বিশ্বগ্রামের ধারণা এবং আমাদের জীবনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ভূমিকা
ছায়া সুনিবির শান্তি নিড়, আমাদের স্বপ্নের গ্রামের ধারণা। এখানে সবাই সবাইকে চেনেন, প্রতিদিন সবার সাথে সবার দেখা হয়, রাত পোহালে একজন অন্যজনের খবরাখবর নেন, কুশলাদি বিনিময় করেন সুখ ও দুঃখের ভাগীদার হন। গ্রামের মানুষের যে জীবনাচার, প্রত্যেকের প্রতি প্রত্যেকের যে মমতা আন্তরিকতা রয়েছে শহরে জীবনে তা হয়তো সম্ভব নয়।
সারা বিশ্বের মানুষ পরিবেশের মতো একে অপরের পাশাপাশি থাকত তাহলে অর্থনৈতিক, জাতিগত, ধর্মীয় বা রাজনৈতিক বিভেদ ভুলে গিয়ে একে অপরের প্রতি ভাতৃত্বের পরিবেশ গড়ে সর্বোত্ত নিবিড় ও সামষ্টিক উন্নয়ন সম্ভব হতো। বিশ্ব গ্রাম বা গ্লোবাল ভিলেজ এর ধারণার সূত্রপাত মূলত এসব চিন্তা ধারাকে কেন্দ্র করে।
পোস্ট সূচিপত্র:বিশ্বগ্রামের ধারণা এবং আমাদের জীবনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ভূমিকা
- ভূমিকা
- যোগাযোগ ব্যবস্থা
- বর্তমান বিশ্বে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা
- তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিতে শিক্ষা ব্যবস্থা
- তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিতে চিকিৎসা ব্যবস্থার ভূমিকা
- উপসংহার
ভূমিকা
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির অভুত পূর্ণ উন্নয়ন এবং তথ্যের নিবিড় আদান-প্রদানের মাধ্যমে গোটা বিশ্বের মানুষের মধ্যে পারস্পরিক পরিচিতি ও সম্পর্কের বন্ধন অটুট হচ্ছে এবং প্রথমবারের মতো বিশ্বগ্রাম সৃজন এর সম্ভাবনার দান উন্মোচিত হচ্ছে। আমরা নিজেরাই অনুভব করতে পারি যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ক্রমান্বয়ের কারণেই আমরা বিশ্ববাসী এখন কেউ কারো থেকে দূরে কিংবা বিচ্ছিন্ন নয় প্রযুক্তির এই বিশ্বায়ন প্রক্রিয়ার কারণে তথ্য প্রবাহের অবাধ ও সহজলভ্য উৎস তৈরি হয়েছে। এতে করে সার্বিক জীবন যাত্রার মান ও কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি পেয়েছে।
আরো পড়ুন: প্রত্যহিক জীবনে ভার্চুয়াল এবং রিয়েলিটির প্রভাব কি
যোগাযোগ ব্যবস্থা
যোগাযোগ বলতে আমরা সবসময়ই এক জায়গাযর সাথে অন্য জায়গার যোগাযোগ বুঝিয়ে এসেছি এবং বিশ্বগ্রামের ধারণা মাঝে এই যোগাযোগ একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এসেছে। কারণ আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে একজন মানুষ বিমানে, দ্রুতগামী ট্রেনে অথবা আধুনিক সড়ক ব্যবস্থা ব্যবহার করে খুব অল্প সময়ের মাঝে এক শহর থেকে অন্য শহরে কিংবা এক দেশ হতে অন্য দেশে চলে যেতে পারে। তবে বিশ্ব গ্রামের প্রেক্ষিতে যোগাযোগ ব্যবস্থা বলতে এখন একই সঙ্গে তথ্যের আদান-প্রদান কিংবা ভাব বিনিময় করাকে বোঝায়। কথন, লিখুন কিংবা অন্য কোন মাধ্যমে তথ্যের আদান-প্রদানই এই যোগাযোগ এবং এই যোগাযোগই এখন বিশ্বগ্রাম ধারণার প্রধান উপাদান। নতুন নতুন প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন যোগাযোগের ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন সূচনা করেছেন। শত বছরের পুরনো তার যুক্ত টেলিফোন যন্ত্রের পরিবর্তে তারবিহীন মোবাইল ফোনের আবির্ভাব হয়েছে।
তার বিহীন এই প্রযুক্তির কল্যাণে আমরা ইন্টারনেট পরিষেবা গুলো যেমন ওয়েব ব্রাউজিং, ইমেইল, মেসেঞ্জার, ইমো, হোয়াটসঅ্যাপ, ভাইবার, গুগল মিট , জুম ইত্যাদির সাথে মুহূর্তের মধ্যে সারা বিশ্বের যে কোন প্রান্তের মানুষের সাথে যোগাযোগ করার সম্ভব হয়েছে। এই যোগাযোগ ব্যবস্থাকে টেলিযোগাযোগ এবং তথ্য যোগাযোগ এই দুই ভাগে ভাগ করা যেতে পারে। একসময় তার নির্ভর টেলিফোনে ছিল টেলিযোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম। পরবর্তীকালে বেতার টেলিযোগাযোগ আবিষ্কৃত হওয়ার পর আধুনিক টেলিযোগাযোগ যন্ত্রের মধ্যে টেলিফোন, মোবাইল ফোন, রেডিও, টেলিভিশন, ওয়াকি টকি ইত্যাদি ব্যবহার সর্বত্র ব্যাপকভাবে পরিলক্ষিত হয়।
বর্তমান বিশ্বে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা
বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশেই বেকারত্বের সমস্যা রয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তি ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির ফলে উন্নয়নশীল দেশগুলোর একটি বিরাট অংশ ইন্টারনেটের মাধ্যমে ঘরে বসেই দেশের এবং দেশের বাইরে চাকরির বাজারের আবেদন করে নিজেদের বেকারত্ব দূর করতে পারছে। আমাদের দেশে বিগত প্রায় দুই দশক ধরে বিভিন্ন দেশের চাকরি ও নিয়োগ সংক্রান্ত খবরাখবর নিয়ে কয়েকটি জব পোর্টাল চালু আছে। এসব ওয়েবসাইটে ব্যক্তিগত তথ্যের গোপনীয়তা বজায় রেখে অনলাইনে চাকরির আবেদন করা যায়। এছাড়া ঘরে বসেই ইন্টারনেটের মাধ্যমে কাজ করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের সুযোগ রয়েছে। এই ধরনের কর্মসংস্থানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিকে কাজে লাগে এক দেশের নাগরিক ভিন্ন ভিন্ন দেশের নাগরিকের বা প্রতিষ্ঠানের পক্ষে দূর থেকে কাজ করে থাকেন।
এই কার্যক্রম কে আউটসোর্সিং বলে। আমাদের দেশে প্রত্যেকটি ইউনিয়নের তথ্য ও সেবা কেন্দ্র চালু হয়েছে, ফলে অনেকের কাজের সুযোগ হয়েছে, অনেকে উদ্যোক্তা হিসেবে অন্যদের কর্মসস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করেছেন। যানবাহন পরিবহনের ক্ষেত্রে অসংখ্য মানুষের কর্মসংস্থান করে দিয়েছে। আবার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার করে কোন প্রতিষ্ঠানের কাজ খন্ডকালীন বা চুক্তিভিত্তিক পদ্ধতি যে কেউ স্বাধীনভাবে নিজের দক্ষতা অনুযায়ী কাজ করতে পারছেন। কাজের স্বাচ্ছন্দের পাশাপাশি কাজের স্থান ও সময়ের কোন বাধা ধরা নিয়ম না থাকায় এই পেশার জনপ্রিয়তা রয়েছে। এই ধরনের চুক্তিভিত্তিক কাজকে ফ্রিল্যান্সিং বলা হয়। বিশ্বব্যাপী কয়েকটি জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেস বা জব শেয়ার ওয়েবসাইট যেমন upwork, freelancer.belancer,fiverr ইত্যাদি ডাটা এনালাইসিস, কপিরাইট, ইট গ্রাফিক্স ডিজাইন, সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, এফিলিয়েট মার্কেটিং, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন, গুগল এডসেন্স, ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট, অপটিক্যাল ব্লক রাইটিং ইত্যাদি নানা ধরনের কাজ করা যায়।
আরো পড়ুন:কিভাবে মানব জীবনে জীব প্রযুক্তির ব্যবহার করা হয়
অবশ্য ফ্রিল্যান্সিং কাজের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন অপদৃষ্টিতে আকর্ষণীয় মনে হলেও ভিন্নধর্মী জীবন যাপন অর্থাৎ আত্মীয়-স্বজন বা পরিবার বিচ্ছিন্নতা এই কাজের বড় ধরনের নেতিবাচক দিক। রাত জেগে কাজ করা, দক্ষতা অনুযায়ী কাজ না পাওয়া, কাজের যোগান দিতে বাধ্য হওয়ার জন্য মানসিক চাপ, সরবরাহকিত কাজের যথাযথ মূল্যায়ন না হওয়া বা পারিশ্রমিক পরিষদের ক্ষেত্রে নানাবিধ জটিলতা এবং সর্বোপরি পেশা হিসেবে সামাজিকভাবে স্বীকৃতি না হওয়ায় অনেকেই এই ধরনের কাজে নিরুৎসাহিত বোধ করে থাকেন।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিতে শিক্ষা ব্যবস্থা
বিশ্বগ্রামের ধারণায় শিক্ষা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান, কারণ সত্যিকারের শিক্ষাই একজন মানুষকে সমাজ এবং পরিবেশ সচেতন, মুক্ত চিন্তায় বিশ্বাসী, উদার বিশ্ব নাগরিক হতে সাহায্য করে। দ্রুত পরিবর্তনশীল এই পৃথিবীতে প্রাচীনকা শিক্ষা ব্যবস্থার ধ্যান-ধারণার পরিবর্তে চলমান শতাব্দীর উপযোগী শিক্ষা ব্যবস্থা বা পদ্ধতিতে এসেছে নতুন মাত্রা গতিশীলতা এবং যান্ত্রিকায়ন।
শিক্ষার্থীদের মেধা মরণের সাথে তাল মিলিয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির যত প্রযুক্ত ব্যবহার নিশ্চিত করে এগিয়ে যাচ্ছে শিখন পদ্ধতি। অর্থ ও যোগাযোগ প্রযুক্তি শিক্ষা বিস্তার একটি শক্তিশালী উপকরণ যা আনুষ্ঠানিক এবং অ অনুষ্ঠানিক উভয় পদ্ধতিতে অত্যন্ত কার্যকর। এতে করে নির্ধারিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আর শিক্ষকের পাশাপাশি বিশ্বমানের প্রায় যেকোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আর শিক্ষকগণের তথ্য ও জ্ঞানের ভান্ডার ব্যবহার এখন খুবই সহজ। সময় মূল্যবান পাঠ্য বই অনেক দেশে খুবই দুর্লভ একটি বিষয় ছিল, এখন ই-বুকের কারণে স্বল্প মূল্যে বা বিনামূল্যে সবাই পাঠ্য বই পেতে পারে। আমাদের দেশে জাতীয় শিক্ষা ক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের প্রকাশিত সকল পাঠ্যপুস্তক তাদের ওয়েবসাইট থেকে ই-বুক আকারে ডাউনলোড করা যায়।
বিশ্বগ্রাম ধারণায় শিক্ষা গ্রহণের জন্য শিক্ষকদের এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় কিংবা এক দেশ হতে অন্য দেশে যেতে হবে না, তারা নিজের ঘরে বসে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারবে। 2020 সালে সারা পৃথিবীব্যাপী কোভিড 19 সংক্রমনের সময় পৃথিবীর বেশিরভাগ স্কুল, কলেজ কিংবা বিশ্ববিদ্যালয় তাদের শিক্ষাক্রম বন্ধ না রেখে অনলাইন শিক্ষায় ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষাদান করেছেন। শিক্ষকেরা নিজের ঘরে বসেই অনলাইনে বিভিন্ন apps এর মাধ্যমে লাইভ ক্লাস করে সরাসরি শিক্ষার্থীদের পাঠদান করেছেন।
অনেক সময় বিষয়ভিত্তিক ভিডিও পর অনলাইন শেয়ার, ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ব্লগিং করে বিভিন্ন শিক্ষার্থীদের মাঝে বিতরণ করেছেন। একজন শিক্ষার্থী ঘরে বসে অনলাইনে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের লেকচার ভিডিও দেখে, এসাইনমেন্ট জমা দিয়ে বিশ্বের প্রায় প্রতিটি উচ্চতর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অসংখ্য বিষয়ভিত্তিক ওয়েবসাইটের মাধ্যমে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারছে। শিক্ষা কোন দেশের ভৌগলিক সীমারেখায় আবদ্ধ না থাকার কারণে বিশ্বগ্রাম ধারণার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি শিক্ষা বিস্তারে একটি শক্তিশালী অনুসর্গ হিসেবে নিজের অবস্থানকে শক্তিশালী করে যাচ্ছে।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিতে চিকিৎসা ব্যবস্থার ভূমিকা
পৃথিবীর অনেক বেশি দুর্গম ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে হাসপাতাল, কিংবা চিকিৎসা সুবিধা এমনকি ভালো হবে যাতায়াতের জন্য রাস্তাঘাট থাকে না। আবার পৃথিবীতে এমন অনেক এলাকা আছে এখানে চিকিৎসা সেবা পাওয়া দূরের কথা নিকটস্থ হাসপাতালে পৌঁছাতে দুই থেকে তিন দিন লেগে যায়। শুধু তাই নয় পৃথিবীর সবচাইতে সম্পদশালী অনেক দেশেও সর্বজনীন চিকিৎসা সেবার ব্যবস্থা নেই, জনস্বাস্থ্য অবহেলিত বলে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর পক্ষে চিকিৎসা সেবা পাওয়া সম্ভব হয় না। এই ধরনের মানুষের কাছে চিকিৎসার সুবিধা পৌঁছে দেওয়ার জন্য ডেলি মেডিসিন একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে দূরবর্তী রোগীদেরকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দ্বারা চিকিৎসা সেবা দেওয়া কে বোঝায়।
আরো পড়ুন:তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সাম্প্রতিক প্রবণতা কি
তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে স্বাস্থ্যসেবা কে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া। বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে স্বাস্থ্য খাতে গত কয়েক বছর ধরে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু হয়েছে। নানা সীমাবদ্ধতার মধ্যেও ওয়ার্ড, ইউনি য়ন ও উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতালগুলোয় টেলিকনফারেন্স, ভিডিও কনফারেন্স এর মাধ্যমে চিকিৎসা সেবা শুরু হয়েছে এবং জনসাধারণের সুফল ভোগ করা শুরু করেছেন। তাছাড়া ইমেইলে এর মাধ্যমে পাঠানো রোগীর চিকিৎসা সংক্রান্ত পরীক্ষার রিপোর্ট ইত্যাদি পর্যবেক্ষণ করে রোগ নির্ণয়ের সহজ হচ্ছে।
অনেক সময় অনেক জটিল ধরনের অপারেশন করার ক্ষেত্রে একজন চিকিৎসক ভিডিও কনফারেন্সিং এর মাধ্যমে অন্য আরেকজন অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে থাকেন বিভিন্ন নামীয় ওয়েবসাইট রয়েছে যেখানে বিশ্বের যেকোনো প্রান্ত থেকে অনলাইন চিকিৎসা সেবা পাওয়া যায়। ২০২০ সালে বৈশ্বিক মহামারী কোভিড ১৯ এর সময় ব্যবস্থাপত্রসহ স্বাস্থ্যবিধির সম্পর্কিত পরামর্শ দেওয়ার জন্য প্রতিটি দেশে বেশ কিছু নির্দিষ্ট ফোন নম্বর সার্বক্ষণিক চালু রাখা হয়েছিল যার মাধ্যমে দেশবাসীকে প্রতিনিয়ত টেলিমেটিস সেবা প্রদান করতে সক্ষম হয়।
উপসংহার
উপরোক্ত বিষয় হতে আমরা জানতে পারলাম তথ্য এবং যোগাযোগ প্রযুক্তির উন্নতির ফলে আমরা কি কি সুবিধা গ্রহণ করতে পেরেছি। উপরোক্ত প্রক্রিয়া গ্রহণ করে তথ্য উন্মুক্ত ও সহজ দ্রব্য করার কারণে ক্ষতিকারক ও অসত্য তথ্য অনুপ্রবেশের আশঙ্কা সৃষ্টি হচ্ছে যার কারণে সামাজিক এমনকি রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে বিশৃঙ্খলা ব্যক্তিগত গোপনীয়তা অনৈতিকতায় হস্তক্ষেপ সাইবার আক্রমণ এবং প্রযুক্তি বিবেক বৈষম্যের জন্ম দিচ্ছে সকল দিক আমাদের খেয়াল রেখে তথ্য এবং যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হবে
No comments:
Post a Comment