আপওয়ার্কে কিভাবে দ্রুত অর্ডার পাবেন তার কিছু কার্যকরি উপায়
আপওয়ার্কে কীভাবে দ্রুত অর্ডার পাবেন, তা জানার জন্য আপনাকে এই সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। ফ্রিল্যান্সিংয়ে সফল হতে হলে অবশ্যই আমাদের নিয়মিত কাজ পেতে হবে।
বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সিংয়ের জন্য অনেকগুলো মার্কেটপ্লেস রয়েছে, যার মধ্যে অন্যতম একটি হলো আপওয়ার্ক। তবে নতুন ফ্রিল্যান্সারদের মধ্যে অনেকেই জানেন না, আপওয়ার্কে দ্রুত অর্ডার পাওয়ার কৌশলগুলো কী।
আপওয়ার্কে কিভাবে দ্রুত অর্ডার পাবেন
আপওয়ার্কে কীভাবে দ্রুত অর্ডার পাবেন, তা নিয়ে বিস্তারিত জানার জন্য চলুন এই গুরুত্বপূর্ণ তথ্যটি সম্পর্কে আলোচনা করা যাক। বর্তমান সময়ে যুবসমাজ চাকরির পরিবর্তে ফ্রিল্যান্সিংয়ের প্রতি বেশি আগ্রহ দেখাচ্ছে। শুধু যুবসমাজ নয়, ছোট থেকে শুরু করে বৃদ্ধরাও ফ্রিল্যান্সিংয়ে মনোযোগ দিচ্ছেন। এমনকি অনেকে সরকারি চাকরি ছেড়েও ফ্রিল্যান্সিংকে বেছে নিচ্ছেন। ঘরে বসে আয়ের একটি জনপ্রিয় মাধ্যম হলো ফ্রিল্যান্সিং। এর মাধ্যমে আপনি প্রতি মাসে লক্ষাধিক টাকা উপার্জন করতে পারেন।ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে হলে প্রথমে একটি নির্ভরযোগ্য মার্কেটপ্লেসে কাজ করতে হবে। আপনি যদি ভালোভাবে লক্ষ্য করেন, তাহলে দেখবেন যে ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য অনেক মার্কেটপ্লেস রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো **আপওয়ার্ক**। আগে এসব মার্কেটপ্লেসে ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যা কম ছিল, তাই কাজ পাওয়া তুলনামূলক সহজ ছিল। তবে বর্তমানে ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় নতুন অবস্থায় কাজ পাওয়া অনেকটাই কঠিন, যা অনেকের কাছে সোনার হরিণের মতো মনে হয়।
আরো পড়ুনঃ কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করবেন?
তবে দ্রুত অর্ডার পেতে হলে অবশ্যই আপনাকে দক্ষতা বাড়াতে হবে। তাই মার্কেটপ্লেসে কাজ শুরু করার আগে নিজের স্কিল ডেভেলপ করা অত্যন্ত জরুরি। মার্কেটপ্লেসে প্রবেশ করার পরে একটি আকর্ষণীয় প্রোফাইল তৈরি করতে হবে। অন্যদের প্রোফাইল থেকে ভিন্ন এবং ইউনিক কিছু যোগ করার চেষ্টা করুন, যাতে এটি বায়ারদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। বায়াররা যদি আপনার প্রোফাইল পছন্দ করে, তাহলে আপনাকে কাজ দিতে আগ্রহী হবে।
প্রোফাইলের পাশাপাশি আকর্ষণীয় গিগ তৈরি করাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভালো গিগ তৈরির জন্য অভিজ্ঞদের পরামর্শ নিতে পারেন। গিগে ভিডিও বা ইমেজ যুক্ত করুন, কারণ এগুলো প্রোফাইলের ইমপ্রেশন বাড়াতে সাহায্য করে। ইমপ্রেশন যত ভালো হবে, কাজ পাওয়ার সম্ভাবনাও তত বেশি থাকবে।
এছাড়াও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, সর্বদা অনলাইনে সক্রিয় থাকা। শুরুতে যদি কোনো বায়ার আপনাকে মেসেজ পাঠায় এবং আপনি সময়মতো উত্তর না দেন, তাহলে কাজ হাতছাড়া হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই সবসময় অনলাইনে থেকে বায়ারের মেসেজের দ্রুত উত্তর দেওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
আপওয়ার্ক কোন ধরনের ওয়েবসাইট
আপওয়ার্ক একটি আন্তর্জাতিক ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস। যারা ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের সাথে জড়িত, তারা সাধারণত এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো ভালোভাবেই জানেন। ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে আগ্রহী অধিকাংশ মানুষেরই স্বপ্ন থাকে দেশের বাইরে বায়ারদের সঙ্গে কাজ করার। আপওয়ার্ক সেই সুযোগটি প্রদান করে। এটি এমন একটি প্ল্যাটফর্ম, যেখানে আপনি দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক বায়ারদের সঙ্গে কাজ করতে পারেন।
সহজ ভাষায় বলতে গেলে, আপওয়ার্ক হলো একটি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস ওয়েবসাইট। একটি প্রতিবেদনে জানা যায়, আপওয়ার্কে বর্তমানে প্রায় এক কোটি ফ্রিল্যান্সার কাজ করছেন, এবং এই সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে। আপওয়ার্কে বর্তমানে চার লক্ষেরও বেশি কাজ রয়েছে। তবে, কাজের চাহিদার তুলনায় ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় প্রতিযোগিতা অনেকটাই তীব্র হয়ে গেছে। আগে কাজ পাওয়া তুলনামূলক সহজ ছিল, কিন্তু বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সিংয়ের জনপ্রিয়তা এবং প্রতিযোগিতা বেড়ে যাওয়ায় কাজ পাওয়া অনেক বেশি চ্যালেঞ্জিং হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আপওয়ার্কে কাজ পাওয়ার উপায়
আপওয়ার্কে কীভাবে দ্রুত অর্ডার পাবেন, তা নিয়ে আগে থেকেই বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। তবে কাজ পাওয়ার জন্য আপনাকে কয়েকটি বিষয় খুব গুরুত্ব সহকারে মানতে হবে। অনেকেই মনে করেন, মার্কেটপ্লেসে অ্যাকাউন্ট খুললেই হয়তো কাজ পাওয়া যাবে। কিন্তু বর্তমান প্রেক্ষাপটে এটি মোটেও সহজ নয়।
আরো পড়ুনঃ What is Bitcoin (BTC) ?
মার্কেটপ্লেসে কাজ পাওয়া এখন অনেকটা সোনার হরিণ খুঁজে পাওয়ার মতো। এর প্রধান কারণ হলো, কাজের চাহিদার তুলনায় ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যা অনেক বেশি। ফলে প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি পেয়েছে, আর নতুনদের জন্য কাজ পাওয়া আরও কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। এজন্য আপনাকে কেবল মার্কেটপ্লেসে অ্যাকাউন্ট খুলে বসে না থেকে, দক্ষতা এবং কৌশল উন্নত করতে হবে।মার্কেটপ্লেসে প্রবেশ করার পর কখন বা কতদিনের মধ্যে আপনি কাজ পাবেন, সে বিষয়ে কোনো নিশ্চিত ধারণা নেই। কাজ পাওয়ার জন্য আপনাকে অবশ্যই ধৈর্য ধরতে হবে এবং নিজের দক্ষতা বাড়াতে হবে। আপনাকে এমনভাবে প্রস্তুত হতে হবে যাতে যেকোনো ধরনের কাজ অল্প সময়ের মধ্যে সফলভাবে সম্পন্ন করতে পারেন।
যদি আপনি নিজেকে এভাবে প্রস্তুত করতে পারেন, তখন মার্কেটপ্লেসে প্রবেশ করে একটি সুন্দর ও আকর্ষণীয় প্রোফাইল তৈরি করুন। প্রোফাইলটি এমন হতে হবে, যা বায়ারদের নজর কাড়ে। এরপর শুধু ধৈর্য ধরে সঠিক সুযোগের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। দক্ষতা এবং ধৈর্য—এই দুই গুণই মার্কেটপ্লেসে সফল হওয়ার চাবিকাঠি।
Upwork এ কাজ করার নিয়ম
আপওয়ার্কে কাজ করার নিয়ম নিয়ে যারা জানেন না, তাদের জন্য আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল। ফ্রিল্যান্সিং দুনিয়ায় যেসব জনপ্রিয় এবং গুরুত্বপূর্ণ মার্কেটপ্লেস রয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম হলো আপওয়ার্ক। তবে অনেকেই জানেন না, এখানে কাজ করার সঠিক নিয়ম কী। প্রথমে আপনাকে কাজের নিয়ম সম্পর্কে জানা দরকার, কারণ নিয়ম না মেনে কাজ করলে সফল হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কম থাকে।
একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন : আপওয়ার্কে কাজ শুরু করার জন্য প্রথমে আপনাকে একটি একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। এই প্ল্যাটফর্মে বিভিন্ন ধরনের প্রজেক্ট পাওয়া যায়। যদি আপনি বায়ার হিসেবে কাজ করাতে চান, তাহলে বায়ার একাউন্ট খুলুন, আর যদি সেলার হিসেবে সার্ভিস বিক্রি করতে চান, তাহলে সেলার অ্যাকাউন্ট তৈরি করুন।
প্রোফাইল সাজানো : একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করার পর আপনার দ্বিতীয় কাজ হলো প্রোফাইল সুন্দরভাবে সাজানো। অনেক নতুন ফ্রিল্যান্সার প্রোফাইল ঠিকমতো সাজাতে ব্যর্থ হন, যার কারণে প্রথমে কাজ পাওয়াও কঠিন হয়ে পড়ে। তাই, কাজ পাওয়ার জন্য একটি আকর্ষণীয় এবং প্রফেশনাল প্রোফাইল তৈরি করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
কাজের জন্য আবেদন করা : আপনি যেসব কাজ ভালোভাবে করতে পারেন, সেই কাজগুলোর উপর গিগ তৈরি করুন এবং বিভিন্ন প্রজেক্টে আবেদন করুন। আবেদন করার সময়, আপনার গিগে ভিডিও বা ছবি যুক্ত করলে ইম্প্রেশন বাড়বে, যা বায়ারদের নজর আকর্ষণ করবে।
ওয়ান টাইমে ডেলিভারি দেওয়া: কাজের পরিমাণ বাড়ানোর জন্য আপনার রেটিং পয়েন্ট বাড়ানো গুরুত্বপূর্ণ। প্রথম কাজগুলো সময়মতো এবং ভালোভাবে ডেলিভারি দিলে ভালো রেটিং পাওয়া যাবে। বায়ারের কাছ থেকে নির্দিষ্ট সময় নিয়ে কাজ শেষ করে, সঠিক সময়ে ডেলিভারি দিলে ভবিষ্যতে আরও কাজ পাবেন।
নতুনদের জন্য আপওয়ার্কে করণীয়
নতুনদের জন্য আপওয়ার্কে কী কী করণীয়, তা জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যারা নতুন মার্কেটপ্লেসে কাজ করতে চান, তাদের বেশিরভাগই এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো সম্পর্কে অবগত নন। অন্যান্য মার্কেটপ্লেসের তুলনায় আপওয়ার্কের সুবিধা হলো, এখানে আপনি দুটি পদ্ধতিতে কাজ করতে পারবেন: নির্দিষ্ট অর্থের চুক্তি বা ঘন্টা ভিত্তিক চুক্তি। তবে নতুন অবস্থায় কাজ পাওয়া বেশ কঠিন, তাই ধৈর্য ধারণ করা প্রয়োজন। কিছু করণীয় রয়েছে, যেগুলো অনুসরণ করলে দ্রুত কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
নতুন ফ্রিল্যান্সাররা যদি আপওয়ার্কে প্রবেশ করেন, তাহলে তাদের প্রথম কাজ হবে প্রোফাইল সুন্দরভাবে সাজানো। প্রোফাইলে দেওয়া তথ্যগুলো আপনার পরিচয়পত্র বা সার্টিফিকেট অনুযায়ী সঠিকভাবে পূর্ণ করতে হবে। এর মধ্যে ইমেইল ভেরিফিকেশন থেকে শুরু করে আইডি ভেরিফিকেশন ও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এসব কাজ সঠিকভাবে করলে দ্রুত কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়।
আরো পড়ুনঃ ডিজিটাল মার্কেটিং থেকে কিভাবে আয় করা যায়?
প্রথম দিকে, যতটা সম্ভব কম দামে কাজ করতে হবে, কারণ এটি আপনাকে প্রোফাইল গড়তে এবং রেটিং পেতে সাহায্য করবে। তবে, ক্লায়েন্টের চাহিদা অনুযায়ী, অর্থের পরিমাণ কমানো বা বাড়ানো যেতে পারে।
আপওয়ার্কে কি কি কাজ পাওয়া যায়
আপওয়ার্কে দ্রুত অর্ডার পাওয়ার বিষয়গুলো ইতিমধ্যেই বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে। মার্কেটপ্লেসে কাজ করার জন্য কিছু নির্দিষ্ট বিষয়ে নিজেকে এক্সপার্ট হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। আপনি যদি সবকিছুতে কাজ করতে চান, তবে সম্ভবত সবারই কাজ করতে পারবেন না, এবং এতে আপনার কাজ পাওয়ার সম্ভাবনাও কমে যাবে। তাই, যেকোনো একটি সেক্টরে নিজেকে বিশেষজ্ঞ হিসেবে তৈরি করুন। বিশেষ করে যে সেক্টরগুলোতে কাজের চাহিদা বেশি, সেখানে মনোযোগী হতে হবে।
এখানে কিছু সেক্টরের তালিকা দেওয়া হলো, যেগুলোর চাহিদা বর্তমানে বেশি:
- ওয়েব ডিজাইন
- ওয়েব ডেভেলপমেন্ট
- গ্রাফিক্স ডিজাইন
- ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট
- ফটোগ্রাফি এবং এডিটিং
- সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট
- সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (SEO)
- ভিডিও প্রোডাকশন
- প্রোগ্রামিং
- সফটওয়ার ডেভেলপমেন্ট
- লিটারেচার
- আর্ট ডিরেকশন
- ডাটা এন্ট্রি
- মার্কেটিং
- এডভার্টাইজিং
- অনুবাদ
এই সেক্টরগুলোতে বিশেষ দক্ষতা অর্জন করলে, আপনি দ্রুত কাজ পেতে পারবেন।
ফাইভার নাকি আপওয়ার্ক কোনটি ভালো
ফাইভার নাকি আপওয়ার্ক, কোনটি ভালো?—এটি একটি সাধারণ প্রশ্ন, যা অনেক নতুন ফ্রিল্যান্সারদের মনে আসে। আজকের এই আর্টিকেলে আমরা ইতিমধ্যেই আপওয়ার্ক নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আপনি যদি নতুন ফ্রিল্যান্সার হয়ে থাকেন এবং বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে কাজ করতে চান, তবে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। অনেক সময় আমরা এই বিষয় নিয়ে দ্বিধা-দ্বন্দ্বে থাকি, যে কোন মার্কেটপ্লেসে কাজ করলে দ্রুত সফলতা পাবো।
আরো পড়ুনঃ ইমেইল মার্কেটিং কি? কেন করবেন ইমেইল মার্কেটিং?
আপনার সুবিধার্থে বলি, ফাইভার এবং আপওয়ার্ক এই দুইটি মার্কেটপ্লেস প্রায় একই রকম। আপনি যেখানে কাজ করুক না কেন, যদি মনোযোগ দিয়ে কাজ করেন, তবে অবশ্যই সফলতা পাবেন। তবে আপওয়ার্কে কিছু অতিরিক্ত সুবিধা রয়েছে। এখানে আপনি ঘন্টা ভিত্তিক চুক্তিতে কাজ করতে পারেন। অর্থাৎ, আপনি যত ঘণ্টা কাজ করবেন, সেই অনুযায়ী আপনার পারিশ্রমিক পাবেন। এছাড়া, আপনি একটি অর্ডার চুক্তিতেও কাজ করতে পারেন। এই ধরনের সুবিধা অন্যান্য মার্কেটপ্লেসে কম পাওয়া যায়।
আপওয়ার্কে ঘন্টা ভিত্তিক চুক্তিতে কিভাবে কাজ করে
আপওয়ার্কে ঘন্টা ভিত্তিক চুক্তিতে কিভাবে কাজ করা হয়? এই প্রশ্নটি নতুন ফ্রিল্যান্সারদের মাঝে বেশ জনপ্রিয়। আমরা ইতিমধ্যেই জানি যে, আপওয়ার্কে দুইটি পদ্ধতিতে কাজ করা যায়। এর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় পদ্ধতিটি হলো ঘন্টা ভিত্তিক চুক্তি।
ঘন্টা ভিত্তিক চুক্তি মানে হলো, প্রতি ঘণ্টায় নির্দিষ্ট একটি পরিমাণ অর্থ নির্ধারণ করা হয়, এবং আপনি যত ঘণ্টা কাজ করবেন, তত পরিমাণ পারিশ্রমিক পাবেন। নতুন ফ্রিল্যান্সারদের জন্য এই পদ্ধতি বেশ সুবিধাজনক, কারণ এতে কোনো নির্দিষ্ট কাজের প্রিপ্ল্যানিং প্রয়োজন হয় না এবং আপনি কাজের সময় অনুযায়ী টাকা উপার্জন করতে পারেন। তবে, একে সঙ্গতভাবে বলা যায় যে, ঘন্টা ভিত্তিক চুক্তিতে কাজের পারিশ্রমিক কিছুটা কম হয়।
তবে এই পদ্ধতির সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো, কাজের ঝুঁকি কম থাকে। যদি কোনো ভুল বা অসঙ্গতি ঘটে, তাও বায়ার আপনাকে পেমেন্ট করে থাকে, কারণ এটি ঘণ্টা ভিত্তিক কাজের চুক্তি, যা কার্যকরীভাবে কাজের সময় অনুযায়ী মূল্যায়িত হয়।
আপওয়ার্কে বায়ারের সাথে কথা বলার নিয়ম
আপওয়ার্কে বায়ারের সাথে কথা বলার নিয়ম অনেক নতুন ফ্রিল্যান্সারের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বিশেষ করে যারা নতুন মার্কেটপ্লেসে কাজ করতে চান, তাদের জন্য এটি আরও গুরুত্বপূর্ণ। বেশিরভাগ সময় বায়ারের সাথে মেসেজের মাধ্যমে যোগাযোগ করা হয়। তবে, যদি প্রয়োজন হয় বা বায়ারের সংখ্যা বেশি থাকে, তাহলে আপনি তাদের সাথে জুম মিটিং ও করতে পারেন।
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, যদি বায়ার দেশের বাইরে থেকে আসে, তাহলে আপনাকে তাদের সাথে ইংরেজিতে কথা বলতে হবে। তাই, মার্কেটপ্লেসে কাজ শুরু করার আগে ইংরেজি ভালোভাবে শিখে নেয়া জরুরি, যাতে আপনি বায়ারদের সাথে যোগাযোগ করতে এবং তাদের কথা বুঝতে পারেন।
আপওয়ার্কে মেসেঞ্জার থেকে উপরের দিকে থাকা ভিডিও কল বা অডিও কল অপশনে ক্লিক করলেই কল চালু হয়ে যাবে। এরপর, আপনি ভিডিও কলের লিংক শেয়ার করে বেশ কিছু অংশগ্রহণকারীকে আমন্ত্রণ জানাতে পারবেন।
উপসংহার
আপওয়ার্কে কিভাবে দ্রুত অর্ডার পাবেন—এটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বিশেষ করে যারা নতুনভাবে মার্কেটপ্লেসে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করেছেন, তাদের জন্য উপরের বিষয়গুলো জানা উচিত। কারণ এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো জানলে, আপনি খুব সহজেই এবং কম সময়ে মার্কেটপ্লেসে ভালো করতে পারবেন। আপনি যদি মার্কেটপ্লেসে সফল হতে চান, তাহলে আমাদের আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন এবং বিষয়গুলো শিখে নিন।
আমাদের আর্টিকেলের সাথে থাকার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ এবং তথ্যমূলক বিষয়গুলো নিয়মিত জানতে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করতে থাকুন, কারণ আমরা নিয়মিত এই ধরনের আর্টিকেল প্রকাশ করে থাকি।
No comments:
Post a Comment