণ কাজ থেকে শুরু করে পেশাগত জীবনের অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ এখন আমরা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহার করে সহজেই করে ফেলতে পারি। উনবিশ শতকে টেলিফোন ও টেলিগ্রাফের বিকাশ উন্নয়নে মানুষের যোগাযোগ আরও ক্ষমতা অনেক দূর এগিয়ে গিয়েছিল। ২০ শতাব্দীতে যোগাযোগের বিপ্লব এনেছে রেডিও, টেলিভিশন, সেলফোন বা ফ্যাক্স। অবদান রেখেছে কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট

রেডিও: রেডিও বিনোদন ও যোগাযোগ এর একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যমে। রেডিওতে আমরা খবরের পাশাপাশি বিনোদনের জন্য গান বাজনা এমনকি পণ্যের বিজ্ঞাপন ও শুনতে পারি। সেনাবাহিনী ও পুলিশ বাহিনী তথ্য আদান-প্রদানের জন্য নিজস্ব রেডিও ব্যবহার করে। মোবাইল বা সেলুলার টেলিফোন যোগাযোগে রেডিও প্রযুক্তি ব্যবহার হয়। কোন রেডিও সম্প্রচার স্টেশনের স্টুডিওতে যখন কেউ মাইক্রোফোনে কথা বলে, তখন সেই শব্দ বিদ্যুৎ তরঙ্গে রূপান্তরিত হয়। টিকে পাঠানোর জন্য উচ্চ কম্পাঙ্কের তরঙ্গের সাথে যুক্ত করা হয়। এই উচ্চ কমপক্ষে তরঙ্গ কে বাহক তরঙ্গ বলে।

টেলিভিশন: আমরা সবাই টেলিভিশন দেখেছি এবং জানি যে টেলিভিশন এমন একটি যন্ত্র যেখানে দূরবর্তী কোনো টেলিভিশন সম্প্রচার স্টেশন থেকে শব্দের সাথে সাথে ভিডিও বা চলমান ছবি দেখতে পাই। 1926 সালে জন লজি বেয়ার্ড প্রথম টেলিভিশনের মাধ্যমে ভিডিও বা চলমান ছবি পাঠিয়েছিলেন। তার পদ্ধতিটি ছিল একটি যান্ত্রিক পদ্ধতি, পরে ইলেকট্রনিক্স ব্যবহার করে ছবি পাঠানোর পদ্ধতিটি আরও আধুনিক পদ্ধতি হিসেবে ব্যবহৃত হতে শুরু করে। এবং রিসিভার কিভাবে কাজ করে সেটি যদি আমরা জানতে পারি তাহলে টেলিভিশন কিভাবে কাজ করে সেটিও সহজেই বুঝতে পারবো।

কিভাবে প্রযুক্তি আমাদের জীবনে উন্নয়ন করছে-বিভিন্ন প্রযুক্তির বর্ণনা

টেলিফোন বা ফ্যাক্স: টেলিফোন হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় এবং সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত একটি যোগাযোগ মাধ্যম। আমরা এখন এই টেলিফোন ব্যবহার করে পৃথিবীর যেকোন প্রান্তে একজন মানুষের সাথে যোগাযোগ করতে পারি। ১৯৭৫ সালে আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেল টেলিফোন আবিষ্কার করেছিলেন, নানা ধরনের বিবর্তনের মধ্য দিয়ে সেটি বর্তমানে আধুনিক টেলিফোনে রূপ নিয়েছে, কিন্তু তার মূল কাজ করার প্রক্রিয়াটি ঠিক এখনো আগের মতোই আছে। আমরা পূর্বেও সকলের টেলিফোন দেখেছি বা ব্যবহার করেছি। প্রযুক্তি উন্নতি হওয়ার আগে যখন পৃথিবী দুই প্রান্তের দুইজন মানুষ টেলিফোনে কথা বলতো, তখন কথাবার্তা পাঠানোর জন্য তাদের টেলিফোনকে তামার তার দিয়ে সংযুক্ত করে দিতে হতো, সে কারণে পুরো প্রক্রিয়াটা ছিল অনেকটা খরচ সাপেক্ষ। আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থা পুরোটা অনেক সহজ হয়ে গেছে, এখন একটি অপটিক্যাল ফাইবারে একই সাথে আক্ষরিক অর্থে লক্ষ লক্ষ মানুষের কথাবার্তা পাঠানো সম্ভব তাই টেলিফোন কথাবার্তা বলার বিষয়টি অনেক সহজ হয়ে গিয়েছে।

আরো পড়ুন:  জীবন বাঁচাতে স্বাস্থ্য বিজ্ঞান-জীবনে বিজ্ঞানের ভূমিকা

মোবাইল ফোন: ল্যান্ডফোনে যেহেতু তামার তার দিয়ে যুক্ত তাই এটাকে একটা নির্দিষ্ট জায়গায় রাখতে হয় এবং টেলিফোন করার জন্য কিংবা টেলিফোন ধরার জন্য সেই জায়গাটিতে আসতে হয়। মোবাইল টেলিফোন আমাদের সেই বাধ্যবাধকতা থেকে মুক্তি দিয়েছে এবং এই টেলিফোনটি আমরা আমাদের সাথে রেখে যেকোনো জায়গায় যেতে পারি এবং যতক্ষণ আমরা নেটওয়ার্কের ভিতরে আছি যে কোন নম্বরে ফোন করতে পারি কথা বলতে কিংবা এসএমএস এর বিনিময় করতে পারি। সে কারণে মোবাইল ফোন এখন সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত এবং সবচাইতে জনপ্রিয় যোগাযোগ মাধ্যম। উল্লেখিত বিষয় যে শুরুতেই কথা বলার জন্য টেলিফোন উদ্ভাবন করা হয়েছিল। মোবাইল টেলিফোন নিয়ে কথার সাথে সাথে এসএমএস পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। এখন স্মার্টফোন নামে নতুন যে ফোন গুলো এসেছে সেগুলো কণ্ঠস্বর ভয়েস সাথে সাথে সব ধরনের তথ্য পাঠাতে পারে। কাজেই সেগুলো সরাসরি ইন্টারনেটের সাথে যুক্ত হতে পারে এবং আগে যে কাজগুলো কম্পিউটার বা ল্যাপটপ ছাড়া করা সম্ভব ছিল না সেগুলো এই স্মার্টফোন দিয়ে করা সম্ভব হয়েছে। শুধু তাই নয় এই স্মার্ট ফোনগুলো জন্য নানা ধরনের অ্যাপ্লিকেশন তৈরি হয়েছে সেগুলো দিয়েই স্মার্টফোন আমাদের আরো নানা ধরনের কাজ করতে সাহায্য করে।

ফ্যাক্স: ফ্যাক্স শব্দটি হচ্ছে  ফ্যাক্সমিল এর সংক্ষিপ্ত রূপ। ফ্যাক্স করা বলতে আমরা বোঝাই কোন ডকুমেন্ট কে কপি করে টেলিফোন লাইন ব্যবহার করে তাৎক্ষণিকভাবে সরাসরি পাঠিয়ে দেওয়া। বর্তমান যুগে কম্পিউটার নেটওয়ার্ক ইন্টারনেট এই ফ্যাক্স প্রযুক্তিতে অনেক পিছনে ফেলে এসেছে। তারপরও প্রায় সব প্রতিষ্ঠানেই এখানে এই প্রাচীন কিন্তু নির্ভরযোগ্য প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে যাচ্ছে। পাঠানো হয় টেলিফোন লাইন দিয়ে কিন্তু প্রথম সেক্সের ধারণাটি প্যাটেন্ট করা হয় টেলিফোন আবিষ্কারের৩০ বছর আগে।

রেডিও, টেলিভিশন ও মোবাইল ফোন এর তৈরি সমস্যা

ভিডিও এবং টেলিভিশন থেকে যে সমস্যা দেখা দিতে পারে, সেগুলো প্রধানত শব্দ দূষণ জনিত স্বাস্থ্য সমস্যা। অনেকেই খুব হাই ভলিউম এ রেডিও টেলিভিশন ব্যবহার করে। এতে নিজের কানের যেমন সমস্যা হতে পারে তেমনি আশেপাশে যারা থাকে তাদেরও সমস্যা হতে পারে। যারা কানে হেডফোন লাগিয়ে সারাক্ষণ খুব বেশি শব্দ রেডিও বা মিউজিক শুনে তারা মাথাব্যথা কানে কম শোনা এরকম স্বাস্থ্য সমস্যায় পড়তে পারে। এছাড়াও যারা দিনে তিন চার ঘন্টা থেকে বেশি টিভি দেখে, তাদের মাথাব্যথা নিদ্রাহীনতা চোখে ব্যথা বা চোখের দৃষ্টি কমে যাওয়ার মত সমস্যায় পড়তে পারে। এই প্রক্রিয়াগুলো শিশুদের জন্য অনেক বেশি হয়ে থাকে। 

রেডিও, টেলিভিশন ও মোবাইল ফোন এর তৈরি সমস্যা

তাদের বিকাশ মান কোষের যত উপযুক্ত বিকাশে টেলিভিশন থেকে নিশ্চিত বিকিরণ যথেষ্ট ক্ষতি করতে পারে। যে কোন স্বাস্থ্য সমস্যা প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধ করা সহজ। তাই শব্দ দূষণ বা অন্যান্য সমস্যা থেকে রক্ষা পেতে উচ্চ শব্দের রেডিও বা টিভি না চালানো একনাগারে অধিক সময় রেডিও এবং টিভি না সোনা বা না দেখা ভালো। পৃথিবীতে অটিস্টিক শিশুর সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে যাচ্ছে এবং এর পিছনে শিশুদের অল্প বয়সে টেলিভিশন দেখার একটি জোকসূত্র থাকতে পারে। সে জন্য অটেস্টিক শিশুদের পরিবারে ডাক্তারেরা টেলিভিশন না দেখার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এছাড়াও রয়েছে মোবাইল ফোন থেকে সৃষ্ট স্বাস্থ্য সমস্যা সম্পর্কে।

আরো পড়ুন:অটিজম কি? অটিজম বলতে কি বুঝি

 মোবাইল ফোন হল একটি নিম্ন ক্ষমতার রেডিও ডিভাইস, যা একটি ছোট এন্টেনা সাহায্যে একই সাথে রেডিও কম্পাঙ্ক এ বিকিরণ প্রেরণ এবং গ্রহণ করে। মোবাইল ফোন ব্যবহারের সময় এই এন্টেনাটি ব্যবহারকারীর মাথার খুব কাছের থাকে। এই নিয়ে পৃথিবীর মানুষ এখন উদ্বিগ্ন যে এই মাইক্রো তরঙ্গের ক্রমাগত ব্যবহার হয়তো মাথার ক্যান্সার রোগের সৃষ্টি করতে পারে। এসব সমস্যার সৃষ্টি সম্পর্কে খুব বেশি প্রমাণ নেই। তবে অত্যাধিক বিকিরণ থেকে রক্ষা পেতে সবাইকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে বিকিরণের প্রভাব খুব বেশি না পড়লেও শিশুদের ব্যাপারে সতর্ক থাকার করা নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ইন্টারনেট ও ইমেইল ব্যবহারের সুবিধা- প্রয়োজনীয়তা

ইন্টারনেট:সাধারণত একটা নেটওয়ার্ক দিয়ে পরস্পরের সাথে যুক্ত করা হয়ে থাকে যেন একটা কম্পিউটার অন্য একটা কম্পিউটারের সাথে যোগাযোগ করতে পারে। আবার প্রয়োজন হলে একটা কম্পিউটার অন্য কম্পিউটারের রিসোর্স ব্যবহার করতে পারে। এই ধরনের নেটওয়ার্ককে (LAN) বলা হয়ে থাকে। আজকাল (LAN) তৈরি করার জন্য একটা সুইচ এর সাথে অনেকগুলো কম্পিউটার যুক্ত করে সুইচগুলো কে পরস্পরের সাথে যুক্ত করে দিতে হয়। যখন একটা কম্পিউটারকে অন্য কম্পিউটারের যোগাযোগ করতে হয় সেটি যদি তার নিজের সুইচের সাথে যুক্ত কম্পিউটারের মাঝে পেয়ে যায় তাহলে তার সাথে সরাসরি যোগাযোগ করে।

রেডিও, টেলিভিশন ও মোবাইল ফোন এর তৈরি সমস্যা

 সেখানে না পেলে খোঁজ করতে থাকে। একটি প্রতিষ্ঠানের (LAN) কে অন্য একটি প্রতিষ্ঠানের অন্য একটি (LAN) এর সাথে যুক্ত করার জন্য রাউটার ব্যবহার করা হয়। বিভিন্ন নেটওয়ার্ক এর নিজেদের মাঝে ইন্টার কানেকশন করে নেটওয়ার্কিং করাকে ইন্টারনেট বলে। এই মুহূর্তে পৃথিবীর প্রায় 9 বিলিয়ন কম্পিউটার বা অন্য কোন ডিভাইস ইন্টারনেটের সাথে যুক্ত আছে এবং সংখ্যাটি প্রতিদিনই বাড়ছে। নেটওয়ার্ক এর নেটওয়ার্ক, যেখানে প্রাইভেট, পাবলিক, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ব্যবসা বানিজ্য, সরকারি বেসরকারি স্থানীয় ও বৈশ্বিক সব ধরনের নেটওয়ার্ক গুলোকে জড়িত হয়েছে। এই বিশাল নেটওয়ার্ক তৈরি করার জন্য নানা ধরনের ইলেকট্রনিক্স ওয়ারলেস এবং ফাইবার অপটিক নেটওয়ার্ক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে।

ই-মেইল: ইলেকট্রনিক মেইল এর সংক্ষিপ্ত রূপ হচ্ছে এবং ই মেইল বলতে আমরা বোঝাই কম্পিউটার ট্যাবলেট স্মার্টফোন ইত্যাদি ডিভাইস দিয়ে নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে একজন বা আরেকজনের সাথে ডিজিটাল তথ্য বিনিময় করা। ১৯৭১ সালে প্রথম ইমেইল পাঠানো হয় এবং মাত্র ২৫ বছরের ভেতরে পোস্ট অফিস ব্যবহার করে পাঠানো চিঠি থেকে ইমেইল এর সংখ্যা বেশি হয়ে গিয়েছিল। বর্তমানে ইমেইল ব্যবহার করা ছাড়া একটি দিনও আমরা কল্পনা  করতে পারিনা। ইমেইল পাঠানোর জন্য প্রথম যিনি পাঠাবেন এবং যিনি পাবেন দুজনেরই ইমেইলের ঠিকানা দরকার হয়। আমরা সকলেই ইমেইলের ঠিকানার সাথে পরিচিত এবং সবাই লক্ষ্য করেছি যে ইমেইল ঠিকানাটি @ বর্ণনা দিয়ে ভাগ করা হয়েছে।

আরো পড়ুন: এসিডের সঠিক ব্যবহার এবং অপব্যবহার

উপসংহার

উপরোক্ত বিষয় হতে আমরা জানলাম কিভাবে তথ্যপ্রযুক্তি আমাদের জীবনে উন্নয়ন করে আসছে এবং বিভিন্ন তথ্য প্রযুক্তির বর্ণনা। কিভাবে আমরা ইন্টারনেট ব্যবহার করছি এবং সেই ইন্টারনেট কি কি কাজে ব্যবহার করা যাচ্ছে এছাড়াও ইন্টারনেট ব্যবহারে আমাদের প্রয়োজনীয়তা গুরুত্ব এ সকল বিষয়ে উপরোক্ত বর্ণনা করা হয়েছে। এছাড়াও রেডিওটা ট্রান্সমিশন এর মাধ্যমে অথবা টেলিভিশন এর মাধ্যমে আমাদের যে সকল সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় এ সকল সমস্যা বা সমাধানের মাধ্যম আমরা জানতে পেরেছি।

No comments:

Post a Comment