সামাজিক জীবনে তথ্য এবং যোগাযোগ প্রযুক্তির প্রভাব কতটুকু - M.A IT FIRM

সামাজিক জীবনে তথ্য এবং যোগাযোগ প্রযুক্তির প্রভাব কতটুকু

 

 সামাজিক জীবনে তথ্য এবং যোগাযোগ প্রযুক্তির প্রভাব কতটুকু

বর্তমান যুগে তথ্য এবং প্রযুক্তির একটি যুগ চলছে। পৃথিবীর মানুষ তথ্যপ্রযুক্তির সক্রিয় সহযোগিতা ছাড়া এখন একটি দিনও অতিবাহিত করতে পারে না। এক কথায় মানুষের জীবনযাত্রার সর্বস্তরে অভাবনীয় উপভোগ রয়েছে। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে এবং সামাজিক সকল কর্মকান্ডে তথ্য এবং যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যাপক ভূমিকা রয়েছে। 

সামাজিক জীবনে তথ্য এবং যোগাযোগ প্রযুক্তির প্রভাব কতটুকু


এছাড়াও এই তথ্য প্রযুক্তির উন্নয়নের পেছনে টেকনোলজির যে ভূমিকা রয়েছে তা আশানুরূপ চাইতেও বেশি এবং টেকনোলজির উন্নতি সাধন হওয়ার কারণে আমরা তথ্য এবং যোগাযোগ প্রযুক্তির উন্নতি দেখতে পাচ্ছি।

পোস্ট সূচিপত্র: সামাজিক জীবনে তথ্য এবং যোগাযোগ প্রযুক্তির প্রভাব কতটুকু

  • ভূমিকা
  • তথ্য প্রযুক্তির ইতিবাচক প্রভাব গুলো
  • তথ্যপ্রযুক্তির নেতিবাচক প্রভাব গুলো কি
  • দৈনন্দিন সামাজিক জীবনে তথ্য প্রযুক্তি প্রযুক্তির ভূমিকা
  • উপসংহার

ভূমিকা

প্রযুক্তি ছাড়া আমরা আমাদের একটি দিনও ভাবতে পারেনা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে প্রযুক্তির ভূমিকা অপরিসীম। অধিকাংশ কাজেই আমরা বর্তমানে প্রযুক্তির ব্যবহার করে আসছি। এছাড়াও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর জন্য প্রযুক্তি ব্যাপক ব্যবহার প্রচলিত। পূর্বে যোগাযোগ মাধ্যমগুলো যেমন ছিল বর্তমানে তার থেকে অনেক উন্নতি হয়েছে। আমরা চাইলে মুহূর্তের মধ্যেই দেশের ভেতর এবং দেশের বাইরে বিভিন্ন জায়গায় যোগাযোগ চালিয়ে যেতে পারে। এবং এটা সম্ভব হয়েছে তথ্যপ্রযুক্তির উন্নয়নের কারণে। আর তথ্যপ্রযুক্তি উন্নয়ন হয়েছে টেকনোলজি উন্নয়নের কারণে টেকনোলজি যত উন্নত হবে আমাদের তথ্য এবং যোগাযোগ প্রযুক্তিও তত উন্নত হবে।

আরো পড়ুন:রক্ত উৎপাদন ও সঞ্চালন-Blood Production And Circulation

তথ্য প্রযুক্তির ইতিবাচক প্রভাব গুলো

শিক্ষা, চিকিৎসা, বাসস্থান, অফিস আদালত, ব্যাংক কিংবা অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান, কলকারখানা যোগাযোগ ব্যবস্থা, কৃষি, প্রকাশনা শিল্প সংস্কৃতি ইত্যাদি সমাজে সর্বক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি কি   বহুমুখী প্রয়োগ পরিলক্ষিত হয়ে আসছে। আইসিটির উল্লেখিত বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংক্ষিপ্ত বর্ণনা নিম্নরপ:

শিক্ষা ক্ষেত্রে: তথ্য প্রযুক্তির সকল প্রয়োগের দ্বারা বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভর্তির আবেদন, ফি ইত্যাদি পরিশোধ, ভর্তি, ফলাফল তৈরি ও প্রকাশ, রেজিস্ট্রেশন বা পরীক্ষার ফরম পূরন,  বিভিন্ন ফলাফল বিশ্লেষণ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মান নির্ধারণ, সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সঠিক এবং প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ ইত্যাদি কাজে অত্যন্ত সহজ দ্রুত ও নিখুঁতভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব হচ্ছে। তাছাড়া দেশের অবস্থান করেও শিক্ষার্থীগণ বিশ্বের সেরা বিদেশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি পড়াশোনা ও পরীক্ষায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে দ্বিতীয় অর্জন করতে সক্ষম হচ্ছে তথ্য প্রযুক্তির কল্যাণ।

বিজ্ঞান ও চিকিৎসার ক্ষেত্রে: আমরা জানি বিজ্ঞানের কম উন্নতির ধারায় তথ্যপ্রযুক্তি বর্তমান উৎকৃষ্টতায় উন্নতি হয়েছে। ঠিক একই ভাবে তথ্যপ্রযুক্তির প্রয়োগের মাধ্যমে কিন্তু বিজ্ঞানের বহুমাত্রিক অগ্রগতিকে বহুগুণ তুরান্বিত করে চলছে। অন্যান্য সেক্টর তো রয়েছে, শুধু চিকিৎসার ক্ষেত্রে পর্যালোচনা করলে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহারের সুফল বলে শেষ করা যাবে না। অত্যাধুনিক পদ্ধতিতে ও নিখুঁতভাবে রোগ নির্ণয় থেকে শুরু করে চিকিৎসা সেবা দেওয়া, ঘরে বসে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পরামর্শ ও সর্বাধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি জানা, সর্বশেষে আবিষ্কৃত ঔষধ সংগ্রহ ও ব্যবহারে সক্ষমতা এনে দিয়েছে তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি।

সামাজিক জীবনে তথ্য এবং যোগাযোগ প্রযুক্তির প্রভাব কতটুকু

ব্যাংক, বীমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে: ব্যাংকে অর্থ জমা উত্তোলন, ক্লিয়ারিং হাউস বা অন্তব্যাংক লেনদেন, রেমিটেন্স আদান-প্রদান, স্মার্ট কার্ড ব্যবহারে এটিএম বুথ এর মাধ্যমে অর্থ উত্তোলন, মোবাইল ব্যাংকিং, অনলাইন ব্যাংকিং, অনলাইনে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিল গ্রহণ, দীর্ঘ বা স্বল্পমেয়াদি ঋণ গ্রহণ অনুমোদন, ঋণের অর্থের পরিমাণ নির্ধারণ, সুদের হার নির্ণয়, মেয়াদ নির্ধারণ, শেয়ার কেনা বেচা ইত্যাদি বহুবিধ কার্যক্রম তথ্যপ্রযুক্তির কল্যাণে আজকাল অতি সহজেই সম্পূর্ণ করা যাচ্ছে। মোটকথা আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যবস্থাপনা ও গ্রাহক সেবায় স্বচ্ছতা ও প্রতিশীলতা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ভূমিকা অপরিসীম।

অফিস আদালত: আজকের বিশ্ব ব্যবস্থায় প্রায় সব ধরনের প্রতিষ্ঠানের অফিস ব্যবস্থাপনায় পেশাদারিত্ব স্বচ্ছতা জবাবদিহিতা, সময়ের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিন্তে তথ্যপ্রযুক্তির প্রয়োগ একটি অনিবার্য বিষয়। প্রজেক্ট প্রোফাইল তৈরি করে ,কর্মী ব্যবস্থাপনা, টেন্ডার সংক্রান্ত কার্যক্রম, কমিশন, বেতন ভাতা নির্ধারণ থেকে শুরু করে তথ্য সংগ্রহ সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াকরণ বিতরণ, টেলিফোন ,কম্পিউটার, প্রিন্টার ইন্টারনেট প্রযুক্তির  ব্যবহার হয়ে আসছে। তাছাড়া বিচারই কার্যক্রমেও একজন বিচার প্রার্থী অনলাইনে মামলায় দায়ের সহ সাক্ষ্য প্রমাণিত সেখানে উপস্থাপন করতে পারছেন, যার ফলে বিচার প্রক্রিয়াতেও গতিশীলতা বৃদ্ধি পেয়েছে অনেক অংশ।

আরো পড়ুন: এসিডের সঠিক ব্যবহার এবং অপব্যবহার

শিল্প ক্ষেত্রে: বাজার অনুসন্ধানের মাধ্যমে কলকারখানার কাঁচামাল সংগ্রহ, পণ্যের ডিজাইন, উৎপাদন ও মান নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে উন্নত যন্ত্রপাতি সংগ্রহ ও ব্যবহার, যোগী পূর্ণ ও প্রতিকূল পরিবেশে কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র রোবটের ব্যবহার, জীবাণুমুক্ত খাদ্যপণ্য তৈরির ক্ষেত্রে স্বয়ংক্রিয় ইলেকট্রনিক্স যন্ত্রপাতি ব্যবহার, উৎপাদিত পণ্যের চাহিদা নিরূপণ, উৎপাদন ব্যবস্থাপনা, বাজার ব্যবস্থাপনা, মজুদ ব্যবস্থাপনা, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, উৎপাদিত পণ্য ক্রেতা অসাধারণ এর কাছে আকর্ষণীয়ভাবে উপস্থাপন, অনলাইনে অর্ডার গ্রহণ, অন্য সরবরাহ বিশ্ববাজার অর্থনীতির সাথে ভারসাম্য রক্ষা, বিশ্ববাদের প্রতিযোগিতায় প্রবেশ, প্রাধান্য বিস্তার ইত্যাদি সংশ্লিষ্ট প্রতিটি ক্ষেত্রে তথ্য প্রযুক্তির ভূমিকা অস্বীকার্য

কৃষি ক্ষেত্রে: দেশের কৃষির ক্ষেত্রে তথ্য প্রযুক্তির প্রয়োগ নতুন দিগন্তের সূচনা করেছে বহু পূর্বে। জমির ধরন, মাটির গুণগত মান, স্থানীয় আবহাওয়ার ধরুন,  দেশি বা বিশ্ববাজারে চাহিদা অনুযায়ী সকল তথ্য জেনে লাভজনক শস্য নির্বাচন সম্ভব তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে। নির্ধারণ ও তার পদ্ধতি জমির উর্বরতা বৃদ্ধির কৌশল জমির তৈরির প্রক্রিয়া পোকামাকড় আক্রমণের ধরন পোকার প্রকৃতি নির্ণয় ও নিধন রোগ নির্ণয় ও প্রতিরোধের ব্যবস্থা, ইত্যাদি কৃষি সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সংকল্যাণ  সম্ভব হচ্ছে।

উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা: আজ কাল তথ্যপ্রযুক্তি ছাড়া যোগাযোগ ব্যবস্থা কল্পনা করা যায় না। ব্যক্তিগত তথ্য ও যোগাযোগ থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের গণপরিবহন পর্যন্ত সর্বস্তরের যোগাযোগ ব্যবস্থায় তথ্য প্রযুক্তির প্রয়োগ ব্যাপক সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে। মোবাইল, ফোন ,ইন্টারনেট কমিউনিকেশন, ওয়ারলেস, যোগাযোগ ব্যবস্থা যোগাযোগ ব্যবস্থায় নিশ্চিত করছে।

শিল্প সংস্কৃতি ও বিনোদনের ক্ষেত্রে: তথ্য প্রযুক্তির কল্যাণে সারা বিশ্বের শিল্প-সংস্কৃতি ও বিনোদনের ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন সূচিত হয়েছে। অবাক তথ্য প্রবাহের কারণে সংস্কৃতিক বিনিময় ও বিনোদনে নব নব মাত্রা সংযুক্তি মানব জীবনকে আয়েশী করে তুলছে। সেই সাথে যুগোপযোগী ভিন্ন সংস্কৃতি সম্পর্কে অবগতি হয়ে অনুযায়ী দেশীয় সংস্কৃতির মূলধারা পাশাপাশি এর মনোনয়ন ঘটানো সম্ভব হচ্ছে।

তথ্যপ্রযুক্তির নেতিবাচক প্রভাব গুলো কি

তথ্য এবং যোগাযোগ প্রযুক্তির কিছু নেতিবাচক দিক রয়েছে বা প্রভাব রয়েছে এ সকল নেতিবাচক প্রভাবের কারণে নানা রকম অপরাধ কর্মে জড়িত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে এবং আমরা বিভিন্ন প্রকার সমস্যার সম্মুখীন হয়ে ওঠে সে সকল নেতৃবাচক প্রভাবগুলো নিম্নরপ।

আসক্তি: তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির নিয়ন্ত্রণহীন অবাধ ব্যবহারের ফলে পারিবারিক সামাজিক এমনকি রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে নেতিবাচক অবস্থার পরিলক্ষিত হচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম যেমন facebook, twitter instagram ইত্যাদি ব্যবহারের তীব্র আসক্তির ক্ষতিকারক প্রভাব আশঙ্কা জনক মাত্রা বেড়ে যাচ্ছে। এর ফলে অল্প বয়সী শিক্ষার্থীরা পড়াশোনায় অমনোযোগী নৈতিক এবং অনৈতিক এর তফাৎ সনাক্ত করতে না পারা, শুদ্ধচারে অনিহা সহ নানা অসামাজিকতার লিপ্ততা তাদের পেয়ে বসেছে। অভিভাবকগণ এর আসক্তি থেকে নিষ্কৃতি পাচ্ছে না।

সামাজিক জীবনে তথ্য এবং যোগাযোগ প্রযুক্তির প্রভাব কতটুকু

 যার দরুন কর্মক্ষেত্রে শ্রম ঘন্টা নষ্ট, অনৈতিক কার্যকলাপে অর্থহীনভাবে সময় ক্ষেপণ, স্বাভাবিক পারিবারিক নিয়মাচার মানতে অবাধ্য, সন্তানদের সময় না দেওয়া বা তাদের প্রতি যত্নবান না হওয়া অনেক অনভিপ্রেত ঘটনার জন্ম। অনলাইনে গেমসের আসক্তি আরো ভয়াবহ প্রভাব ফেলছে সামাজিক জীবনে। ঘন্টার পর ঘন্টা এতে কালক্ষেপণ মাদকাসক্তির মতো ভয়ংকর নেশাগ্রস্ততায় নিমজ্জিত হতে যাচ্ছে সমাজের একটি বিরাট। অংশ এসব গেমসের জন্য নিজের সন্তান ব্যক্তির মত চরম অনৈতিক ঘটনাও সংগঠনের খবর পাওয়া গেছে। আসক্তি হয়ে ব্যবহারকারীদের মৃত্যুমুখে পতিত হওয়ার বিভিন্ন দেশে ঘটেছে। 

দৈনিক রাশিয়া নাগরিকদের তৈরিকৃত গেমস এর মাধ্যমে অনেক ছেলেমেয়েদের আত্মহত্যা বা অকাল মৃত্যুর খবর আমরা সবাই অবগত আছি। এছাড়া বিদেশী সংস্কৃতি বিরূপ প্রভাব তো রয়েছে। আজকালকার প্রতিটি দেশের চলচ্চিত্রে প্রদর্শিত মারামারি খুনাখুনি ও অন্যান্য অনুকরণ করে উঠতি বয়সী ছেলে মেয়েদের সহিংসতা করে তুলছে। এসবের ফলে আচার-আচরণ পরিচ্ছেদে নেতিবাচক পরিবর্তন লক্ষণীয় মাত্রায় বাড়তে দেখা যাচ্ছে। অবাধ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির অপব্যবহার করেছ পূর্ণ ছবি বা ভিডিও এখন স্বল্পমূল্যের মোবাইল ফোনে দৃশ্যমান।

অপরাধ: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তীব্র আসক্তির কারণে কোমলমতি শিশু কিশোর সহ সমাজের এক বিহদংশ বিপথগামী হওয়া আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে। নানা কৌশলে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সহ ব্যক্তিগত গোপনীয় তথ্য চুরি সাইবার হামলা নেতিবাচক প্রোপাগান্ডা ছড়িয়ে দিয়ে সমাজে অস্থিতিশীলতা পরিবেশ জন্ম দিতে পারে।

আরো পড়ুন: আমাদের সম্পদ ও মাটির বিভিন্ন প্রকারভেদ

স্বাস্থ্যগত সমস্যা: তথ্য ও যোগাযোগ সংক্রান্ত যন্ত্রপাতি বিশেষত কম্পিউটার অত্যাধিক ব্যবহার ফলে চোখের উপর চাপ পড়ে, মাথা ব্যাথা, হাত ব্যথা ঘাড় ও পিঠের সমস্যা আক্রান্ত হতে দেখা যায় অনেক কে। রাত জেগে মোবাইল ফোন ব্যবহার, কম্পিউটার বা ইন্টারনেটে সমস্যা কাটানোর কারণে স্নায়বিক ও মস্তিষ্কের নানাবিধ অসুস্থতার পরিলক্ষিত হচ্ছে।

পরিশেষে বলা যায়, চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত সার্জারি চাকুর ব্যাবহার যথাযথভাবে না করে খুন খারাপের কাজে অপব্যবহার রোধ করার দায়িত্ব সার্জারি চাকুন নয়, এই দায়িত্ব আমাদের সবার। একইভাবে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির যত উপযুক্ত ব্যবহার নিশ্চিতদের মাধ্যমে মানব সভ্যতাকে আরও অন্যান্য মাত্রায় অধিষ্ট করার জন্য প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতেই হবে।

দৈনন্দিন সামাজিক জীবনে তথ্য প্রযুক্তি প্রযুক্তির ভূমিকা

তথ্য এবং যোগাযোগ প্রযুক্তি আমাদের সামাজিক জীবনে যথেষ্ট পরিমাণে ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে এবং ভবিষ্যতে এর উন্নতির ফলে আমাদের অনেক কাজ খুবই সহজ এবং সাধ্যমত হতে যাচ্ছে। তথ্য প্রযুক্তির উন্নতি পেছনে যেমন টেকনোলজির ভূমিকা রয়েছে তেমনি সামাজিক উন্নয়ন এবং সামাজিক দূরত্ববোধ এড়িয়ে চলতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম কে আরো সহজ করার জন্য তথ্য প্রযুক্তি ব্যাপক পরিমাণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। 

সামাজিক জীবনে তথ্য এবং যোগাযোগ প্রযুক্তির প্রভাব কতটুকু



আমাদের দৈনন্দিন জীবনে তথ্যপ্রযুক্তি ছাড়া আমরা চলমান অনেকটাই অচলের মত কেননা বর্তমান বিশ্বের প্রায় প্রত্যেকটি দেশেই তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। যে কারণে আমরা ঘরে সেই দেশ এবং দেশের বাইরে বিভিন্ন দেশে আমাদের যোগাযোগ সক্ষম হচ্ছি। আর এই সক্ষমতা আমাদেরকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি এনে দিচ্ছে।

আরো পড়ুন:বিশ্বগ্রামের ধারণা এবং আমাদের জীবনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ভূমিকা

 কিন্তু এই তথ্য এবং যোগাযোগ প্রযুক্তির নেতিবাচক ও ইতিবাচক কিছু প্রভাব রয়েছে যেগুলো আমাদেরকে কাটিয়ে উঠতে হবে। যে সকল দিকগুলো আমাদের জন্য ক্ষতির দিক হবে সে সকল দিক থেকে আমরা আমাদেরকে নিজেকে বিরত রাখব এবং যে সকল দিক দিয়ে আমরা তথ্যপ্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে দেশ এবং নিজের উন্নতি সাধন করতে পারবো সে সকল দিকগুলো আমরা আমাদের প্রয়োজনে ব্যবহার করব।

উপসংহার 

তথ্য এবং যোগাযোগ প্রযুক্তি আমাদের দৈনন্দিন জীবনে কতটুকু ভূমিকা রেখেছে এছাড়াও তথ্য এবং যোগাযোগ প্রযুক্তি আমাদের দৈনন্দিন জীবনে যে সকল প্রয়োজনীয়তা মিটিয়েছে । এবং এর ব্যবহার সুষ্ঠু ব্যবহার এবং আমরা কিভাবে এর ব্যবহারে নিজেকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারি তার থেকে কিভাবে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি সে সকল বিষয়গুলো পরিলক্ষিত করা হয়েছে। এ সকল বিষয়গুলো মাথায় রেখে তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহার করলে আশা করা যায় আমাদের কোন প্রকার প্রতি সাধন হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না।

No comments:

Post a Comment