তথ্য এবং যোগাযোগ প্রযুক্তির আমাদের জীবনে প্রয়োজনীয়তা
অতীতের শিল্প বিপ্লবের অনুরুপ এই মুহূর্তে আমরা একটি শিল্প বিপ্লবের ভেতর দিয়ে যাচ্ছি যে বিপ্লবটিকে আমরা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির বিপ্লব বলে আখ্যায়িত করতে পারে। এই বিপ্লবটির বৈশিষ্ট্য হচ্ছে যে এটি পৃথিবীর প্রায় প্রতিটি মানুষের জীবনধারাকে স্পর্শ করেছে।
পুরো পৃথিবীর সকল মানুষ প্রথমবার পারস্পরিক সহযোগিতা এবং সহমর্মিতার বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে একটি অভিন্ন মানব গোষ্ঠী হিসেবে নিজেদের উপস্থাপন করার সুযোগ পেয়েছে।
পোস্ট সূচিপত্র: তথ্য এবং যোগাযোগ প্রযুক্তির আমাদের জীবনে প্রয়োজনীয়তা
- ভূমিকা
- অফিসিয়ালি কাজ তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার
- বাসস্থান নির্মাণ ও কাঠামো তৈরিতে প্রযুক্তির ব্যবহার
- ব্যবসা প্রচারের ক্ষেত্রে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার
- সংবাদ মাধ্যম প্রকাশে তথ্যপ্রযুক্তি
- বিনোদন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে
- উপসংহার
ভূমিকা
বর্তমান চলমান বিশ্বে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার ব্যাপক হারে এগিয়ে যাচ্ছে অধিকাংশ কর্মকাণ্ড তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার করা হচ্ছে শিল্প কারখানা থেকে শুরু করে প্রায় সব ব্যবসা ও তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার করা হচ্ছে। এছাড়াও নানারকম যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে প্রযুক্তির ব্যাপক ব্যবহার দৃশ্যমান। বর্তমানে আমাদের জীবনে প্রত্যেকটি কাজের পিছনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যাপক ভূমিকা। আর এই সকল তথ্য এবং যোগাযোগ প্রযুক্তি উন্নতি সফল মনোনীত করতে টেকনোলজি ব্যাপক পরিমাণ কাজ করে যাচ্ছে। টেকনোলজি উন্নতির কারণে যোগাযোগ ব্যবস্থা তথ্য আদান প্রদান এবং আমাদের জীবন খুবই সহজ।
আরো পড়ুন:অটিজম কি? অটিজম বলতে কি বুঝি
অফিসিয়ালি কাজ তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার
অফিস বা কর্মস্থল এমন একটি স্থান যেখানে বিভিন্ন পেশাজীবী তাদের পেশা সংশ্লিষ্ট কাজ সম্পন্ন করেন। অফিসে বর্তমান অবস্থায় বিশ্বগ্রাম ধারণাটি সবচাইতে সুন্দরভাবে প্রকাশ পায়। আমরা কোন তথ্যের জন্য কোন কোম্পানির অফিসে ফোন করলে বা অন্য কোনভাবে যোগাযোগ করতে পারবো না, পৃথিবীর কোন প্রান্ত বা কোন দেশ থেকে সেই ফোনের বা সেই প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হচ্ছে। শুধু তাই নয়, আধুনিক অফিস ইকুইপমেন্ট আইসিটি ও বিভিন্ন সফটওয়্যার ব্যবহারের মাধ্যমে অফিসের সার্বিক কার্যক্রম অত্যন্ত সহজে এবং দৃশ্যমান গতিশীলতার সাথে করা সম্ভব।
হচ্ছে সরকারি অফিস সহ বড় বড় জাতি কোম্পানি, বিশ্ববিদ্যালয়, হাসপাতাল, গবেষণাগার, শিল্প কারখানা ইত্যাদি কর্পোরেট অফিসগুলো আজকাল ইন্টারনেট এর মাধ্যমে সংযুক্ত থেকে সার্বিক স্বয়ংক্রিয়ভাবে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। অফিসে যাবতীয় কার্যক্রম তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে অত্যন্ত নিখুঁতভাবে সম্পাদন করে অফিস গুলো কাজ বিহীন ডিজিটালাইজড অফিসে পরিণত হয়েছে। এর ফলে বদলে যাচ্ছে অফিসের ফাইলিং সিস্টেম এবং প্রত্যাহিত কার্য প্রক্রিয়া। আজকের বিশ্বায়ন ব্যবস্থায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির কল্যাণে গতানুগতিক অফিস ব্যবস্থা একটি বড় পরিবর্তনের পথে রয়েছে। অনেকেই নিজ দেশে কিংবা অন্য দেশ থেকে বাসায় বসে কাজ করেন, অনেকেই নির্দিষ্ট কর্ম ঘন্টা বজায় রাখতে হয় না। তোর আমেরিকার সাথে আমাদের প্রায় ১২ ঘণ্টার সময়ের পার্থক্য থাকার কারণে দুই মহাদেশে দুইটি অফিস রেখে, কয়েক শিফটে সেটি দিন-রাত্রি মিলে 24 ঘন্টা কাজ করতে পারে।
google সম্পর্কে আমরা অনেকেই অবহিত কেউ আছি, ড্রপবক্স গুগল ড্রাইভ ,অফিস ৩৬৫ ,গুগল ডকস ইত্যাদি সার্ভিসে আমরা আমাদের যাবতীয় ফাইল তৈরি সহ নিরাপত্তার সাথে সংরক্ষণ করতে পারি এবং বিশ্বের যেকোনো প্রান্ত থেকে সেখানে কাজ করতে পারি। অফিসের সব ধরনের মিটিং এর ক্ষেত্রে ভিডিও কনফারেন্সিং করে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিতে পারে। তবে অফিস যান্ত্রিকান হওয়ার কারণে অনভিজ্ঞ মানুষের কর্মসংস্থান কমে যায়। তেমনি গ্রাহকের সাথে ব্যবস্থাপনার মিথস্ক্রিয়া এবং একই সাথে সহকর্মীদের সাথে সামাজিক যোগাযোগ কমে যায় । জাতীয় নিরাপত্তার খাতিরে তথ্য সংরক্ষণের জন্য বড় বড় তথ্যপ্রযুক্তি কোম্পানি ডেটা সেন্টার গুলো অনিয়ন্ত্রিতভাবে ব্যবহার করা হলে সব সময় এক ধরনের ঝুকি থেকে যায়।
বাসস্থান নির্মাণ ও কাঠামো তৈরিতে প্রযুক্তির ব্যবহার
বাসস্থান মানুষের মৌলিক চাহিদা। বিশ্বগ্রাম ব্যবস্থায় আজকাল অত্যাধিক সুযোগ সুবিধা সমৃদ্ধ বাসভবন নির্মাণের তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার লক্ষণীয় মাত্রায় বৃদ্ধি পাচ্ছে। নিজ ঘরে অবস্থান করে পরবর্তী দেশের আত্মীয়-স্বজন বন্ধু-বান্ধবের সাথে সামনাসামনি কথোপকথন থেকে আরম্ভ করে রিমোট কন্ট্রোলিং পদ্ধতিতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করুন, কক্ষের তাপমাত্রা কমবেশি করা, লাইটিং সিস্টেম, ঘরে বসেই বাজার করা, কি বিশ্বাস সেবা গ্রহণ, চিত্র বিনোদন ইত্যাদি সবকিছুতে আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার মানুষের জীবন যাপন অত্যন্ত আরামদায়ক ও সহজসাধ্য করে দিয়েছে।
আরো পড়ুন:হার্টের কাজ কি আমাদের দেহে হার্টের কার্যপ্রণালী
স্থানে কোন প্রতিবন্ধী ব্যক্তি থাকলে তার জন্য সত্তিকারের সহায়তা হতে পারে, কণ্ঠস্বরের মাধ্যমে দরজা খোলা বা বন্ধ করা, লাইট, কম্পিউটার ও টেলিফোন চালু কিংবা বন্ধ করায় ইত্যাদি কাজ তখন সহজেই করা সম্ভব হয়ে যায়। হোম অটোমেশন ব্যাপক আর্থিক বিনিয়োগ, রক্ষণাবেক্ষণের জন্য দক্ষ জনবল, ব্যক্তিগত গোপনীয়তা হস্তক্ষেপ, কণ্ঠস্বর বা ভয়েস নিয়ন্ত্রিত ডিভাইস ব্যবহার এ বিলম্ব না থাকা সত্ত্বেও এর জনপ্রিয়তা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
ব্যবসা প্রচারের ক্ষেত্রে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার
পৃথিবীর কোন দেশ এখনও আর পরিপূর্ণভাবে স্বয়ংসম্পূর্ণ নয়। প্রত্যেকটি দেশকে কোন না কোন দব্যের জন্য অন্যান্য দেশের ওপর নির্ভর। করবে যে দেশ যেটি উৎপাদন করে সেই দেশ সেটি রপ্তানি করে। এবং যে দেশে যেটি প্রয়োজন সেটি অন্য দেশ থেকে আমদানি করে। সে কারণে ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে আমরা বিশ্বগ্রামের ধারণাটি পরিপূর্ণভাবে বিকশিত হতে দেখি। শক্তিশালী অর্থনৈতিক ব্যবস্থার উপর দেশের উন্নয়ন নির্ভরশীল, ব্যবসা বাণিজ্যের মাধ্যমে অর্থনৈতিক উন্নয়ন প্রক্রিয়ার বিশ্বগ্রাম ব্যবস্থা ব্যাপক ভূমিকা পালন করে চলছে।
তথ্যপ্রযুক্তির প্রভাবে আজকাল ব্যবসা-বাণিজ্য অভাবনীয় পরিবর্তনের সূচনা হয়। ক্রেতা বিক্রেতা কে তাদের উৎপাদিত পণ্য ক্রয় বিক্রয়ের জন্য অন্যত্ত্ব যেতে হয় না। উৎপাদিত পণ্য বা সেবার গুণগতমান অনলাইনে মাধ্যমে স্থানীয় এবং বিশ্ব বাজারে ছড়িয়ে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে। ক্রেতা ও ভোক্তাগণ তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী পণ্য ক্রয় করতে সক্ষম হচ্ছে। তাই ব্যবসা-বাণিজ্য আজকাল আর ভৌগলিক সীমানায় আবদ্ধ নেই। বিশ্বব্যাপী ই-কমার্স, কি বিজনেস, অনলাইন শপিং এর উদাহরণ। ইলেকট্রনিক্স কমার্স বা ই-কমার্সই এই যাত্রার পথিকৃত হিসেবে বিবেচিত। আধুনিক যেটা প্রসেসিং এবং কম্পিউটার নেটওয়ার্ক বিশেষত ইন্টারনেটের মাধ্যমে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে পণ্য বা সেবা বিপন্ন, বিক্রয়, সরবরাহ, ব্যবসা সংক্রান্ত লেনদেন ইত্যাদি আজকে সম্মিলিতভাবে ইলেকট্রনিক্স কমার্স বা ই-কমার্স বলে। ই-কমার্স ওয়েবসাইটে পণ্যের গুণগত মান, বর্ণনা, ছবি এবং মূল্য সম্পর্কিত তথ্য উল্লেখ থাকে।
ই-কমার্স পরিচিতি কতগুলো ওয়েবসাইট রয়েছে তা আমাদের অনেকেরই জানা রয়েছে তার মধ্যে কিছু ওয়েবসাইট হলো www.bikroy.com,www.daraz.com,www.alibaba.com,www.amazon.com বাংলাদেশের বিভিন্ন সীমাবদ্ধতার মধ্যেও ইতিমধ্যে ই-কমার্স কার্যক্রম চালু হচ্ছে। ইদানিং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো অনেক ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান তাদের স্থানীয় শেয়ারবাজারের তথ্য এবং উৎপাদিত পণ্যের প্রচার নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রী হোম ডেলিভারির বিজ্ঞাপন করে থাকেন। এতে করে উৎপাদিত পণ্যের বাজার দেশের কোনটি ছড়িয়ে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে তুলে ধরে যায় এবং বৈশ্বিক ব্যবসা বাণিজ্যের সুফল আমরা পেতে পারি। প্রযুক্তি শেয়ার ও স্থানান্তরের মাধ্যমে উন্নত হবে শিল্প কারখানাগুলো। বর্তমানে ব্যবস্থার উৎপাদিত পণ্য হবে আন্তর্জাতিক মানের। ফলে সম্প্রসারিত হবে বৈশ্বিক ব্যবসা-বাণিজ্যের।
সংবাদ মাধ্যম প্রকাশে তথ্যপ্রযুক্তি
সংবাদ বিশ্বগ্রাম ধারণার একটি অন্যতম প্রধান উপাদান। াদান তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার সংবাদ ও গণমাধ্যমের কার্যক্রম গতিশীলতা বেড়ে গেছে বহুগুন, যোগ করেছে ভিন্নমাত্র। ব্যাপক হারে বিস্তৃতি পেয়েছে এর কর্ম পরিধি। পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনা মুহুর্তে মাঝে সারা পৃথিবীর সকল মানুষ জেনে যেতে পারে। বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি নিউজ চ্যানেল যেমন এপি, রয়টার্স, বিবিসি, সিএনএন, বা আল জাজিরা ইত্যাদি তাদের নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে সিটে থাকা সংবাদগুলো আমাদের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিচ্ছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ যুদ্ধ কিংবা দুর্ভিক্ষের সংবাদ সারা পৃথিবীর মানুষের মাঝে বিশ্বভারতীর্থ এবং সহমর্মিতার জন্ম দেয়।
২০২০ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বর্ণবৈষম্যের বিরুদ্ধে যে আন্দোলন গড়ে উঠেছিল সেটি দেখতে দেখতে পৃথিবীর অন্যান্য দেশকে বিস্তৃতি লাভ করেছিল। এই ধারাবাহিকতায় আমাদের গণমাধ্যমেও সম্প্রচার, ক্রমবিস্তুতি লাভ করেছে। অনলাইন সাংবাদিকতার সুযোগ গুলো আমরা কাজে লাগাতে পারছি। খবরের যথাযথ অর্থ নির্ণয়ে আমরা প্রতিনিয়ত বিভিন্ন চ্যানেলের সংবাদ যাচাই করতে পারি। আমাদের দেশেও অনলাইন নিউজ সমসাময়িক বিশ্বের সকল খবরা খবর প্রচার করে চলছে। এছাড়াও বর্তমানে প্রায় সব খবরের কাগজ তাদের অনলাইন সংস্করণ নিয়মিতভাবে প্রকাশ করছে। মোবাইল ফোন কোম্পানিগুলো সার্ভিস চার্জের বিনিময়ে আপডেট নিউজ প্রচার করছে। সংবাদ গুলো বৈশ্বিক হওয়ার সারা বিশ্ব পরিণত হচ্ছে এক পরিবারে। তথ্যের সমৃদ্ধতা যে কোন দেশকে উন্নত করতে পারে। বর্তমানে তথ্যই শক্তি, যার অন্যতম প্রধান উৎস এই সংবাদপত্র যার উপরে ভিত্তি করে চলবে নিরন্তর গবেষণা, নিশ্চিত হবে টেকসই উন্নয়নের অসীম সম্ভাবনা।
আরো পড়ুন:বিশ্বগ্রামের ধারণা এবং আমাদের জীবনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ভূমিকা
তবে ইন্টারনেট ভিত্তিক এইসব পোর্টাল তৈরি করা, কিংবা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সংবাদ প্রচার করা খুবই সহজ হয়ে যাওয়ার কারণে এর যথেষ্ট অপব্যবহার হতে দেখা যায়। মিথ্যা সংবাদ কিংবা বিদ্বেষমূলক প্রচারণা এখন সারা পৃথিবীর জন্য বড় সমস্যা। এর মোকাবেলা করার জন্য আমাদের দেশে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পূর্ণ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স নিজস্ব নিউজ সার্ভার, ডাটাবেজ নেটওয়ার্ক ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্প্রসারণ করা প্রয়োজন।
বিনোদন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে
বিনোদন ছাড়া মানুষের জীবনের উল্লেখযোগ্য অংশ অপূর্ন থেকে যায়। সভ্যতার উন্মেষ থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত বিনোদনের অনুষঙ্গের মধ্যে গল্প বলা বাদ্য বাজানো নিত্য গান নাটক ইত্যাদি প্রাধান্য পেয়েছে। বর্তমানে বিনোদনের অধিকাংশই হয়ে পড়েছে ইলেকট্রনিক্স যন্ত্র নির্ভর যেমন টেলিভিশন, রেডিও, মোবাইল, ইন্টারনেট ইত্যাদি। স্যাটেলাইট বা ইন্টারনেটের কল্যাণে এবং যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির কারণে এখন ঘরে বসেই পৃথিবীর যেকোনো অনুষ্ঠান উপভোগ করা সম্ভব। হলিউডের সিনেমা একসময় চলচ্চিত্র জগতে অপ্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে বিবেচিত হতো।
এখন স্টিমিং করে ইন্টারনেটে চলচ্চিত্র দেখার প্রতিষ্ঠান netflix hollywood কে সরাসরি চ্যালেঞ্জ করার পর্যায়ে চলে গেছে। এছাড়াও ইন্টারনেট গেমিং আই পি টিভি ইউটিউব সহ আরও অসংখ্য অনলাইন রয়েছে যেগুলো যেকোনো ব্যক্তি তার পছন্দের গেম, ভিডিও, গান সহ ইত্যাদি পর্যবেক্ষণ ও ডাউনলোড করতে পারে। সময় ছিল যখন সকল বিনোদন অনুষ্ঠান তৈরি হতো জাতীয় কৃষ্টি কালচার ও সংস্কৃতি প্রেক্ষাপট কে বিবেচনা করে। তথ্য প্রযুক্তির গর্ভে এই বিশ্বায়নের এই যুগে সেখানে বৈচিত্র এসেছে। বিশ্বগ্রামের চেতনায় সাথে তাল মিলিয়ে এক দেশের মানুষ অন্য দেশের ধ্যান ধারণা চিন্তা-সংস্কৃতিক ছোঁয়ায় সাথে পরিচিত হচ্ছে।
উপসংহার
উপরোক্ত বিষয় হতে আমরা আরও জানতে পারলাম আমাদের দৈনন্দিন জীবনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আমাদের কিভাবে সহযোগিতা করে আসছে এবং আমরা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির উন্নতির ফলে কি সকল সেবা খুব সহজেই পাচ্ছি। আর এই তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি উন্নত হওয়ার পেছনে টেকনোলজি ভূমিকা অপরিসীম দিন দিন টেকনোলজি যেভাবে এগিয়ে চলছে তাতে ভবিষ্যতে তথ্য এবং যোগাযোগ প্রযুক্তির আরও ব্যাপক উন্নতি সাধন করবে বলে ধারণা করা যায়।
No comments:
Post a Comment